অভিজিতের বাবার সন্দেহের তীর সচলায়তন ব্লগের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্লগারের দিকে

লিখেছেন লিখেছেন সমুদ্রপার ১৪ মার্চ, ২০১৫, ০৩:৫৫:৩১ দুপুর

যখন কোন হত্যাকান্ড ঘটে তখন সাধারনত স্পটে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী এবং হত্যাকান্ডে শিকার হওয়া ব্যক্তি যাদের সাথে শেষ মুহুর্তগুলো কাটিয়েছেন তাদেরকেই সর্বপ্রথমে জিজ্ঞাষাবাদ করা হয়। অভিজিত হত্যাকান্ডে সেসব কিছুতো করা হয়ইনি উপরন্ত ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত ফারাবিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিজিত হত্যাকান্ডের মুল প্রত্যক্ষদর্শী অভিজিতের স্ত্রী বর্তমানে সুস্থ এবং তিনি জানিয়েছেন যে হত্যাকান্ডের পুর্বে যে বৈঠকে তারা ছিলেন তাদেরকেই তার প্রথম সন্দেহ। অভিজিতের বাবা সাংবাদিকদের স্পষ্ট তাদের এই সন্দেহের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু এরপরও এখন পর্যন্ত সেই বৈঠকের কাউকেই যারা অভিজিতের মৃত্যুর কয়েক মিনিট আগেও তার সাথে ছিল তাদের কাউকেই জিজ্ঞাষাবাদ করা হয়নি।হতে পারে তারা কিছু জানে না। কিন্তু যেহেতু তারা অভিজিতের সাথে ছিল এবং বন্যা যেহেতু তাদের দিকেই সন্দেহের তীর ছুরেছেন সেক্ষেত্রে তাদের জিজ্ঞাষাবাদ না করার রহস্য কি?

পুল্লিশের নিস্ক্রিয়তা নিয়ে অনেক আগেই প্রশ্ন উঠেছে। এখন প্রশ্ন উঠছে এই বৈঠকে উপস্থিত ব্লগারদের কেন প্রটেকশন দেয়া হচ্ছে?

বিষয়: বিবিধ

১৩৩২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

308886
১৪ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:০৭
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : কেন অভিজিতের বাবাতো জামাত কে প্রথম বলীর পাঠা বানাতে চেয়েছে এখন সন্দেহ অন্য কারো দিকে কেন যদি জামাতই হত্যা করে থাকবে?
308902
১৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:০১
সজল আহমেদ লিখেছেন : সালাহ্ উদ্দিন @স্যার অজয় রায়ের জামাতকে দায়ী করা শুধুমাত্র এই হত্যায় আ.লীগ এর রাজনৈতিক এসাইলাম পাওয়ার এক বুক আশা এর বাইরে অন্য কিছু নয় বলে আমার ধারনা ।তাছাড়া প্রমাণ হীন ভাবে কাউকে দায়ী করা 'অন্ধের হাতি ডিসকোর্স ' বৈ অন্য কিছু না ।
লেখক ঠিকই বলেছেন ,প্রথমে হত্যার ২মিনিট আগে তার সাথে সঙ্গ দেয়া সেই বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত্‍ ছিল ।
308920
১৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:৫২
সমুদ্রপার লিখেছেন : অভিজিতের মুক্তমনা ব্লগের কথাতো নতুন কিছু না। তার সাথে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীদের মতবিরোধ চলত। শুধু তাই নয় ফারাবি ও আরো কিছু উগ্রপন্থীরা তাকে যে হুমকি দিত তাও মিথ্যা না। সুতরাং অভিজিত হত্যাকান্ডে সর্বপ্রথম সন্দেহের তীর উগ্রপন্থীদের দিকেই যাবে এটাই স্বাভাবিক।অজয় স্যারও স্বাভাবিক ভাবেই প্রাথমিকভাবে তার সেই সন্দেহের কথাই জানিয়েছেন। যারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তারাতো এই সুযোগটাই নিতে চেয়েছে। কিন্তু এখনতো ঘটনা বোঝা যাচ্ছে পুরাই অন্যরকম। পুলিশের নিস্ক্রিয়তা, সন্দেহভাজন্দের জিজ্ঞাসাবাদ না করাটা আরেক সাগর রুনী কেসের দিকেই নির্দেশ করছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File