সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত খুনী গ্রেফতার হোক এটাই কাম্য
লিখেছেন লিখেছেন সমুদ্রপার ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৭:৩৮:৫৪ সন্ধ্যা
ব্লগার অভিজিৎ হত্যাকান্ডের পর জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বলা হচ্ছে, বইমেলায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে এর নিরাপত্তা ঘেরা । চারিদিকে র্যাব , পুলিশ ও বিজিবির আনাগোনা । সাথে আছে সিভিল পোষাকে গোয়েন্দা কর্মকর্তা ।
শাহাবাগ থেকে প্রথম চেকিং শুরু , দ্বিতীয় চেকিং হয় টি এস সির মোরে , তৃতীয় চেকিং বইমেলার গেইটে ।
অন্যদিকে জাতীয় ঈদগাহের সামনে প্রথম চেকিং , দ্বিতীয়টা দোয়েল চত্তরের মোরে তৃতীয় চেকিং বইমেলার গেইটে । এই রাস্তা গুলাতে প্রতি ২ হাত অন্তর অন্তর প্রায় ১০-১২ জন করে পুলিশ , র্যাব ও বিজিবির সদস্য মোতায়েন করা । সাধারনত হাতে বেগ থাকলেই সেই ব্যাগ চেকিং হয় মিনিমাম দুই জায়গায় ।আর সাথে অস্ত্র নেওয়া তো দুরের কথা ।তাও আবার চাপাতি!
সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যপার হচ্ছে এইরকম জনবহুল একটি স্থানে খুন করে পালিয়ে যাওয়াটা।হাজার হাজার প্রত্যক্ষদর্শির সামনে থেকে খুনীদের গায়েব হয়ে যাওয়াটাই সবচেয়ে বেশী আশ্চর্যকর ঠেকছে।চ্যানেল আইয়ে দেখলাম সাংবাদিকদের এই প্রশ্নটাই করছে বিশিষ্ট জনেরা।
২৪ ঘন্টা গত হয়েছে এখন পর্যন্ত কেউই গ্রেফতার হয়নি, কিন্ত আমাদের দুই মন্ত্রী মহোদয় তদন্তের আগেই বলে ফেললেন যে মান্না খোকার ফোনালাপের রেশ ধরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় লাশ ফেলা হয়েছে!
সাধারন জনগন এই ধরনের অসংখ্য মন্তব্য করতেই পারে। কিন্তু ক্ষমতাসীন মন্ত্রীরা কিভাবে এ ধরনের মন্তব্য করে? যাদের কাজ রাস্ট্রের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা, অপরাধীদের খুজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা , তারা সেসবের ধারে কাছে না গিয়ে অতি উৎসাহী জনগনের মত মন্তব্য করে চলেছে সভা সমাবেশে!
ব্লগার অভিজিত যে মতই পোষন করুক না কেন সেটা তার বাকস্বাধীনতা। মতের বিরুদ্ধে গেছে বলেই যদি তাকে খুন করা হয়ে থাকে তবে সেই ঘৃন্য খুনীদের বিচার করা হোক। কিন্তু এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে যদি অন্য কেউ এই ঘৃন্য ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবে তাও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসুক এই কামনাই করি।
বিষয়: বিবিধ
১১৫৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন