বৃহৎ মধ্য প্রাচ্য প্রকল্প কি? ( What is the great middle east Project) প্রফেসর ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান

লিখেছেন লিখেছেন এরবাকান ২৪ জুলাই, ২০১৫, ০৯:৩৬:১২ রাত



যায়নবাদ (zionism) কি? যায়নবাদ হল একটি বর্ণবাদী চিন্তা চেতনার নাম। বনী ইসরাইল নামে পৃথিবীতে একটি জাতী আছে। এই জাতীটির বর্তমান বয়স হল ৫৭০৬ বছর। ফিরাউনের সময় কালে বসবাস করার সময় ফিরাউন এদের উপর চরম জুলুম নির্যাতন পরিচালনা করে। এই জুলুমের প্রেক্ষাপটে তাদেরকে উৎসাহ উদ্দীপনা দেওয়ার জন্য এবং তাদের ধৈর্য শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য তাদের মধ্য থেকে কাবালা নামে একজন লোক একটি বই লিখেন। এই বইটি কাবালা নামে পরিচিত। কি লিখেছিলেন তিনি এই গ্রন্থে?

তিনি বলেন হে বনি ইসরাইল ফিরাউনের এই জুলুমের প্রতি দৃষ্টি পাত কর না। এই সমস্ত জুলুম নির্যাতন হল কালের একটি পরিক্রমা মাত্র। এগুলা আসবে যাবে এই সকল ঘটনা ক্ষণস্থায়ী।এই ফিরাউন নিজেকে খোদা দাবী করলেও তোমরা এমন এক জাতী যারা আল্লাহ তালাকেও পরাজিত করেছ (নাউজুবিল্লাহ)। সুতারাং তোমরা ধৈর্য ধারন কর দেখবে তোমরা ফেরাউনকেও পরাজিত করেছ। কেন? কারন হল তোমরা হলে সর্ব শ্রেষ্ঠ জাতী তোমরা হলে আল্লাহ তালার আসল বান্দা যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা মানুষ হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। আর অন্যান্য জাতী গোষ্ঠীর সকল মানুষকে বানর হিসাবে সৃষ্টি করা হয়েছিল পরবর্তীতে তারা মানুষ হয়েছে।এই কথা গুলুকে পরবর্তীতে ইয়াহুদি হাকহাম গন তাওরাতে শামিল করে এবং তাদের ঈমানের স্তম্ভ হিসাবে ঘোষণা করে। আমি কি বুঝাচ্ছি আপনাদেরকে? আমি আপনাদেরকে যায়নবাদের ঈমান কি সেটা বুঝাচ্ছি। তাদের ঈমানের স্তম্ভসমূহ হল

১। আমরা হলাম পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি। আমরা দুনিয়ার শাসনকর্তা হব।

২। দুনিয়ার অন্য মানুষদেরকে হবে আমাদের গোলাম হিসাবে সৃষ্টি করা হয়েছে।

৩। আমরা বৃহৎ ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করব। আমাদের মাসীহ আসবে তিনি দুনিয়ার শাসন কর্তা হিসাবে সারা দুনিয়াকে শাসন করবেন।

৪। দুনিয়ার সকল মানুষ আমাদের গোলামী করবে।

এটাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষে তারা যে পরিকল্পনাসমুহ হাতে নিয়েছে সেগুলু হল

১। পৃথিবীর ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে সমগ্র দুনিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইয়াহুদিদেরকে পুনরায় ফিলিস্তিনে (বাইতুল মুকাদ্দাসে) একত্রিত করতে হবে।

২। বৃহৎ ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

ওয়াদা কৃত ভুমি (promised land ) তে অর্থাৎ

ফোরাত এবং নীল নদের মাঝখানের সমস্ত জায়গা এটা আল্লাহ আমাদেরকে দিয়েছেন এটাতে আর কার কোন অধিকার নেই। এটা মদিনা পর্যন্ত বিস্তৃত একটা বিশাল ভুমি। এই স্থানে শুধু মাত্র ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করেী ক্ষান্ত হওয়া যাবে না। এর আশে পাশের সমস্ত দেশ সমুহ হল মুসলিম দেশ, তারা ইসরাইল কে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করবে। তাই প্রতিষ্ঠিত বৃহৎ ইসরাইলের নিরাপত্ত্বার জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে মরক্কো পর্যন্ত ২৮ টি দেশের করতিত্ত্ব আমাদের ইসরাইলের হাতে থাকতে হবে।এবং আনাতলিয়াতে (বর্তমান তুরস্ক)১৯ টি ক্রুসেডে বিজয় অর্জন কারী এবং সেলচুকীয় রাষ্ট্র ও উসমানী খিলাফাতের উত্তরাধিকারী কোন রাষ্ট্র থাকবে না। অর্থাৎ তুরস্ক নামে কোন দেশ থাকবে না।

এটা হল তাদের দ্বীনের অংশ বিশেষ। এটা তারা তাওরাতকে বিকৃত করে সেখানে প্রতিস্থাপন করেছে। সুতারাং এটা নিয়ে কোন প্রকার সংলাপ, সমঝোতা, দরকষাকষি চলবে না। ইসরাইলের প্রতিটি প্রেসিডেন্ট এই কথাতি বলে থাকে।

আমাদের ২ টি মাঞ্চিত্র রয়েছে, একটি হল দেয়ালে টানানো মানচিত্র ছোট ইসরাইল, অপরটি হল আমাদের অন্তরের মণিকোঠায় অঙ্কিত মানচিত্র অর্থাৎ বৃহৎ ইসরাইল। এটা আল্লাহ তায়ালার ওয়াদা কৃত ভুমি তিনি এই ভুমিকে আমাদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন।

৩। বাইতুল মুকাদ্দাসে সুলায়মানের গম্বুজ (The Temple of sulayman) পুনরায় স্থাপন করব।



এই তিনটি কাজ করতে পারলে আমাদের মাসীহর আগমনের জন্য এই পৃথিবী সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত হবে। এর পর দাউত আঃ আসবেন এবং তার সিংহাসনে বসার মধ্য দিয়ে সমগ্র দুনিয়ায় আমাদের শাসন কায়েম হবে।

এই সকল বিষয়ে কেন আলোচনা করছি? কারন এই সব বিষয় সম্পর্কে জানা ছাড়া আমরা বর্তমানের ঘটনা প্রবাহ সমুহ বুঝতে পারব না। তায়্যিপ এটা এভাবে করছে , সেভাবে করছে কেন করছে। কারণ ইসরাইল তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এদেরকে দিয়ে কাজ করাচ্ছে। পরে আমরা বলি এইভাবে হয়েছে সেই ভাবে হয়েছে। সাইপ্রাসকে হস্তগত করার জন্য সকল পরিকল্পনা গ্রহন করেছে? আর তাদের হাতে সাইপ্রাসকে তুলে দেওয়ার লক্ষে সকল বন্দোবস্তু করা হচ্ছে। কেন? কারণ তারা বৃহৎ ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আর ইসরাইলের নিরাপত্ত্বার জন্য আমেরিকা সাইপ্রাসকে সেনা ঘাটিতে পরিণত করবে।

ও দাড়িওয়ালা চাচা আমি এই সব না বুঝালে তোমরা ত মনে করবে সে শান্তির জন্য ভাল নিয়তেই এসকল কাজ করছে।



অনুবাদ, বুরহান উদ্দিন

বিষয়: বিবিধ

১৭৭৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

331438
২৪ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:০৪
প্রবাসী যাযাবর লিখেছেন : ইসরাঈলের এই সব উচ্চ বিলাসী পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে হলে মুসলমানদেরকে খালেছ দিলে তওবা করে কোরআন হাদিসের কাছে ফিরে আসতে হবে ।
সাথে সাথে নাস্তিক্যবাদী সংস্কৃতির মোকাবিলায় নিজস্ব সংস্কৃতির বলয় তৈরী করতে হবে ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File