একজন নীলা ও আ-লীগে মহিলাদের সম্মান
লিখেছেন লিখেছেন সত্য কন্ঠ ১৪ মে, ২০১৪, ০২:৩৭:০০ দুপুর
নূর হোসেন এখন পাব্লিক এনিমি নাম্বার ওয়ান। তাই নীলার মতো মেয়েরা, যারা এতোদিন নূর হোসেনের রক্ষিতা হয়ে ছিল, তারাও আজ তার নামে বদনাম করছে। অথচ এই একই নূর হোসেনের সাথে ভারতে ভ্রমন, শেরাটনে রাত্রি যাপন তো নিজ মুখেই স্বীকার করেছে নীলা। তার মানে সহজেই অনুমেয় গোপনে আর কি কি করতো তারা। ছবিগুলোতেই পরিস্কার, কিভাবে সতী সাধ্বী (!) নীলা শামীম ওসমান, নূর হোসেনদের ঘনিষ্ঠ হয়ে বাগিয়ে নিয়েছে পদ পদবী আর অর্থ।
তার জবানীতেই শুনুনঃ
নারায়নগঞ্জের ৭ মার্ডারের প্রধান অভিযুক্ত কাউন্সিলর নূর হোসেনের ‘রক্ষিতা’ বলেই নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর-সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুব মহিলা লীগের নেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি নূরের চোখে সুন্দরী; আর এটাই আমার অপরাধ। এজন্য আমার জীবন এখন অভিশপ্ত। নূর হোসেনের কুনজরে পড়ে সর্বস্বান্ত আমি। সাজানো গোছানো সংসার ভেঙেছি, প্রাণপ্রিয় স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছি। এলাকার প্রায় সবাই আমাকে নূরের স্ত্রী হিসেবে জানলেও আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক-অধিকার নেই। ”
কাউন্সিলর নীলার দাবি, নূর হোসেন ‘প্যানেল মেয়র’ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে তার ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে আমাকে চিহ্নিত করে। আমাকে প্রচারণায় নামিয়ে লবিয়িং করায়। আমি তাকে (নূরকে) ফ্রি ভোট দিলেও অন্যদের একেকটি ভোটের বিপরীতে ৫ থেকে ১৯ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিয়েছে নূর। যদিও এক ভোটের ব্যবধানে পরাজয় ঘটেছে নূরের। অথচ নূরের খপ্পরে পড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল মেয়র প্রার্থী আমার উকিল বাবা নজরুল কাকার (নিহত কাউন্সিলর নজরুল) বিপক্ষে ছিলাম।
তার অভিযোগ, সিটি করপোরেশনের ১ কোটি টাকা দরের এক ঠিকাদারি কাজ এবং ২ কোটি টাকা মূল্যের সয়াবিন মিল ও তেলের গোডাউন বিক্রির কমিশন বাবদ আমার পাওনা ছিল ৩৫ লাখ টাকা। সে টাকাও তিনি পাননি।
হোটেল শেরাটনে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রাতযাপন এবং নূর হোসেনের সঙ্গে ভারত সফর করা নীলা বলেন, “নূর কথা দিয়েছিল— সে শুধু আমাকে দেখবে; কিছু চাইবে না। এলাকার সম্পর্কে নূর হোসেনকে ‘চাচা’ ডাকতাম আমি।”
নূর ও তার সাঙ্গোপাঙ্গদের অব্যাহত হুমকি আর অপপ্রচারে নিলা এখন শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এমন দাবি করে জানান, প্যানেল মেয়র নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকেই ‘নূর চাচা’ প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ‘গা’য়ে পড়তে শুরু করে। আমার বাবা হাজী আবদুল মোতালেব, স্বামী আবু সায়েমসহ আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও সখ্য গড়ে তোলে। না চাইলেও নানা ধরনের সহযোগিতার চেষ্টা করেন। সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যাওয়ার আগে বাড়ির সামনের রাস্তায় গাড়িসহ দাঁড়িয়ে ফোন করে একসঙ্গে নিয়ে যেতেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত প্রার্থীদের সাক্ষাতের দিন পৃথক গাড়ি পাঠিয়ে আমাকে বঙ্গভবনে এনেছিল নূর। এর নেপথ্যের কারণ ছিল— আমি যেন কারো পক্ষেরই না হয়ে শুধু তার (নূরের) হয়েই থাকি।”
নির্মম ও বর্বর ৭ হত্যাকাণ্ডে পরের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাউন্সিলর নীলা বলেন, আমি তখন চিকিৎসার জন্য বাবা-মাসহ ভারতে। বিষয়টি ফোনে জেনেছি। কারা অপহরণ-খুন করেছে তা জানতে পারিনি। তবে ভারতে থাকাকালে নূর হোসেন বারবার ফোন করে আমার অবস্থান জানতে চেয়েছে। এমনকি কোথায় উঠেছি তার ঠিকানাও। এ সময় আরও বলেছে, তুমি থাক আমি আসছি। এবার ভারতে গিয়ে তোমাকে আর বাংলাদেশে আসতে দেব না। ভারতেও নূর হোসেনের ব্যাপক প্রভাব চিন্তা করে কাউকে না জানিয়ে আমি দ্রুত টিকিট কেটে ২৮ এপ্রিল দেশের উদ্দেশে রওনা দেই। এদিনও নূর তার ব্যক্তিগত ফোন থেকে আমার সঙ্গে বারবার কথা বলেছে। কারণ আমি নূরের নজরের বাইরে গেলেই অনেকটা পাগলের মতো আচরণ শুরু করত। ভাবত— আমি হয়তো কারো সঙ্গে চলে যাচ্ছি— বিয়ে করছি। সে কখনই চাইত না— আমি কারো সঙ্গে কথা বলি। হাসিখুশি থাকি। আমার ব্যক্তিস্বাধীনতা নয়; বরং পুতুল করে রাখতে চাইত সে। আমাকে সে বিয়ে করবে না আবার কাউকে বিয়েও করতে দেবে না।
আওয়ামী লীগে কি শুধু একজন নীলাই আছে ? শত শত নেতার মনোরঞ্জন করে হাজার হাজার নীলা। ঢাকার ইডেন কলেজের আওয়ামী নেত্রীরা নাকি নেতাদের রাতের মনোরঞ্জনে বাধ্য করে হলের ছাত্রীদের, সেই অভিযোগ পুরানো। অনেক মহিলা এমপিও নাকি নমিনেশন বাগায় নেতাদের শয্যাসঙ্গী হয়ে।
বিভিন্ন মন্ত্রীরা নাকি টেণ্ডার থেকে শুরু করে কাজদেন সুন্দরীদের সুপারিশে। বিনিময়ে কি নেন, তা সহজেই অনুমেয়। সচিবালয়ের ভিতরে নাকি এইসব মহিলাদের ক্ষমতা সচিবদের
থেকেও বেশী। এই মন্ত্রীদের তালিকায় আছে ওবায়দুল কাদের, তোফায়েল আহমেদ, আসাদুজ্জামান কামালসহ বাঘা বাঘা অবৈধ মন্ত্রীরা। এমনকি প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদেরও নাকি কিশোরীদের প্রতি দুর্বলতা আছে।
ইন্টারনেটে কিন্তু কুমিল্লার আওয়ামী এমপি তাজুল ইসলামের সেক্স ভিডিও, সিলেটের মেজবাহউদ্দিন সিরাজের পর্ণো ভিডিও আছে। সেগুলো কোনটাই কিন্তু তাদের স্ত্রীদের সাথে না। পরিমল, পান্না মাষ্টাররাও কিন্তু আওয়ামী ছত্রছায়ায় ছিল।
ছাত্রলীগ, যুবলীগ এদের নিয়মিত ধর্ষণ করার ঘটনাগুলো নাহয় বাদই দিলাম।
এসব ব্যাপার নিয়ে লিখতেও লজ্জা করে । কিন্তু দেশ কোথায় যাচ্ছে তার জানান দিতেই এসব নিয়ে লেখা। আপনারাই সিদ্ধান্ত নিবেন কি করা উচিত। চোখের সামনে এই অবক্ষয় সহ্য করা যায়না ...
বিষয়: রাজনীতি
১৮৬৪ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আওয়ামীলীগে যতজন মহিলা, এমপি নির্বাচিত হয়ে সংসদ হয়, তাদের সবাইকে নগদ টাকা কড়ি কি পরিমান উপহার দিতে হয় সেটা ভিন্ন কথা, তবে তাদের সবাইকে নেতাদের মনোরঞ্জনের জন্য গতর খাটতে হয় এটা শতভাগ সত্য কথা। ছাত্রলীগের ছোট নেতা, যুবলীগের পাতি নেতা থেকে শুরু করে আ্ওয়ামীলীগের জুবুথুবু বৃদ্ধ নেতাদের সাথে রঙ্গমঞ্চ করার পরেই, সিলেক্টেড হতে হয়।
থু....
লীগ মানেই জারজ!
সেটাই নাই আওয়ামি লিগের।
মন্তব্য করতে লগইন করুন