সমকামী এবং উভয়কামীদের অজানা ও অন্ধকার অধ্যায়ঃ প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ
লিখেছেন লিখেছেন শেহজাদ আমান ০৬ আগস্ট, ২০১৪, ০৩:২৫:৫৯ দুপুর
(১)
সমকামিতা, উভয়কামিতা এবং বাংলাদেশের সমকামীদের সম্পর্কে আপনি সঠিক ধারণা পাবেননা, যদিও আপনি বাংলাদেশে সমকামিতার উপর সমকামীতার সমর্থকদের বিভিন্ন লেখা পড়েন। তারা আপনাকে সমকামীদের পজিটিভ কিছু সাইড এবং বৈশিষ্ট দেখিয়ে আপনাদের সামনে সমকামীতাকে নারী-পুরুষের স্বাভাবিক সম্পকের মতই প্রাকৃতিক একটা বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করে আসেন। এখানে উল্লেখযোগ্য যে তারা শুধু সমকামীতা সম্মন্ধেই বিভিন্ন কথা বলে বা এর পক্ষে যুক্তি দেখায়। উভয়কামীতা – যা কিনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমকামীতার সঙ্গে যুক্ত এবং সমকামীতার চেয়েও আরও বেশি মারাত্মক – তার সম্পর্কে এরা বলতে গেলে কোন কথাই বলেন না।
আবার, কিছু মানুষ আছে সমকামিতার বিরুদ্ধে একেবারে খগহস্ত; ধর্মীয় ও সামাজিক কারণে তারা সমকামিতাকে একেবারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ মনে করেন। তারাও বুঝতে চাননা যে, সমকামিতাকে একেবারে মুছে ফেলা সমভব নয়। তাদের লেখা বা আলোচনা পড়লেও আপনি এই সম্পর্কে পুরো ধারণা পাবেন না।
তবে কি বাংলাদেশে চলে আসা সমকামিতা, উভয়কামিতাকে সমর্থন দেয়া যায়? এগুলো কি আসলেই ভালো কিছু? বাংলাদেশে যারা সমকামিতা (গেইসম ও লেসবিয়ানিজম) এবং উভয়কামিতাকে সমর্থন করছেন তারা কি সঠিক পথে আছেন?
আসুন আমরা বুঝতে চেষ্টা করি বাংলাদেশের সমকামী ও উভয়কামীদের প্রকৃত অবস্থা, এদের বৈশিষ্ট, জীবনাচারণ ইত্যাদি সম্পর্কে একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করি সবাইকে। এই কাজে আমার, আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও আমাদের ‘ইয়ুথ ওয়াচ’ সংগঠনের থেকে করা সমকামী ও উভয়কামীদের উপর করা গবেষণা যথেষ্ট সাহায্য করবে।
(২)
মানুষ যে সমকামী হয়, তার পিছনে অনেক কারণ বিদ্যমান, যেমন:
(১) কেউ ভিন্ন স্বাদের সেক্সের জন্য সমকামী হয়
(২) কেউ সাময়িক বিকৃতির জন্য সমকামি হয়
(৩) কোন কোন মানুষ স্বজাতি, নারী বা পুরুষের উপর বিতশ্রুদ্ধ বা হতাশ হয়ে সমকামি হয়ে থাকে
(৪) কেউ কেউ জন্ম থেকেই সমকামী হয়ে জন্মায়
সেই হিসাবে, সমকামিতা মোটামুটি বেশ কয়েক ধরণের হয়ে থাকে। যেমনঃ
১। সাময়িক সমকামিঃ
যারা কিনা জীবনে ক্ষণিকের বিকৃতি বা ক্ষণিকের ভুলের কারণে নিজ লিঙ্গের মানুষের সাথে যৌন সম্পর্কে জড়ায় ।
২। পারট্টাইম সমকামি বা উভয়কামিঃ এরা নিজের লিঙ্গের প্রতিই আকর্ষিত হয়। বিয়েও করে একসময়; কিন্তু, সেক্সুয়াল লাইফে ভিন্নতার জন্য, বা একটা বিকৃত স্বাদ লাভের জন্য সম লিঙ্গের মানুষদের সাথেও যৌনতায় মত্ত হয়। এদেরকে উভয়কামিও বলা যায়।
