ফেতুল্লাহ গুলেন ও সাঈদ নুরসির মধ্যে পার্থক্য রজব তায়্যিপ এরদোয়ান
লিখেছেন লিখেছেন এরবাকান ২২ নভেম্বর, ২০১৪, ০৩:৩৩:৫৫ রাত
প্রেসিডেন্ট গনপ্রজাতন্রি তুরস্ক
প্রিয় ভাইয়েরা ইস্পারতা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্ত্ব পূর্ণ একটি শহর। এই ইস্পারতার বারলাতেই মরহুম সাইদ নুরসি দীর্ঘ সময় বসবাস করেছেন। ভাইয়েরা তিনি তার রিসালায়ি নুর এর অনেক গুরুত্ব পূর্ণ অংশ এখানে রচনা করছেন। এই কারনে বারলা গুরুত্ত্ব পূর্ণ একটি কেন্দ্র। এক পার্টির অত্যাচার অর্থাৎ Republican Peoples Part (CHP) (তুরস্কের ধর্ম নিরপেক্ষ দল) এর জুলুম নির্যাতন তিনি এখানে বসেই মুকাবেলা করেছিলেন। এটা আমদের কে খুব ভাল করে জানতে হবে। আমি আপনাদেরকে ইতিহাসের একটি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বলব। মরহুম বাদিউযযামান সাইদ নুরসি কেন ডেমক্রেট পার্টির আদনান মেন্দ্রেস কে সমর্থন করেছিলেন এই কথা তাকে তার ছাত্ররা জিজ্ঞাসা করেছিল। তার জবাবটি ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ তিনি বলেছিলেন যদি Democrat party পরাজিত হয় তাহলে ধর্ম নিরপেক্ষতা বাদীরা অথবা জাতীয়তাবাদীরা ক্ষমতায় আসবে। তাহলে আমাদের সামাজিক জীবনে ও আমাদের জাতীয় জীবনে এক বড় বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসবে। এই জন্য তারা যাতে ক্ষমতায় না আসতে পারে এই জন্য এই জন্য আমি আদনান মেন্দ্রেস অর্থাৎ Democratic party কে কুরআন ; দেশ ও ইসলামকে রক্ষা করার স্বার্থে সমর্থন দিয়েছি। আপনারা শুনছেনতো তাই না? ইস্পারতা শুনছেন তো ? সাঈদ নুরসি CHP র অবর্ণনীয় নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিলেন। তাকে কারাগার থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল; নির্যাতনের উপর নির্যাতন করা হয়েছিল। তাকে বিষ পানে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল; তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল কিন্তু তিনি কখনো বাতিলের কাছে মাথা নত করেননি। CHP র সাথে তিনি কখনোই আপোষ করেননি CHP কাছে তিনি কখনোই মাথা নত করেননি। নিজের দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে গিয়ে নিজের দেশের শান্তি শৃঙ্খলা নস্যাৎ করার চিন্তাও তিনি করেন নি। যদি তিনি চাইতেন বারলা থেকে পালিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি পালাননি । সম্পূর্ণ বিপরিতভাবে রাশিয়া থেকে পালিয়ে সাইবেরিয়া হয়ে নিজের দেশে নিজের মাটিতে ফিরে আসেন। যদি আমার জায়গা কারাগারেও হয় তবুও এটাও আমার জন্মভুমি আমার মাতৃভূমি। এবং তিনি বলেছেন যালিমদের জন্য রয়েছে জাহান্নাম। এটা হল গুরুত্ত্ব পূর্ণ। এখন পেন্সিলভানিয়ার সেই বেক্তি (ফেতুল্লাহ গুলেন) যে কিনা জীবনে কোনদিন বাদিউযযামান উপাধীটি মুখে পর্যন্ত আনে নাই। অথচ সেই বেক্তি বলে যে সেকিনা বাদিউযযামান এর পথ ধরে আগাচ্ছে। কিন্তু না মিথ্যা ; এখন সে CHP র সাথে হাতে হাত মিলিয়ে একসাথে আন্দোলন করে ; এক সাথে কেলেঙ্কারির রাজনীতি করা একজন মানুষ কিভাবে সাঈদ নুরসির পথে পথিক হতে পারে? সম্ভব নাকি? ১২ সেপ্টেম্বর এর অভুথান কারীদের সাথে এক সাথে কাজ করছে শুধু কি তাই? তাদের কে অভিনন্দন পত্রও দিয়েছিল। আর পোপ এর সাথেও তো মাশাল্লাহ হাতে হাত মিলিয়ে কাধে কাঁধ মিলিয়ে ছবি তুলেছে কাজ করেছে এগুলা তো জানেন আপনারা। আমরা রাজনীতিবিদ আমরা সকল মানুষের সাথে মিশতে পারি । কিন্তু তুমি তো রাজনীতিবিদ নও। জিজ্ঞাসা করলে বল যে আমি একজন আলেমে দ্বীন । তুমি তোমার কাজ কোথা থেকে কর সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। ২৮ ফেব্রুয়ারির অভুথান কারীদের তুমি স্বাগত জানিয়েছিলে। ১৭ ডিসেম্বেরে CHP র সাথে অভুথানের চেষ্টা করা বেক্তি কিভাবে মরহুম সাঈদ নুরসির পথে পথিক হতে পারে? আমি এখনো বলতেছি ২ বছর আগেও বলেছি আসো তুরস্কে আসো(আমেরিকা) থেকে। আসো আসো দেখি আমি আবারও বলছি ; তুমি যদি আন্তরিক হও ; সৎ হও এই দেশের অভ্যন্তরীণ কাজে অযাচিত হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাক। এটা যদি তোমারই দেশ হয় আসো এখানে ফিরে আসো। এবং ফেতুল্লাহ গুলেন এর দলে শ্রম দান কারী সেবক ভাইদেরকেও বলছি ;আমি জানি সেখানে আন্তরিক ও পরিচ্ছন্ন মানসিকতার অনেক মানুষ রয়েছে। তারা বছরের পর বছর তাদের অর্থ সম্পদ দান করেছে। তাদের শ্রম দিয়েছে ; যানবাহন জায়গা জমি সব প্রদান করেছে। স্কুল তৈরি করে এদের কে দিয়েছে ছাত্রাবাস তৈরি করে এদেরকে দিয়েছে আমি জানি । বিশ্বাস করুন আমিও এদের ব্যাপারে আন্তরিক ছিলাম এবং পরিষ্কার মানসিকতার অধিকারী ছিলাম। আমিও আমার পক্ষ থেকে সকল ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করেছি। কারন আমার কাছে পেরন কৃত চিঠি গুলুতে তার এতটাই কাকুতি মিনতি এতটাই আবেগ ঘন ছিল যে আমি ভেবেছিলাম হয়ত আন্তরিক। এর পাশাপাশি আমাকেও তাসবিহ পাঠিয়েছে । শুধু মাত্র আনারস(ফেতুল্লাহ গুলেন এর মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সাংকেতিক শব্দ) পাঠায় নাই। আমিও বিভিন্ন সময়ে তাদের পক্ষে কথা বলেছি বিবৃতি দিয়েছি। কিন্তু সর্বশেষ টার্কিশ অলিম্পিয়াডে (ফেতুল্লাহ গুলেনের বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত স্কুল এর ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হত) রাসুলুল্লাহ সঃ এর উপস্থিতির কথা শুনে আমি আশ্চর্য হয়েছি। এটা কেমন কথা আমি ভেবে খুবি অবাক হয়েছি। আমি অনেক আলেমের সাথে দেখা করে এই ব্যাপারে কথা বলেছি তারা সকলেই খুবি অবাক হয়েছেন এবন এটা একটি আকীদা গত ব্যাপারে বলে অবিহিত করেছেন। প্রিয় ভাইয়েরা এরা কি তারা নয় ?? নিজেদের টেলিভিশন চ্যানেলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ সঃ কে মিরাজ থেকে নামিয়ে নিয়ে এসে লরি তে উঠিয়ে নিজেদের কাজে ব্যবহারকারী এরা তো তারাই। এমন চরিত্রহীন ; অনিসলামিক আকীদার সাথে সাংঘরসিক কথা কিভাবে বলতে পারে? কিন্তু এরা নির্লজ্জ । মিথ্যার বেসাতই এদের সম্বল এরা সকল কিছুই বলতে পারে। আমি এই সব কাজে নিযুক্ত ভাইদের বলতে চাই দয়া করে আপনারা বিবেক দিয়ে চিন্তা করুন । কোথায় বারলার সাঈদ নুরসি আর কোথায় পেনসিলভানিয়ার (ফেতুল্লাহ গুলেন) সেই বেক্তি। সেতো জীবনে আদব কায়দার লেশ মাত্রও শিখেনি সে এই ভাবেই পরিচালিত হয়েছে এই ভাবেই বড় হয়েছে। একজন দেশ জাতি ও দুনিয়ার সকল মুসলমানের কল্যাণের জন্য কাজ করে জেলের জীবন বেছে নিয়েছিলেন আর অপরদিকে অন্যজন দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে কাজ করে ; দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে । এখনো কি বলে জানেন? জিব্রাইল আঃ ও যদি পার্টি খুলে তাকেও সমর্থন করতে পারব না এমন স্পর্ধার কথা বলে। ১৯৯৫ সালের একটি সাক্ষাৎ কারে সে এই কথা বলেছিল। এর পর শুরু করে তাল বাহনা না এই ভাবে না সেই ; এই ভাবে । আমরা টেলিভিশনে তার বক্তব্য কি দেখি নাই?? আপনারা দেখেন নাই? একজন আলেম একজন শিক্ষক এই ভাবে বদ দোয়া কখনো করতে পারে? এই ভাবে কি মানায়? এইভাবে একজন মুসলমানকে বদ দোয়া করা কি মানায়?
প্রিয় ভাইয়েরা আমরা গযব এর জন্য আসি নাই; আমরা রহমতের জন্য এসেছি। আমরা এই পথে এই ভাবেই চলেছি। কারন আমরা রাহমাতুল্লিল আলামিন মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সঃ এর উম্মত। আমরা তাঁরই অনুসারী আমরা গযব চাই না। আমরা রহ মতেরমুখাপেক্ষী। এর জন্যই আমরা কাজ করব। এর জন্য আমরা আমাদের সকল প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। এখন পেনসিলভানিয়ার সেই বেক্তি (ফেতুল্লাহ গুলেন) এই নির্বাচনে CHP কে সমর্থন করছে। সকল শক্তি দিয়ে সাহায্য করছে। সে বলেছিল হযরত জিব্রাইল কে সমর্থন করব না এখন CHP কে সমর্থন করছে।
স্থান. স্পারতা তুর্কী
২ জুন ২০১৪
বিষয়: বিবিধ
১২৯৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন