তারেকের টোপ গিলেছে আওয়ামী লীগ

লিখেছেন লিখেছেন মানসুর ১১ এপ্রিল, ২০১৪, ০৯:৫৩:৩৬ রাত



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান-ভাবমূর্তিকে অতীতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বড় দুই দলের ফায়দা লোটায় বর্তমান পর্ব বেশ জমে উঠেছে। দুই পক্ষ পরস্পর পরস্পরের ইজ্জত ধরে টানাটানি করায় দুই দলেরই সব গোমর ফাঁস হবার দশা।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান অত্যšত্ম পরিকল্পিতভাবে সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস-আশ্রয়ী কতগুলি বিতর্কিত ইস্যু, যে-সবের বিতর্কহীন মীমাংসার সম্ভাবনা শূন্য। এই বিতর্ক থেকে অবশ্য বিএনপি রাজনৈতিক লাভালাভের ব্যাপারে আশাবাদী- বিশেষ করে সবখানে মার খেয়ে একটি শক্ত জায়গায় দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগকে বিতর্কে টেনে আনা ও ব্য¯ত্ম রাখার প্রশ্নে। টোপে মনে হয় কাজ হয়েছে। দল হিসেবে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রই ঝাঁপিয়ে পড়েছে ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে। ইতিমধ্যে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে পাবনায়। দাহ করা হয়েছে তার কুশপুত্তলিকা। সাপ্তাহিক আজকালের গত সংখ্যায় ‘আরো তাজা বিতর্ক নিয়ে আসছে বিএনপি’ শিরোনামে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটিতে উল্লিখিত ধারণাই বা¯ত্মবতা পেলো।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি একথা বলার সপ্তাহখানেক পর তারেক রহমান আবারো নতুন বিতর্ক তুলেছেন। লন্ডনে চিকিৎসায় থাকা বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান এবার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রথম অবৈধ প্রধানমন্ত্রী। তারেকের এসব বক্তব্যে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ প্রায় সব নেতা।

অন্যদিকে, তারেক রহমানের বক্তব্যের সাথে সুর মিলিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও একই দাবি প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হয়েছেন।

জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী শিবিরে তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন তারেক। অবশ্য তিনি তার বক্তব্যের স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণপত্রও নাকি জোগাড় করেছেন। এর কিছু দিন পর গত মঙ্গলবার লন্ডনে এক সুধী সমাবেশে এর সঙ্গে এবার যুক্ত করেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ‘প্রথম অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’। তারেক রহমানের এ বক্তব্যে আওয়ামী শিবিরে আবারও তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তারেক রহমানের এসব বক্তব্যের জবাব দিতে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের তথ্যভিত্তিক জবাব দেওয়া হয়। এছাড়াও সরকারের কিছু মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন সভা-সেমিনারে তারেক রহমানের এ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।

আওয়ামী লীগের অনেক নেতা তাকে অশিক্ষিত, কুলাঙ্গার, মিথ্যাবাদী ও মূর্খ বলতেও দ্বিধা করছেন না।

‘যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে ছিল, তাদের সবাইকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমা করেন নাই’ উল্লেখ করে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাক আহমেদ জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করেছিলেন। জাতির পিতাকে হত্যা করার পর কেন জিয়াকে সেনাপ্রধান করা হলো? নিশ্চয়ই হত্যাকান্ডের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল। জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সংসদে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি সায়েম সাহেবের কাছে গিয়ে জিয়াউর রহমান বললেন, “আপনি অসুস্থ, রাষ্ট্র চালাতে পারেন না।” তখন সায়েম সাহেবের সামনে অস্ত্র রাখতেই সায়েম সাহেব বলল, “হ্যাঁ বাবা, আমি অসুস্থ।” এরপরই জিয়া ক্ষমতা দখল করেন।’

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খাটো করার জন্য তারেক রহমান আইএসআইয়ের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, তারেক রহমানের অপপ্রচারকে পাগলের প্রলাপ বলে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। তার এ মিথ্যাচার বন্ধ করতে না পারলে এটা এক সময় সত্যিতে পরিণত হবে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ব্যঙ্গ করে বলেছেন, “এক ছোকড়া বঙ্গবন্ধুর বৈধ প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করে। জিয়াউর রহমান প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে দাবি করে। যারা বঙ্গবন্ধুর প্রধানমন্ত্রিত্বের বৈধতা নিয়ে কথা বলেন, তা ভারসাম্যহীনের প্রলাপ বকা, তারছেঁড়া কথাবার্তা।” তিনি তারেক রহমানের কাছে পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ১৯৭১ সালের এপ্রিলের ১৭ তারিখের আগ পর্যšত্ম ২২ দিন জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে কী দায়িত্ব পালন করেছেন?

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড: হাছান মাহমুদ বলেছেন, হাওয়া ভবনের কর্ণধার হিসেবে জনগণ হাওয়ার মতোই তারেককে ভুলে গেছে। তাই এখন মিথ্যাচার করে মিডিয়ার আলোচনায় আসতে চান। এ ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহিতা সুখকর হবে না। তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান লন্ডনে বসে প্রায়ই বাংলাদেশের বিদ্যমান স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রাšিত্মকর বক্তব্য রাখেন। এগুলো অর্বাচীনের মতো দানবিক দাম্ভিকতা, ঔদ্ধত্য ও ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ। মূর্খতার গ্লানি ও অশিক্ষার অভিশাপ থেকে এক ধরনের বিকারগ্র¯ত্ম কথাবার্তা।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘আরে আহাম্মক! লেখাপড়া জানে না। তোর বাপ কি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিল? তোর বাপ তো আমাদেরও স্যার স্যার বলতে বলতে মুখ দিয়ে লালা বের করে ফেলত।’ তিনি বলেন, পাকি¯ত্মান একটা অকার্যকর রাষ্ট্র। তারা বাংলাদেশকেও অকার্যকর করতে চায়। গণমাধ্যমগুলোয় ফলাও করে তারেক রহমানের ভিডিও প্রচারেরও সমালোচনা করেন তোফায়েল।

তারেক রহমানের উদ্দেশ্য ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে লন্ডন থেকে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবেদনে মুনজের আহমদ চৌধুরী লিখেছেন, বিতর্ক আর বিতর্কিত ব্যক্তিদের সাথে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে চলছেন তারেক। এমনটিই দাবি লন্ডনে তারেক রহমানের ঘনিষ্টজনদের। আর এ বিষয়টির প্রচার জনপ্রিয় করে তুলতে চলছে কৌশলী প্রচারণাও। কিন্তু আসলেই কি পাল্টে গেছেন তারেক, নাকি হাঁটছেন বিতর্কের পুরনো পথেই ?

লন্ডনে দুদফায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী দাবি করে বক্তব্য দেবার পর দেশে-প্রবাসে আলোচনার টেবিলে ঘুরে ফিরে উঠে আসছে বিষয়টি। কেন এমন বিতর্ক সৃষ্টি করছেন তারেক রহমান, লক্ষবস্তু কেন শেখ মুজিব, কিংবা বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে পাশ কাটিয়ে কেবল একটি বিষয়েই মনোনিবেশ করেছেন তারেক, এমন প্রশ্নের জবাবের খোঁজে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় তারেক রহমানের সাথে। তারেক রহমান রাজনৈতিক জবাব দিয়ে প্রকাশ্য-সভায় বক্তব্য দিলেও বা¯ত্মবতা ভিন্ন। তারেক রহমানের সাথে তার লন্ডনের রাজনৈতিক কার্যালয় হয়ে ওঠা কিংস্টন লজের লবিতে নিয়মিত যাদের দেখা মেলে সেসব ঘনিষ্টজন জানিয়েছেন অন্য কথা ।

নাম না প্রকাশের শর্তে তারা বলেছেন, এবারের এক তরফা নির্বাচনের পর বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন ভুগছেন প্রচন্ড হতাশায়। মাঠে নেই কর্মীরা, নেই চোখে পড়ার মতো কোনো কর্মসূচিও। নেতারা ব্য¯ত্ম ফটো আর টকশোর রাজনীতিতে। আর বিএনপিকে যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থক শহীদ জিয়াউর রহমানকে তুচ্ছতাচ্ছিল করে সরকারি একচ্ছত্র প্রচারণার প্রভাব পড়ছে দেশের তরুণ সমাজের কাছে। যা বিএনপির ইমেজকে করছে ক্ষতিগ্র¯ত্ম’। এমন প্রেক্ষাপটে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রচার করে একদিকে দলের নেতাকর্মীদের ভাঙ্গা মনোবল চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন তারেক। অন্যদিকে জিয়াউর রহমানকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান এবং বিএনপির মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অবস্থানকে জনমনে সংহত করতে চাইছেন তিনি। তারেক রহমান মনে করছেন, বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ইতিহাসের একক কৃতিত্বের দাবিদার হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রচারণার বাঁধ ভাঙ্গতে। তিনি মনে করছেন, জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অবদান সঠিকভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারলে আগামীতে বিএনপির জনসমর্থন বাড়ানো সম্ভব হবে। ঠেকানো যাবে আওয়ামী লীগের একতরফা মুক্তিযুদ্ধের কৃতিত্বের প্রচারণা।

লন্ডনে তারেক রহমানের ঘনিষ্ট অšত্মত পাঁচজন ব্যক্তির সাথে গত দুদিনে কথা বলে জানা গেছে, গত দেড় বছর ধরে লন্ডনে তারেক রহমানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অšত্মত তিনটি বলয়। এর একটি বলয়ে আছেন কেমব্রিজ-অক্সফোর্ডের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, আরেকটিতে আছেন এক সাংবাদিক, চলচ্চিত্র প্রযোজকসহ কিছু বোদ্ধা রাজনৈতিক নেতাকর্মী। আর অপর বলয়ে আছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা। অবশ্য এদের মধ্যেও জোট সরকারের আমলে হাওয়া ভবন, এক এগারোর বিতর্কিত এবং জামায়াত ও আইএফইর সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে এমন ব্যক্তিরাও রয়েছেন। সুত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে, এদের সমন্বয়ে তারেক রহমান বিভিন্ন ছোট ছোট গ্রুপ তৈরি করে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন। গত সোমবার লন্ডনে তারেক রহমানের মতবিনিময় সভায় বঙ্গবন্ধুর যেসব দুর্লভ ফুটেজ প্রদর্শন করা হয় সেসব ফুটেজ কয়েক হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে তারেক রহমানের এসব টিমের সদস্যরাই সংগ্রহ করেছেন। আর সাম্প্রতিক এ বিতর্কে দেশ ও আšর্ত্মজাতিক মিডিয়ায় আশাতীত কাভারেজও পেয়েছেন তারেক রহমান। ইতিহাসের পাতা সামনে নিয়ে ফের উঠে এসেছেন আলোচনার কেন্দ্রে। বিষয়টি দল ও নিজের জন্যও ইতিবাচক মনে করছেন তিনি।

জানা গেছে, শেখ মুজিবের কিছু বিশেষ বক্তব্য কোট-আনকোট করে সেসব দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে প্রামাণ্যচিত্র। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী পুত্র জয়ের কিছু ভিডিও ও ফোনালাপও তারা সংগ্রহ করেছেন। এসব নিয়ে আগামী নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে প্রচারণা চালাতে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন ডকুমেন্টারি। সংগ্রহ করা হচ্ছে বিভিন্ন পেপার কাটিং, পুরনো নথি। বিভিন্ন বিষয়ে এসব টীমের সদস্যরা তথ্য-উপাত্ত আর করণীয় নির্ধারণে অবহিত করছেন তারেককে। তবে তারেক রহমানের ঘনিষ্টজনদের এসব বলয়ভিত্তিক রাজনীতিতে রয়েছে চোখে পড়ার মত পরস্পর বিরোধিতা। এক পক্ষ অপর পক্ষকে ঘায়েল করে তারেক রহমানের আরো কাছে পৌঁছুতে নিচ্ছেন নানা কৌশল। তুলছেন পরস্পরবিরোধী নানা অভিযোগও।

তারেকের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় আইনী ব্যবস্থার কথাও উঠে এসেছে। এসব বক্তব্য সংবিধান ও আইনের লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধের শামিল আখ্যা দিয়ে সরকারি দলের মন্ত্রী-এমপিরা-নেতারা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, ইতিহাস বিকৃতকারীদের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া না হলে ভবিষ্যতে জাতিকে প¯ত্মাতে হবে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ইতিহাস বিকৃত করে সংবিধান লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ করেছেন। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও দেশের স্বার্থে অবশ্যই মা-ছেলের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহীতার’ অভিযোগে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে পাবনায়। দাহ করা হয়েছে কুশপুত্তলিকা। তাতে বিতর্ক থামবে বলে মনে হয় না। আমাদের দলমন্য ইতিহাসে বিতর্কের উপাদান আছে বলেই ঘুরে-ফিরে আসে বিতর্ক। কেবল সুস্থ বিতর্কই জাতিকে সুষ্ঠু সমাধানের দিকে নিতে পারে। কিন্তু এদের কাছে তা আশা করা যায় কি? সূত্র : সাপ্তাহিক আজকাল

বিষয়: রাজনীতি

১০৬০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

206225
১১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:১৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : তারেক রহমান যা বলছেন তার পক্ষে কিছুটা হলেও প্রমান কিন্তু আছে। কিন্তু তাকে গাইল দিয়ে আওয়ামি লিগ এর বিশেষ লাভ হচ্ছে কি?
206328
১২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৪১
চোরাবালি লিখেছেন : Thinking Thinking Thinking Thinking Thinking Thinking Thinking Thinking Thinking Thinking
206844
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:৪৭
কেলিফোরনিয়া লিখেছেন : ব্রেকিং নিউজঃ তারেকের পর এবার বোমা ফাটালেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযুদ্ধা রতন।
হট নিউজঃ তারেক বঙ্গবন্ধুকে ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’ বলতে পারতো না, যদি...
• স্বাধীনতার পর বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠন করা হলে তারেক জিয়া বঙ্গবন্ধুকে ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’ বলার সুযোগ পেতেন না। শনিবার এক মতবিনিময় সভায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন এ কথা বলেছেন।
• ‘ইতিহাসের শিক্ষা হলো- যখন কোনো দেশে কোনো ধরনের বিপ্লব সংগঠিত হয়, বিপ্লব পরবর্তীতে সে বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী সকল শক্তিকে নিয়ে বিপ্লবী সরকার গঠন করা হয়।’
• ‘আমাদের দেশেও বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান থেকে ফিরে আসার পর তাকে প্রধান করে যে সকল দল ও শক্তি স্বাধীনতার বিপ্লবে অংশগ্রহণ করেছে, তাদেরকে নিয়ে বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠন করার প্রয়োজন ছিল। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে সংবিধান প্রণয়ন করে গণভোটের মাধ্যমে তা পাস করিয়ে সে সংবিধানের ভিত্তিতে সরকার গঠন করা যেতো’।
• ‘আমাদের দেশে ১৯৭২ সালে বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠনের পরিবর্তে পাকিস্তান আমলের ৭০ সালে নির্বাচিত প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদের সদস্যদের নিয়ে একদিকে কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলি গঠন করা হয়, অন্যদিকে তাদের দ্বারাই বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে আওয়ামী লীগের এককদলীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী বানানো হয়।’
• ‘এ নিয়ে তখনই প্রশ্ন উঠেছিল। বিপ্লবী জাতীয় সরকারের দাবিতে বিভিন্ন দল সোচ্চার হয়ে উঠেছিল।’
হে হে... ইতিহাস বের হয়ে আসছে... একের পর এক!! তারেক মিয়াকে এত দিন আমি রাজনীতিতে অবুঝ খোকা ভাবতাম, সে আসলেই প্রচন্ড মেধাবী রাজনৈতিক। প্রমাণীত!!
আওয়ামিলীগের চেতনায় তো আগুন জ্বালীয়ে দিলরে পাগলা!...।COLLECTED
206845
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:৪৮
কেলিফোরনিয়া লিখেছেন : চার ছক্কা হই হই , বাল উরিয়া গেল কই

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File