৩। পারমানেন্ট সমকামিঃ এরা জন্ম থেকেই সমলিঙ্গের মানুষের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে। বিপরীত লিঙ্গের মানুষেরা এদের তেমন একটা টানেনা বললেই চলে। তারা সমলিঙ্গের মানুষের সাথেই স্বাচ্ছন্দ্য; তাই চাইলেও তারা বিপরীতকামী হতে পারবেনা।
এখানে, উল্লেখ করা প্রয়োজন যে যারা কিনা জন্ম থেকেই প্রাকৃতিকগতভাবেই সমকামি, তাদের সেটা কোন দোষ নয়। কারণ, প্রকৃতিই তাদের সেরকমভাবে সৃষ্টি করেছে। এটার বাইরে যাওয়া তাদের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অসম্ভব। এটাই বরং তাদের জন্য স্বাভাবিক যে, তারা নিজেদের মতই সমকামি সঙ্গি খুজে নিবে।
কিন্তু, সাময়িক সমকামিতা বা পার্টটাইম সমকামিতার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সেরকম কিছু নয়। এগুলো একরকম স্বাভাবিকতার বিকৃতি বা অসুস্থতা।
উদাহরণ হিসেবে, আমাদের পরিচিত একজন মানুষের কথা বলা যেতে পারে। তার নামটা প্রকাশ করছিনা সঙ্গত কারনেই। তিনি একজন ব্যাংকার ও খন্ডকালিন মিডিয়া কর্মী। বিভিন্ন চ্যানেলে তিনি সংবাদ পাঠ করেন এবং সংবাদ পাঠক হিসেবে তার ভালোই সুনাম রয়েছে। তিনি বিয়ে করেছেন অনেক আগে, তার দুটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু, তিনি সমকামি হয়ে পড়েন হঠাত করেই, এবং তার বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানতে পারি যখন তিনি আমারই এক ক্লোজ ফ্রেন্ডকে টার্গেট করেছিলেন, তার অসুস্থ চাহিদা মেটাবার জন্য। বলাই বাহুল্য, আমার বন্ধুটি তাকে পাত্তা দেয়নি। পরে সেই উভয়কামী ব্যক্তি আমার ফ্রেন্ডের কাছেই দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং বলেছে, সে জীবনে কোন এক সময় মেয়েদের কাছ থেকে প্রতারিত হয়ে পরবর্তীতে সমকামী হয়ে গেছে।
এই ধরণের ব্যক্তিকে বলা যেতে পারে পার্টটাইম সমকামী, অথবা উভয়কামী। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যে, বাংলাদেশে যারা সমকামী, তাদের বেশিরভাগই উভয়গামী। আমাদের ইয়ুথ ওয়াচের গবেষণায়ও আমরা এর সত্যতা খুজে পেয়েছি।
এই ধরণের অসুস্থ সমকামী বা উভয়কামীদের শিকার যে, আমার বন্ধুবান্ধবেরাই হয়েছে, তা নয়। আমারও এদের পাল্লায় পড়ে ইরিটেটেড হওয়ার দূরভাগ্য হয়েছে। কিছুদিন আগে ফেসবু আমি কোকড়াচুলো একটা ছেলের ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করি। ছেলেটি মোটামুটি বিখ্যাত মডেল। টিভির অ্যাড, পত্রপত্রিকা, এবং বিলবোর্ডের বিজ্ঞাপনে তার ভালোরকম উপস্থিতি। সম্প্রতি একটি মোবাইল ফোন কোম্পানির বিজ্ঞাপন করেও ছেলেটি ভালো খ্যাতি অর্জন করেছে। এই ছেলেটিকে ফেসবুকে অ্যাড করার পর থেকেই সে আমাকে নানাভাবে ফেসবুকে জ্বালাইছে। আমাকে সে একদিন বলেই বসেছে, “এই, তুমি নাকি খুব সেক্স পাগল! আমাকে তোমার কেমন লাগে?”
বলাই বাহূল্য, আমার কাছ থেকে পাত্তা না পেয়ে সে বেশিদূর আগাতে পারে নাই। এখানে উল্লেখযোগ্য এই যে, সে আমাকে ইনডাইরেক্টলী সেক্সের অফার দিয়ে বসেছিল।
পরে, তার সাথে মিডিয়ায় কাজ করেছে, আমাদের এমন এক ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে তার সম্মন্ধে আরও অনেক কিছুই জেনেছি। সেই, কোকড়া চূলওয়ালা মডেল আমাদের সেই ছোট ভাইকেও সরাসরি সেক্সের অফার দিয়েছিল। আমার সে ছোট ভাই সেই মডেলকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, সে কন মেয়ের সাথে সেক্স করেছে কিনা। মডেল সাহেব বলেছিলেন, ‘হ্যা, করছি’। তখন আমার ছোট ভাই ঐ মডেওলকে প্রশ্ন করলো, ‘তাহলে তুমি ছেলেদের সাথে করতে চাও কেন?’ কোকড়াচূলো মডেল বললো, ‘আরে বুঝছোনা, এটা একরকম এনজয়!’
আসলে, বাংলাদেশের এই, সমকামি বা উভয়গামিরা এরকমই। এদের মধ্যে দুটো বৈশিষ্ট কাজ করেঃ
১। এরা রিলেশন তৈরির ক্ষেত্রে স্টেপ বাই স্টেপ আগানোতে বিশ্বাস করেনা। এরা সরাসরি সেক্সুয়াল রিলাশানে চলে যেতে চায়। সেক্সটাই এদের কাছে মূখ্য। রিলেশনশিপটা নয়।
২। এরা শুধু সমকামী বা উভয়গামিদেরি নক করেনা, অত্যন্ত লজ্জার ব্যাপার হলো এরা স্ট্রেইট পিপল বা বিপরিতকামী সাধারণ মানুশদেরও টার্গেট করে থাকে। একজন বিপরীতকামি বা স্ট্রেইট স্বাভাবিক মানুষ কখনো সমকামি বা উভয়কামিদের কাছে রিলেশান বা সেক্সের জন্য যায়না। কিন্তু, এই সমকামী ও উভয়কামী মানুষেরা স্ট্রেইট মানুশদেরও টার্গেট করে থাকে; তাও আবার সেক্সের জন্য, এবং এদের জন্যই কিনা বাংলা ব্লগে অভিজিৎ রায়, এমএস নীলয় , নীলয় নীল, আকাশ মালিক প্রমুখেরা ব্লগিং চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তাদেরকে প্রমোট করে চলেছেন।
এই সমকামী বা উভয়কামিরা এভাবে তাদের অসুস্থতা আমাদের সমাজে ছড়িয়ে দেয়ার চেস্টায় লিপ্ত। তাদের কাছ থেকে কেহই বলা চলে নিরাপদ নয়। এমনকি এরা রাস্তা-ঘাটে ওপেন প্লেসে অপরিচিত মানুষদের পেলেও তাদের সাথে সবকিছু করার মনোবাসনা প্রকাশ করে থাকে। আমার এই দাবির স্বপক্ষে একটা ছোট ঘটনা উল্লেখ করছি --
আমি আর আমার ফ্রেন্ড আরিফের অফিস পল্টনের ওদিকে। আমরা মাঝে মাঝে শাহবাগে আড্ডা মারতে আসতাম। একদিন অফিস থেকে দুজন একসাথে শাহবাগে যাওয়ার পথে রমনা পার্ককে শর্টকাট হিসেবে ব্যাবহার করেছিলাম। পার্ক দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় আমরা বাংলাদেশে যে সমকামির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এটা নিয়ে কথা বলছিলাম। ঠিক তখনই আমাদের পাশ দিয়ে একটা ছেলে হেটে গেল আমাদের দিকে খুব আগ্রহ নিয়ে তাকাতে তাকাতে । কিছুদুর গিয়ে সে আমাদের দিকে তাকিয়ে খুব আগহ নিয়ে হাত দিয়ে কাছে আসার জন্য ইশারা করলো। আমরা দুজনই বুঝে গেলাম যে, এই ছেলেটা সমকামি এবং সে আমাদের সমকামিতা নিয়ে আলোচনা করতে দেখে সে আমাদেরকে তার মতই ভেবেছে।
এখন, সাপোজ, যদি আমরা সেই ছেলেটার ডাকে সাড়া দিতাম, তাহলে পার্কের ভিতরেই গাছপালার আড়ালেই হয়তো আমাদের সাথে সে ত্রিমুখী যৌনক্রিয়ায় মেতে উঠত । ( শুধু আমরা নয়, সমকামী আর উভয়কামী লোকজনের কাছ থেকে প্রাপ্ত এরকম বিব্রতকর অভিজ্ঞতা অনেকেরই জীবনে রয়েছে)।
আমরা এরই মধ্যে পার্কের ভিতর দিয়ে মাঝে মধ্যে আশা যাওয়া করতে করতে দেখেছি কয়েকটা জায়গায় কিছু ছেলে কাপল মিলে রোমাঞ্চ করতেছে। অনেকের কাছেই এইসব বিষয় আজব লাগতে পারে, কিন্তু ঘটানা সত্য, এবং সমকামী ও উভয়কামীদের এটাই আসল রুপ। প্রাকৃতিকভাবে যারা সমকামি, তাদের বিষয়টা আলাদা। কিন্তু, সমকামিতার নামে বাংলাদেশে যা চলছে, তা অসুস্থতা, বিকৃতি আর পারভারশনের নামান্তর।
সমকামিতা ও উভয়কামিতার উপর আমাদের ‘ইয়ুথ ওয়াচ’ সংগঠনের একটি জরিপ থেকে আমরা জানতে পারি যে, একজন যুবক তার ছোটবেলায় সমকামী যৌন-বিকৃতদের শিকার হয়েছিল। তখন তাঁর বয়েস ছিল ১০ বা ১২। সে তাঁর প্রতিবেশী এক পরিবারের তিন ভাইয়ের দ্বারা একই সময়ে সমকামি নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিল, যারা তাকে নানাভাবে প্ররোচিত করে এই কাজে তাকে রাজি করিয়েছিল।
বাংলাদেশে বিভিন্ন ছেলেদের ক্যাডেট কলেজ বা মাদ্রাসাতেও এই ধরনের সমকামি-বিকৃতি সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে বিপরীত লিঙ্গের মানুষের সঙ্গের অভাবে ছেলেরা-ছেলেরা বা মেয়েরা-মেয়েরা নিজেরাই নিজেদের যৌন চাহিদা মেটায় ( পাঠক খেয়াল করে দেখবেন, এগুলোই কিন্তু স্বল্পকালীন বিকৃতি বা অসুস্থতা) ।
আবার, বাংলাদেশের এক সুপরিচিত পুরুষ মডেল ও ফ্যাশন ডিজাইনারকেও আমরা পাই সমকামি বা উভয়কামী হিসেবে। তার স্ত্রী একসময় বাংলাদেশের প্রখ্যাত ও আলোচিত মডেল ছিল। এই লোকের সন্তানও রয়েছে। সে স্ত্রীর মৃত্যুর পর সমকামী জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। এখানে, আমরা তার জীবন বিশ্লেষণ করলে দেখতে পাই যে, সে যুবক বয়েস থেকেই সেক্সুয়ায়াল লাইফে বেপরোয়া ছিল, বহুগামিতা তার জীবনের একটি অনুষঙ্গ ছিল, যেটা তাকে পরবর্তীতে সমকামী-বিকৃতির দিকে নিয়ে যায় (যদিও সে প্রথম জীবনে সমকামী ছিলনা)।
আমি এখানে যে কথাগুলো বললাম, এসব ব্যাপার অনেকেই হয়তো জানেন না। অনেক তথাকথিত প্রগতিশীল বা মুক্তমনা ব্লগার আছেন, যারা কিনা সমকামিতার পক্ষে বিভিন্ন লেখা লিখে চলেছেন, তারাও এগুলো হয় জানেন না, অথবা জেনেও এসব ব্যাপারকে কোন ব্যাপারই মনে করেন না। তবে, দ্বিতীয় ধারণাটাই সঠিক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সঠিক। তাইতো, এসব সমকামিতার বিষফোঁড়া নিয়ে তারা কখনোই আলোচনা করেন না। কারন, সেটা করলে তাদের সমকামিতার পক্ষে কথা বলার যে ‘সুনাম’, সেই সুনাম তো আর থাকবেনা। তারা আর নিজেদের ‘মুক্তমনা’ ও ‘প্রগতিশীল’ হিসেবে আর পরিচয়য় দিতে পারবেন না! সমকামি বিভিন্ন সংগঠন থেকে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধাও হয়তো আর থাকবেনা...।
সমকামিতার নামে চলে আসা বিকৃতির বিরুদ্ধে কথা বলতে হলে তো শেষমেষ সমকামিতা আর উভয়কামিতার বিরুদ্ধেই কথা বলতে হবে। তাই, এসবের বিরুদ্ধে তারা কোন কথাই বলেন না।
আর উভয়কামিতা, যা সমকামিতা থেকেও আরও মারাত্মক, আর বেশি নোংরা, সেটা সম্পর্কেও তারা কোন কথা বলতে চান না। সমকামিতার মধ্যে উভয়কামিতাকে আনলে যে সমকামিতার পক্ষে তারা আর প্রপাগান্ডা চালাতে পারবেন না!
