রোগ যখন মহামারীতে রূপ নেয় তখনই বাড়ে ডাক্তারের ব্যস্ততা
লিখেছেন লিখেছেন খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ১৭ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:৪০:০৩ সন্ধ্যা
মুসলমানদের মধ্যে দীন-ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞতা মহামারীর আকার ধারণ করেছে বললে কম বলা হবে । দেখা গেছে অনেক মুসলমান ইসলামের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত নামাযটিও পড়তে জানেন না। এমন কি নিয়মিত বা অনিয়মিত যারা নামাজ পড়েন এমন ব্যক্তিদের মধ্যেও অনেকে নামাজের প্রয়োজনীয় সূরা, কেরাত, আত্তাহিয়াতু, দরূদ শরীফ ইত্যাদি জানেন না। ব্যবসা-বাণিজ্য, মুআশারাত, মুআমালাত তো অনেক দূরের কথা, এর চেয়ে বড় মহামারী আর কি হতে পারে?
মুসলমানদের দীন সম্পর্কে এই অন্তহীন অজ্ঞতারূপ উক্ত মহামারীর চিকিৎসায় চিকিৎসকের ভূমিকা পালন করতে হবে আলিমসমাজকে যাঁদেরকে আল্লাহ তা‘আলা দীনের জ্ঞান দান করেছেন। এই জ্ঞান আল্লাহ তা‘আলার বিশেষ নিয়ামত। আর দীন প্রচার করা হবে এই নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা। পক্ষান্তরে যদি আলিমসমাজ শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকেন, দীন প্রচারে আত্মনিবেদনের গরজ অনুভব না করেন, তাহলে এর জন্য আল্লাহ তা‘আলার কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আলিমসমাজ ছাড়াও সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে যারা কিছুটা হলেও দীনি জ্ঞান রাখেন তাদের দায়িত্বও কিন্তু কম নয়। যারা দীন সম্পর্কে জানেন; তাদের সেই জানাটা না-জানা ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে দেয়া তাদের দায়িত্ব। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন بلغوا عني ولو آية অর্থাৎ- আমার পক্ষ থেকে একটি আয়াত পরিমাণ হলেও (অন্যদের প্রতি) পৌঁছে দাও।
আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মাত হিসেবে সেই দায়িত্ব কতটা পালন করছি? আমার/ আপনার আশেপাশে যে মানুষগুলো আছে, যাদের সাথে আমরা চলফেরা করছি, খাওয়া-দাওয়া করছি, তাদেরকে নামাজ পড়তে কতবার বলেছি বা নামাজের দোয়া সুরা ইত্যাদি শিখানোর জন্য কতবার চেষ্টা করেছি? কিংবা আদৌ কি করেছি? অনেকেরই উত্তর হবে ‘না’ বাচক। কেন করিনি? আমিও যদি না করি আপনিও যদি না করেন তাহলে কে করবে? আমরাতো আখেরী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মাত। তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবেন না। তাহলে, দীন প্রচার করা এবং দীনি জ্ঞান শিক্ষা দেয়ার দায়িত্বটা কে পালন করবে? হ্যাঁ, আমাকে আর আপনাকেই পালন করতে হবে সেই দায়িত্ব। আমি আর আপনি কি শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকলেই জান্নাত পেয়ে যাবো? হাদিসে বর্ণিত হয়েছেÑ
وعن ابن عمر رضي الله عنهما، قَالَ : سمعت رَسُول الله، يقول: كُلُّكُمْ رَاعٍ، وَكُلُّكُمْ مسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتهِ : الإمَامُ رَاعٍ وَمَسْؤولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ ، والرَّجُلُ رَاعٍ في أهْلِهِ وَمَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ ، وَالمَرْأةُ رَاعِيَةٌ في بيْتِ زَوْجِهَا وَمَسْؤُولَةٌ عَنْ رَعِيَّتِهَا ، وَالخَادِمُ رَاعٍ في مَالِ سَيِّدِهِ وَمَسؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ ، فَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَمَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ )) مُتَّفَقٌ عَلَيهِ [رواه البخاري: ৭/৪১ ( ৫২০০ ) ، ومسلم ৬/৭ ( ১৮২৯ ) ( ২০(
ইবনে ওমর (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন : “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমাদের প্রত্যেকেই রক্ষণাবেক্ষণকারী (বা দায়িত্বশীল) এবং তোমাদের প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। পুরুষ তার পরিবার ও সংসারের জন্য দায়িত্বশীল এবং তাকে তার রক্ষণাবেক্ষণ ও দায়িত্বপালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। স্ত্রীলোক তার স্বামীর ঘরের রক্ষণাবেক্ষণকারিনী এবং তাকে সে সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। খাদেম তার মনিবের সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণকারী এবং তাকে তার সে দায়িত্বপালন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। অতএব, তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে।” [বুখারী: ৭/৪১(৫২০০) ও মুসলিম: ৬/৭(১৮২৯)
একটু ভেবে দেখা দরকার যে, উল্লিখিত হাদিস অনুসারে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি কিনা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-
‘‘হে লোকজন যারা ঈমান এনেছ, তোমরা নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার ও সন্তান-সন্ততিদেরকে সেই আগুন থেকে রক্ষা কর, যার জ্বালানি হবে মানুষ আর পাথর ৷ সেখানে রূঢ় স্বভাব ও পাষাণহৃদয় ফেরেশতারা নিয়োজিত থাকবে যারা কখনো আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে না এবং তাদেরকে যে নির্দেশ দেয়া হয় তাই তারা পালন করে’’ (সুরা আত তাহরীমÑ ৬)।
আমরা অনেকেই অনেকভাবে দাওয়াতের কাজ করি বা করি বলে দাবি করি। কিন্তু নিজের আর নিজেদেরদের অধীনস্থদের আমল ঠিক করার প্রতি কতটা মনোযোগ দিয়েছি? আমাদের উপর অর্র্পিত দায়িত্ব কতটুকু পালন করছি। আজকেও করা হল না; আগামীকালও যদি না করি তাহলে কখন করবো? কবরে যাওয়ার পরে কিন্তু আমরা আর কোনো দিন দুনিয়াতে আসতে পারবো না। আর কবরে আমল ঠিক করার কোনো সুযোগও থাকবে না। যা আমল করতে হয় মৃত্যু হাজির হবার আগেই করে নিতে হবে। আর মৃত্যু কখন আসবে সেটা আমরা কেউ জানি না। তাই আমরা বুড়ো হলে আমল ঠিক করব বলে বসে থাকার সুযোগ নাই।
একদিকে দীন বিষয়ে জ্ঞানবান ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যের কাছে দীনের দাওয়াত পৌঁছানোর মানসিকতার অভাব রয়েছে, অন্যদিকে যারা দীন সম্পর্কে জানেন না; তাদের মধ্যে শেখার আগ্রহের ঘাটতি রয়েছে। অর্থাৎ- রোগী জানে না যে তার রোগ হয়েছে। না জানার কারণে চিকিৎসা নিচ্ছে না। কেউ যদি নিজে সেধে চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করে তখন তাকে নানা কটু বাক্যবাণে জর্জরিত করা হয়। সেই কটু বাক্য হজম করে দীনের দাওয়াতের কাজ করার মত মানুষের সংখ্যাও দিন দিন কমে আসছে। যার কারণে রোগ আরও বাড়ছে।
দীন সম্পর্কে অজ্ঞতা, আবার সে অজ্ঞতা সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকার কারণে মুসলমানগণ অপরিমেয় ক্ষতির সম্মুখীন, যার ফিরিস্তি দিয়েও শেষ করা যাবে না। সব চেয়ে আশঙ্কাজনক কথা হচ্ছে, এই অজ্ঞতার কারণে অনেক সময় মানুষ নিজেকে মুসলমান হিসেবে দাবি করার পরেও এমন কিছু কথা বলে বা কাজ করে যা ইসলাম ও ঈমানের পরিপন্থী। অনেক সময় এতে রোগাক্রান্ত দুর্বল ঈমানটাও শেষ পর্যন্ত চলে যায়। এতে অন্য কারো ক্ষতি হোক বা না হোক নিজের আখিরাত নিশ্চিত ধ্বংস হয়ে যায় যা মোটেও কাম্য নয়।
একটি উদাহরণ দেওয়া যায়। আদালত থেকে এক সময় বলা হল সব ধরনের ফতোয়া নিষিদ্ধ। এই রায়ের বিরুদ্ধে আলিমসমাজ আন্দোলন করলেন। আর আলিমসমাজের সাথে মারামারি করল আরেক দল মুসলমান। তাদের অনেকেই জানে না যে প্রকৃতপক্ষে তারা কুরআনের সাথে আল্লাহর সাথে আল্লাহর রাসুলের সাথে মারামারি করেছে। কারণ সব ধরনের ফতোয়া নিষিদ্ধ বলা মানে কুরআনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা। কোনো সন্দেহ নাই তাদের ঈমান চলে গেছে। অথচ, তাদের অনেকেই ইসলাম পছন্দ করে। আল্লাহকে ভালোবাসে। যা তারা করেছে সেটা অন্যরা তাদেরকে দিয়ে করিয়েছে। তাদেরকে আমরা যদি বুঝাতে পারি যে আপনাদের এই কাজটা ঈমানের জন্য ক্ষতিকর, তাহলে তাদের অনেকেই ফিরে আসবে। তওবা করবে। [উল্লেখ্য গ্রামে-গঞ্জে ফতোয়ার নামে যা হয়েছে তা আসলে ফতোয়া নয়। তা ছিল গ্রাম্য মাতবরদের সালিশ-পঞ্চায়েত]।
আর একটি উদাহরণ দেখুনÑ বিবাহ আইন সংশোধন করে ধর্মীয় পরিচয় তুলে দেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। এটা নিশ্চয় কুরআনবিরোধী। এই আইনের বিরুদ্ধে যদি আলিমসমাজ আন্দোলন করে তখন তাদের সাথে যদি কোনো মুসলমান সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তাহলে তা হবে সরাসরি কুরআনের সাথে সংঘর্ষ। এ রকম আরও বহু রোগে মুসলমানগণ আক্রান্ত। যার কারণে অনেকেই বুঝতে পারে না যে সে আসলেই ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। তাদেরকে বুঝাতে না পারার জন্য আমরাও কিছুটা দায়ী।
এই সব মারাত্মক রোগের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের ভূমিকা পালন করতে হবে তাদেরকে যারা দীনি জ্ঞান রাখেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে তাদের অনেকেই নিজেকে নিয়ে এত ব্যস্ত যে দাওয়াত নিয়ে ভাবার সময় নেই। ভাবটা এমন যেন'কে কি করল তাতে আমার কি?’ অথচ হাদীসের ভাষ্য হল দাওয়াতের কাজ না করে নিজে ইবাদত করলেও মানুষ আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচতে পারবে না। আগেকার যুগে এক এলাকায় একজন আবেদ ছিলেন। তিনি দিনে রোজা রাখতেন আর রাতে তাহাজ্জুদ পড়তেন আর তারপ্রতিবেশীরা আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত ছিল। আল্লাহ তা‘আলা ফেরেশতাদেরকে বললেন, ঐ এলাকা উল্টে দাও। ফেরেশতারা বলল, সেখানে আপনার অমুক আবেদ বান্দা আছেন। আল্লাহ বললেন, তাকেসহ উল্টে দাও কারণ; সে তার প্রতিবেশীকে সত্যের পথে, আদর্শের পথে দাওয়াত দেয়নি।
আমাদেরকে শ্রেষ্ঠ উম্মত বলা হয়েছে দাওয়াতের কাজ করার জন্য। দাওয়াতের কাজ না করে আমরা নিজেকে শ্রেষ্ঠ উম্মত দাবি করতে পারি না। আল্লাহ তালা বলেন,
তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যাণের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। (সুরা আলে ইমরান ১১০)
আর যারা কিছুটা দাওয়াতের কাজ করছেন তাদের অনেকের কর্মপদ্ধতি সঠিক না হওয়ার কারণে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না। আল্লাহ তালা বলেছেন-
আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দযুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভালো জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে (সুরা আন নাহ্ল Ñ ১২৫) ।
আবার যাদেরকে দাওয়াত দেওয়া হয় তাদের মধ্যেও কিছু মানুষকে দেখা যায় যারা দাওয়াত গ্রহণ না করার পেছনে কিছু অজুহাত তুলে ধরে। সেটাও আরেকটা রোগ। তারা মনে করে আপনি বা আমি আমাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করার জন্য তার সাথে ধর্ম সম্পর্কে কথা বলছি বা দীনের দাওয়াত দিচ্ছি। এই রোগটা আগেরটার চেয়েও মারাত্মক। এ রোগের উৎপত্তিস্থল হচ্ছে সেক্যুলারিজমের জগাখিচুড়ি দর্শন। তারা মনে করে ধর্ম ব্যক্তিগতভাবে পালন করতে হবে। এটি রাষ্ট্রীয়ভাবে করার বিষয় নয়।
এই রোগটির কারণেও ঈমান চলে যায়। কারণ তাদের কথা যদি মেনে নেওয়া হয় তাহলে কোরাআনের কিছু অংশ অস্বীকার করা হয়, যা ইমানের পরিপন্থী। আল্লাহ তালা বলেন,
অর্থাৎ তবে কি তোমরা (আমার নাযিলকৃত) গ্রন্থের কিয়দাংশ বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশ অবিশ্বাস কর? যারা এরূপ করে পার্থিব জীবনে দুর্গতি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে ঠেলে দেয়া হবে। আল্লাহ তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে বে-খবর নন (সুরা বাকারা Ñ ৮৫)।
উল্লিখিত দুটি প্রধান রোগ থেকে মুসলমানদের মুক্তি পাওয়া খুবই জরুরী । এমন পরিস্থিতিতে দা’ঈকে বহুমাত্রিক কর্মপন্থা অবলম্বন করতে হবে। যার মধ্যে রয়েছেÑ
১. দা’ঈকে শরিয়ত মতে চলতে হবে।
২. যাকে দাওয়াত দিবেন তার জন্য আল্লাহর কাছে হিদায়তের দোয়া করতে হবে।
৩. তার সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে, যাতে সে বুঝতে পারে যে আপনি তার কল্যাণ চান।
৪. কোমল ভাষা ব্যবহার করতে হবে।
৫. যথাসম্ভব তার পার্থিব উপকারও করতে হবে।
৬. বারবার দাওয়াত দিতে হবে।
৭. ইখলাস বা নিষ্ঠার সাথে দাওয়াত দিতে হবে। শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই দাওয়াতের উদ্দেশ্য হতে হবে।
৮. দাওয়াতের কাজে আরো গতি সঞ্চার ও ব্যাপকতা আনতে হবে।
৯. অধীনস্থদের কাছে আগে দাওয়াত পৌঁছাতে হবে।
তাহলে আশা করা যায় আল্লাহতালা আমাদের উপর বিশেষ রহমত করবেন। তিনি বলেন,
আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও, তবে তোমরাই জয়ী হবে (সুরা আলে ইমরানÑ১৩৯)।
বিষয়: বিবিধ
১০৪২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ আমাদের সবাইকে নেক আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন
মন্তব্য করতে লগইন করুন