ওলামায়ে আলকা'র দম্ভোক্তি -শাহবাগে গিয়ে আমি জীবনের সবচেয়ে বড় নেককাজ করেছি : (মাও.?) ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ।
লিখেছেন লিখেছেন ব্যতিক্রম বলছি ১৯ এপ্রিল, ২০১৪, ০৪:৪৩:৩২ বিকাল
শাহবাগে গিয়ে আমি জীবনের সবচেয়ে বড় নেককাজ করেছি : ওলামায়ে আলকা খ্যাত_(মাও.?) ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ।
সাপ্তাহিক লিখনীর মুখোমুখি হয়েছিলেন আম্লীগের এই পা-ছাটা গোলাম ।
.
এখনও কি ঘুমু করবে হেফাজতে ইসলাম ? ?
রেলের জমি ও আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বক্তব্য নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে হলুদ মিডিয়া জগতে ।তবুও হেফাজতের নীরবতা শুধু হৃদয়কে মর্মাহত করে ।
.হেফাজত নেতার অমন বক্তব্য শুধু নিরাশা বাড়িয়ে দেয় ।
.যায় হোক - লিখনী ও আলকা মাসুদের আলাপচারিতার চুম্বকাংশ,
লিখনী : হেফাজতের লংমার্চ তার বয়স এক বছর পার করেছে ওদিকে গণজাগরণ মঞ্চও ইতোমধ্যে বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান করেছে এ নিয়ে আপনার সার্বিক মতামত জানতে চাচ্ছি।
ফরীদ উদ্দিন মাসউদ : গণজাগরণের উত্থানটা ছিলো মূলত জামায়াত ইসলামীকে কেন্দ্র করে। দুবার গিয়েছি আমি শাহবাগে। আমি সেখানে গিয়ে এ কথা বলিনি, আমি তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছি, তাদের সব দাবিকে আমি সমর্থন করেছি বা একাত্মতা ঘোষণা করেছি। প্রথমবার যখন গিয়েছি তখন সেটাকে ফলাও করা হয়নি কারণ তখন আমি কিছু বলিনি। যখন আমি জামায়াতের বিরুদ্ধে আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ কথা বললাম এবং জামায়াতের বিরুদ্ধে দোয়া করলাম তখন সারা বিশ্বে সেটা আলোড়ন তুললো। অমনি আমাকে নাস্তিক বলা হলো। এরকম নাস্তিক আমাদের আকাবির যেমন আবুল হাসান আলি রহ. অনেক আগে থেকেই ছিলেন। কেনো গেলাম? যেহেতু তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এবং জামায়াতের বিরুদ্ধে বলছে। আর আমিও জামায়াত বিরোধী তাই ওদের সাথে আমার এটা একটা বিষয়ে মিল হয়ে গেলো। আর সারা বিশ্বের নজর তখন শাহবাগে। আমি ভাবলাম, এই সুযোগ আমি ছাড়বো কেনো? ঘরে বসে বললে তো আমার কথা কেউ শুনবে না। আমি ইস্তেখারা করেছি এবং মুরব্বীদের সাথে পরামর্শ করেই ঝুঁকিটা নিয়েছি। সুতরাং আমার সঙ্গে অনেক মুরব্বী শামিল ছিল। শুধু এখানকার নয়, দেশের বাইরের মুরব্বীরাও আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন। কোনো জাগতিক কারণে নয় দ্বীনি উদ্দেশ্যেই আমি সেখানে গিয়েছি। টিএসসিতে একটা মিটিং ডাকা হয়েছিল। ওই শাহরিয়ার কবির, আনিসুজ্জামান, কবির চৌধুরী তাদের সামনে বলেছি যে ধর্মকে কখনো নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী বানাবেন না, বরং ধর্ম আপনাদের কেবল সহায়কই নয়, ধর্ম হলো গড়ে তোলার মাধ্যম। তো আমি তাদের কানে এই কথাগুলো পৌঁছাবো না, একজন আলেম তাদের কাছে এইসব কথা নিয়ে যাবে না, তাহলে কে যাবে?
লিখনী : কিন্তু ব্লগে বা ফেসবুকে ইসলাম ও নবীকে নিয়ে কটূক্তির পরও কিভাবে আপনি সেখানে গেলেন?
ফরীদ উদ্দিন মাসউদ : আমি শাহবাগে যখন গিয়েছি, তখন তো ব্লগের সেই কটূক্তি বিষয়টা ছিলোই না। সেটা প্রকাশ হয়েছে রাজীব হত্যার পর। হ্যাঁ, ব্লগারদের কর্মকাণ্ড প্রকাশ হওয়ার পর আমি যেতাম কিনা সেটা তখনকার প্রশ্ন। তখন গেলে না হয় আমাকে দোষী করা যেতো। বরং ব্লগাররা যখন এটা করে তখন তাদের বিরুদ্ধে প্রথম সমাবেশ আমি করেছি। সর্বপ্রথম আমিই এই নাস্তিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বলেছি এদের কঠিন শাস্তি দেয়া হোক। আহমদ শফী সাহেব তখনো বলেননি। তাহলে আমার দোষটা কোথায়? সবাই খুব সমালোচনা করে আমার, হুজুর শাহবাগে কেনো গেলেন? আমি বলি, এটা আমি জীবনের সবচেয়ে বড় নেককাজ করেছি।
বিষয়: বিবিধ
২৮৯৯ বার পঠিত, ৪০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
ফরিদউদ্দীন মাসউদ- বেসম্ভব দালাল
মুনাফিকরা জাহান্নামের নিম্নস্তলে পতিত হবে।
আল্লার জাহান্নামের জন্য কিছু কিটের দরকার আছেনা।
আরবী বানানে ভুল হইলে সৌদরিয়ে দিবেন।
ফরিদউদ্দীন মাসউদ- বেসম্ভব দালাল
মাজহার ভাইয়া ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
Foriddhare ekta gadham dite iccha kore...
কোন এক ব্যাংকে একাউন্ট খুলা হারাম বলেছিলেন, পরে জানা গেলো সেই ব্যাংকে তার একাউন্ট আছে।
উনি ডিজিটাল শহীদ থাবার ও তিন তাকবীরে ডিজিটাল জানাজার মুরিদদের ইমাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন