আলিয়া ইযযেতবেগভিচের সংগ্রামী জীবন
লিখেছেন লিখেছেন এরবাকান ১৯ অক্টোবর, ২০১৪, ০৮:৩১:৩১ রাত
আলিয়া ইযযেত বেগভিচ হলেন গোটা দুনিয়ার ইসলামী আন্দোলনের একজন মহান পুরুষ। বিংশ শতাব্দীতে জন্ম লাভ করা এই মহাপুরুষ দুনিয়াবাসীর সামনে পেশ করেছেন অনেক বিরল দৃষ্টান্ত। বসনিয়া হেরসেক এর স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নেতা যার হাত ধরেই বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা মুক্তি পেয়েছিল পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে। বিশ্ব মোড়লদের প্রত্যক্ষ ও পরুক্ষ মদদে আজকে সিরিয়া ও ফিলিস্তিন সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে মুসলিম নিধন। আজকের এই লেখায় আমি উল্লেখ করতে চাই তৎকালীন বিশ্ব মোড়লদের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে তাদের বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধে জয়ী হয়ে শত বছরের পরাধীনতার গ্লানি থেকে তিনি কিভাবে মুক্ত করেছিলেন বসনিয়া ও হার্জেগোভিনাকে। আশা করি মুসলিম বিশ্বের আজকের এই দুর্দশার দিনে এই মহা পুরুষ একটু হলেও যোগাবেন সাহস ও উদ্দীপনা। এনে দিবে একটু আত্ম বিশ্বাস যে ইসলাম কোন পরাজিত সভ্যতা নয়। আমরা যদি ইমানি শক্তি নিয়ে জাপিয়ে পড়ি ইনশাল্লাহ আবারও সারা দুনিয়ায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
জন্ম ও শৈশবকাল
আলিয়া ইযযেতবেগভিচ ১৯২৫ সালে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এর উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বস্নাকা ক্রুপা শহরে জন্ম গ্রহন করেন। তার পরিবার ছিল ইসলামী শিক্ষা দীক্ষায় ঐতিহ্যমণ্ডিত একটি পরিবার। কিন্তু আলিয়া ইযযেতবেগভিচ ইসলাম বিরোধী একটি বৈরী পরিবেশ ও ইউরোপিয়ান দের দারা দখলকৃত একটি ভুমিতে বেড়ে উঠেন। সারায় বসনিয়াতে জার্মান একটি স্কুলে তিনি তার মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। একজন মেধাবী ও সুশৃঙ্খল ছাত্র হিসাবে সবার কাছে ছিলেন অতি পরিচিত।তিনি তার স্কুল জীবনেই পাশ্চাত্য ও ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানের জন্য তার সহপাঠীদের সাথে ছিলেন অতীব পরিচিত। সেই সময়েই তিনি তার কয়েকজন বন্ধুর সাথে মিলে গড়ে তুলেন মেলাদি মুসলমানি (মুসলিম যুবসঙ্ঘ) নামে একটি সংগঠন। তিনি যখন এই সংগঠন কায়েম করেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর।কিন্তু তার জ্ঞানের প্রখরতা ও চিন্তার প্রখরতার কারনে সবার কাছেই ছিলেন অনেক প্রিয় একজন মানুষ। ার এই কারনেই তার প্রতিষ্ঠিত এই ক্লাবটি একটি বুদ্ধিবৃত্তিক ক্লাব না হয়ে পরিনত হয় সক্রিয় একটি সংগঠনে। যার কারনে এটি হয়ে উঠে ছাত্রদের ক্যারিয়ার গঠন ও গঠন মুলক কাজের অন্যতম সূতিকাগার। অপরদিকে মেয়েদের জন্য গড়ে তুলা হয় আলাদা একটি সংগঠন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই সংগঠনটি দুস্থ মানুষের পাশে এসে দাড়ায় এবং বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করতে থাকে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চ্যালেঞ্জ:
আলিয়া ইযযেতবেভভিচ এর প্রতিষ্ঠিত এই মুসলিম যুবসংঘটি যুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে তার এই যুগান্ততকারি ভুমিকা তাকে ও তার সংগঠনকে সবার ামনে নিয়ে আসে। এই যুদ্ধে জার্মান সেনাবাহিনী বসনিয়াতে ১ লাখেরও বেশী মুসলমানকে হত্যা করে।
কম্যুনিস্ট শাসনের জুলুম নির্যাতন:
১৯৪৬ শালের ১৩ জানুয়ারি বসনিয়া পুনরায় স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করে। কিন্তু এই সংগ্রামে বাম পন্থি নেত্রিত্তের আধিপত্য থাকায় দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বামপন্থিরা ক্ষমতার মসনদে আরোহণ করে। বসনিয়া একটি সায়িত্ত শাসিত দেশ হিসাবে সিক্রিতি লাভ করে। একটি চুক্তি অনুযায়ী যুগুস্লাভিয়ার সাথে আরও ৬ টি দেশ মিলে একটি সাধিন দেশের মর্যাদা লাভ করবে। ার বসনিয়া হবে এই ৬ টি দেশের একটি।
কম্যুনিস্টরা ক্ষমতা নেওয়ার পর পরই ধর্মের বিরুদ্ধে বিশেষ করে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। আলিয়া ইযযেতবেগভিচ ইসলামী আন্দোলনের নেতা হওয়াই ও নাস্তিক্কবাদের বিরুদ্ধে তার সোচ্চার ভুমিকার কারনে তিনি কম্যুনিস্টদের টার্গেটে পরিনত হন। ার এই কারনেই ১৯৪৯ সালে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরন করে। এবং তিনি একাধারে ৫ বছর বন্দি জীবন যাপন করেন।
আলিয়া ইযযেতবেগভিচের উপর জুলুম নির্যাতন ১৯৫৩ সালে টিটু(Titu) ক্ষমতায় আসার পর আরও বহু গুনে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু তিনি এই সকল জুলুম নির্যাতনের পরেও তার বিপ্লবী ভুমিকা অব্যাহত রেখে জনগনের মধ্যে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের কাজকে অব্যাহত রেখে চিন্তার রাজ্যে বিপ্লব ঘটানোর কাজ অব্যাহত রাখেন। ার এই সময়ে তিনি অন্য ইসলামী দলের নেতা হাসান দুজুর সাথে মিলে তার কাজের গতি বৃদ্ধি করেন।
১৯৭৪ সালে টিটুর নতুন সংবিধান প্রবর্তনের পর ইসলামী আন্দোলনের উপর জুলুম নির্যাতন কমে আসায় অন্যান্য ইসলামী সংগঠন গুলিও তাদের কাজ শুরু করে। ার এই সময়ে বিভিন্ন মাসজিদ ও মাদরাসা নতুন করে উমুক্ত হয়।সল্প পরিমানে হলেও জুলুম নির্যাতনের কমে যাওয়াই অন্যান্য সকল ইসলামী সংগঠনের কাজের ফলে জনগনের মধ্যে ইসলামের একটি জাগরণ সৃষ্টি হয়।
টিটুর মৃত্যু ও আলিয়া ইযযেতবেগভিচের ইসলামী মেনিফেস্ত (Islamic Menifesto):
১৯৮০ সালে টিটুর মৃত্যুর পর ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট এর বিষয়ে একটি চুক্তি প্রস্তাবিত হয়। ার এটি হল ৬ টি সায়িত্ত শাসিত দেশের প্রেসিডেন্টগণ সবাই ১ বছর করে ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।ার এই চুক্তির কারনে সল্প পরিসরে হলেও গনতন্ত্র লাভবান হয়। কারন এই চুক্তির আলোকে সকলেই কাজ করার সুযোগ পায়। ার এই সময়েই আলিয়া ইযযেতবেগভিচ এর ছেলে তার পিতার লেখা বিভিন্ন সময়ে লেখা প্রবন্ধ সমূহকে ১৯৮৩ সালে Islami Menifesto নামে বই আকারে প্রকাশ করেন।১৯৭০ সালে Islami Declartion নামে একটি বই প্রকাশ হয়।পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে Islami Menifesto নামে এই বই প্রকাশিত হওয়ায় ইউরোপের প্রান কেন্দ্রে রেডিকেল ইসলাম এর প্রবর্তন করতে চাচ্ছেন, এই অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরন করে।আলিয়া ইযযেতবেগভিচ কে আদালতে নেওয়া হলে তিনি উচ্চসরে ঘোষণা করেন যে আমাদের বিচার বাবস্থার পরিবর্তন করে বসনিয়া হেরসেক কে একটি কল্যাণ মূলক ইসলামী রাষ্ট্রে পরিনত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এর পর তারা তাকে এক অন্যায় আদেশ এর মাধ্যমে ১৪ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে। এবং তার বই কেও নিষিদ্ধ করে। ার এতে করে এই বই এর প্রচার ও প্রকাশনা গোপনে আরও বহু গুণে বৃদ্ধি পায়। এবং এই বই লেখার কারনেই লেখক আজ কারাগারে এই বিষয়টি পাঠকের মনে এক নিরব বিপ্লবের সূচনা করে।
জেল জীবন:
উচ্চ আদালত তার ১৪ বছরের সাজা কে কমিয়ে ১১ বছরে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে এক ক্ষমার মাধ্যমে তাকে মুক্তি দান করে।ার এই ৫ বছরের জেল জীবনে আলিয়া তার চিন্তার রাজ্যে বিপ্লব ঘটান। তার আগের চিন্তা গুলাকে সংশোধন করে সেগুলাকে আরও মজবুত যুক্তির উপর দাড় করান। তার যেই যুক্তি ভিত্তিক লেখনীর কারনে তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করে তিনি তার সেই যুক্তিকে শানিত করে কারাগারে বসেই লিখেন তার ঐতিহাসিক গ্রন্থ Islam between East and West। তার এক বন্ধু তার অক্লান্ত পরিশ্রম এর মাধ্যমে সব জায়গায় তার এই বইটিকে ছড়িয়ে দেন। ার তিনি আলিয়ার এর এই বইয়ের মাধ্যমে শিক্ষিত মুসলিমদেরকে আলিয়ার দলে ভিড়াতে থাকেন। সংক্ষিপ্ত ভাবে বলতে গেলে তার এই জেল জীবন তাকে আরও বেশী জনপ্রিয় করে তুলে এবং তিনি সকলের মাজে একজন স্কলার হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন।ার তার এই জনপ্রিয়তা তিনি জেল থেকে বের হওয়ার পর জনগন তাকে একজন মহান নেতা হিসাবে বরন করে নেয়। ার তিনি এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে বসনিয়া হেরসেক এর স্বাধীনতা সংগ্রামকে আরও বেগবান করেন।
রাজনৈতিক জীবন:
আলিয়া ইযযেতবেগভিচ যখন জেল থেকে মুক্তি লাভ করেন তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন এর পতন ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল। জুগুস্লাভিয়াতে স্বাধীনতা সংগ্রাম মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল । অপরদিকে ফেডারেল রাষ্ট্র গুলাও একে একে স্বাধীনতার দিকে আগাতে থাকে। আলিয়া ইযযেতবেগভিচও বসনিয়া ও হার্জেগোভিনাতে তার নেত্রিত্বে Democratic Action Party(SDA) নামে একটি দল গঠন করেন। ১৯৯০ সালের নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন এই দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে এবং আলিয়া প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ গ্রহন করেন। প্রথম বার নির্বাচন করেই তার দল সরকার গঠন করে এবং পার্লামেন্টে ৮৬ টি আসন লাভ করে।
স্বাধীনতা সংগ্রাম:
১৯৯০ দশক এর দিকে জুগুস্লাভিয়া ফেডারেশন স্বাধীনতা সংগ্রামে সব চেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ফেডারেশন এর ৬ টি দেশ স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার জন্য নিতিগত সিধান্ত গ্রহন করে। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ১লা মার্চ ১৯৯২ সালের এক রেফারেনডাম এর মাধ্যমে তার স্বাধীনতা ঘোষণা করে।কারন শতকরা ৬২%জনগন স্বাধীনতার পক্ষে তাদের মতামত বাক্ত করে। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই সার্বিয়া বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় হামলা করে মুসলিম নিধনের এক নতুন কাল অধ্যায় এর সূচনা করে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা একই ফেডারেশন এর দেশ ক্রোয়েশিয়া ও স্লোভেনিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রাম কে সাধুবাদ জানালেও মুসলিমদের দেশ বসনিয়া হেরসেক এর উপর সারিয়ার এর হামলা কে সাধুবাদ জানায়। বসনিয়া হেরসেক এর দুর্দশায় নতুন মাত্রা যোগ করে ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম সনাবাহিনির অধিকারী দেশ জুগুস্লাভিয়া। তারা সার্বিয়ার এই হত্যাযজ্ঞকে সমর্থন জানিয়ে তাদেরকে সাহায্য করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য কিছু সংগঠন ও বেক্তি ছাড়া এই সময়ের মধ্যে কোন মুসলিম দেশ নির্যাতিত বস্নিয়ান মুসলিম দের পাশে দাড়ায়নি। ফলে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার গুরুত্বপূর্ণ কিছু শহর কে দখল করে নেয়। এই আগ্রাসনে তারা লক্ষ লক্ষ মুসলিমকে হত্যা করে। এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। বিশেষ ভাবে তারা ইসলামের ইতিহাস সম্বলিত বিভিন্ন স্থাপনা ও মসজিদ সমূহকে জ্বালিয়ে দেয়।এই সময় বিভিন্ন মুসলিম নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতা খুব একটা নতুন মাত্রা যোগ করতে পারেনি। কারন একথা সত্য যে বাতিল রা কখনো মুখের কথায় তাদের জুলুম বন্ধ করে না। তাদের জুলুম কে বন্ধ করার জন্য তাদের উপর শক্তি প্রয়োগ করতে হয় এবং তারা কেবল মাত্র শক্তিকেই ভয় করে। ১৯৯৪ সালের শেষ নাগাদ মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ায় ২লাখ ৫০ হাজারে। এবং সব মিলিয়ে ১ মিলিয়ন মুসলিম ক্ষতিগ্রস্থ হয় ও পঙ্গুত্ত বরন করে। ার এই সময়ে বসনিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন আলিয়া ইযযেতবেগভিচ।এই ভয়াবহতার মধ্যেও তিনি তার নেত্রিত্তের অসিম গুণাবলী দ্বারা ও সাহসিকতার সাথে তার দেশের মুক্তি সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি তার জাতিকে একত্রিত করে সার্বিয়ার এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন।
ডেটন চুক্তি:
বসনিয়া হার্জেগোভিনার মুসলিমদের এই সংগ্রামে বিশ্বের মুসলিম গন তাদের পাশে এসে দাড়ায়। বিভিন্ন মুসলিম দেশের যুবক গন বসনিয়ার মুসলিমদের সাথে কাধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহন করে। সংগ্রাম ও জিহাদের পাশাপাশি বসনিয়ান মুসলিমদেরকে ইসলামী শিক্ষায় ও শিক্ষিত করার বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়। এক্ষেত্রে সব চেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তুরস্কের ইসলামী আন্দোলনের মহান নেতা ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান তিনি তুরস্ক থেকে হাজার হাজার যুবক পাঠান বসনিয়ান মুসলিম ভাই দের সাহায্য করার জন্য। তার সম্পদের বিশাল এক অংশ দিয়ে বসনিয়া গড়ে তুলেন অস্রাগার। ওয়াইসি ভুক্ত দেশ গুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের নিয়ে বসনিয়ান মুসলিম দের সাহায্যার্থে ভঙ্গ করেন জাতিসংঘের সকল চুক্তিকে। ইরানকে সাথে নিয়ে মনোবল বৃদ্ধি করেন স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী মহান নেতা আলিয়া ইযযেতবেগভিচের। এরবাকান তৎকালীন তুরস্ক সরকার কে বাধ্য করেন বসনিয়ান মুসলিমদের সাহায্য করতে। ার এই সময়ে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সার্বিয়াকে তাদের এক তরফা সমর্থন দিতে থাকে। তারা সার্বিয়ার সাথে চুক্তি করার জন্য বসনিয়াকে চাপ দিতে থাকে।পরবর্তীতে আলিয়া ইযযেতবেগভিচ তাদের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হন। কারন তিনি তাতে রাজি না হলে এই অসম যুদ্ধে নিরস্র বসনিয়ানদের আরও হত্যা করত। অবশেষে ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধের অবসান ঘটে।এই চুক্তিতে বসনিয়া পায় ৫১%ভুমি ার ক্রয়েশিয়াকে দেয় ৪৯% ভুমি। এবং বিভিন্ন অসম চুক্তিতে বসনিয়াকে স্বাক্ষর করায়।
মৃত্যু :
এই মহান মানুষ টি ১৯ অক্টোবর ২০০৩ সালে ৭৮ বছর দুনিয়া বাসীকে কাদিয়ে চলে জান মহান মনিবের দরবারে।
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৪ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
Islam between east and west বই দুইটা কি নেটে পাওয়া যাবে?যদি যায়,
লিন্ক দিলে ভালো হয়।
অনেক কিছু জানলাম। ভালো লাগলো ধন্যবাদ
এই সংগ্রামি নেতার "ইসলাম বিটুইন ইষ্ট এন্ড ওয়েষ্ট" একটি অতি প্রয়োজনিয় গ্রন্থ। ইসলামের সঠিক রুপ এবং এর দার্শনিক ব্যাখ্যা এত সুন্দরভাবে আর কোন বইতে পাইনি। বিশেষ করে পাশ্চাত্য দার্শনিকদের যুক্তি খন্ডন সহ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন