ভারতে বউয়ের বিনিময়ে ভোট
লিখেছেন লিখেছেন সত্য কন্ঠ ১০ এপ্রিল, ২০১৪, ০৩:৪১:১০ দুপুর
বউ দাও,ভোট নাও
------------------------------
দাদা পায়ে পড়িরে,মেলা থেকে বউ এনে দে। এ বায়না যেন এখন ভারতের হরিয়ানার ঘরে ঘরে। লিংগ বৈষম্যের যাঁতাকলে ভারতের এই রাজ্যে এখন বউ মেলা ভার। জীবন সংগী খুজতে গিয়ে এখন কালঘাম ছুটছে হরিয়ানার অবিবাহিত যুব সমাজের।হেলায় লুটচ্ছে জীবন-যৌবন।সুরাহা না পেয়ে অবশেষে ভোট বাজারে ঝুপ বুঝে কোপ মারার চেষ্টায় নেমেছেন বউ সন্ধানীরা।রাজনেতাদের কাছে 'অবিবাহিত পুরুষ সংগঠনের' একটাই আবদার বউ দাও,ভোট পাও।
কিন্তু বউ খুঁজে দেয়া কি আর মুখের কথা।ভোটের তাগিদ থাকলেও ,এই নাছোর বান্দাদের কোন ভাবেই আশ্বাসবাণী শোনা্যে পারেন নি রাজনেতারা।হরিয়ানায় প্রচার চালাতে এসে অদ্ভুত দাবির মুখে পড়ে হতবম্ভ নেতারাও।কংগ্রেস-বিজেপি বা আপ নয়,যে দলের নেতারাই এখানে আসছেন তাদেরকে ঘটক ঠাওড়াচ্ছেন অবিবাহিত পুড়ুষ সংগঠনের সদস্যরা। এহেন আবদারে ঢোক গিলছে রাজনৈতিক মহল।
হরিয়ানায় এই হাহাকারের পেছনে রয়েছে এক গুরুতর সামাজিক ব্যাধি।মধ্যযুগিয়ে বর্বরতা জাঁকিয়ে বসে রয়েছে এখানকার সামাজিক জীবনে।পুত্র সন্তানের চাহিদায় নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে কন্যাভ্রণ। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী,হরিয়ানায় প্রতি এক হাজার পুরুষে স্ত্রী ৮৭৯ জন।ফলে টনটনে যৌবনেও মিলছেনা সংগীনির দেখা।তাই ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে পৌছে দিত আপাতত এই 'গিভ এন্ড টেক' নীতির সাহায্য নিয়েছেন তারা।
কিন্তু মিলেনি কোন সদুত্তর।এই বাজারে কোন বিবাহ যোগ্য কন্যা দিতে না পেরে অনেকটা আংগুর ফল টকের মতোই মন্তব্য করছেন রাজনৈতিক নেতারা।বিবাহযোগ্য ঐ পাত্র দের এড়িয়ে যাচ্ছেন তারা। তবে কন্যাভ্রণ হত্যার কথা উঠতেই ঢোক গিলছেন।রোহতকের আইএনএলডি প্রার্থীর স্ত্রী রাধা রানী বলেন,কন্যাভ্রণ হত্যা ভোটের ইস্যু নয়।এটি একটি সামাজিক সামাজিক সমস্যা।সামাজিক সচেতনতা বাড়িয়েই এই সমস্যরা সমাধান করতে হবে।
ভোটের আগের চার হাত এক হওয়ার আশার গুড়ে পড়ে গিয়েছে বালি।তবে আশা ছাড়ছেন না তারা। আইবুড়ো ছেলেগুলোর এখনো আশা,কহি না কহি কোই হ্যায়।
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন