বাংলাদেশকে আর কতদিন দারিদ্রতার অভিশাপ নিয়ে বাঁচতে হবে?
লিখেছেন লিখেছেন এরবাকান ০১ নভেম্বর, ২০১৪, ০১:৪৯:২৮ দুপুর
বাংলাদেশকে আর কতদিন দারিদ্রতার অভিশাপ নিয়ে বাঁচতে হবে?
সুজলা সুফলা আমাদের প্রিয় মাতৃভুমি বাংলাদেশ । সকল সম্পদে পরিপূর্ণ আমাদের এই দেশ। আমাদের রয়েছে ২ কোটি ৪০ লক্ষ একর আবাদি জমি; ৩২ লক্ষ ৫৩ হাজার একর বোন ভূমি ২৫০ টি ছোট বড় নদী। রয়েছে মৎস্য সম্পদ; কয়লা সম্পদ; গ্যাস ক্ষেত্র; ইউরেনিউয়াম সহ আরও অনেক খনিজ সম্পদ। সবচেয়ে আমাদের যে বড় সম্পদ সেটা হল মানব সম্পদ। আমাদের দেশের জনগনের ৩০ শতাংশই হল যুব সমাজ যেটা ইউরোপের কোন দেশেই নেই। এত সম্পদ থাকার পরেও কেনও আমারা আজ এত দরিদ্র?কেন আজ আমার দেশের অধিকাংশ মানুষ ক্ষুধা দারিদ্রতায় জর্জরিত হয়ে অসহায়ভাবে জীবন করছে।আজকে বেকারত্ত্বের কশাঘাতে আমাদের যুব সমাজ।বৈদেশিক ঋণে জর্জরিত আমাদের সরকার। সাম্প্রতিক কালে স্বনামধন্য Global finance magazine এই শিরো নামে The poorest Countries in the world একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ার এই তালিকায় আমাদের প্রিয় জন্মভুমি বাংলাদেশের অবস্থান ৩৪ তম ার এই তালিকায় প্রথম কাতারের দরিদ্র দেশ গুলার মধ্যে অধিকাংশই হল মুসলিম দেশ। আমাদের সকল বুদ্দিজিবী মহল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এটা নিয়ে যার পরনাই চিন্তিত। কিন্তু এর স্থায়ী সমাধান কি বা অধিকাংশ দেশ গুলুকে দরিদ্র রাখার পেছনে দায়ী কে বা কারা এটাকে সাধারনত তুলে ধরা হয় না। আজকের বর্তমান দুনিয়ার এর দুর্দশার মূল কারন হল অর্থনৈতির মূল চালিকা শক্তি যায়নবাদ এর হাতে চলে যাওয়া। শুধু মাত্র মুসলিম দেশ গুলাই নয় বিশ্ব মানবতা আজ যায়নবাদের হাতে বন্ধি।আমরা যে সকল দেশকে উন্নত বলে জানি তারাও যায়নবাদ এর শোষণ থেকে মুক্ত নয়। তারাও আজ ট্যাক্স নামক এক শোষক এর হাতে বন্ধি। আজকের পৃথিবীর অবস্থা হল ৯৯% টাকা হল ১% মানুষের নিকট ার ১% টাকা হল ৯৯% মানুষের নিকট। এই কারনেই আজ দুনিয়ার এই অবস্থা।দুনিয়ার মোট উৎপাদন হল ৩২ ট্রিলিয়ন ডলার। অথচ দুনিয়ার দারিদ্রতা দূর করার জন্য প্রয়োজন হল মোট উৎপাদনের ১% তথা ৩১৫ বিলিয়ন ডলার। তাহলে কেন আজ সারা বিশ্বের এই পরিনতি কেন বাংলাদেশে এত সম্পদ থাকার পরও এত দরিদ্র একটি দেশ? এর কারন হল াম্রাজ্যবাদীরা (যায়নবাদ) তাদের ৪ টি মূলনীতির উপর ভিত্তি করে কাজ করে থাকে।
১। আমরা হলাম পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি। আমরা দুনিয়ার শাসনকর্তা হব।
২। দুনিয়ার অন্য মানুষদেরকে হবে আমাদের গোলাম হিসাবে সৃষ্টি করা হয়েছে।
৩। আমরা বৃহৎ ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করব। আমাদের মাসীহ আসবে তিনি দুনিয়ার শাসন কর্তা হিসাবে সারা দুনিয়াকে শাসন করবেন।
৪। দুনিয়ার সকল মানুষ আমাদের গোলামী করবে।
সাম্রাজবাদীরা (যায়নবাদ) এই চিন্তা চেতনার অধিকারী হওয়ায় তারা অন্য মানুষদের শোষণ করতে কোন দ্বিধা করে না। তারা এটাকে তাদের ইবাদাত মনে করে থাকে। আমরা যদি দুনিয়ার ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে দেখি তাহলে দেখতে পায় ৬২২ সালের পর থেকে পৃথিবী ইসলামী শাসনের অধীনে আসে। ইসলামী শাসন আমলে পৃথিবী ছিল শোষণ মুক্ত মুসলিম গন এই শাসনকে শক্ত ভাবে ধরে রাখে ১৬৮৩ সাল পর্যন্ত।কিন্তু ১৬৮৩ সালে ভিয়েনার সাথে যুদ্ধে মুসলিমরা হেরে যাওয়ায় সাম্রাজ্য বাদী শক্তি অর্থনৈতিক শক্তিকে তাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয় । তাদের হাজারো বছরের প্রচেষ্টার ফলে ৩৫০ বছর ধরে আজ তারা দুনিয়াকে তাদের মত করে সাজিয়ে দুনিয়ার সকল মানুষকে শোষণ করছে তাদের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করার জন্য। এই জন্য আজকের দুনিয়ায় এই মানবিক বিপর্যয়।
তারা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তারা যে সকল পদ্ধতি গুলা অবলম্বন করে তাহল
১/ মানুষকে দরিদ্র করে রাখতে হবে
২/ বেকারত্তের হার বাড়াতে হবে
৩/ ঋণের বুজা বাড়িয়ে দিতে হবে
৪/ দ্বীন থেকে দূরে রাখ
৫/ তাদেরকে বিভাজন করতে হবে
৬/ ভাগ করার পর পরস্পরের মধ্যে দ্বন্দ্ব সঙ্ঘাত জিইয়ে রাখতে হবে।
৭/ মুসলিম দেশ সমুহকে লিবারালিসম এর আলোকে এদের পরিচালনা কর
তাদের এই সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এর জন্যই; আমাদের দেশ এক সময়ে দুনিয়ার সব চেয়ে ধ্বনি দেশ হওয়া সত্ত্বেও আজ দুনিয়ার সব চেয়ে দরিদ্র দেশ সাম্রাজ্য বাদীরা যেদিন থেকে আনাগোনা শুরু করেছে সেদিন থেকেই আমাদের উপর শোষণ শুরু করেছে।আজকে এই শোষণ এর হাত থেকে বাঁচতে হলে পুঁজিবাদ কে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ইসলামী অর্থবাবস্থা বাস্তবায়ন এর ার কোন বিকল্প নেই। এই অর্থ বাবস্থা বাস্তবায়ন এর পাশা পাশি দেশকে এগিয়ে নিতে হবে শিল্পায়ন ও প্রযুক্তিতে। কারন বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক শক্তি বলতে এই ২ টি বিষয় কেই বোজানো হয়ে থাকে। কেননা আমাদের কৃষকরা যত কষ্ট করেই পাট উৎপাদন করুন না কেন; গার্মেন্টস এর শ্রমিকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যত পোশাক উৎপাদনই করুন না কেন।সাম্রাজ্যবাদীরা একবার অস্র বিক্রি করে বা তাদের উতপাদিত পণ্য বিক্রি করে আমাদের চেয়ে কম পরিশ্রম করেই আমাদের চেয়ে হাজার গুন বেশী আয় করতে পারে।সারা পৃথিবীতে বেচাকেনার বাৎসরিক পরিমান হল ৪৫ ট্রিলিয়ন ডলার। এর অর্ধেক অর্থাৎ ২২.৫ ট্রিলিয়ন ডলারই চলে যায় ইয়াহুদিদের হাতে। তাই আজকে যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে ইসলামের জ্ঞানে নিজেকে আলোকিত করে দেশ জাতির সর্বোপরি বিশ্ব মানবতার মুক্তির পথ রচনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। ার চিনতে রাখতে হবে মানবতার শত্রুদেরকে।সাম্রাজ্যবাদীদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে বিশ্ব মানবতাকে বা মুক্ত করতে হবে বাংলাদেশকে।
বিষয়: বিবিধ
১২২৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আরো অনেক অনেক দিন অপেক্ষা করতে এর জন্যে!
মন্তব্য করতে লগইন করুন