গুলেন আন্দোলন এর মূলনীতি
লিখেছেন লিখেছেন এরবাকান ১৯ এপ্রিল, ২০১৪, ০২:৫৭:০২ দুপুর
(১) রাষ্ট্র : গুলেন আন্দোলনের অংশীরা রাষ্ট্রকে সামাজিক শৃঙ্খলা, মানবাধিকার, ব্যক্তিক অধিকার, ন্যায় বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জামিনদার হিসেবে বিবেচনা করে। রাষ্ট্র সম্পকির্ত ভাবনায় নুরসীর সাথে গুলেনের মিল পাওয়া যায়। গুলেন বলেন, অনেক মুসলিম দেশ অপেক্ষা আমেরিকা ও ইউরোপে ইসলাম ভালোভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে। তাই স্বাধীনতা ও আইনের শাসন ‘ব্যক্তিক ইসলাম’ এর জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়াও ইসলামের জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থার অস্তিত্ব জরুরি নয়; বরং শিক্ষিত এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ কমিউনিটিই ইসলামের বিকাশের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যা হোক, রাষ্ট্র নয় গণতান্ত্রিক সিস্টেমের অধীনে কমিউনিটিই অধিক প্রয়োজন। বর্তমানে গুলেন ইসলামিক রাষ্ট্র নয় বরং উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের দাবিই জানান।
(২) গণতন্ত্র : বিভিন্ন আলোচনায় গুলেন পুনর্ব্যক্ত করেন, গণতন্ত্র হতে পশ্চাদপসরণের কোনো সুযোগ নেই। ২০০৫ সালে মেহমেত গানডেমের সাথে এক সাক্ষাতকারে গুলেন বলেন, “একজন অবিশ্বাসীকে যেমন কোনো দুশ্চিন্তা ছাড়াই বাস করতে দেয়া উচিত তেমনি একজন বিশ্বাসীকেও পরিপূর্ণভাবে তার ধর্মীয় বিধিবিধান পালনের সুযোগ দেয়া উচিত।’’ তিনি আরো বলেন, “মানব উদ্ভাবিত শাসনপদ্ধতির মধ্যে গণতন্ত্রই সর্বোত্তম”। গণতন্ত্র ক্রমাগত তার সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠবে এবং তুরস্কসহ যে সকল দেশে গণতন্ত্র ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি সে সকল দেশে তা প্রতিষ্ঠিত হবে। গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ও উন্নয়ন, বাক স্বাধীনতা ও মানবকল্যাণের জন্য অপরিহার্য।
(৩) সেক্যুলারিজম : গুলেন ও তার আন্দোলনের অংশীদো নিকট আমেরিকার ন্যায় সেকিউলার টাইপ রাষ্ট্রের বিষয়ে কোনো অভিযোগ নেই। আমেরিকা ও ইউরোপে যারা বসবাস করছে তারা প্রত্যেকেই স্ব স্ব সমাজে বা কমিউনিটিতে অবদান রাখছে এবং মানব-সমাজের সৌন্দর্য বর্ধন করছে।
(৪) তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ : গুলেন মুভমেন্টের অংশীরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণের পক্ষে। তাদের মতে, এতে রাজনৈতিক শোষণ বন্ধ হয়ে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে। আর অধিক গণতন্ত্রায়নের ফলে স্বচ্ছতা বাড়বে, দুর্নীতি কমবে, সুস্থ অর্থনৈতিক প্রতিযোফগতা এবং জীবনমান বৃদ্ধি পাবে। (এরবাকান এর মতে আমরা যদি ইউরোপিয় ইউনিয়ন এ যগদান করি তাহলে আমাদের সর্বশেষ মুসলিম পরিচয় টুকুও অ হারাবো কারন ইউরোপিয় ইউনিয়ন হল একটা খ্রিস্টান ইউনিয়ন তাই আমরা এতে যোগ দিতে পারি না । মুলত ফেতুল্লাহ গ]লেন এর সমর্থনেই এরদগান সহ একে পার্টি ইউরোপিয় ইউনিয়ন এ প্রবেশ এর জন্য অনেক ল পরিবরতন করে। জার মধ্যে মৃত্যু দণ্ড কে তুলে দেওয়া যেনা বেভিচার কে সহজ করে দেওয়া সহ অনেক বিতরকিত আইন। যদিও এরদগান এখন আর এউরপিয় ইউনিয়ন এ ঢুকতে চাছহেন না
(৫) ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও আন্তঃধর্মীয় সংলাপ : তুরস্ক এবং এর বাইরে গুলেন একজন আন্তঃধর্মীর সংলাপের ক্ষেত্রে এক অগ্রপথিকের মর্যাদায় আসীন হয়েছেন। ৯/১১ (নাইন ইলেভেনের) কয়েক বছর পূর্বে, নব্বই দশকের প্রাথমিক দিকে গুলেন আন্তঃবিশ্বাস সংলাপকে উৎসাহিত করেন এবং তিনি মত প্রকাশ করেন যে, “ধর্ম কোনো সংঘাতের কারণ নয় এবং ধর্মকে সংঘাতের কোনো কারণ হতে দেয়াও উচিত নয়।” তিনি গ্রিক অর্থোডক্স, আমেরিকান অর্থোডক্স, ইহুদি এবং অন্যান্য বিশ্বাসী কমিউনিটির সাথে সংলাপ করেন। *(
এটার কারনে ইসলামি দল ও সঙ্গথন রা আজ টার বিরুদ্ধে সোচ্চার কিসুদিন আগেও তিনি ইস্তানবুলে এই আন্তঃধর্মীয় সংলাপ এর আয়জোন করেন এটা আন্তঃধর্মীয় সংলাপ এর নামে হলেও তিনি মুলত মাসন অ ইয়াহুদি লবি দের কে নিয়ে আসেন বলে অভিযোগ রয়েছে
(৬) ইস্রাইল এর বাপারে উনার অবস্থান : প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধে তিনি ইসরাইলের সাধারণ জনগণের উপর সাদ্দামের রকেট হামলার নিন্দা করেনÑ মসজিদের হাজার হাজার মুসলিমের সামনেই নাইন-ইলেভেনের পর তিনি এই হামলার নিন্দা করেন এবং বিন লাদেনকে তার চার পাশের লোকসহ দানব বলে আখ্যায়িত করেন। মানবতাবাদী এবং ধর্মীয় উভয় প্রেক্ষিতেই তিনি বিন লাদেনের কর্মকর্তাদের ভর্ৎসনা করেন। কিন্তু তিনি কখনও ন্নফিলিস্তিন এর উপর ইসরাইলী হামলার নিন্দা করেন নি। তিনি হামাসকে সর্বদায় মানবতার শত্রু ও সন্ত্রাসী হিসাবে গণ্য করেন। তিনি মনে করেন যে ফিলিস্তিনে বশবাস করা ইসরাইলিদের মানবিক অধিকার । সর্বশেষ এরিএল শারন মারা গেলে তিনি অ টার পত্রিকা তাকে বিশ্ব নেতা হিসাবে গণ্য করেন। মাভি মারমারা তে ইস্রায়িলি হামলা কে তিনি বলেন যে এটা তুরস্কের ভুল ছিল। কারন তুরস্ক নাকি অনুমতি নেই নি। এরকম হাজার্ ও ডকুমেন্ট রয়েছে তার বিরুদ্ধে ।
(৭) ইসলামি দল অ সংগঠন এর বাপারে তার মতামত: গুলেনের মতে রাজনৈতিক ইসলাম শান্তি বিনষ্টের অন্যতম কারন। জার কারনেই জামাত এ ইসলামি অ ইখ ওয়ান এর উপর জুলুম নিরযাতনের বাপারে তিনি সর্বদায় নিরব। এমন কি তার পত্রিকাতেও আজ পর্যন্ত কোন সংবাদ প্রকাশিত হই নাই। যখন ২৮ এ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ এ এরবাকান কে পদচ্যুত করে সকল নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি তাদের উপর নিরযাতন চালানু হয় তখন তিনি তাদের কে প্রত্যক্ষ ভাবে সমর্থন করে তার পত্রিকায় নিবধ ও সেনা সরকার কে উতসাহ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় । কোন বাবসা বানিজ্যা ইসলাম পন্থিদের সাথে কোন সম্পরকে নেই।এমন কী তাদের NGO র মাধমে তুলা সকল অরথ ফিলিস্তিনের মাহ্ মুদ আব্বাস কে দেয় যে কিনা ইস্রাইল এর দালাল। পাকিস্তানের বন্নার সময় তুলা সকল অরথ দান করে পারভেয মুসারফ এর তহবিলে যা সম্পুরন তস্রুফ করা হয়েছিল। এরকম হাজার্ ও প্রমানাদি রয়েছে তার বিরুদ্দে
(৮) জাতীয়তাবাদী (Nationalism) : দেশপ্রেম; সাম্প্রদায়িক ভেদনীতি নয়। অন্তর্ভুক্তিকরণ (Inclusive), পজেটিভ এবং অসাম্প্রদায়িক মূলত তিনি আনাতোলিয়ার সকল নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত তার্কিস জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী।
বিষয়: বিবিধ
১৫১৮ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন