পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালীর স্বান্সকৃতি নয়।
লিখেছেন লিখেছেন সিঙ্গারা ১৪ এপ্রিল, ২০১৪, ০৪:৩৭:৫০ বিকাল
সম্পূর্ন ব্যবসায়িক
চিন্তা থেকে পান্তা ইলিশের
আবির্ভাব হয়েছিলো ১৯৮৩
সালে জনকণ্ঠের প্রয়াত
সাংবাদিক বোরহান ভাইয়ের
উদ্যোগে। রমনা রেস্তোরার
পাশে উনি এবং উনার
বন্ধুরা প্রথম পান্তাভাত
বিক্রির ব্যবসা চালু
করেছিলেন এবং সেই
পান্তার গলাকাটা দাম
নির্ধারণের
যৌক্তিকতা বজায় রাখতে এক
টুকরা ইলিশ ভাজা সংযোজন
করেছিলেন।
তা না হলে পান্তা ভাতে ঘি এর
মতই তৈলাক্ত ইলিশ সম্পূর্ণ
অসামঞ্জস্যপূর্ন এবং বাংলার
কোন প্রান্তেই পান্তার
সাথে ইলিশ খাবার কোন
ইতিহাস নেই, ছিলো না।
এরশাদ আমলের শেষ
দিকে সম্ভবত ১৯৮৯
সালে চারুকলার
ব্যবসাকাঙ্খী শিল্পী (!)
সম্প্রদায় পহেলা বৈশাখ
উপলক্ষ্যে প্রথম মঙ্গল
শোভাযাত্রার প্রচলন করেন।
চৈনিক মাঞ্চুরিয়ান
সংষ্কৃতিতে নববর্ষকে বরণ
করে নেবার জন্য ড্রাগন
নিয়ে কার্নিভাল
স্টাইলে র্যালী হয়।
সেটা দেখে স্পন্সর/ডোনেশন
জোগাড় করে নাগরিক
মধ্যবিত্ত
শিল্পীরা বাংলা নববর্ষে সিকি মাইলের
র্যালী আয়োজন করা শুরু
করলেন! বলা বাহুল্য এই র্যালীর
সাথেও বাঙ্গালী সংষ্কৃতির
কোন সংযোগ নেই; সংযোগ
নেই র্যালীতে ব্যবহৃত ড্রাগন
বা বিভিন্ন প্রাণীর মূর্তির।
কেবলমাত্র ডোনেশন/স্পন্সর এর
৫০% টাকা হালাল করার
(বাকীটা ভাগাভাগি) জন্যই
এই আয়োজন। সেই
সাথে মিডিয়াও পায় তার
প্রয়োজনীয় সময় কাটানোর
ফুটেজ।
বিষয়: বিবিধ
১০৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন