শিয়ারা কি কাফির?

লিখেছেন লিখেছেন এরবাকান ১৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০৮:১০:২৬ রাত



অনেক আগে থেকেই শুনে আসছি যে শিয়ারা মুসলিম না কাফের? বাংলাদেশে অনেকের কাছেই প্রশ্ন করেছি কিন্তু সন্তোষ জনক উত্তর পায়নি। পরবরতীতে তুরস্কের ইসলামী স্কলার দের মাধ্যমে আমার ভুল ধারনার অবসান হয়। তিনি বলেন যে

শিয়াদের সাথে আকীদাগত ভাবে আমাদের মৌলিক কোন পার্থক্য নেই। তাদের সাথে মাযহাব গত ভাবে যে পার্থক্য সেগুলু হল

১।সুন্নিদের মতে ইমামত হল অরজনীয় গুণাবলী । এটা যে কেও অর্জন করে মুযাদ্দিদ বা নেতা হতে পারে। কিন্তু শিয়াদের মতে ইমাম হল ১২ জন।সর্বশেষ ইমাম হলেন ইমাম মাহদী।

২। সুন্নিদেরমতে সাহাবীগন হলেন মিয়ারুল হক্ব অর্থাৎ সাহাবীগন হলেন আমাদের হকের মানদণ্ড। কিন্তু তাদের মতে সকল সাহাবী মানদণ্ড নয়।

৩। সুন্নিদের মতে কুরাআনের পরেই হল সিহাহ সিত্তার স্থান কিন্তু শিয়াদের মতে কোরআনের পরে সিহাহ সিত্তাহ নয় তাদের মতে নাহজুল বালাগাহ(আলি রা* র বক্তব্য ও নাসিহাত সম্বলিত গ্রন্থ) আর তাদের নিজেদের কিছু হাদিস গ্রন্থ।

৪।সুন্নিরা ৪ খলিফা কে আমাদের অগ্রগামী হিসাবে কবুল করে তাদের নেতৃত্ব কে মেনে নেয়। কিন্তু তারা হযরত আলী (রা) কে সবার উপর স্থান দিয়ে থাকেন।

এখন অনেকেই বলবেন যে মধ্য প্রাচ্চে ইরানের নেতিবাচক রাজনীতির ভুমিকার কথা। এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবেই রাজনৈতিক। আমরা সবাই জানি যে ইরান ছিল পারস্য সাম্রাজ্জের রাজধানী তারা এর মাধ্যমে বহুকাল ধরে দুনিয়ার বিশাল একটি অংশকে শাসন করেছে। সেই থেকেই তারা প্রচণ্ড জাতীয়তাবাদী তারা চায় দুনিয়ার নেতা হবেন তারাই। এই জন্য তারা মাজে মাজে খুবই খারাপ রাজনীতি করে থাকে। বর্তমান সময়ে সিরিয়াতে তাদের ভূমিকা খুবই বিতর্কিত। এখানে শিয়া সুন্নির কোন বিষয় নয় এটা সম্পূর্ণ ভাবেই রাজনৈতিক একটা খেলা।

আমরা যদি আরও দেখি ইরাক এর শিয়া গন ইরানের শিয়াদের মত নয়। এর কারন হল ইরানীয়ান শিয়ারা জাতীয়তাবাদী আর ইরানের বাহিরে শিয়ারা জাতিয়তাবাদী নন।এই জন্য ইসলামের ইতিহাসে আমরা দেখতে পা ই ব্রিহত্তর স্বার্থে ইরানকে সব সময় আলাদা ভাবে থাকে দেওয়া হয়েছে। উসমানী খিলাফাতের দীর্ঘ ৭০০ বছরের শাসন আমলেও ইরানকে নিজেদের আওতাই আনার চেষ্টা করা হয় নাই। অথচ ইরান এর বাহিরে থাকা অন্যান্য শিয়া অধ্যুষিত এলাকা ইরাক; আজারবাইজান সহ অনেক এলাকা উসমানী খিলাফাতকে স্বাগত জানিয়েছে।

আমি মনে করি ইরানের বর্তমান ভূমিকা ইসলাম বা ইসলামের কোন বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত নয় এটা সম্পুরনয় রাজনৈতিক। মুসলিম বিশ্বের অনৈক্যকে কাজে লাগিয়ে এই কাজ গুলা করা হচ্ছে।

ইরানী শিয়া মুসলিমদের রাজনীতি সম্পর্কে জানতে An Introduction to shii Islam এই বইটি পড়তে পারেন।

বিষয়: বিবিধ

৩৭৯৫ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

285947
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩৯
খান জুলহাস লিখেছেন : ধন্যবাদ
285950
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
শিয়াদের আকিদাহত কারনে অনেকেই কাফির মনে করে থাকেন। তবে তাদের মধ্যেও অনেকগুলি মত ও গোস্ঠি আছে। তবে যেহেতু তাদেরকে এখনও হজ্জ এর সুযোগ দেয়া হয় তাই মনে হয় বেশিরভাগ উলামা তাদের কাফির বলে মনে করেন না।
285954
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:২৬
স্বপন২ লিখেছেন : এরবাকান,আপনি ইরানে কখনো ভ্রমন করেছেন।
285981
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪৩
মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) লিখেছেন : বিষয়টি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
285998
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৩৫
মুসা বিন মোস্তফা লিখেছেন : শিয়া মতবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম

খৃষ্টানদের পর মুসলমানদের অন্তর্গত যেসব চরমপন্থি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইমাম ইবনে তাইমিয়া সংগ্রাম পরিচালনা করেন তার মধ্যে শিয়াদের নামকে শীর্ষে রাখা যেতে পেরে। শিয়াদের চরমপন্থি আকায়েদ ও কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তিনি একটি পৃথক বই লেখেন। আসলে সমকালীন তাতারী আক্রমণ ও ক্রুসেড যুদ্ধে বিধ্বস্ত মুসলিম মিল্লাতের মধ্যে চরমপন্থি শিয়াদের আগ্রাসী প্রচারণা বিপুল নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। মুসলিম মিল্লাতকে এহেন নৈরাজ্য থেকে উদ্ধার করাই ছিল ইমাম ইবনে তাইমিয়ার লক্ষ।
এখানে শিয়া প্রসঙ্গে ইমাম ইবনে তাইমিয়ার কার্যক্রম আলোচনার পূর্বে পাঠকবর্গকে শিয়া সম্প্রদায়য়ের উৎপত্তি ও তাদের আকায়েদ সম্পর্কে কিছু জানানো প্রয়োজন। খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়তের অবসানের পর থেকে মুসলমানদের মধ্যে যে মতবিরোধ, হাংগামা, যুদ্ধবিগ্রহ ইত্যাদি দেখা দেয় এবং বনি উমাইয়া ও বনি আব্বাসীয় আমলের বিস্তৃত পরিসরে যার জের চলতে থাকে পুরোদমে, তার মধ্যে সৃষ্টি হয় অসংখ্য ফিতনা। এ ফিতনাগুলোর মূলে ছিল চারটি বড় বড় ফিতনাঃ শিয়া, খারেজী, মরুজিয়া ও মুতাজিলা এই চারটি মুল ফিতনার উৎস থেকেই পরবর্তীকালের সমস্ত ফিতনার জন্ম।
শিয়া অর্থ হচ্ছে দল। শিয়ার বহুবচন শীয়াআন। প্রথম দিকে হযরত আলীর রা. সমর্থকবৃন্দকে শীয়াআনে আলী বলা হতো। পরবর্তীকালে পারিভাষিক অর্থে তাদের শিয়া বলা হতে থাকে। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তিকালের পর বনি হাশেমের কিছু লোক এবং অন্যান্য কতিপয় সাহাবাও হযরত আলীকে রা. খিলাফতের জন্য সবচেয়ে যোগ্য মনে করতেন। আবার কেউ কেউ অন্যান্য সাহাবাদের বিশেষ করে হযরত উসমানের রা. চাইতে তাঁকে বেশি যোগ্য মনে করতেন। অনেকে কেবলমাত্র নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে তাঁর আত্মীয়তার সম্পর্কের কারণেই তাঁকে খিলাফতের হকদার মনে করতেন। কিন্তু হযরত উসমানের রা. খিলাফত আমল পর্যন্ত এ চিন্তাগুলো নিছক চিন্তা ও ধারণার পর্যায়ভুক্ত ছিল। তখনো পর্যন্ত এগুলো কোন মতবাদ বা আকীদার রূপ গ্রহণ করেনি।
যে সব লোক এ ধরনের চিন্তা ও ধারণা পোষণ করতেন তারা সবাই হযরত উসমান রা. সহ পূর্ববর্তী তিনজন খলিফার খিলাফত স্বীকার করে নিয়েছিলেন এবং তাঁদের হাতে বাইয়াতও করেছিলেন। তাঁদের কোন কাজের প্রতিবাদও তারা করেননি।
যে সব লোক এ ধরনের চিন্তা ও ধারণা পোষণ করতেন তারা সবাই হযরত উসমান রা. সহ পূর্ববর্তী তিনজন খলিফার খিলাফত স্বীকার করে নিয়েছিলেন এবং তাঁদের হাতে বাইয়াতও করেছিলেন। তাঁদের কোন কাজের প্রতিবাদও তারা করেননি।
কিন্তু এ বিশেষ চিন্তাগুলো একটা মতবাদ ও আকীদার রূপ নেয় হযরত আলীর রা. সাথে হযরত তালহা রা. ও হযরত যুবাইরের রা. জামাল যুদ্ধ, হযরত মুআবিয়ার রা. সিয়ফফীন যুদ্ধ ও খারেজীদের নাহরাওয়ান যুদ্ধের সময় ও তার পরবর্তীকালে। তারপর কারবালার প্রান্তরে হযরত ইমাম হুসাইনের রা. মর্মন্তুদ শাহাদত লাভ এ চিন্তানুসারীদেরকে একত্রিত ও একটি দলের রূপে আত্মপ্রকাশ করতে সাহায্য করে। এই সংগে খিলাফতের পরপরই বনি উমাইয়াদের বিশেষ ধরনের রাজতান্ত্রিক শাসন ও জুলুমতন্ত্রের প্রবর্তনের ফলে সাধারণ মুসলমানদের মনে তাদের বিরুদ্ধে আক্রোশের আগুন জ্বলতে থাকে এবং এর পরই বনি আব্বাসদের আমলে হযরত আলীর রা. বংশধর ও তাঁর সমর্থকদের ওপর যে অমানুষিক জুলুম নির্যাতন চালানো হয় তার ফলে সাধারণ মুসলমানদের মনে তাদের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থনের ভাবধারা জেগে ওঠে। এসবগুলো পূর্বোল্লিখিত দলটিকে মজবুতভাবে শিকড় গাড়ার ও দলগতভাবে শক্তিশালী হবার সুযোগ দান করে। কুফা ছিল এ দলটির শক্তিশালী কেন্দ্র। আল্লামা ইবনে খালদুন তাঁর মুকাদ্দমা এবং করীম শক্তিশালী কেন্দ্র। আল্লামা ইবনে খালদুন তাঁর মুকাদ্দমা এবং আবদুল করীম শাহরিস্তানী তাঁর আল মিলাল ওয়ান নিহাল গ্রন্থে শিয়াদের বিশেষ মতবাদ সম্পর্কে যা বর্ণনা করেছেন তার সারসংক্ষেপ হলোঃ
এক. ইমামতের (শিয়ারা খিলাফত স্বীকার করে না, তার পরিবর্তে তারা ইমামতের পরিভাষা গ্রহণ করেছে) ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নেই। কাজেই সাধারণ মুসলমানদের ওপর ইমাম নির্বাচনের দায়িত্ব অর্পণ করা যেতে পারে না। আর সাধারণ মুসলমানরা কাউকে ইমাম নির্বাচন করলেও সে ইমাম হয়ে যাবে না। ইমামত হচ্ছে দীনের একটি রুকন এবং ইসলামের আসল বুনিয়াদ। এ ব্যাপারে নবী নিজে কোন প্রকার গাফলতি করতে পারেননা। উম্মতের উপর ইমাম নির্বাচনের দায়িত্ব অর্পণ করে তিনি চলে যেতে পারেন না। উম্মতের উপর ইমাম নির্বাচনের দায়িত্ব অর্পণ করে তিনি চলে যেতে পারেন না। বরং তিনি নিজে ইমাম নির্বাচন করে যাবেন।
দুই. ইমাম হবেন মাসুম অর্থাৎ গুনাহ ও পাপের কালিমামুক্ত। চোট বড় সব রকমের গুনাহ থেকে তিনি সংরক্ষিত থাকবেন। তার কোন ভুল হবে না। তিনি যা কিছু বলবেন ও করবেন সবকিছু হবে হবে হক নির্ভেজাল সত্যে প্রকাশ।
তিন. রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলীকে নিজের পরে ইমাম নিযুক্ত করে গিয়েছিলেন।
চার. প্রত্যেক ইমামের পর পরবর্তী ইমাম নিযুক্ত হবে পূর্ববর্তী ইমামের সুস্পষ্ট নির্দেশ। কারণ এ দায়িত্ব সমগ্র উম্মতের কাছ থেকে নিয়ে একমাত্র ইমামের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
পাঁচ. শিয়াদের সমস্ত ফেরকা এ ব্যাপারে একমত ছিল যে, হযরত আলীর রা. আওলাদ ও বংশধারাই ইমামতের একমাত্র হকদার।
উপরের মতবাদগুলো প্রণয়ন করার ব্যাপারে শিয়ারা এক ধরনের হাদিসের আশ্রয় গ্রহণ করেছে, যেগুলোর প্রণেতা তারা নিজেরাই। তারা নিজেরাই এগুলো রেওয়ায়ত করেছে এবং নিজেদের মযহাব অনুযায়ী তার ব্যাখ্যা করে নিয়েছে। সাধারণ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত এ হাদিসগুলো সম্পর্কে বিন্দু বিসর্গও জানেনা। বরং ইবনে খালদুনের ভাষায় বলা যায়, হাদিসগুলোর অধিকাংশই মওযু অর্থাৎ মিথ্যা, বানোয়াট ও জাল। এই হাদিসগুলোর বর্ণনাকারীরা ত্রুটিমুক্ত নয়। যাক আমাদের আগের আলোচনায় ফিরে আসি। উপরোল্লিখিত মতবাদের ব্যাপারে অধিকাংশ শিয়া একমত হলেও অন্যান্য বহু বিষয়ে মতভেদের কারণে তারা আবার বিভিন্ন ফেরকায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তবে তাদের মধ্যে বড় দল হচ্ছে, দুটি: ইমামিয়া ও যায়দীয়া। যারা রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর হযরত আলীর ইমামত এবং তাঁর পর তাঁর আওলাদের ইমামতের সিলসিলার ওপর ঈমান রাখে তারা ফিরকা ই ইমামিয়ার অন্তর্ভুক্ত। আর যারা হযরত ফাতেমার রা. আওলাদের মধ্যে ইমামতকে সীমাবদ্ধ রাখে তাদেরকে বলা হয় যায়দীয়। অর্থাৎ তারা এ মযহাবের প্রতিষ্ঠাতা যায়েদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইনের সাথে নিজেদেরকে সম্পর্কিত করে।
সাধারণ মুসলমানদের সম্পর্কে শিয়াদের বিভিন্ন দল বিভিন্ন মত পোষণ করে। এদের মধ্যে সবচাইতে বেশি ভারসাম্যপূর্ণ মতের অধিকারী শিয়াদের মতে হযরত আলী হচ্ছেন সমগ্র সৃষ্টির সেরা। যারা তাঁর সাথে যুদ্ধ করেছে এবং যারা তাঁর প্রতি শত্রুতা ও বিদ্বেষ পোষণ করে তারা চিরকাল জাহান্নামে বাস করবে। কাফের ও মুনাফিকদের সাথে তাদের হাশর হবে। হযরত আলীর রা. পূর্বে আবু বকর রা. উমর রা. ও উসমান রা. কে খলিফা বানানো হয়েছিল। হযরত আলী রা. যদি তাদের খিলাফত মানতে অস্বীকার করতেন এবং তাদের প্রতি নিজের মানসিক অসন্তোষ প্রকাশ করতেন তাহলে এদের মতে তারাও জাহান্নামে বাস করতো (নাউযুবিল্লাহ)। কিন্তু যেহেতু আলী রা. তাদের নেতৃত্ব মেনে নিয়েছেন, তাদের হাতে বাইয়াত করেছেন এবং তাদের ইমারতিতে নামায পড়েছেন তাই তারাও হযরত আলীর কার্যক্রম অনুযায়ী এদেরকে মেনে নিয়েছে। তারা আলী ও নবীর মধ্যে নবুওয়তের মর্যাদা ছাড়া আর কোন পার্থক্য করতে প্রস্তুত নয়। অন্য সব ক্ষেত্রে আলী ও নবী সমান মর্যাদা সম্পন্ন।
এতো ছিল ভারসাম্যপূর্ণ শিয়াদের মত। আর এর মোকাবিলায় চরমপন্থি শিয়াদের অভিমত ছিল, হযরত আলীর আগে যেসব খলীফা খিলাফত গ্রহণ করেছিলেন তারা ছিলেন গাসেব আত্নসাতকারী ও খেয়ানতকারী। আর যারা তাদেরকে খলীফা বানিয়েছিলেন তারা ছিল গোমরাহ ও জালেম। কারণ তারা নবীর অসিয়াত অস্বীকার করেছে এবং সত্য ও যথার্থ ইমামকে তার হক থেকে বঞ্চিত করেছে। এদের একদল আবার আরো একটু বেশি অগ্রসর হয়ে প্রথম তিন খলিফা ও তাদের নির্বাচনকারীদেরকে কাফের আখ্যা দেয়। এদের মধ্যে সবচেয়ে নরমপন্থী হলো যায়দীয়ারা। তারা হযরত আলীকে শ্রেষ্ঠ বলে। কিন্তু তাদের মতে শ্রেষ্ঠের বর্তমানে অশ্রেষ্ঠরাও ইমাম হতে পারে। এছাড়াও তারা মনে করে, হযরত আলীর ইমামতির পক্ষে রসুলুল্লাহ স. এর সুস্পষ্ট কোন নির্দেশ নেই। তাই তারা আবু বকর ও উমরের খিলাফত স্বীকার করে। তবুও তাদের মতে ফাতেমার আওলাদ থেকেই ইমাম নিযুক্ত হতে হবে।
ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহমতুল্লাহ আলাইহি তাঁর রচনাবলীর বিভিন্ন স্থানে শিয়াদের এই সমস্ত আকিদা বিশ্বাস ও কার্যক্রমের প্রতিবাদ করেছেন। আর অন্য দিকে সুন্নত ও আহলে সুন্নাতের আকীদা বিশ্বাস এবং খোলাফায়ে রাশেদীন ও সাহাবায়ে কেরামের পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তাঁর যুগে শিয়াবাদ যেভাবে প্রবল হয়ে উঠতে থাকে এবং তা মুসলমানদের মুল আকিদা বিশ্বাস ও রসুলের হাতে গড়া মুসলমানদের শ্রেষ্ঠতম দল আসহাবে রসূলের চরিত্রে যেভাবে কলঙ্ক আরোপ, তাদেরকে গালিগালাজ এবং তাদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ন্যক্কারজনক প্রতিবাদের তুফান সৃষ্টি করে, তা ইমামকে ভীষণভাবে বিচলিত করে। তিনি মনে করেন, রসূলের হাতে গড়া মুসলমানদের শ্রেষ্ঠতম দলই যদি নিন্দিত হয় তাহলে মুসলমানদের সামনে আর কোন মডেল থাকবে না। ফলে তারা চারিত্রিক নৈরাজ্যের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যাবে। আর বিশেষ করে সে সময়ের তাতারী বাদশাহ ওলিজা খুদাবান্দা খানের আর্শীবাদপুষ্ট শিয়া আলেম ইবনুল মোতাহার শিয়াবাদ ও ইমামতের সমর্থনে এবং খিলাফত ও আহলে সুন্নাতের বিরুদ্ধে মিনহাজুল কিরামাহ ফি মারিফাতিল ইমামাহ নামে যে বিরাট গ্রন্থটি প্রণয়ন করেন তা মুসলমানের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। শিয়ারা এ গ্রন্থটি নিয়ে বেশ হৈ চৈ করতে থাকে এবং এর প্রতিপাদ্য বিষয়সমূহের কোন জবাব দেয়া সম্ভব নয় বলে দাবী করে। এ গ্রন্থ হযরত আলী রা. ও আহলে বায়েতের ইমামত ও ইসমাতের (তথা মাসুমিয়াত অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সকল প্রকার ভুল ও গুনাহ থেকে মুক্ত) প্রমাণ পেশ এবং তিনজন খলীফার খিলাফতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সাহাবায়ে কেরামের নিন্দা করা হয় এবং এ নিয়ে বিরাট আলোচনার আসর জমানো হয়। কুরআনের আয়াত ও হাদিস থেকে এগুলো প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়। সমগ্র গ্রন্থটি এমন তাত্ত্বিক আলোচনা ও যুক্তি প্রমাণে পূর্ণ ছিল যে, একজন সাধারণ পাঠকের পক্ষে তার বক্তব্যের বিরোধী মত পোষণ করা কোনক্রমেই সম্ভব ছিল না।
অষ্টম শতকের শিয়া আলেমদের ন্যায় এ গ্রন্থকারও উসূল ও আকীদার দিক থেকে ছিলেন মুতাজিলা সম্প্রদায়ভুক্ত। ফলে আহলে সুন্নাতের আকীদা বিশ্বাসের ওপর তাঁর আক্রমণ চলে সম্পূর্ণ দার্শনিক ও মুতাকাল্লিমদের কায়দায়। এজন্য মুসলিম বুদ্ধিজীবী সমাজেও এর প্রভাবে পড়ে।
এ ধরনের গ্রন্থের জবাব লেখা সাধারণ আলেম বা লেখকের পক্ষে সম্ভব ছিল না। আবার দুর্ভাগ্য বশত সাধারণভাবে শিয়া আলেমগণ হাদিস তৈরি করার এবং এই তৈরি করা হাদিসের বরাত দেয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত নির্ভীক প্রমাণিত হয়েছিলেন। এই সংগে হাদিস শাস্ত্র তখন অত্যন্ত ব্যাপকতা লাভ করেছিল। লক্ষ লক্ষ হাদিস গ্রন্থাবদ্ধ হয়েছিল। এদের বিভিন্ন সংকলন ইসলামী বিশ্বের বিভিন্ন শহরের গ্রন্থাগারে ছড়িয়ে ছিল। জারাহ ও তাদীল এবং আসমাউর রিজাল তথা হাদিসের নির্ভূলতা ও অকাট্যতা যাচাই করার ইলমও বিস্তৃতি লাভ করেছিল। কোন এক শহরের কোন একটি গ্রন্থাগারে এগুলো একত্র ছিল না। কোন এক ব্যক্তির পক্ষে উল্লেখিত গ্রন্থে বর্ণিত হাদিসগুলো নির্ভূলতা যাচাই করা তাই এক্ষেত্রে মোটেই সহজসাধ্য ছিল না। এ কাজ একমাত্র তার পক্ষেই সম্ভবপর ছিল যিনি ছিলেন হাদিস ও রিজাল শাস্ত্রের হাফেজ, হাদিস ও রিজাল শাস্ত্রের হাফজ, হাদিসের প্রতিটি গ্রন্থ এবং রাবীদের নাম ও অবস্থা যার নখদর্পণে ছিল,প্রতিপক্ষ মিথ্যা বরাতের মাধ্যমে যাকে কোন প্রকারে ধোঁকা দিতে পারতো না। এই সংগে ইসলামের ইতিহাসও যার সামনে ছিল উন্মুক্ত কিতাবের মতো। ইতিহাসের কোন গোলক ধাঁধায় ফেলে যাকে নাকাল করাও সম্ভবপর ছিল না।
এ ধরনের একজন সর্বজ্ঞান সমন্বিত আলেম হিসেবে সে যুগে একমাত্র ইমাম ইবনে তাইমিয়ার নামই করা যেতে পারতো। দর্শন ও কালাম শাস্ত্রে তিনি যেমন পণ্ডিত ছিলেন প্রতিপক্ষের দার্শনিক ও যুক্তিসিদ্ধ আলোচনার গলদ নির্ণয় তাঁর পক্ষে যেমন সম্ভবপর ছিল তেমনি হাদিস শাস্ত্রের ক্ষেত্রেও তাঁর ছিল অগাধ পাণ্ডিত্য। সে যুগে তাঁকে হাদিসের বিশাল গ্রন্থাগারের সাথে তুলনা করা হতো। তাঁর সম্পর্কে তো বিদগ্ধ সমাজে প্রচলিতই ছিল, ইমাম ইবনে তাইমিয়া যে হাদিসটির ব্যাপারে একথা বলেছেন যে, তিনি এটি জানে না, সেটি আসলে কোন হাদিসই নয়।
ইবনে মোতাহারের গ্রন্থের একথা প্রমাণ করেছেন যে, শিয়া আলেম ইবনে মোতাহার যেভাবে আফযালুল খালায়েকে বাদাল আম্বিয়া নবীদের পরে সমগ্র মানব জাতির মধ্যে শ্রেষ্ঠ জন অর্থাৎ আসহাবে রসূলকে গালিগালাজ করেছেন এবং তাদেরকে আল্লাহর নিকৃষ্টতম সৃষ্টি হিসাবে দেখিয়েছেন তাতে তিনি ইসলামের ভিত্তিমূলে কুঠারাঘাত করেছেন বলা যায়। এর ফলে নবুয়তে মুহাম্মাদীর ওপর আক্রমণ, এর সমালোচনা ও নাস্তিক্যবাদের দরজা খুলে যায়। এ গ্রন্থের প্রথম খন্ডের এক স্থানে তিনি লিখেছেনঃ এই শিয়ারা, নবী ও রসূলগণের পরে প্রথম ও শেষের সমস্ত উম্মতের মদ্যে যারা ছিলেন শ্রেষ্ঠ ও সবচাইতে সৎ তাদেরকে সমগ্র মানব জাতির মধ্যে নিকৃষ্টতম ও সব চাইতে অসৎ হিসেবে চিত্রিত করেছে। এদের বড় বড় দোষ বর্ণনা করেছে। এদের গুণগুলোকে দোষে রূপান্তরিত করে দিয়েছে। আর এর মোকাবিলায় যেসব স্বার্থবাদী লোক নিছক স্বার্থোদ্ধারে নিজেদেরকে ইসলামের সাথে জড়িত করে রেখেছিল। যাদের চাইতে বড় ফাসেক ফাজের মিথ্যুক,বেঈমান, জালেম এবং গুনাহ ও কুফরী কর্মে লিপ্ত লোক আর ছিল না তাদেরকে তারা সৎ ও সৃষ্টির সেরা হিসেবে প্রমাণ করেছে। এভাবে তারা সমগ্র উম্মতের তাকফীর করেছে, অথবা তাদেরকে গোমরাহ প্রমাণ করেছে কেবলমাত্র নিজেদের ছোট্ট একটি দল ছাড়া, যাদের সম্পর্কে তাদের বিশ্বাস একমাত্র তারাই সত্যপন্থী।
এ গ্রন্থের দ্বিতীয় খন্ডের এক স্থানে তিনি ইমাম শাবীর একটি বাণী উদ্ধৃত করেছেন। তাতে ইমাম শাবী বলেছেনঃ ইয়াহুদী ও খৃষ্টানরা শিয়াদের তুলনায় তাদের পয়গম্বরদের বেশি মর্যাদা দান করে। ইয়াহুদীদেরকে জিজ্ঞেস করা হলো, তোমাদের মিল্লাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কারা? তারা জবাব দিল হযরত মুসার আ. সাথিরা। খৃষ্টানদেরকে জিজ্ঞেস করা হলো, তোমাদের মিল্লাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কারা? তারা জবাব দিল, হযরত ঈসার আ. হাওয়ারী অর্থাৎ সাথিগণ। আর শিয়াদেরকে জিজ্ঞেস করা হলো, তোমাদের মিল্লাতের মধ্যে নিকৃষ্টতম কারা? তারা জবাব দিল, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবারা। এ সদাচারী লোকদেরকে গালিগালাজ করেছে।
দ্বিতীয় খন্ডের আর এক স্থানে শিয়াদের একটি অভ্যাস বর্ণনা প্রসঙ্গে লিখেছেনঃ শিয়াদের চিরন্তন অভ্যাস হচ্ছে তারা মুসলমানদের জামায়াত চেড়ে হামেশা ইয়াহুদ, নাসারা ও মুশরিকদের সাথে সহযোগিতা করে এবং তাদের সাথে বন্ধুত্বের আলাপনই করে। তাদের চাইতে বড় গোমরাহ আর কে হতে পারে যারা মুহাজির ও আনসারদের প্রথম সারির লোকদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে এবং মুনাফিক ও কাফেরদের সাথে সখ্যতা রাখে?
তারপর বিভিন্ন জাতীয় সমস্যায় শিয়াদের ভূমিকা বর্ণনা করেছেন। বিশেষ করে জাতীয় সংকটকালে কাফেরদের সাথে সহযোগিতা করার ঘটনাবলী উল্লেখ করে লিখেছেন, তাদের অধিকাংশই মনে প্রাণে কাফেরদের সাথে সখ্যতা পোষণ করে মুসলমানদের মোকাবিলায় অনেক বেশি। কাজেই যখন তাতারীরা পূর্বদিক থেকে ইসলামী বিশ্বে অভিযান চালালো, মুসলমানদেরকে হত্যা করলো, খোরাসান, সিরিয়া, হালব(আলেপ্পো) প্রভৃতি এলাকায় যেসব শিয়া ছিল তারা দুশমনদের সহায়তা করলো। অনুরূপভাবে খৃষ্টানরা যখন সিরিয়ায় মুসলমানদের সাথে লড়াই করলো তখন শিয়ারা ছিল তাদের সহায়ক। এভাবে দেখা যায়, যদি ইরাকে বা অন্য কোথাও ইয়াহুদীদের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় তাহলে শিয়ারা তাদের সবচাইতে বড় সহায়ক শক্তি প্রমাণিত হবে। তাই তারা সবসময় কাফের ও মুশরিক এবং ইয়াহুদ ও নাসারাদের সাহায্য করার এবং মুসলমানদের মোকাবিলায় তাদেরকে সহায়তা দান করার জন্য তৈরি থাকে। ( বইঃইমাম ইবনে তাইমিয়ার সংরামী জীবনী)
285999
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৪১
মুসা বিন মোস্তফা লিখেছেন : ‘সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় কোনো নবীই
সফল হননি৷' -খোমেনী (নাউজুবিল্লাহ)

গোপন ইমামের প্রকাশস্থল মক্কা(তাদের ভাষ্যমতে)৷ তাই মক্কা-মদীনার ফটক দখলের চেষ্টাও
শিয়ারা করেছিলো৷ এ সময় একাধারে ১৪ দিন বায়তুল্লায় তাওয়াফ, নামায ও আযান সবই বন্ধ ছিলো৷ যা বিগত চৌদ্দশত বছরে ঘটেনি৷ ১৯৭৯ সালের ২০ নভেম্বর তারা মক্কায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটায়।

কাবার ইমাম শায়খ আব্দুল্লাহ বিন সুবাইল ডানদিকে সালাম ফিরানোর সাথে সাথে হঠাৎ শ্লোগান শুরু হলো, ‘আল্লাহু আকবার' ‘জিহাদ' ‘জিহাদ'৷ মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ কাহতানী নামের এক যুবক মিনারায় উঠে মাইকে বলতে লাগল, ‘আমিই প্রতিশ্রুত মাহদী'৷ এভাবে কয়েক শত মুরতাদ শত কোটি মুসলমানের কেবলা দখল করে নিলো৷ মসজিদের ভেতর তখন লক্ষ লক্ষ মুসলমান নামাজে রত ছিলো৷

সে ইমামসহ সবাইকে তার হাতে বাইআত গ্রহণের জন্য বলল৷ কিন্তু তার কথা কেউ কানে তুললো না৷ তারা মসজিদে হারামের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দিলো৷ জায়গায় জায়গায় তারকাঁটা বিছিয়ে দিলো৷

সৌদী সরকার শরীয়া কাউন্সিল তলব করলো৷ কাউন্সিল রায় দিলো, হারাম শরীফের মর্যাদা রক্ষায় যথাসম্ভব কম রক্তপাতে মুরতাদদের হটাতে হবে৷ অভিযান শুরু হলো৷ সৌদী ন্যাশনাল
গার্ডের ষাটজন সৈন্য শাহাদত বরণ করলো৷ ৭৫ জন মুরতাদ মারা গেলো৷ জীবিত গ্রেফতার হলো ১৭০ জন৷ শহীদ হলেন বেশ কয়েকজন হাজী৷

রিভলবার, রাইফেল, স্টেনগান ও মেশিনগান ইত্যাদি মারণাস্ত্র উঁচু করে, জুতা পায়ে কারা সেদিন মক্কায় এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটায়, তা কারো অজানা নয়৷

ইরানে তথাকথিত প্রতিশ্রুত ইমামের প্রতিনিধি আসার পরপর মক্কায় প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদী এসেছে বলে দাবী কিসের ইংগিতবহ?

তখন খোমেনী বলেছিলো, ‘পৃথিবীতে যতো নবীই এসেছেন, তারা ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্যই
প্রেরিত হয়েছেন৷ কিন্তু কেউই সফল হতে পারেননি৷ এমনকি খাতামুন নাবিয়্যীন সাঃও যিনি মানুষের কল্যাণ, ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও মানুষ গড়তে এসেছিলেন, তিনিও সফল হতে পারেননি৷' (নাউজুবিল্লাহ)

খোমেনী যেনো প্রতিশ্রুত ইমামকেই সফলতার প্রতিভু মনে করছেন৷তার এই ভাষণ ইরান
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়৷ (সূত্র: ইত্তেহাদ ও এক জেহতি, ইমাম খোমেনীকে নজর মে, পৃ ১৫)৷ তেহরান টাইমসও এই ভাষণ প্রচার করে৷ খানা কাবায় আক্রমণ হয়েছিলো ১
মুহাররম ১৪০০ হিজরী৷ এর কয়েকদিন পরই
এই বক্তব্য প্রচারিত হয়৷

সূরা কাসাসের ৫ ও ৬ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন, “দেশে যাদেরকে দুর্বল
করা হয়েছিলো, আমার ইচ্ছা হলো তাদের প্রতি অনুগ্রহ করার, তাদেরকে নেতা করার এবং তাদেরকে দেশের উত্তরাধিকারী করার এবং তাদেরকে দেশের ক্ষমতায় আসীন করার আর ফেরাউন হামান ও তাদের সৈন্যবাহিনীকে তা দেখিয়ে দেয়ার যা তারা সেই দুর্বলের কাছ
থেকে আশংকা করতো"৷

খোমেনী অভিশপ্ত বাকের মজলিসীর বই-পুস্তক সঠিক ধর্মীয় জ্ঞানলাভের জন্য পড়তে বলেছে, বাকের মজলিসীর লেখা ‘হক্কুল ইয়াকীন' এর ২১২ ও ২২৭ নং পৃষ্ঠায় এই আয়াত দু‘খানির
ব্যাখ্যায় লিখেছে, এখানে ফেরাউন, হামান ও তাদের সৈন্যবাহিনী বলে আবু বকর, ওমর ও
তাদের অনুসারীদের বুঝানো হয়েছে৷ (নাউজুবিল্লাহ)

যারা কুরআনের সরাসরি বিকৃতি করে, যারা বলে নবী-রাসূলগণ ন্যায় প্রতিষ্ঠার মিশনে সফলকাম হতে পারেননি, তারা কিভাবে মুসলমান হতে পারে?

পাকিস্তানী শিয়া মুজতাহিদ মুহাম্মদ ইয়াগুর হোসাইন জাফরী ‘সোলা মাসআলা' নামক
পুস্তক এবং ‘সিলসিলায়ে উলুমুল ইসলাম' নামক বইয়ের ১০০ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে, ‘রাসূলুল্লাহ সাঃ এর উপর একথা বলা ওয়াজিব ছিলো এবং তিনি একাধিকবার বলেছেনও যে, হজরত আলী রাসূলও ছিলেন ইমামও ছিলেন৷ শুধু তাই নয়, বরং বারোজন ইমাম তারা সবাই ইমামের পাশাপাশি রাসূল ছিলেন৷' (নাউজুবিল্লাহ)

শীয়া সম্পর্কে ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহঃ এর ঐতিহাসিক ফতোয়া ...

শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহঃ বলেন , ওইসব ব্যক্তিরা যারা নিজেদেরকে নুসাইরি [বর্তমানে বাশার-আল-আসাদ যে প্রকারের শীয়া ] বলে পরিচয় দেয় ,
তারা এবং সবধরনের বাতেনি কারামতিরা [বর্তমানের ইসমাঈলি শীয়া , যাদের অধিকাংশ পাকিস্তান এবং ইরানে বসবাসরত ] হচ্ছে ইয়াহুদী-খৃষ্টানের চেয়েও ভয়ঙ্কর কাফির । এমনকি তারা হচ্ছে অনেক মুশরিকদের চেয়েও ভয়ানক । উম্মতে মুহাম্মদীর উপর তাদের ক্ষতির প্রভাব
বর্তমানে যুদ্ধরত [ ইমাম সাহেব রাহ-র যুগে] তাতারি , ক্রুসেডার এবং অন্যান্য কাফিরের চেয়ে মারাত্মক । কেননা তারা দ্বীন সম্পর্কে যারা অজ্ঞ এমন মুসলমানদের সামনে নিজেদেরকে শীয়া এবং নবীপরিবারের মুহাব্বতের কথা প্রকাশ করে, অথচ প্রকৃতার্থে তারা আল্লাহ'র উপরই বিশ্বাস রাখে না , না তাঁর রাসুলের উপর , না তাঁর কিতাবের উপর , না সৎ কাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধের উপর , না সওয়াব ও আযাবের উপর , না জান্নাত-জাহান্নামের উপর , না মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লামের পুর্বের নবীদের কোনো নবীর উপর তারা বিশ্বাস করে ,
না পুর্ববর্তী মিল্লাতের কোনো মিল্লাতের উপর তারা বিশ্বাস করে । বরং তারা তাঁর প্রসিদ্ধ রাসুল
আলাইহি সালামসমুহকে নিয়ে মুসলিম আলেম-ওলামাদের সামনে মিথ্যা বানোয়াট মনগড়া অপব্যাখ্যা করে ।

তারা দাবি করে এটা নাকি ইলমে বাতেন (আধ্যাত্মিক জ্ঞান ) । এটা তারা একারণে বলে যাতে আল্লাহ তাআলার গুণাবলি এবং তাঁর নিদর্শনসমুহ সম্পর্কিত তাদের খোদাদ্রোহী দাবির
নেপথ্যে এবং কুরআনের বিকৃত অর্থ ও রাসুল শব্দের অপব্যবহার সম্পর্কে তাদের কোনো বাধা বা সীমা-রেখা না থাকে । তাদের আসল লক্ষ্যই হলো ঈমান এবং ইসলামি শরীয়তের প্রকাশ্য অস্বীকার করা । তারা বলে এইসব বিষয়ের প্রকৃত অর্থ নাকি একমাত্র তারাই বুঝে । যেমন –
তারা বলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের অর্থ হলঃ তাদের সম্পর্কিত গোপনভেদসমুহ জানা , ফরজ
রোজার অর্থ কুরআনের গোপনভেদ জানা , কুরআনে আবু লাহাবের দু'নো হাত ধ্বংস হওয়া দ্বারা উদ্দেশ্য আবু বকর ও উমর । কুরআনে বর্ণিত , নাবীউল আজীম এবং ইমামুম মুবীন দ্বারা উদ্দেশ্য হযরত আলী রাযিঃ । ইসলাম ও মুসলমানদের সাথে তাদের কঠোর শত্রুতা সম্পর্কে অনেক প্রসিদ্ধ ঘটনাবলি আছে এবং এ নিয়ে অনেক গ্রন্থাদিও রচিত হয়েছে । ( আল-ফাতাওয়াল-কুবরা , খন্ডঃ ৩ , পৃষ্ঠাঃ ৫০৫ /
ভাষান্তর
নিচে মূলআরবি ফতোয়া দেওয়া আছে , যারা আরবী বুঝেন তারা পড়ে নিবেন ...
~
- ﻛﻼﻡ ﺍﺑﻦ ﺗﻴﻤﻴﺔ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺼﻴﺮﻳﺔ
ﻗﺎﻝ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ : ﻫَﺆُﻟَﺎﺀِ ﺍﻟْﻘَﻮْﻡُ
ﺍﻟْﻤُﺴَﻤَّﻮْﻥَ ﺑِﺎﻟﻨُّﺼَﻴْﺮِﻱَّﺓِ ﻫُﻢْ ﻭَﺳَﺎﺋِﺮُ
ﺃَﺻْﻨَﺎﻑِ ﺍﻟْﻘَﺮَﺍﻣِﻄَﺔِ ﺍﻟْﺒَﺎﻃِﻨِﻴَّﺔِ ﺃَﻛْﻔَﺮُ
ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻴَﻬُﻮﺩِ ﻭَﺍﻟﻨَّﺼَﺎﺭَﻯ؛ ﺑَﻞْ ﻭَﺃَﻛْﻔَﺮُ
ﻣِﻦْ ﻛَﺜِﻴﺮٍ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻤُﺸْﺮِﻛِﻴﻦَ
ﻭَﺿَﺮَﺭُﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﺃُﻣَّﺔِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ - ﺻَﻠَّﻰ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - ﺃَﻋْﻈَﻢُ ﻣِﻦْ ﺿَﺮَﺭِ
ﺍﻟْﻜُﻔَّﺎﺭِ ﺍﻟْﻤُﺤَﺎﺭِﺑِﻴﻦَ ﻣِﺜْﻞُ ﻛُﻔَّﺎﺭِ ﺍﻟﺘَّﺘَﺎﺭِ
ﻭَﺍﻟْﻔِﺮِﻧْﺞِ ﻭَﻏَﻴْﺮِﻫِﻢْ؛ ﻓَﺈِﻥَّ ﻫَﺆُﻟَﺎﺀِ
ﻳَﺘَﻈَﺎﻫَﺮُﻭﻥَ ﻋِﻨْﺪَ ﺟُﻬَّﺎﻝِ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ
ﺑِﺎﻟﺘَّﺸَﻴُّﻊِ، ﻭَﻣُﻮَﺍﻟَﺎﺓِ ﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟْﺒَﻴْﺖِ،
ﻭَﻫُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﻘِﻴﻘَﺔِ ﻟَﺎ ﻳُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ
ﺑِﺎَﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﻟَﺎ ﺑِﺮَﺳُﻮﻟِﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﺑِﻜِﺘَﺎﺑِﻪِ، ﻭَﻟَﺎ
ﺑِﺄَﻣْﺮٍ ﻭَﻟَﺎ ﻧَﻬْﻲٍ، ﻭَﻟَﺎ ﺛَﻮَﺍﺏٍ ﻭَﻟَﺎ
ﻋِﻘَﺎﺏٍ، ﻭَﻟَﺎ ﺟَﻨَّﺔٍ ﻭَﻟَﺎ ﻧَﺎﺭٍ ﻭَﻟَﺎ ﺑِﺄَﺣَﺪٍ
ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻤُﺮْﺳَﻠِﻴﻦَ ﻗَﺒْﻞَ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ - ﺻَﻠَّﻰ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - ﻭَﻟَﺎ ﺑِﻤِﻠَّﺔٍ ﻣِﻦْ
ﺍﻟْﻤِﻠَﻞِ ﺍﻟﺴَّﺎﻟِﻔَﺔِ ﺑَﻞْ ﻳَﺄْﺧُﺬُﻭﻥَ ﻛَﻠَﺎﻡَ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟِﻪِ ﺍﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑِ ﻋِﻨْﺪَ
ﻋُﻠَﻤَﺎﺀِ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ ﻳَﺘَﺄَﻭَّﻟُﻮﻧَﻪُ ﻋَﻠَﻰ
ﺃُﻣُﻮﺭٍ ﻳَﻔْﺘَﺮُﻭﻧَﻬَﺎ؛ ﻳَﺪَّﻋُﻮﻥَ ﺃَﻧَّﻬَﺎ ﻋِﻠْﻢُ
ﺍﻟْﺒَﺎﻃِﻦِ، ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻟَﻴْﺲَ ﻟَﻬُﻢْ ﺣَﺪٌّ
ﻣَﺤْﺪُﻭﺩٌ ﻓِﻴﻤَﺎ ﻳَﺪَّﻋُﻮﻧَﻪُ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﺈِﻟْﺤَﺎﺩِ
ﻓِﻲ ﺃَﺳْﻤَﺎﺀِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻭَﺁﻳَﺎﺗِﻪِ،
ﻭَﺗَﺤْﺮِﻳﻒِ ﻛَﻠَﺎﻡِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ
ﻭَﺭَﺳُﻮﻟِﻪِ ﻋَﻦْ ﻣَﻮَﺍﺿِﻌِﻪِ؛ ﺇﺫْ
ﻣَﻘْﺼُﻮﺩُﻫُﻢْ ﺇﻧْﻜَﺎﺭُ ﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥِ
ﻭَﺷَﺮَﺍﺋِﻊِ ﺍﻟْﺈِﺳْﻠَﺎﻡِ ﺑِﻜُﻞِّ ﻃَﺮِﻳﻖٍ ﻣَﻊَ
ﺍﻟﺘَّﻈَﺎﻫُﺮِ ﺑِﺄَﻥَّ ﻟِﻬَﺬِﻩِ ﺍﻟْﺄُﻣُﻮﺭِ ﺣَﻘَﺎﺋِﻖَ
ﻳَﻌْﺮِﻓُﻮﻧَﻬَﺎ ، ﻭَﻣِﻦْ ﺃﻗﻮﺍﻟﻬﻢ : ﺃَﻥَّ "
ﺍﻟﺼَّﻠَﻮَﺍﺕِ ﺍﻟْﺨَﻤْﺲَ " ﻣَﻌْﺮِﻓَﺔُ
ﺃَﺳْﺮَﺍﺭِﻫِﻢْ، " ﻭَﺍﻟﺼِّﻴَﺎﻡَ ﺍﻟْﻤَﻔْﺮُﻭﺽَ
" ﻛِﺘَﺎﺏُ ﺃَﺳْﺮَﺍﺭِﻫِﻢْ " ﻭَﺣَﺞَّ ﺍﻟْﺒَﻴْﺖِ
ﺍﻟْﻌَﺘِﻴﻖِ " ﺯِﻳَﺎﺭَﺓُ ﺷُﻴُﻮﺧِﻬِﻢْ، ﻭَﺃَﻥَّ {
ﻳَﺪَﺍ ﺃَﺑِﻲ ﻟَﻬَﺐٍ، ﻫُﻤَﺎ ﺃَﺑُﻮ ﺑَﻜْﺮٍ ﻭَﻋُﻤَﺮُ،
ﻭَﺃَﻥَّ ﺍﻟْﺒِﻨَﺎﺀَ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢَ ﻭَﺍﻟْﺈِﻣَﺎﻡَ
ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦَ ﻫُﻮَ ﻋَﻠِﻲُّ ﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﻃَﺎﻟِﺐٍ :
ﻭَﻟَﻬُﻢْ ﻓِﻲ ﻣُﻌَﺎﺩَﺍﺓِ ﺍﻟْﺈِﺳْﻠَﺎﻡِ ﻭَﺃَﻫْﻠِﻪِ
ﻭَﻗَﺎﺋِﻊُ ﻣَﺸْﻬُﻮﺭَﺓٌ ﻭَﻛُﺘُﺐٌ ﻣُﺼَﻨَّﻔَﺔٌ .
ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻜﺒﺮﻯ ، 3/ 505 : http://lighthouse24.org/blog/post/viewPost/?postid=1057#sthash.Pgf4DOZX.dpuf
286001
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৪৩
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : ভাই, শিআদের আক্বিদার মূলে হয়তো কখনো যাওয়া হয়নি আপনার। যে পয়েন্টগুলো তুলে ধরেছেন যেগুলো আলগা পয়েন্ট, যা ওদের আক্বিদার তালিকায় একদম নিচের দিকে আসে। একেবারে মূল আক্বিদা, যেগুলোর কারণে ওদেরকে আমাদের আকাবীরগন (রহ.) কাফির ও অমুসলিম বলে ফাতওয়া দিয়ে গেছেন আপনি হয়তো সেগুলোর ধারেকাছেও জানেন না, অথবা হয়তো জেনেও গোপন করছেন। আল্লাহু আ'লাম।

শিআদের কিছু মূল আক্বিদা তুলে ধরছি-
১. শিআরা শুধু সিহাহ নয়, বরং মুসলমানদের স্বীকৃত ও অনুসৃত কোন হাদীস গ্রন্থকেই স্বীকার করে না। ওদের নিজস্ব ধারার গ্রন্থ রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো আল কাফি (ইয়াকুব আল কুলুনি কৃত)। এরপর রয়েছে বিহারুল আনওয়ার, হাক্কুল ইয়াকিন, হুলিয়াতুল মু'তাকিন (বাকের মজলিশী কৃত), তাজরিদুল ই'তিকাদ (নাসিরউদ্দিন তুসী),তাফসিরে কু্ম্মী (ইবনে ইবরাহিম কুম্মী) ই্ত্যাদি।

২. শিআরা তাহরিফে কুরআনে বিশ্বাস করে। তাদের বিশ্বাস, সাহাবাগণ (রাযি.) নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে ও আলীর (রাযি.) অধিকার হরণ করতে কুরআনকে বিকৃত করেছে (নাউজুবিল্লাহ)। অবশ্য সরাসরি কাউকে জিজ্ঞেস করলে সে অস্বীকার করবে, কেননা তাক্ব্যিয়া তো করতে হবে। তবে ওদের মৌলিক কিতাবাদি দেখলেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যাবে। বিস্তারিত দেখুন নিচের লিঙ্কে।
৩. শিআরা ইমামতে বিশ্বাস করে। কিন্তু এই ইমামত যদি শুধু আলী (রাযি.) কে অন্যান্য খলিফা ও সাহাবার (রাযি.) চেয়ে বেশি সম্মান ও মর্যাদা দেয়া পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে হয়তো তেমন গুরুত্ব পেত না। কিন্তু শিআ আক্বীদা অনুসারে রাসূল (সাঃ)-এর ইন্তিকালের পর মাত্র ৬/৭ জন সাহাবা বাদে সবাই মুরতাদ হয়ে গিয়েছিলো (নাউযুবিল্লাহ)। কারণ, রাসূলের (সাঃ) পর আলীর (রাযি.) খিলাফত প্রদান না করে আবু বকর, উমর ও উসমানকে (রাযি.) আগে খিলাফত দেয়া।
এমনকি তারা খুলাফায়ে রাশেদার প্রথম ৩ খলিফা, উম্মাহাতুল মু'মিনীন আয়িশা সহ মর্যাদাবান সাহাবাদের চরিত্রহীন, লম্পট, অত্যাচারী, লোভি, শরাবখোর পর্যন্ত বলে থাকে। বিস্তারিত নিচের লিঙ্কে
এই তো গেল আক্বিদার বিষয়, এবার দু-একটা আমলের বিষয় আসা যাক-
৪. শিআরা নিকাহে মু'তাকে জায়েজ বলে মনে করে। অথচ, নিকাহে মু'তা হাদিস দ্বারা মানসুখ প্রমাণিত।
৫. তারা তাক্বিয়্যার বিশ্বাস করে, বরং এটাকে ঈমানের অঙ্গ হিসেবে মনে করে। তাকিয়্যা বলতে নিজের ঈমান লুকানোর জন্য মিথ্যা বলা বুঝায়।
৬. তারা রাজাআত বিশ্বাস করে। অর্থাৎ তাদের মতে, কিয়ামতের পর হাশরের পূর্বে একদল মানুষকে পুনরায় পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। অবশ্য, শিআদের একটা দল মনে করে এই পুনরোত্থানটা কিয়ামতের পর নয় ইমাম মাহদীর (রহ.) খিলাফত কালে হবে।
৭. তারা ”ক্বাজা-ক্বাদা-বাদায়” বিশ্বাসী। তাদের মতে, নামাজ ইচ্ছাকৃত ভাবে কাযা করলেও সমস্যা নেই। যোহর ও আসরের এবং মাগরীব ও ঈশার নামাযে একত্রেও পড়া যায়, কোন ওজর ব্যাতিতই।

উপরোক্ত পয়েন্ট নাম্বার ৪-৭ একটি বাংলা বই বই ”শী’আ দের মৌলিক বিশ্বাস” (মুল: আকাঈদ আল ইমামিয়াহ, মুহাম্মাদ রেজা আল মুজাফফার, অনুবাদ: মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন তালুকদার, প্রকাশক-মারকাজ এ জাহানী এ উলুমে ইসলামী)তেই পাবেন। তবে বিস্তারিত জানতে তাদের মুল কিতাবগুলো দেখতে হবে।

সঙ্গত কারণেই আমাদের আকাবিরগন (রহ.) শিআদের কাফির ও অমুসলমান ফাতওয়া দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পড়ে দেখতে পারেন ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ'র (রহ.)মিনহাজুস সুন্নাহ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভীর (রহ.) ইযাআতুল খাফা আন খিলাফাতুল খুলাফা, শাহ আবদুল আজীজের (রহ.) তোহফা ইসনা আশারিয়া, মাওলানা রশীদ আহমাদ গঙ্গুহীর (রহ.) হিদায়াতুশ শিআ, মাওলানা ক্বাসিম নানুতুভীর (রহ.) রদ্দে শিআ, হাদিয়াতুশ শিআ ইত্যাদি।

এ বিষয়ের উপর আমার একটি লেখা দেখতে পারেন এই লিঙ্কে
শী’আরা কি আসলে মুসলমান? একটি পর্যালোচনা
আমার লেখা ব্লগ "শী’আরা কি আসলে মুসলমান? একটি পর্যালোচনা" -এর রেফারেন্স এর উপর আনা আপত্তি ও তার জবাব
286059
২০ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:৫২
কাহাফ লিখেছেন :
শিয়াদের অনেক দল-উপদলের মধ্যে আকিদাগত ভাবেও দু'একটা ছাড়া বাকীরা কাফের!
286098
২০ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:০২
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : ভাইজান শিয়া সর্ম্পকে আপনি এখনো শিশু। তাই উপরে চিরবিদ্রোহী ভায়ের ব্লগে ঢুকে যান। সেখানে আপনার কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File