নববী প্রেমের বিরল দৃষ্টান্ত-৪
লিখেছেন লিখেছেন আল ইমরান ২৬ জুলাই, ২০১৬, ১১:৫২:২৩ রাত
কুদরতের ফয়সালা হল। এত দুঃখ দুর্দশা, লাঞ্চনা বাঞ্চনা আর সহ্য হয় না। ইতিপূর্বে সকল মুসলমান মদিনা চলে গেলেন চুপিসারে। অক্ষমরা ব্যতীত। এটা কোরেশের চোখে পড়ল। এখন তাদের চিন্তা মুহাম্মাদ সা. যেতে পারলে তাদের সব ভাণ্ডামি নস্যাৎ হয়ে যাবে। বাপ দাদার ধর্ম ধুলোয় মিশে যাবে। তাদের চিরাচরিত ফন্দিতে বসল। আবু জাহেলের কূটচাল গৃহীত হল। কোরেশ যুবকদল রাসুল সা. এর ঘরের আশেপাশে। বিচক্ষণতা মুহূর্ত পার করছে। কুদরতের ইচ্ছায় সবকিছু হয়। সেই আল্লাহই তো তাঁর সাথে।
আলী রা.কে তাঁর বিছানায় শুইয়ে দিলেন। আদেশ ছিল সবার আমানত দিয়ে পরে আসবে তুমি। নিঃসংকোচে কম্বল মুড়ি দিলেন। বাতলানো দোয়া পড়ে বালি নিক্ষেপ করলেন। চোখ থেকেও তারা অন্ধ হয়ে গেল। গেলেন আবুবকর রা.এর ঘরে, তিনি আগে থেকে প্রস্তুত। দু'জন রাতের আঁধারে মদিনার পথে চললেন। সাথী আল্লাহ তায়ালা।
কোরেশদের আর দেরি সহ্য হয় না। কম্বল খুলে দেখলেন এ যে আলী রা.! মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। উদভ্রান্ত হয়ে খুঁজতে লাগল তাঁকে। লোভাতুর পুরস্কার ঘোষিত হল। এবার দিকভ্রান্ত হল। পদচিহ্ন ধরে গারে সাওরের নিকটে গেল চক্ষু আর ভিতরে গেল না। পুরাতন ভেবে নিরীক্ষণ করল না। তিনদিন অবস্থানেরর পর বিপদআপদ মাথায় নিয়ে আবারো পথ চললো। অনেক কড়াই উতরে তিনি আর সাথী পৌঁছলেন মদিনায়।
মদিনাবাসির অপেক্ষার প্রহর শেষ হল। তারা গেয়ে উঠল সম্ভাষণ গীত। এমন সুর আর কখনো বাজেনি তাঁদের কণ্ঠে। সবার মুখে তৃপ্তির ছাপ। মনের আকুতি রাসুল সা. যদি আমার ঘরের মেহমান হতেন। তিনি মধুর ভাষায় বললেন আমার উটকে ছেড়ে দিন। সে আদিষ্ট, যে ঘরে থামবে সেখানে অবস্থান করবো মেহমান সবার। প্রাপ্তির খুশিতে মদিনা টইটম্বুর। যখন যে আদেশ তা সবার জন্য সব শীরধার্য।
আস্তে আস্তে ইসলামবৃক্ষ শাখাপ্রশাখায় মহীরুহ হল। এখন তাঁদের উপর কথা বলে এমন কে আছে! ঈমানের বলে বলিয়ান, শান্তিতে সাংগ্রামে দৃঢ় প্রত্যয়। কখনো সংখ্যায় ক্ষুদ্র হলে ঈমানি তাজাল্লিতে বেশি। আবার কখনো সৈন্য সেনায়ও তাঁরাও কম নয়। দিক্বিদিকে তাঁদের অস্তিত্বের স্বীকার।
চলবে...
বিষয়: বিবিধ
১১০০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন