ইসলামী আন্দোলনের মৌলিক ভিত্তি ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান

লিখেছেন লিখেছেন এরবাকান ৩০ জুলাই, ২০১৫, ০৮:৫৪:১৪ রাত



সকল মুসলমানের সর্বপ্রথম এবং মৌলিক কাজ হল হক ও বাতিলের দ্বন্দে জিহাদ করা। জিহাদ হল; হককে বিজয়ী করা এবং সকল মানুষের সুখ; শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দুনিয়ার কোন শক্তিকে ভয় না করে ; নিজের সকল শক্তি দিয়ে প্রচেষ্টা চালানো। আমাদের দেশ ও জাতির জন্য ; গোটা উম্মতের জন্য সর্বোপরি দুনিয়ার সকল মানুষের উন্নতির জন্য আমাদেরকে এই কাজ করতে হবে। পৃথিবীর বুকে বাতিলকে পরাজিত করে সত্য এবং ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদের দায়িত্ব আমাদের উপর অর্পিত হয়েছে। জিহাদ একটি ফরজ ইবাদাত এবং এর প্রতিদান ও হল সবচেয়ে বড়। সকল মানুষের সুখ শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করার স্বার্থেই আমাদের জিহাদের পরিকল্পনা করা আবশ্যক। একজন পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার জন্য এবং শান্তিময় একটি সমাজ কায়েম করার জন্য আমাদেরকে নফসের বিরুদ্ধে এবং সুন্দর রাজনীতির ধারা তৈরি করার জন্য জিহাদ চালিয়ে যেতে হবে। তবে এই কাজ করার জন্য আমাদেরকে এই গুণাবলীসমুহ অর্জন করতে হবে।

১/ মযবুত ঈমানের অধিকারী হওয়া :

মযবুত ঈমানের অধিকারী হওয়া ছাড়া, কঠিন সময়ে কখনোই ইসলামের পথে অবিচল থাকা সম্ভব নয়।

২/ ইখলাস এর অধিকারী হওয়া :

যশ-খ্যাতি, শান, দুনিয়াবী মর্যাদার পেছনে নয় । রিয়া থেকে দূরে থেকে শুধুমাত্র মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টির জন্যই কাজ করা।

৩/ তাকওয়ার অধিকারী হওয়া :

একমাত্র মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ছাড়া অন্য কোন শক্তিকে ভয় না করা। যেটা সত্য সেটাকে দ্বিধা ও শঙ্কাহীন চিত্তে বলা।

৪/ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে থাকা :

সাংগঠনিক ভাইদের সাথে মতপার্থক্য না করা এবং কোন বিষয়ে তর্ক বিতর্ক না করা। কারন সহনশীলতা মূলত কামালিয়াতেরই লক্ষন।

৫/ উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়া :

গীবত , পরনিন্দা, হিংসা-বিদ্বেষ, অহংকার, ঘৃণা,অপবাদের মত অভ্যাস থেকে দূরে থাকা এবং গোয়েন্দাগিরী না করা। নফসের গোলাম হয়ে নয়, নফসকে পরিশুদ্ধ করার মাধ্যমেই এসকল কাজ থেকে দূরে থাকা সম্ভব ।

৬/ ইহসানের অধিকারী হওয়া :

অর্পিত দায়িত্বকে সব চেয়ে সুন্দর এবং সুচারুরুপে করা আমাদের কর্তব্য।

৭/ পরামর্শ ভিত্তিক কাজ করা :

আমি যেটা বলেছি সেটাই হবে এমন নয় আচরন প্রকাশ না করা। পরামর্শ করার সময় নিজের চিন্তাকে পেশ করা। ইরফানের অধিকারী হওয়া। আর ইরফান হল এইভাবে নিজের কথা পেশ করা যে ”আমার চিন্তা ভুলও হতে পারে।”

৮/ আনুগত্য করা :

গৃহীত সিধান্তকে বাস্তবায়ন করার জন্য দায়িত্বশীলের আনুগত্য করা। কোন প্রকার আপত্তি পেশ না করা।

৯/ ইস্তিকামাত এর অধিকারী হওয়া :

ইসলামী আন্দোলন (জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ) করতে গিয়ে অন্যান্য দায়িত্ব কর্তব্য ভুলে যাওয়া যাবে না। অন্যান্য ইবাদাত বন্দেগী ও দায়িত্বকে কখনোই বর্জন করা যাবে না।

১০/ সাদাকাতের অধিকারী হওয়া

সাদাকাত হল বিপদের সময় পলায়ন না করা। আকর্ষণীয় পদ পদবীর লোভে বিশ্বাস ঘাতকতা না করা।

বিষয়: বিবিধ

১৫১৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

332743
৩০ জুলাই ২০১৫ রাত ০৯:২৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
332810
৩১ জুলাই ২০১৫ রাত ০৩:৩৫
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ভালো লাগলো .. ধন্যবাদ..

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File