কাকে দেখেছিলাম সেদিন চার তলায়? ইনিই কি সেই সেই তোফায়েল,
লিখেছেন লিখেছেন কর্ণেল ফারুক রহমান ১১ এপ্রিল, ২০১৪, ০১:১৮:৫৫ রাত
আমি কার কথা শুনছি এটা? এই কি সেই তোফায়েল যার সাথে আমার দেখা হয়েছিল কোনো এক রাতে (বনানী রেল ক্রসিংয়ের উপর জেনারেল হাফিজ মল্লিকের মালিকানাধীন) তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ভাড়া করা বাসায়? "যিনি তার বাড়ী ভোলা যেতে সব সময় কোকো লঞ্চ ব্যবহার করতেন এবং ফ্রি কেবিন টিকেট দেয়ার জন্য তারেক রহমানকে ফোন করে খুব অনুরোধ করতেন!"
ইনিই কি সেই তোফায়েল যার সাথে হাসিনা ভেগে গিয়েছিল বিয়ের আগে। চট্টগ্রামে মৌজ মাস্তি করে পরে শেখের মাল শেখকে ফিরত দিছে!
ইনিই কি সেই তোফায়েল যার আন্ডারে ছিল রক্ষীবাহিনী। আর ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ রাতে তোফায়েল সবকিছু জেনেও রক্ষী বাহিনীকে কোনো নির্দেশ দেন নাই! সেই জন্য ওকে একটা ধন্যবাদ দেয়া যায়!
আপনি তারেককে বাচ্চা ছেলে বলছেন? তার বয়স কি আপনার জানা আছে? জেনে নিন। তার বয়স ৪৯ বছর। তারেকের চেয়ে কম বয়সে বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হইছে, শহীদ জিয়া রাষ্ট্রপতি হইছে। অন্যের বয়স খুঁজছেন আপনি, অথচ মি. তোফায়েল ১৯৭০ সালে আপনি যখন আওয়ামীলীগে জয়েন করেন আপনার বয়স কত ছিল? ২৭ বছর। আপনি উক্তি করছেন, আপনাকে স্যার ডাকতে ডাকতে জিয়া মুখে থুথু বের করে ফেলেছেন! জানতে চাই, আপনি কোন চ্যাাটের বাল ছিলেন তখন? > এই তোফায়েল। সাল ভুল করছিস। ৭০ সালে তো দেশ স্বাধীন হয় নাই। জিয়াকে দেখবি ক্যামতে? ২৫ মার্চ রাতে দেশের মানুষ যখন আক্রান্ত, তোরা যখন সব পলাইলি ভারতে; এরপরে সুরিখানায় আর সোনাদিয়ার বেশ্যাখানায় কাটালি, বেশ্যা নিয়া টানাটানি করে কোলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়লো রাজ্জাক, তার আগেই জিয়া মাইক্রোফোন টেনে নিয়ে বলছে, “আমি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, আমি বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষনা করলাম।” সেই ঘোষণা তোরা শুনছিলি রেডিওতে। জিয়া তো সেই বাপের বেটা, যেখানে তোরা কাপুরুষ!> তোফায়েল, আপনি তারেকের লেখাপড়া নিয়া প্রশ্ন তুলছেন? তার ব্যারিষ্টারি পড়া প্রায় শেষ। কয়দিন পরে টের পাইবেন সব। ওয়েষ্ট মিনিষ্টারে সেদিন একটু সেম্পল দেখাইছে কেবল।আপনি কোন বাল লেখাপড়া করছেন সারা জীবন? ছাত্রলীগের গুন্ডামি ছাড়া।
আপনিও তো সেই তোফায়েল যাদের কুপরামর্শে মজিব পচাত্তরের ২৫ জানুয়ারী একদলীয় বাকশাল জারী করেন, আর আপনি হন রাষ্ট্রপতির বিশেষ সহকারী। তারপরে রক্ষী বাহিনীর সর্দার হয়ে ৪০ হাজার যুবক হত্যা করে কিভাবে নিজের জানটা বাঁচাইলেন? জাতিকে একটু বলবেন কি? আপনার সাথে কি খোন্দকার মোশতাকের গোপন সম্পর্ক ছিল না?> এই তোফায়েল হলো সিরাজ সিকদারের একজন হত্যাকারী। পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির নেতা জনাব সিরাজ সিকদারকে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল ও মোহাম্মদ নাসিমসহ ৭জনকে আসামী করে ২০১১ সালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিরাজ সিকদার পরিষদের সভাপতি শেখ মহিউদ্দিন আহমদ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। > আপনি তো সেই তোফায়েল, যিনি ১/১১র পরে সুবিধা বুঝে মইনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার টোপে পড়ে হাসিনার বিরুদ্ধে RATS (রাজ্জাক, আমু, তোফায়েল, সুরঞ্জিত) গ্রুপের নেতা হিসাবে সংস্কারবাদী হয়ে হাসিনাকে মাইনাস করতে গিয়ে ছিটকে পড়েছিলেন ৭ বছর। তারপরে আপনার অনেক চোখের জল দেশবাসী দেখেছে টিভিতে।> দুর্নীতির মামলায় জেলখানা থেকে বাঁচার জন্য ২০০৮ সালে নিজে, বৌ, মেয়ে দিয়া চোখের পানি নাকের পানি জাতের দেখািইছিলো কে? এই কি সেই তোফায়েল?> আপনিই তো সেই তোফায়েল, যে মালিবাগ ফোর মার্ডারের খুনী শাওনকে ভোট ডাকাতি করে সংসদে যায়গা করে দিয়েছেন।> তোফায়েল সাহেব বোধ হয় জানেন না, ১৬ ডিসেম্বর দেশ শত্রুমুক্ত হলো, আর মুজিব নামে এক লোক ৬ জানুয়ারী ১৯৭২ নতুন পাকিস্তানি পাসপোর্ট বানাইয়া বাংলাদেশে নামিয়া অবৈধভাবে গদিতে বসিয়া পড়িলেন। ইহার সাথে গোলাম আযমের পার্থক্য কি? বাংলাদেশ হওয়ার পরে গোলাম আযম পাকিস্তানি পাসপোর্ট নেন, মুজিবও তাই নিয়েছিলেন! গোলাম আযম এ বিষয়ে সৎ ছিলেন, দেশে এসে বাংলাদেশী নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করে নাগরিক হন, কিন্তু হাম্বগুষ্ঠির নেতা মুজিব পাকিস্তানের নাগরিকত্ব ছাড়েন নাই, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব না নিয়েই জাতির সাথে চিট করেছেন। তথ্যের জন ডঃ কামাল হোসেনরে জিগান। হে মজিবের লগে ছিল।> তোফায়েল বাবু। তোমার মজিব বাপ তো পাকিস্তানের সংবিধান আর প্রাদেশিক পরিষদের জন্য নির্বাচিত হইছিলো। বাংলাদেশের কোন চ্যাটের বাল ছিল সে? সে তো কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতাই চায় নাই। সে সুটকেস গুছাইয়া রেডি রাখছিলো ইয়াহিয়ার মেহমানখানায় যাওয়ার জন্য। বেগম মজিব ৭২ সালে কত কথা কইলো, কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণার কথাটা জাতিরে জানাইয়া গেলো না কেনো? স্বাধীনতার ঘোষনা কি ফজিলাতুন নেছার কাছে শোয়ার চেয়েও গোপনীয় বিষয় ছিল রে। বাংলাদেশ বানাইছে জিয়া। আর সেই দেশে তোরা থাকস, হারামখোর কোনহানকার। মজিব ছিল জিল্লুর রহমানের বৌ আইভি রহমানের মজনু। আর তাই হাসিনা-রেহানা- ফজিলা কেউ দেখতে পারতো না। > মজিব অনেক বড় ব্যাটা ছিল নাকি। কিন্তু তোফায়েল তুমি তো বললে না, মজিবের নামে ডাকাতি মামলা হইছিলো। ওই ডাকাত দুর্নীতি দমন মন্ত্রী হয়েও তার নামে অবশেষে দুর্নীতির মামলা খাইলো! একটা অর্ধ শিক্ষিত, যে জানে না ৩ লাখ কি আর ৩ মিলিয়ন কি, যার বিএ পরীক্ষার খাতা লিখে দিয়েছিল অন্যজন, তাকে তুমি খেতাব দিয়েছিলা “বঙ্গবন্ধু”, অথচ তার সারা জীবন ব্যয় করেছিল পাকিস্তানের জন্য, এমনকি বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরেও “পাকিস্তান কনফেডারেশন” করতে চাইলেন ১০ জানুয়ারী ১৯৭২, পরে তাজুদ্দিনের পরামর্শে থামে সে। ৭৩ সালে সেই ”বঙ্গবন্ধু” খেতাব বাতিল করে ডাকসু। এটা ব্যবহার করা এখন অবৈধ।> পারলে তারেক রহমানের তথ্য প্রমানের জবাব দে, যদি কিছু থাকে তোদের কাছে। আর যদি সেটা না পারিস, তবে টুঙ্গিপাড়ার মাটিতে গিয়া দুইটা জুতার বাড়ি দিয়া আয়, কারন তোদেরকে কেনো এমন বিপদে ফেলাইয়া গেছে সে। এত ঝামেলা করে গেলো, অথচ তোরা একটাও জবাব দিতে পারিস না! >> তোফয়েল তুমি বলেছ, ফাঁসর রায় হইছিলো তোমার, কিন্তু বাইচ্যা গেছো। বাট জাতি জানে তুমি তোমার দলের নেতা বাবুলের বৌকে ভোগ করার জন্য বাবুলকে হত্যা করেছ। এবার বাঁচবে না, ফাঁসির দড়ি গলায় পড়বে শিওর।
বিষয়: বিবিধ
২৬৬২ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সে সাথে আশা করি 'র' এর খোদাই করা কোন টাট্টু সে পাবে না।
জাতি টি টুয়েন্টির ভীনদেশী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের চেয়ে নিঃসন্দেহে এ নাচ বিনা পয়সায় দেখে বিমোহিত হচ্ছে।
yes
এরকম পোস্ট করে তো আপনি টুমরোকে ব্যান খাওয়াবেন
ভাই আনন্দে বাঁশ হারাই পেলছী...।
তোরা কেউ তোফু বাবারে ডাইক্কা আন!বেটায়
দেহুক কিছু!
মন্তব্য করতে লগইন করুন