পহেলা বৈশাখের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা!
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের সৈনিক ২ ১৪ এপ্রিল, ২০১৪, ১০:৫২:১০ সকাল
সালাম,শুভ নববর্ষ,
আজকে ফজরে নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠেই কানে আসল গানের আওয়াজ। কি আবেগ যুবকদের। এরকম প্রতিদিন উঠে নামাজ পড়ত যদি দেশটা এক বছরেই অন্যরকম হয়ে যেত।কাল সন্ধ্যা থেকেই মাইকে লাউডস্পিকার এ হিন্দি গান শুরু হয়।আজ শুধু মনে পড়ছে ছোটবেলার নববর্ষ কে।আমাদের ভাবা উচিৎ, যে গরীবের নুন আনতে পান্তা ফুরায়, ইলিশ তো স্বপ্ন ছিল। যারা শুধুমাত্র ১লা বৈশাখে (বছরে ১ দিন) পান্তা খেয়ে বাঙালিয়ানা দেখায় তাদেরকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন ? তারা কি মনে প্রাণে বাঙালি, নাকি যারা পান্তা খায় প্রায়ঃশই (গ্রামের কৃষক পরিবার) তাদেরকে উপহাসের মহোৎসব?
কোনো কালে আমাদের দাদীরা, মায়েরা ঢোল, একতারা, কুলা মার্কা নতুন শাড়ী পরেছিল কি? যেখানে ঈদেও নতুন শাড়ী জুটত না। নানা রকম মুখোশ,মুর্তি নিয়ে মঙ্গলশোভাযাত্রা নামে অমঙ্গলের যাত্রা কোনো কালের বাংলা সংস্কৃতিতে ছিল কি? আমরা কথায় কথায় বলি আমরা আগে বাঙালী পড়ে মুসলমান। কাজেই আগে বাংলা (ভারতীয়) সংস্কৃতি পরে মুসলমানি।তাহলে যে মুসলমান (আ.ফ.খান সিরাজি)বাংলা ক্যালেন্ডার এর প্রবর্তক, তার করা ক্যালেন্ডার দেখে নববর্ষ পালন করছি কেন? মাতলামির সীমা থাকা উচিৎ আমাদের। এক মনিষীর কথা মনে পড়ল তিনি বলেছিলেন আমরা যা তাই আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের যা আছে সেটা সভ্যতা। আমি বলি আমাদের যা ছিল সেটাই ছিল সংস্কৃতি, এখন যেটা করি সেটা অপসংস্কৃতি। তাইত এত নেচে গেয়ে বৈশাখকে ডাকি। কিন্তু সে (কালবৈশাখী) এসেই সবকিছু ভাংচুর শুরু করে দেয়। কারন সে বলতে চায় যে,এসব ঠিক না।
বিষয়: বিবিধ
১৩০১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন