ভালবাসার রুদ্ধদ্বার খোলা .......

লিখেছেন লিখেছেন সাইফ মাসুম ০৪ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৩:৩০:২০ দুপুর

আজকের বিষয়টি সম্পূর্ন অন্য রকম একটা বিষয়। জানিনা আপনারা কিভাবে নেবেন। হয়তো আপনাদের ভাল লাগতে ও পারে। যা হোক, আপনাদের মূল্যবান মতামত আশা করছি। যা ভবিষ্যতে আরো ভালো লিখতে অনুপ্রেরনা যোগাবে।

সত্যি আমাদের উপমহাদেশে পারিবরিকি ভালবাসার বন্ধন এক অনন্য বন্ধন। যা সাধারণত বিশ্বের অন্যান্য দেশে বা মহাদেশে এতটা পরিলক্ষিত হয়না।

আমাদের দেশ হলো এর অনন্য উদাহরন। কারণ আমাদের দেশের লোকজন হলো অতিথি পরায়ন এবং বন্ধু বৎসল। কোন কোন পরবিারে ভালবাসার বন্ধন দেখলে অনেক হিংসা হয়। সেদিন ইত্যাদি তে একটা যৌথ পরিবার দেখে আমার এরকম হিংসা হয়েছিল। কিন্তু সব পরিবার তো আর এক রকম না। কোন কোন পরিবারে আবার এর ব্যতিক্রম ও আছে। পিতা মাতার সাথে সন্তানের আবার বাবা মা এর কারনে অথবা ভাই বোনদের কারনে নিজের স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য দেখা যায়। অনেক সময় সামান্য বিষয় নিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার মতো জগন্য ঘটনা ও ঘটে থাকে। যা আমাদের করো ই কাম্য না।

প্রসঙ্গ ক্রমে শিবলী মেহদী ভাইকে স্মরন করছি। জানিনা শবিলী ভাই "বিডি টুমরো" ব্লগে লেখেন কিনা। যদি লেখে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমার এ লেখা উনার দৃষ্টি এড়াবেনা। সেদিন শবিলী ভাইয়া FB তে একটা অডিওটা পোষ্ট করেছিলেন। যাতে তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হলে তা কিভাবে সমাধান করা যায়। উনার অডিওটা সত্যি অনুকরণীয়। উনি বলেছিলেন যদি কখনো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয় তাহলে বা ঝগড়া-ঝাটি হয় তাহলে আমরা যদি সুরা নাস এবং সুরা ফালাক পড়ে স্ত্রীর শরীরে ফুঁ দেই এবং গিফট হিসেবে কপালে একটা চুমু দেই তাহলে সেই মুহূর্তে স্ত্রীর রাগ কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে। কারণ কোন মুসলিম ধার্মিক স্ত্রী কখনোই তার স্বামীকে না করতে পারবেনা যদি স্বামী তার স্ত্রীকে কোন দোয়া পড়ে ফুঁ দেয়। তবে হ্যা, এ কাজটা কথা কাটা কাটি হওয়ার সাথে সাথে করতে হবে তা না। একটু সময় নিয়ে করতে হবে। দুজনের রাগটা কিছুটা কমে গেলে যদি এ কাজটা করা হয় তাহলে হয়তো উত্তম ফল পাওয়া যেতে পারে।

কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো এ কাজটা আপনি তখনই করতে পারবেন যখন স্ত্রী আপনার কাছে থাকে। যদি এমন হয় যে আপনি বা আমি স্ত্রীর কাছ থেকে অনেক দূরে অবস্থান করেন বা করি। অর্থাৎ আপনি বা আমি যদি প্রবাসে থাকি অথবা কর্মস্থল যদি অনেক দূরে হয় তাহলে এ রকম কোন টিপস্ আছে কিনা স্ত্রীর অভিমান ভাঙ্গানোর জন্য। আমরা যারা প্রবাসে থাকি অথবা কর্মস্থলে অনেক ব্যাস্ত থাকি স্ত্রীকে সময় দিতে পারিনা। সঙ্গত কারনেই স্ত্রীর মনে অনেক কষ্ট থাকে। তার অধিকার আমরা ঠিক মতো আদায় করতে পারিনা। তার মনে কষ্ট থাকাটাই স্বাভাবিক। দূর থেকে মোবাইল ফোনে কথা বলে আর SMS করে কতটুকু খুশি করতে পারবেন বলেন। যে কারনে আজকে আমাদরে চারপাশে ঘটছে অনেক অপ্রীতিকর এবং অনাকাংখিত ঘটনা। যার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। আমাদের নিয়তির নির্মম পরিহাসের কারণে আমরা স্ত্রীর আদর আর সন্তানের ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকি। জানিনা এ পথ চলার শেষ কোথায়।

আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আশা করছি।

বিষয়: বিবিধ

১২১৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

299248
০৪ জানুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
হতভাগা লিখেছেন : এসব ক্ষেত্রে মন উঠে গেলে তা ফিরয়ে আনার চেষ্টা করা চরম বোকামী । অনেক নত হয়ে চলতে হবে তার সামনে যদি ফিরে আসে।

সূরা পড়ে দোয়া করে ফুঁ দিলে সে মনে করবে আপনি তাকে যাদু টোনা করছেন ।

আর সবসময় কেন বউদেরকে মানাতে হবে ? সংসার টেকানোর দায় কি শুধু পুরুষদের ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File