তুরস্কের কুরদিশ সমস্যা, সমাধান কোন পথে?

লিখেছেন লিখেছেন এরবাকান ১৩ আগস্ট, ২০১৫, ০২:৫৮:১৫ দুপুর





বর্তমান সময়ে তুরস্কের কুরদিশ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে।বিশেষ করে পিকেকে (Kurdistan Worker party) র সমর্থন পুষ্ট রাজনৈতিক হল এইচডিপি ( People’s Democratic Party) ১৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ৮০ টি সাংসদ পাওয়ায় একেপি একক ভাবে সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হয়। তুরস্কের নির্বাচনের দীর্ঘ ২ মাস ৫ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত সরকার গঠন হয়নি। যেটা সঙ্ঘাতপূর্ণ মধ্যপ্রাচ্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এক দিকে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পিকেকে অপরদিকে আইএস সহ আর অন্যান্য গোষ্ঠীর একের পর এক হামলার শিকার হচ্ছে তুরস্ক। কিছুদিন ধরে তুরস্কের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারন হিসাবে বলা যায় , পিকেকে র উপর তুরকিশ সেনাবাহিনী হামলা জোরদার করা এবং দেশে নির্বাচিত কোন সরকার না থাকা। এখন মূল আলোচনায় আসা যাক।

কুরদিশ জাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

ইউরোপে অবস্থিত অংশ ব্যতীত তুরস্কের সমগ্র অঞ্চলকে আনাতলিয়া বলা হয়। তুরকিশরা এই আনাতলিয়াতে আসার আগে কুরদিশরাই ছিল এই অঞ্চলের মূল জনগোষ্ঠী। তুর্কীরা মধ্য এশিয়া থেকে এই অঞ্চলে আসলে কুরদিশরা তাদের সাদরে বরণ করে নেয়। এর পর তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রোমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ২ টি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে, একটি হল সেলজুক সাম্রাজ্য অপরটি উসমানী সাম্রাজ্য। ১০৭১ সালে মালাজগিরত যুদ্ধে তারা তুর্কি সেনাপতি সুলতান আলপারসনের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে রোমকদের পরাজিত করে। বিখ্যাত সেনাপতি সালাহউদ্দিন আইয়ুবীও একজন কুরদিশ ছিলেন । সেলজুক সাম্রাজ্যের পতনের পর উসমানী খিলাফাতের গোড়াপত্তন হলে কুরদিশ মুসলিমগণ তখনও তাদের সাহায্য করে।এই ভাবে তারা উসমানী খিলাফাতের বিলুপ্তির আগ পর্যন্ত অর্থাৎ ১৯২৩ সালের আগ পর্যন্ত কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই আপন ভাইয়ের মত তুরকিশ মুসলমানদের সাথে বসবাস করে। এই দীর্ঘ ১০০০ বছরের ইতিহাসে এই আনাতলিয়াতে কুরদিশ সমস্যা নামে কোন সমস্যা ছিল না। কুরদিশরা হল সুন্নি মুসলমান তুরস্কে অবস্থিত কুরদিশরা শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।

বর্তমানে তুরস্কের মোট জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ হল কুরদিশ, ইরানে ১০ শতাংশ, ইরাকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ এবং সিরিয়াতে ৬ শতাংশ কুরদিশ রয়েছে। বর্তমান তুরস্কের দক্ষিন পূর্ব অঞ্চলে মূলত কুরদিশদের বসবাস।

কুরদিশ সমস্যার প্রেক্ষাপট

মুস্তাফা কামাল আতাতুর্ক ১৯২৩ সালের ২৯ অক্টোবর উসমানী খিলাফাতের বিলোপ ঘটিয়ে কামালিজমের ভিত্তিতে নতুন তুর্কী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। কামালিজমের অন্যতম বড় একটি আদর্শ হল তুরকিশ জাতীয়তাবাদ। এই তুরকিশ জাতীয়তাবাদী আদর্শের ভিত্তিতেই আরবি বর্ণমালাকে পরিবর্তন করে ল্যাটিন বর্ণমালা আমদানী করা হয়। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতা মূলক ভাবে এই কবিতাটি ওয়াদা হিসেবে পাঠ করানো হয়।

আমি তুরকিশ, আমি সঠিক, আমি পরিশ্রমী……………

হে মহান আতাতুর্ক! তুমি যে পথ দেখিয়েছ বিরামহীন ভাবে সে পথেই চলব।…………….. আমি কতই না খুশি তুরকিশ হয়ে।
(তুরস্কের স্কুলে বাধ্যতা মুলক ভাবে পঠিত ওয়াদার অংশ বিশেষ)

একেপি সরকার ২০১৪ সালে এই ওয়াদা পাঠ করানোর বাধ্যবাধকতা তুলে দেয়। যা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

এই ওয়াদাকে তুরকিশ, কুরদিশ সকলকেই পাঠ করা বাধ্যতামূলক ছিল। কুরদিশদেরকে কুরদিশ ভাষায় কথা বলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, কুরদিশ ভাষাকে নিষিদ্ধ করা হয়, কুরদিশ ভাষায় বই পুস্তক প্রকাশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, সকল কল কারখানা, হাসপাতাল রাস্তাঘাট সব কিছু থেকেই তাদেরকে বঞ্চিত করা হয়। তুরস্কের সবচেয়ে অশিক্ষিত ও অনুন্নত এলাকা হল কুরদিশ অধ্যুষিত অঞ্চলসমুহ।কুরদিশ ভাষায় কথা বলার অপরাধে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তারা শাফেয়ী হওয়া সত্ত্বেও হানাফি ইমামের পেছনে তাদেরকে নামাজ পড়তে বাধ্য করা হয়। এই ভাবে চরম জুলুম নির্যাতন চলতে থাকে। এক পার্টির শাসনের বিলুপ্তি হওয়ার(১৯৫০)পর জুলুম নির্যাতন কিছুটা কমলেও তারা অবহেলতই থেকে যায়। তারা কুরদিশ ভাষায় কথা বলার কারণে তাদেরকে চিকিৎসা সেবা এবং আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়। সব চেয়ে খারাপ কর্মকর্তাগণকে কুরদিশ এলাকায় বদলি করা হত। তুলনা মুলক ভাবে তুরকিশদের তুলনায় কুরদিশ গণ বেশি ধার্মিক। উসমানী খিলাফাতের সময়ের সব চেয়ে বড় বড় মাদরাসা সমুহ সেই অঞ্চলে অবস্থিত। এই জুলুমের বিরুদ্ধে শায়খ সাঈদ প্রতীবাদের ডাক দেন এবং জাতীয়তাবাদ নয় অতিতের মত ইসলামী ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে আচরন করার দাবি করেন। এমন জুলুম আর তাদেরকে দরিদ্র রাখার কারনে বিভিন্ন মিশনারি গোষ্ঠী সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ পায় এবং আস্তে আস্তে মানুষকে তুর্ক বিদ্ধেষী এবং রাষ্ট্র দ্রোহী করে তুলে পরিকল্পিত ভাবে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে আসে। এবং এখত্রে তারা অনেকাংশে সফলতাও লাভ করে। তুরস্কের কুরদিশ সমস্যার মুলে ছিল সরকারের বৈষম্য আর জুলুম নির্যাতন যা তাদেরকে চরম মাত্রায় বিদ্রোহী করে তুলে। শুধু মাত্র যে তুরস্কের কুরদিশদের উপরেও অত্যাচার করা হয়েছে তা নয় ইরাকে সাদ্দাম হোসেন হাজার হাজার কুরদিশকে রাসায়নিক অস্র দিয়ে হত্যা করে। সিরিয়ার কুরদিশ গনের ও কোন ভোটা ধিকার নেই।

পিকেকে র গঠন



এই অবস্থাকে ইসরাইল তাঁর বৃহৎ মধ্যপ্রাচ্য প্রকল্প প্রতিষ্ঠার এক মোক্ষম সুযোগ হিসাবে লুফে নেয়। বিভিন্ন গ্রুপ দিয়ে কুরদিশের মধ্যে তুরকিশ বিরোধী মনোভাব জাগিয়ে তোলে। আরমেনি বংশোদ্ভূত আবুদল্লাহ অজালানকে দিয়ে সমাজতান্ত্রিক (socialism)আদর্শের ভিত্তিতে ১৯৭৮ সালে পিকেকে গঠন করে । আব্দুল্লাহ অজালান আরমেনি হওয়ার পরও অনেক কুরদিশ তাকে তাদের নেতা হিসাবে মেনে নেয় মুলত জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে। কুরদিশ ভাষায় পিকেকে র পূর্ণরূপ হল পার্টিয়ে কারকেরেন কুর্দিস্তান অর্থাৎ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার পার্টি। সরাইলের সহযোগিতায় এই সন্ত্রাসী সংগঠনটি গঠন হওয়ার পর পরই তুরস্কে এক নতুন সঙ্কট সৃষ্টি হয়। তুরস্ক নতুন এক গৃহ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। সরকারী হিসাব মতে এই গৃহ যুদ্ধে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার লোক নিহত নয়। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সকল রসদ যোগায় ইসরাইল ও ইসরাইল লবিরা। কুরদিশ অধ্যুষিত এলাকায় কোন পুলিশ নেই কারন সরকারী কোন বাহিনী দেখলেই তারা হামলে পড়ে তাদের উপর। এই গৃহ যুদ্ধ চলাকালে ৯০ এর দশকে নাজমুদ্দিন এরবাকান তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী এক মহান উদ্যোগ গ্রহন করেন। তিনি কুরদিশ এলাকা সমুহে ব্যাপক ভিত্তিক সফর করেন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রুপকে ইসলামী ভ্রাতৃত্ব উন্নয়নে কাজে লাগানোর পাশাপাশি সংসদে তাদের উপর জুলুম নির্যাতনের বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। সে সকল এলাকায় শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার জোর দাবী জানান এবং তুরকিশদের মত তাদেরকেও সম অধিকার দেওয়ার দাবি জানান। তিনি ১৯৯৬ সালে কোয়ালিশনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন সেই সময়ে তিনি কুরদিশ জন গোষ্ঠীর ব্যাপক সমর্থন পেয়েছিলেন। তাঁর ১১ মাসের শাসনামলে পিকেকে একটি গুলিও ছোড়েনি। কিন্তু তাকে ক্যু করে নামানর পর এই যুদ্ধ প্রকট আকার ধারন করে। এবং ১৯৯৯ সালে আমেরিকা এক চুক্তির আব্দুল্লাহ মাধ্যমে আব্দুল্লাহ অজালানকে তুরস্ক সরকারের সাথে সমর্পণ করে।তুরস্ক সরকার তাকে জেলে বন্ধি করার পর তাঁর মুক্তির জন্য পিকেকে কোন পন্থা না পাওয়ায় তারা রাজনৈতিক দল গঠন করে। তারা BDP সহ আরও অন্যান্য দল গঠন করে মূলত রাজনীতিতে আসে। তারা রাজনীতিতে আসলেও ভাল কোন ফলাফল বয়ে আনতে পারেনি। সাতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে জোর করে কিছু সংখ্যক আসন পায়।

রিপাবলিকান পিপলস পার্টির উত্থান



এরদয়ানের একেপি সরকার ২০০২ সালে ক্ষমতায় আসার পর কুরদিশ সমস্যা সমাধানে কিছু কার্যকরী উদ্যোগ নেয়। যা সত্যি প্রশংসার দাবীদার কিন্তু তা ছিল চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তারা তুরস্কের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য আগের সরকারের তুলনায় অনেক উদ্যোগ গ্রহন করে। কিন্তু পিকেকে র বাধায় প্রকল্পসমুহ খুব বেশি গতি পায়নি।এই জন্য পিকেকে এবং একেপি ২০০৮ সাল থেকে অস্র বিরতির লক্ষে পিকেকে র সাথে একটি সংলাপ আয়োজন করে যা গত ৭ জুন এর সাধারণ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কার্যকরী ছিল। তারা এই সংলাপের মধ্য দিয়ে পিকেকে কে একটি দল হিসাবে মেনে নেয় এবং ২০০৮ সাল থেকে মিডিয়া তাদেরকে ব্যাপক কভারেজ দিয়ে আসছিল। সকল বিরোধী দল সন্ত্রাসী দলেরসাথে এই সংলাপের বিরধিতা করলেও একেপি সরকার এটাকে গুরুত্ত্ব না দিয়ে আলোচনা চালিয়ে নিতে থাকে। এই অবস্থায় ২০১১ সালের সাধারণ নির্বাচনে BDP সন্তন্ত্র ভাবে নির্বাচন করে ৪৪ টি আসন লাভ করে। সে নির্বাচনে কুরদিশ অধ্যুষিত অঞ্চলসমূহতে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ থাকলেও অজানা কারনে এরদয়ানের একেপি সরকার নিরব ভুমিকা পালন করে। এর পর ২০১২ সালে তারা সকাওল দল মিলে রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (HDP) গঠন করে লাইম লাইটে আসে। এবং তারা সংসদের ভেতরে ব্যাপক ভুমিকা পালন করতে থাকে। এরদয়ান ও তাদেরকে প্রধান বিরোধী দলের ন্যায় আচরন করতে থাকে এভাবে তারা পরিচিত হওয়ার সুজুগ পায় এবং ২০০১৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা সালাহউদ্দিন দেমিরতাশ যে একজন কট্টর বামপন্থী সে এরদয়ানের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট পদে লড়ে ৯.৭৭ ভাগ ভোট পেয়ে এরদয়ানের কঠোর সমালোচকে পরিণত হয়। এবং তারা আগামী নির্বাচনে সংসদে প্রবেশ করতে পারবে এই বিশ্বাসে আত্মবিশ্বাসী হয়ে কাজ শুরু করে এবং এরদয়ান ও একেপিও এটাই চাচ্ছিল যে তারা দল হিসাবে সংসদে আসুক। এখানে উল্লেখ্য যে, কোন দল মোট ভোটের ১০ শতাংশ ভোট না পেলে তুরস্কের সংসদে দল হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে না। এই জন্য এক অর্থে দক্ষিন পূর্ব আসন সমুহে একেপি খুবই দুর্বল প্রার্থী দাঁড় করায়। এবং কারচুপি বন্ধের জন্য কোন কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিশ্লেষকরা মনে করেন, একেপি ভেবেছিল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি ১০ ভাগ ভোট পেয়ে সংসদে আসলেও একেপির সরকার গঠনে কোন সমস্যা হবে না, এই ধারণা থেকেই মূলত একেপি এই পদ্ধতি অবলম্বন করে। রিপাবলিকান পিপলস পার্টির অনেক নেতাও বিভিন্ন সময়ে বলেছেন তাদেরকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন রিজেপ তায়্যিপ এরদয়ান। কিন্তু তারা একেপির হিসাবের বাহিরে অকল্পনীয়ভাবে ১৩ ভাগ ভোট পেয়ে, ৮০ টি আসন লাভ করে একক ভাবে একেপিকে সরকার গঠন করা থেকে বিরত রাখতে সফল হয়। এর পেছনে অন্য কারন হল, তুরস্কের সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বামদের দখলে। এই সকল বামপন্থী এরদয়ান বিরোধী হওয়ায় তারা একচেটিয়াভাবে রিপাবলিকান পিপলস পার্টিকে ভোট দেয়। বাম পন্থী বিভিন্ন ছাত্র নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মূলত এরদয়ানের বিরোধিতা করার কারনেই তারা এই দলটিকে ভোট দেয়। নির্বাচনের পর তারা তুরস্কের জন্য এক হুমকি হয়ে দাঁড়ায় এবং তাদের আগের অবস্থায় ফিরে এসে বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা ও তারকিশ সেনাবাহিনীর উপর আক্রমণ করতে থাকে। সরকারও সংলাপ ভেঙ্গে তাদের পিকেকের উপ্র আক্রমণ করে অনেক বিদ্রোহীকে হত্যা করে। নির্বাচনের পর প্রায় ৩৫০ জন পিকেকে সন্ত্রাসী নিহত হয়।

সমাধান কোন পথে?

১। তুরকিশ কুরদিশ ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করা।

২। কুরদিশ অধ্যুষিত এলাকাসমূহের উন্নয়নের জন্য কার্যকর ভুমিকা পালন করা।

৩। তাদের ভাষার উপর থেকে সকল নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া।

৪। বেকারত্ত্ব ও দারিদ্রতা দূরীকরণের লক্ষ্যে কুরদিশ অধ্যুষিত এলাকায় শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করা।

৫। সমগুরুত্বের সাথে তাদের অধিকার বিবেচনা করা।

৬। অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কাজ করা।

৭। পিকেকে র সকল অর্থনৈতিক উৎস বন্ধ করা।

৮। পিকেকে র সাথে সকল প্রকার সংলাপ বর্জন করা।

৯। ইসরাইলের প্রকল্প সমুহ থেকে বের হয়ে এসে নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতির আলোকে কাজ করা।

সোর্স http://imbdblog.com/?p=6543

বিষয়: বিবিধ

১৪৭৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

335636
১৩ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৫
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ভালো লাগলো
335659
১৩ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৯
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : আরো জঠিল পরিস্থিতির উদ্ভব হত পারে। এখন নতুন সঙ্কট তো ইহুদী মানস পুত্র আইসিস..
ধন্যবাদ..
335765
১৪ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৭:৫৪
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : অতিতের মত ইসলামী ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে আচরন করার দাবি করেন।এটাই হওয়া উচিৎ সব মুসলমানের লক্ষ্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File