অভিজিত হত্যাকান্ডের বিচার এখন অভিজিতের স্ত্রী বন্যার ওপর নির্ভরশীল

লিখেছেন লিখেছেন সমুদ্রপার ২১ মার্চ, ২০১৫, ০৭:১৬:১৪ সকাল

কি ভয়ঙ্করএক রাস্ট্রের এক নাগরিক আমরা! পুত্রশোকে কাতর এক পিতাকে পুত্র হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে নামতে হচ্ছে গোয়েন্দার ভুমিকায়। আমাদের ট্যক্সের টাকায় পুলিশ বাহিনীকে বেতন দেয়া হয়। আর সেই পুলিশ রাস্ট্রের এক নাগরিকের চোখের সামনে মার্ডার গালে হাত দিয়ে চেয়ে চেয়ে দেখে। আর আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা হত্যাকান্ডের পর কোথাকার এক অচেনা ভুইফোর সংগঠনের ওপর দায় চাপায়।

গতকাল অভিজিতের বৃদ্ধ বাবা সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন যে, তিনি নিজস্ব কায়দায় অনুসন্ধান চালিয়েছেন এবং পুলিশকে জানিয়েছেন তার সন্দেহের কথা। কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে যে পুলিশ তার কথা একেবারেই আমলে নেয়নি, যে কারনে সংবাদ সম্মেলন করে তাকে মিডিয়ার কাছে তার সন্দেহের কথা জানাতে হয়েছে। পুত্র হারানো প্রবীন এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছেলে হত্যার বিচার চান , যেকারনে নিজের জানের পরোয়াও তিনি আর করছেন না বোঝা যায়।গতকাল স্যার অজয় রায়ের বক্তব্যর পরপর আজ আবার আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কোথাকার কোন আন্সারুল্লাহ টিমেকে অভিজিত হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত করে মিডিয়াকে তথ্য সরবরাহ করে বুঝিয়ে দিয়েছে যে এই ব্যপারে আর কোন রকম রিপোর্ট কাম্য নয়।

অভিজিত হত্যাকান্ডের বিচার এখন মুলত নির্ভর করছে অভিজিতে স্ত্রী বন্যার ওপর। বন্যা একজন আমেরিকান নাগরিক। দেশে যেখানে অভিজিতের পিতা নিজের ও পরিবারের বিপদের তোয়াক্কা না করে পুত্র হত্যার বিচার চাইতে রাস্তায় নেমেছেন, সে ক্ষেত্রে বন্যার পুরোপুরি নিশ্চুপ ভুমিকা পুরোপুরি অনভিপ্রেত। বন্যা এই হত্যাকান্ডের মুল প্রত্যক্ষদর্শী। সুতরাং তিনিই সবচেয়ে ভাল বলতে পারবেন পুলিশের ভুমিকা ও অজয় রায়ের সন্দেহের তীর ছোড়া সেই রহস্যময় বৈঠক সম্পর্কে। আমেরিকায় তিনি এফবিআইয়ের কাছে সব তথ্য সরবরাহ করে সুবিচারের দাবী জানাতে পারেন। প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন।একটি নিরাপদ ও প্রকৃত গনতান্ত্রিক দেশে বসবাস করেও যদি বন্যা নায্য বিচার না চান , তবে অভিজিত হত্যাকান্ড যে দেশের আর দশটা হত্যাকান্ডের ভীড়ে হারিয়ে যাবে তা বলাই বাহুল্য।

বিষয়: বিবিধ

১১৫৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

310206
২১ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৮:৪৫
সমুদ্রপার লিখেছেন : প্রিয় ডট কমে বুয়েটের প্রফেসর ফারসীম মান্নানের বক্তব্য পড়ে বেশ দুঃখ বোধ করলাম। অজর স্যারের সন্দেহ জাগতেই পারে অভিজতের অংশগ্রহন করা সর্বশেষ বৈঠকটিকে ঘিরে। কিন্তু পুলিশের অনিরপেক্ষ ভুমিকার কারনে এখন ফারসীম মান্নান ভয়ানক এক কিবোর্ড ষঢ়যন্ত্রের শিকার হতে চলেছেন। পুলিশ যেহেতু এই কেসের নিরপেক্ষ তদন্ত করছে না, তাই অযাচিত সন্দেহের কারনে সামাজিকও মানসিক নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছে ফারসীম পরিবার। এর চাইতে ডিবিতে নিয়ে ফারসীম মান্নানকে জিজ্ঞাষাবাদ করলেও আমার মনে হয় অনেক ভাল বোধ করতেন তিনি।জনাব ফারসীমের বলেছেন এদেশে প্রধান্মন্ত্রী বা তার পরিবারকে ব্যঙ্গ করে ফেসবুক স্ট্যটাস দিলেও জেল জড়িমানা হয়, অথচ পুলিশের সামনে নাগরিকের প্রকাশ্য হত্যাকান্ড ঘটলে তার বিচার হয় না।

কেন এদেশে হত্যা বা গুমের বিচার হয়না তা আমরা সবাই জানি ।কিন্তু আমাদের আসলে সেই সৎসাহস নেই এর বিরোধিতা করা।
310207
২১ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৯:১৯
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : কেন? অভিজিৎ হত্যার পরপরই অজয় রায়তো বলেই দিয়েছেন, তার ছেলেকে জামাতের লোকেরা মেরেছে,এখন জামাত শিবির কে শাস্তি দিলেই পারে!

অজয়রায় অভিজিতের বাবা, বাবাসুলভ একটা প্রচণ্ড টান তার সব সময় থাকবে, থাকা উচিত, কিন্তু বন্যার থাকা জরুরী নয়! অভিজিতের সাথে বিয়ে হওয়ার আগেই বনার ৬বছরের একটা মেয়ে ছিল, প্রথম স্বামীকে সব ভালবাসা বিলিয়ে দেবার পর যৎসামান্য যা ছিল, তা অভিজিৎ কে দিয়েছে। তাই বন্যার খুব আগ্রহ না থাকাই স্বাভাবিক

বন্যার নিরবতা রহস্যজনক সত্যি, কিন্তু সে যদি ষড়যন্ত্রের অংশ হয়ে থাকে, তাহলে সে নিজেও মার কেহেয় রক্তাক্ত হল, এইটা কোন দৃষ্টিতে দেখব?
310217
২১ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
সমুদ্রপার লিখেছেন : জামাত এবং মৌলবাদের ঘারে দোষ চাপিয়ে কারা গুম, খুন করে তা আজ আর কারো অজানা নয়। কিন্তু আমরা যদি এর বিরুদ্ধে রুখে না দাড়াই তবে এটাই চলতে থাকবে। থামাবার উদ্যোগ আমাদেরই নিতে হবে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File