নববী প্রেমের বিরল দৃষ্টান্ত-৩

লিখেছেন লিখেছেন আল ইমরান ২৫ জুলাই, ২০১৬, ১২:৩২:৫৪ দুপুর

মরু আরবের তপ্ত বালুকণা থেকে জমজমের শীতল পানি কিছুই আকৃষ্ট করে না তাঁকে। দুনিয়ার জৌলুশ আর চাকচিক্য কিছুই মাতায় না তাঁকে। কোরেশের আত্ম গৌরবে আর গোত্র কলহতে তিনি নিমজ্জিত নন। তিনি ধ্যানে মগ্ন থাকেন। সূর্য কে উঠায় আবার অস্তমিত করেন কে! কার ইশারায় ধরার বুকে সব কিছু ঘটে। হেরায় তিনি থাকেন উম্মতের চিন্তা-ফিকির নিয়ে। গুণবতী খাদিজা স্বামীর খোঁজ-খবর নেন যথাসময়ে। এতে কোন ত্রুটি নেই।

শুভক্ষণে গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়ে এলেন জিবরীল। এ বাণীরর জন্য তিনি মনোনীত। তাঁকে অনেক অগ্নি পরিক্ষা দিতে হয়েছে এর জন্য। জিবরাইল বললেন "পড়ুন সে প্রভুর নামে, যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন"। এলেন প্রিয়তম স্ত্রীর কাছে। বললেন সবিস্তারে, বিনা বাক্যব্যয়ে মেনে নিলেন তিনি। পেলেন নবুয়তির গুরুদায়িত্ব। শুরু হলো দাওয়াতি কার্যক্রম। নিরিবিলি চললো কিছুদিন।

এ কর্মশালা কুফরেব ভীত নাড়িয়ে দিচ্ছে। তাওহীদের ডাকে আত্মাকে প্রশান্ত করছে অনেক হৃদয়। কোরেশের কুদৃষ্টি পড়ল সে দিকে। কোন ছলচাতুরী, হুমকি-ধমকি, লোভ-লালসায় কোনো কাজে আসল না। চাচা আবু তালিব দৃঢ়প্রত্যয়ে সহযোগিতা করলেন ভাতিজাকে। তিনি দাওয়াতকে আরো প্রসারিত করলেন। আল্লাহ খাঁটি সোনাকে আবারো কষ্টিপাথরে ঘষা দিলেন। নিয়ে গেলেন প্রেয়সী খাদিজা ও দয়ারপরশ প্রিয় চাচাকেও।

ক্ষত উপর আরো ক্ষত। কোরেশ তাঁকে আর থাকতে দিচ্ছে না স্মৃতির মক্কায়। চলে গেলেন দূর তায়েফে। তাঁরাওতো বুজিনি সম্মানিত মেহমানের কদর। জখম করল সেই বদন। যেখানে মশা বসা ছিল হারাম। তিনি বদদোয়া করেননি। দুর্ভগা ভারতমাতা তোমার ললাটে জোটেনি সেই পবিত্র ধুলি। তোমার বক্ষে পদাচারণ করনি সেই মহামানব। সেই কথাই বলেছেন লেখক বারবার আর অনুবাদক আবু তাহের মিছবাহ সাহেব বহুবার তুলে ধরতে চেয়েছেন। বলেছেন লেখকের পূর্ণ আবেগ হয়ত আমার কলমে আসবে না।

ফিরে এলেন মক্কায়। ভাবছেন হয়ত মক্কা এবার আমায় হতাশ করবে না। বাপ-চাচা, দাদা নেই তাতে কি হইছে? এবার তারা আমার কথা শুনবে, আমার ডাকে সাড়া দিবে। পাশে দাঁড়ালেন মুতইম। বললেন আমি আছি তোমার পাশে। নিরাশ্রয়কে আশ্রয় দিলেন। কিন্তু না সেই হৃদয় মোহরাঙ্কিত। আর কিছু দিল দীর্ঘ প্রতিক্ষা আছে একটু ইশারার। নিয়ে যাবেন তাঁদের ইয়াসরিবে। আপন করে রাখবেন চিরজীবন। এখন কুদরতের অপেক্ষা।

চলবে...

বিষয়: বিবিধ

১২৯৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

375229
২৫ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০২:৩৮
কুয়েত থেকে লিখেছেন : এ কর্মশালা কুফরেব ভীত নাড়িয়ে দিচ্ছে। তাওহীদের ডাকে আত্মাকে প্রশান্ত করছে অনেক হৃদয়। ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
375244
২৫ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩১
আল ইমরান লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ।
সুন্দরের প্রতি দৃষ্টি দেয়ার জন্য।
375247
২৫ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু সুহৃদ শ্রদ্ধেয় ভাইয়া।

খুব ভাল লাগলো। সাথে থাকার সদিচ্ছা থাকবে ইনশাল্লাহ।

জাজাকাল্লাহু খাইর।
375276
২৫ জুলাই ২০১৬ রাত ১১:২৪
আল ইমরান লিখেছেন : বড়দের সু-নজর ছোটদের পথ দেখায়।
ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File