শহীদ ডাঃ মিলন আর শহীদ নূর হোসেন –এর ‘দল’ আওয়ামী লীগের হাতে আজ গণতন্ত্রের শবযাত্রা
লিখেছেন লিখেছেন শেহজাদ আমান ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০৬:৩৩:৫৪ সন্ধ্যা
"রক্ত আমার এখন পথে মুছে যায় নি
জনতার স্রোত মন্থর হয়ে থেমে থাকেনি
রক্ত আমার জ্বলছে বিষের আগুনে
চারিদিক আজ প্রতিহিংসার আগুনে
আমি প্রতিশোধ নেব এবার।
ও গো মা তুমি কেদো না
মিলনের রক্তে আমি
হটিয়েছি স্বৈরাচারী
উড়িয়েছি স্বাধীনতার পতাকা"
উপরের গানের কলিগুলো প্রমিথিউস ব্যান্ডের ‘মিলনের রক্ত’ গান থেকে নেয়া। খুব ছোট থাকতে আমাদেরই এক বড় ভাইয়ের কাছ থেকে প্রমিথিউস ব্যান্ডের এলবাম নিয়ে যে গানগুলো শুনেছিলাম, তার মধ্যে এই গানটি নিঃসন্দেহে আমার হৃদয় ছুয়ে গিয়েছিল। শহীদ ডাঃ মিলনের আত্মোৎসর্গতা নিয়ে রচিত গানটি আজও আমি যখন শুনি, তখনও আমার রক্তেই এক অন্যরকম শিহরণ অনুভব করি।
http://www.youtube.com/watch?v=VMsldGhjLK8&feature=player_embedded
আসলে, শহীদ ডা: মিলন, শহীদ নূর হোসেন বা শহীদ রাউফুন বসুনিয়াকে নিয়ে গান, সাহিত্য, বা ভিডিও যাই তৈরি করা হোকনা কেন, সেটা আমাদের রক্তে আলোড়ন তোলে। আমরা বুঝতে পারি ১৯৯০-এর দশকে গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষকে কতটা সংগ্রাম করতে হয়েছে, কতটা আত্মত্যাগ তাদের ছিল। আমরা বুঝতে পারি সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে যে গণতন্ত্রকে আমরা পেয়েছি, তার মূল্য কতখানি! তাদের আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রাণিত করে রাস্ট্রকতৃক জনগণের উপর আরোপিত যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে।
কিছুদিন আগেই ১০ই নভেম্বর ছিল শহীদ নূর হোসেনের প্রয়াণ দিবস। আজ ২৭ শে নভেম্বর ডাঃ মিলনের শহীদ দিবস। কিন্তু, আজ ২৭শে নভেম্বর ২০১৪, শহীদ ডা: শামসুজ্জামান মিলনের ২৪ তম শহীদ দিবসে আজ আমরা কি দেখছি...?
৯০-এর দশক গেল, ২০০০-এর দশক গেল, ২০১০-এর দশকও আসলো। গণতন্ত্রের অভিযাত্রা ব্যহত হয়ে গেলেও তা হারিয়ে যায়নি বা তার অস্তিত্ব হুমকীর সম্মুখীন এতদিন হয়নি।
কিন্তু, ২০১৩ পেরিয়ে আজ ২০১৪; আর আজ কিনা গণতন্ত্রের অস্তিত্ব হুমকীর মুখে, গণতন্ত্র আজ হয়ে উঠেছে ‘গণতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র’, আর কি আশ্চর্য – সেটি শহীদ নূর হোসেন আর শহীদ ডাঃ মিলন, যে দল করতেন, সেই আওয়ামী লীগের হাতে...!
আওয়ামী সরকারের গুম,খুন, দমন-নিপিড়ন, হামলা-মামলার অনিঃশেষ ভান্ডারের কাছে দেশের গনতন্ত্র আজ অসহায় – যেভাবে ২৫শে মার্চ ১৯৭১-এ দেশের স্বাধীনতার দাবি হয়ে পড়েছিল অসহায়...।
(২)
আওয়ামী লীগ অনেক আগে থেকেই এক ফ্যাসিস্ট আর স্বৈরাচার রাজনৈতিক দল। তারা নিজেদের স্বার্থে পারেনা এমন কোন কাজ নেই। তারা নিজের স্বার্থে গতকালের শত্রুর সাথে আজ গলাগলি করতে পারে, আবার আজকের পুরাতন বন্ধুকে বানিয়ে দিতে পারে শত্রুও । তারা যেমন নিজ প্রয়োজনে সন্তান জন্ম দিতে পারে, নিজের প্রয়োজনে সেই সন্তানকে খুন করতে।
এই এরাই দেশকে স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে ; এরাই আবার স্বাধীনতার পর দেশের মানুষকে স্বাধীনতা, আইনের শাসন আর গণতন্ত্রের আস্বাদ দেয়ার বদলে লুটপাট, দুর্নীতি, ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতন্ত্র উপহার দিয়েছিল দেশের মানুষকে। মুক্তিযুদ্ধের পর আওয়ামী লীগের কোন প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলনা জনপ্রিয়তার দিক থেকে। তারপরও, ১৯৭৩-এ নির্বাচনে যে বিপুল পরিমাণে ভোট লুটপাট আর কারচুপিতে লিপ্ত ছিল, সেটাতো ইতিহাস দ্বারাই প্রমাণিত।
সেটা করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি নিজেদের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে তারা যে বাকশাল করে সব রাজনৈতিক দল, ৪টি ছাড়া সব সংবাদপত্র নিষিদ্ধ, এবং সভা-সমাবেশের মত গণতান্ত্রিক সব অধিকারের প্রতি বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল, তাও কারও অজানা নয়।
তাদের হাতে নিহত হয়েছিল শত শত বিরোধী নেতাকর্মী, জেল-জুলুম-জরিমানার শিকার হয়েছিল হাজার-হাজার মানুষ। এসবই ইতিহাস দ্বারা প্রমাণিত; যদিও আওয়ামী লীগের অন্ধ সমর্থকেরা সেটা সেসব স্বীকার করতে চান না কখনোই।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের ভুল পথে চলা শুরু হয়েছিল আওয়ামী লীগের হাত ধরেই। কিন্তু, আওয়ামী লীগার এবং সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবিরাও সবসময় একটা টার্ম ব্যবহার করেন – “৭৫ ও তার পরে...” । আসলে তারা অন্ধ, জ্ঞানপাপী এবং সত্যের অপলাপকারী। স্বাধীন বাংলাদেশের পিছে হটা ৭৫ পূর্ব আওয়ামী লীগের হাত ধরেই।
আওয়ামী লীগের কায়েমী স্বারথবাদী রাজনীতি পরবর্তী সময়েও চলেছে সমানতালে। এরাই স্বৈরাচার এরশাদের সময়ে ধর্ম ব্যবসায়ী দল জামাতে ইসলামীর সাথে মিলে এরশাদের পাতানো নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। আর এটাই স্বাভাবিক; এক স্বৈরাচারের তো আরেক স্বৈরাচারের প্রতি মোহাব্বত থাকবেই।
তবে, পাতানো নিরবাচনে অংশ নিয়ে যে তাদের স্বার্থ উদ্ধার হইনি সেটা বোঝা গেছে পরবর্তীতে যখন তারা যখন পদত্যাগ করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে চলে গেল। স্বৈরাচার বিরোধি আন্দোলনে তাদের দলের নূর হোসেন আর ডা: মিলন শহীদ হলেন। স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জনগণ কিন্তু আওয়ামী লীগকে বেছে নেয়নি, নিয়েছিল বিএনপিকে, যেখানে মূল ভূমিকা পালন করেছিল স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে তাদের আপোষহীনতা।
যাই হোক, ১৯৯৬-এ আবার বোঝা গেল যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও সৎ হবেনা, তখন আওয়ামী লিগই অন্যান্য দলকে নিয়ে একটানা আন্দোলনের মাধ্যমে তত্বাবধায়ক সরকার বিল সংসদে পাস করায় এবং তারই প্রেক্ষিতে ১৯৯৬-এ দ্বিতীয় বারের মত যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে তারা জয়লাভ করে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বলা যায় যে, তত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল।
কিন্তু, আওয়ামী লিগতো পারেনা এমন কাজই নেই!
ভাল আর খারাপ কাজ তাদের কাছে কোন পার্থক্য নেই বললেই চলে। ‘রুস্তম সিন্ড্রোম’ –এ ভোগা আওয়ামী লীগ ২০১০ সালে এসে তাদের নিজের হাতে জন্ম দেয়া তত্বাবধায়ক সরকারকে নানা ফালতু অজুহাত দেখিয়ে সংবিধান থেকে বাতিল করিয়ে দেয়।
অর্থাৎ, আওয়ামী লীগ এমনই এক দল, যারা নিজের জন্ম দেয়া সন্তানকে নিজের হাতেই নৃশংসভাবে খুন করতে পারে, যেমন পারস্য যোদ্ধা রুস্তম তার সন্তান সোহরাবকে নিজ হাতে খুন করেছিলো। কারণ, আর কিছুই নয়, যে কোন ভাল কাজ লীগের বিরুদ্ধে গেলেই সেটাি যেন খারাপ কাজ হয়ে যায়। একটা ফ্যাসিস্ট দলের বৈশিষ্ট্যই হল এরকম।
বস্তুত, বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে চলা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে কফিনে শুইয়ে দেয়ার ব্যবস্থা হাসিনার আওয়ামী লীগই করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন বাতিল করে দিয়ে। কিন্তু, আওয়ামী লিগ এমনই এক দুর্বিনীত দল যে, তারা সেখানেই থেমে থাকে নাই। আইন, সংবিধান, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী – সবাইকে তারা নিজের স্বার্থে এমনভাবে টিস্যু পেপারের মত ব্যবহার করেছে এবং এখনো করছে যে, সেই মৃত গণতন্ত্রের শবযাত্রা শুরু হয়ে গেছে। শুধু অন্তেষ্টক্রিয়া আর কবর দেয়াই এখনো বাকি।
(৩)
গণতন্ত্রের কিছু মৌল বৈশিষ্ট আছে, যেমনঃ আইনের শাসন, সুশাসন, প্রসাশনে স্বচ্ছতা, মতামত প্রকাশ ও বাকস্বাধীনতার অধিকার, সংগঠন ও সমাবেশ করার অধিকার, যা কিনা সংবিধান দ্বারা স্বীকৃতও বটে – এসব কিছুই গত কয়েক বছরে আওয়ামী সরকার খর্ব করেছে চরমভাবে। আজকে পরিবেশ পরিস্থিতি এমন দাড়িয়েছে যে, আজ যেন পুলিশ দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। কোন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বা নিরিহ মানববন্ধন করতে গেলেও পুলিশের অনুমতি লাগে; সেই পুলিশ যে পুলিশের বেশিরভাগ সদস্যই সরকারে অধীনস্ত ও আজ্ঞাবহ। এমনকি সমাবেশে মাইক ব্যবহার করা যাবে কিনা, সেই ব্যাপারটিও পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষ! সুশাসন বলতে উঠেই গেছে আওয়ামী লীগের দমন-নিপিড়ন-হামলা-মামলার কারণে। বিরোধী দলের একজন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে যখন সচিবালয়ের বাইরে ময়লার গাড়ি পোড়ানোর মামলায় অভিযুক্ত করা হয়, তখন বোঝা যায় দেশের আইন-প্রশাসনকে আওয়ামী লীগ কিভাবে টয়লেট টিস্যুর মত ব্যবহার করছে।
বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করার জন্য তারা নিয়ে এসেছে বর্বর ও আদিম ‘তথ্যপ্রযুক্তি আইন’, যাতে আছে মহান ৫৭ ধারা, যার মাধ্যমে সামায় সামান্য সব কারণে দেশের নাগরিকদের ধরপাকড় ও জেলে আটকে রাখা হচ্ছে; দেয়া হচ্ছে ৭ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড। এর মাধ্যমেই বোঝা যায় আওয়ামী সরকার কতটা ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার আর দূরাচারী।
এতটা বর্বরতা, এতটা নিরলজ্জতা বাংলাদেশের মানুষ এরশাদের আমল, এমনকি পাকি প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের আমলেও দেখেনাই, যেটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ সরকার দেখাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্যে গনতন্ত্র, আইনের শাসন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশ ও সংগঠন করার অধিকার, স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে বেঁচে থাকার অধিকার সবই পড়ে, যা পাওয়ার জন্য মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছে, দেশ স্বাধীন করেছে। কিন্তু, আজ এটা স্পষটতই প্রমাণিত যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোন উপাদানই আওয়ামী লীগের হাতে নিরাপদ নয়। এর পরও তাদের মুখে যদি মুক্তিযুদ্ধ ও এর চেতনার কথা শোনা যায়, তবে বলতেই হয়, এরা ‘চেতনা বেশ্যা’ ছাড়া আর কিছুই নয়।
আর আওয়ামী লীগ কোন অসাম্প্রদায়িক দলও নয় । ৫৭ ধারার মাধ্যমে ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করার অপরাধে রাহী আর উল্লাসের মত দুটো টিনএজ ছেলে যখন বিনা বিচারে বিনা জামিনে জেলে আটকে থাকে, তখন বোঝা যায়, এই সরকার আসলে কতটা সাম্প্রদায়িক। এরা গাছেরটা খায়, তলারটাও কুড়ায়!
লাস্ট বাট নট দা লিস্ট, আওয়ামী লীগ ‘গুম’ নামক এক ভয়াল অস্ত্রের আমদানী করেছে, যার ব্যবহার করছে বিরুদ্ধ মতকে দমনের উদ্দেশ্যে। তাদের প্ররোচণায় ও আশকারায় র্যা বের অনেক সদস্যই, ধারনা করা যায়, এই কাজে ভয়াবহভাবে জড়িয়ে পড়েছে। এই মহান গুমের শিল্পী আওয়ামী সরকারের হাত থেকে কেউই নিরাপদ নয়।
“তুই মানুষ, না আওয়ামী লীগ” – এই মহান রাজনৈতিক প্রবাদ-বাক্যের তো এমনি এমনি সৃষ্টি হয়নি...।
(৪)
চরম অধপাতে নিমজ্জিত আর গণতন্ত্র বিরোধী একটি সরকারই পারে ৫ই জানুয়ারীর মত এক নির্বাচন করতে। নির্বাচনে বিনা ভোটে ১৫১টা সিট পেয়ে নির্বাচনের আগেই জয়লাভ করে যাওয়ার পর তারা দেখলো, একটা গৃহপালিত বিরোধীদল না থাকলেই নয়! তখন তারা কি করলো...?
তারা যা করলো, সেটার নির্লজ্জতা দেশের ইতিহাসের সবকিছুকেই ছাড়িয়ে গেছে। তারা র্যাব ও পুলিশ বাহিনী দিয়ে একেবারে জোর করে, মৃত্যুর হুমকিসহ নানান ভয়ভীতি দেখিয়ে ও জবরদস্তি করে তারা এরশাদ্দের জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে নিয়ে আসলো বলেই বেশিরভাগ মানুষ জানে। তারা প্রমাণ করলো, এরশাদের থেকেও বাংলাদেশের ইতিহাসে অনেক বড় স্বৈরাচার হল আওয়ামী লীগ সরকার। এক ‘মহা স্বৈরাচার’ ও ‘মহা বিশ্ববেহায়া’ ‘আরেক স্বৈরাচার’ ও ‘বিশ্ববেহায়া’কে নিয়ে বানালো লোক দেখানো সংসদ। শহীদ নূর হোসেন আর শহীদ ডা: মিলনের আত্মত্যাগের উপর বলতে গেলে আওয়ামী সরকার মূত্রত্যাগই করে দিলো; আর কেনইবা নয়, এটাই তো গত চার দশকের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের আসল রুপ।
আর যে কথা না বললেই নয়, সেটা হলো, গুমখুন-দমন-নিপিড়ন-হামলা-মামলা একটি স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট সরকারের মূল বৈশিষ্ট, তা আওয়ামী সরকারের ভিতর শতভাগ আছে। আজ যদি এই নূর হোসেন আর ডা মিলন বেঁচে ফিরতেন, তাহলে এই বর্বর সরকারের কাজকর্ম দেখে নিশ্চয় আবারও লজ্জা আর ঘৃণাতেই হয়তো দ্বিতীয়বার মৃত্যবরণ করতেন, এইজন্য যে – তারা নিজেরা আওয়ামী লীগ করতেন বলে।
(৫)
আমাদের সামনে আশার পথ খুবই সামান্য। বর্তমানে যেভাবে আওয়ামী সরকার সবকিছু কুক্ষিগত করে রেখেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে বেআইনি কাজ করাচ্ছে ও বিরোধীদের দমন করছে চরমভাবে, তাতে করে মনে হয় আমাদের আরও অনেক শহীদ নূর হোসেন আর ডঃ মিলন দরকার। না হলে অন্ধকারের অতলেই – কুশাসন, দুর্নীতি, বাকস্বাধীনতাহীনতা, গণতত্রহীনতার এক কঠিন সমইয়ের আবর্তেই – আমরা হারিয়ে যাবো দীর্ঘ সময়ের জন্য। আওয়ামী লীগ এমন এক ভয়াল দানবের নাম যে, সেটাকে পরাভূত করতে হলে শত শত নূর হোসেন বা ডঃ মিলনের প্রয়োজন।
শহীদ নূর হোসেন আর ডাঃ মিলন এবং তাদের মৃত্যঞ্জয়ী, আপোসহীন চেতনা আবারো আমাদের মধ্যে ফিরে আসুক। বাংলাদেশ চিরজীবি হোক!
বিষয়: রাজনীতি
১১৬৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বস্তুত, আওয়ামী লীগ আসলে 'মহা বিশ্ববেহায়া' ছাড়া আর কিছুই না!
মন্তব্য করতে লগইন করুন