নববী প্রেমের বিরল দৃষ্টান্ত
লিখেছেন লিখেছেন আল ইমরান ২১ জুলাই, ২০১৬, ১২:০২:৩৯ দুপুর
তোমাকে ভালোবাসি হে নবী বইটির নাম। লেখক গুরুদত্ত সিং। বই আর লেখকের নাম দেখে যে কেও চমকে যাবে। কিন্তু থমকে দাঁড়াবে না। দেখবে কি আছে ভিতরে। এই কারণে আমার বুকসেল্ফ থেকে মাঝে মাঝে উদাও হয়ে যায়।
কত দরদ নিয়ে বইটি লেখছেন লেখক, কেবল পড়লেই অনুধাবন করা যায়। তাঁর ব্যথায় ব্যথিত হয়ে অশ্রু সংবরণ অসাধ্য হয়ে পড়ে। এমন দরদি দিল খালি হাতে যাবার কথা নয়। কিন্তু আবু তালিবও তো রিক্ত হস্ত! তবুও ভালোর আশাবাদি। নবীজন্মের আগে থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কোন অধ্যায় বাদ যায়নি লেখকের কলম থেকে।
পেশায় একজন এডভোকেট, বার এট ল' লাহোর হাইকোর্ট। বইটি পড়ে মনে হবে সারা জীবন তিনি এটাই সাধনা করেছেন। পরতে পরতে কত আবেগ-উচ্ছ্বাস, অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। মরু আরবের সাথে ঈর্ষা করেছেন বহুবার। ভারতমাতাকে দুঃখির তিলক লাগিয়েছেন বারবার কেন তার গর্ভে জন্ম নেয়নি। নিজের কষ্ট সংবরণ করতে চেয়েছেন। হয়ত পরেননি। পারার কথাও নয়। এমন দুলাল কি সবার ঘরে আসে?
এতিম হয়ে জন্ম নেয়া, বাবার কবর দেখতে এসে মাকে হারানো। শোকের উপর মহাশোক। এর সান্ত্বনা কোনো যবানে এখনো উচ্চারিত হয়নি। বুঝতে শিখার আগেই হারানের ব্যথা। পিতা-মাতাহীন পৌত্রের শোকে দাদা আব্দুল মুত্তালিব কাতর বিহ্বল। ভাষা হারানোর উপক্রম। বৃদ্ধ বয়সে আর যেন সইতে পারেন না। ভেবে ভেবে দিশেহারা।
চলবে...
বিষয়: বিবিধ
২০১৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক ভালো লাগলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
সাথে থাকুন আবারো আসবো...
মন্তব্য করতে লগইন করুন