ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বলতে যা বুঝায়
লিখেছেন লিখেছেন সত্য কন্ঠ ১৩ এপ্রিল, ২০১৪, ০৩:৩৮:৪৬ দুপুর
ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বলতে যা বুঝায়:::
ইংরেজি Secular শব্দের বাংলা অনুবাদ হলো ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ। বিশ্বের প্রধান প্রধান ডিকশনারিগুলোতে ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ করা হয়েছে ধর্মহীনতা কিংবা নাস্তিকতা।
ক) বিশ্বখ্যাত Random house dictionary of English language এ Secularism এর তিনটি সংজ্ঞা উল্লেখ করা হয়েছে।
(১) Regarded as religious or spiritually sacred. যা ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিকভাবে পবিত্র বলে বিবেচিত নয়।
(২) Pertaining to or connected with a religion. যা কোন ধর্মের সাথে সম্পর্কিত নয়।
(৩) Belonging to a religious order. যা কোন ধর্ম বিশ্বাসের অন্তর্গত নয়।
খ) Webster অভিধানে Secular শব্দটির অর্থ : ধর্ম বা ধর্ম-বিশ্বাস বর্জন বা এই বিষয়ে উদাসীন থাকা।
গ) Short Oxford Dictionaryতে 'Secular' শব্দটির সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে- এমন একটি তত্ত্ব যার মূলনীতি হল, নৈতিকতার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত ইহজগতে মানুষের ভাল থাকা, এতে পরলোক বা ঈশ্বরে বিশ্বাসের কোন স্থান নেই। এই শব্দটির সাথে ধর্মহীনতা, ইহজগৎবাদ, রাষ্ট্র-ধর্ম-পৃথকীকরণ, দৈব-শক্তির পরিবর্তে মানবিক ক্ষমতায় বিশ্বাস, বি-ধর্মীয়করণ ও যুক্তিবাদী বিশ্বাস ইত্যাদি ধারণার একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে।
উল্লিখিত তিনটি ডিকশনারির বক্তব্য অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মনিরপেক্ষতা। এখন ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা প্রমাণ করুন যে, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়।
(ফেবু থেকে)
বিষয়: বিবিধ
১২৯০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমাদের দেশের বোদ্ধা পন্ডিতদের "ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ” (বা "নৈতিকতা ও শিক্ষা ধর্মকেন্দ্রিক হওয়া উচিত নয়, এই মতবাদ; ইহজাগতিকতাবাদ, ইহবাদ - বাংলা একাডেমীর ইংলিশ-বেঙ্গলী অভিধান অনুসারে) যেমন ভুল অনুবাদ তেমনি ইসলামপন্থীদের "ধর্মহীনতা” অনুবাদ-ও বাস্তবতার সাথে অসামঞ্জস্যশীল । কেননা, সেক্যুলারিজম মতবাদধারী কোনো দেশ-ই রাষ্ট্র প্রশাসন থেকে ধর্মীয় প্রভাবকে পুরোপুরি বিসর্জন দিতে পারেনি কিন্তু ব্যক্তিগত পর্যায়ে ঠিক-ই যার ইচ্ছা সে ধর্ম পালন করে - এমনকি কোনো কোনো সময়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়। যেমন, খৃষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে গুড ফ্রাই ডে, ইষ্টার ও ক্রিসমাস ডে রাষ্ট্রীয়ভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, বাইবেল ছুঁয়ে রাষ্ট্রপ্রধানদের শপথ গ্রহণ, পাদ্রীদের ভাতা প্রধান, আয়করমুক্তি, রাষ্ট্রপ্রধানদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে রোববারে গীর্জায় গমন, ধর্ম সংক্রান্ত বিষয়াদি দেখ-ভাল করার জন্য মন্ত্রণালয়, ইত্যাদি ।
একমাত্র ঐতিহাসিক পটভূমির ভিত্তিতে-ই সঠিক অর্থ নিরূপণ করা সম্ভব এবং সেটা করলে সেক্যুলারিজমের একটা লম্বাটে ধরণের অর্থ করা যায় -- আমি যেটাকে করেছি - “রাষ্ট্র-ধর্মপ্রভাবমুক্তবাদ” অর্থাৎ সকল রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন ও প্রতিষ্ঠান (অর্থাৎ জাতীয় জীবন) ধর্মীয় প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার মতবাদ যেখানে ব্যক্তিগত জীবন ধর্মীয় প্রভাবযুক্ত হওয়াকে স্বীকৃতি দেয়া হয় ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন