এবারের ফ্লপ আন্দোলন রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য একটা বড় শিক্ষা

লিখেছেন লিখেছেন সমুদ্রপার ০৬ এপ্রিল, ২০১৫, ০৮:২২:০৩ সকাল

অবৈধ সরকারের পতন না ঘটা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে থাকার ঘোষনা দিয়ে শুরু হয় বিএনপির টানা হরতাল ও অবরোধের আন্দোলন। হরতাল ও অবরোধ মুলত জনগনবিরোধী কর্মসুচী। পৃথীবির আর কোথাও এই জাতীয় কর্মসুচী নেই। অন্যান্য দেশে সরকারের বিরুদ্ধে নামতে হলে বিরোধী দল জনগনকে সাথে নিয়ে রাস্তায় নামে,জনগনের বিরুদ্ধে গিয়ে নয়।আর আমাদের দেশে হরতাল ও অবরোধের সাথে যুক্ত হয়েছে পেট্রোল বোমা দিয়ে নীরিহ জনগনকে পুড়িয়ে মারার সংস্কৃতি।আমাদের দুই রাজনৈতিক দলই এই কায়দায় ক্ষমতায় যেতে ইচ্ছুক।

আওয়ামিলীগ নিজে এই কায়দায় ক্ষমতায় গেলেও এবার এই জনবিরোধী আন্দোলন আওয়ামিলীগ সরকার অত্যন্ত কঠোরভাবে দমন করেছে। পেট্রোল বোমার সাথে যুক্ত নেতা কর্মীরা ক্রুস ফায়ারের শিকার হয়েছে, বিএনপির শীর্ষ নেতারা রিমান্ডে গেছে এবং সর্বশেষ ভয়াবহ ঘটনা হচ্ছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সালাউদ্দিনের গুম হয়ে যাওয়া।বিএনপিকে কড়া মূল্য দিতে হয়েছে এবারের এই আন্দোলনে। বিএনপির শীর্ষ নেতারা আশা করি কারাগার থেকে বেড়িয়ে ইতিবাচক রাজনীতির ওপড় জোর দেবেনএবং একক সিদ্ধান্তের যে ফলাফল তারা পেয়েছেন তা থেকে শিক্ষা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে গনতন্ত্রের চর্চার করবেন।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এবারের পেট্রোল বোমা ও নৈরাজ্যর আন্দোলন পুরোপুরি ফ্লপ মারাটা দেশীয় রাজনীতির জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক হয়েছে। হরতাল, , অবরোধ ও নীরিহ জনগনকে পুড়িয়ে মেরে ক্ষমতায় যাওয়ার রাস্তাটা পার্মানেন্টলি বন্ধ হোক এটাই জনগনের কামনা।

বিষয়: বিবিধ

১০৫৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

313211
০৬ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১০:১০
হতভাগা লিখেছেন : এসব জ্বালাও পোড়াও করেই বাংলাদেশে ক্ষমতায় যাওয়া যায় । কথা হল, এসবে দক্ষতা অর্জন করতে হয় ।



313227
০৬ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন :
হরতাল, , অবরোধ ও নীরিহ জনগনকে পুড়িয়ে মারা


কিন্তু বিচার বহির্ভূত হত্যার ব্যপারটা আপ্নারা সবসময় এড়িয়ে যান, এরকম দ্বি মুখো কান্না কেন????

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File