(৩)
সমকামিতার সমর্থকরা সমকামিতার পক্ষে বিভিন্ন খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে একে শিদ্ধ করার চেষ্টা করেন। অভিজিৎ রায় তার ‘.সমকামিতা (সমপ্রেম) কি প্রকৃতি বিরুদ্ধ? একটি বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনঃস্তাত্বিক আলোচনা’ প্রবন্ধে লিখেছেন, উত্তর আমেরিকার ওই একই অঞ্চলের ‘ক্লিনার ফিশ’ নামে পরিচিত এক ধরনের মাছের মধ্যে গবেষণা চালিয়ে রূপান্তরকামীতার পরিস্কার প্রমাণ পেয়েছেন। এ প্রজাতির পুরুষেরা সাধারণতঃ পাঁচ থেকে দশজন স্ত্রী নিয়ে ঘর বাঁধে (নাকি ‘হারেম বাঁধে’ বলা উচিৎ। কোন কারণে পুরুষ মাছটি মারা পড়লে স্ত্রীদের মধ্যে যে কোন একজন (সম্ভবতঃ সবচেয়ে বলশালী জন) সংসার পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার হল, এই দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই ওই স্ত্রীমাছটির মধ্যে দৈহিক পরিবর্তন শুরু হয়ে যায়"।
লক্ষ্য করলেই দেখবেন অভিজিৎ এখানে “রুপান্তরকামিতা” শব্দটা ব্যবহার করেছেন। কিন্তু, ব্যাপারটা হল ক্লিনার ফিশদের রুপান্তরটা প্রাকৃতিক, অর্থাৎ প্রকৃতিগতভাবেই হচ্ছে। কাজেই, তিনি এখানে ‘রুপান্তরকামিতা’র বদলে ‘রুপান্তরধরমী’ শব্দটা ব্যবহার করলে সেটাই হত সঠিক। কিন্তু তিনি সেটা করেন নাই। এখানে উল্লখযোগ্য যে, সেই মাছের মধ্যে রুপান্তর ঘটে প্রাকৃতিকভাবে; এখানে স্ত্রী মাছটা ইচ্ছা করলো, আর তারপর সে পুরুষ মাছে রুপান্তরিত হতে শুরু করলো, ব্যাপারতা এরকম নয়। আর তৃতীয়ত, এই ধরণের জীবেরা স্বাভাবিকভাবেই রুপান্তরিত হয়য়; কিন্তু মানুষের বেলায় সেটা নয়; মানুষকে নিজের শরীরে অনেক কাটাছেড়া করে, অনেক হরমোন ট্রীটমেন্ট নিয়ে, এক কথায় নিজের শরীরের উপর অত্যাচার করে, স্বাভাবিক একটা জিনিসকে পরিবর্তন করে পুরুষ থেকে দেখতে নারীর মত একটি জীবে, বা নারী থেকে দেখতে পুরুষের মত দেখতে একটি জীবে পরিণত হতে হয়।
অভিজিতের সমকামিতার পক্ষে নেয়া বেশিরভাগ যুক্তিই অসার ও হাস্যকর; এখানে সেগুলোর সবগুলো খন্ডন করা সম্ভব নয়। সেটা করতে গেলে হয়তো পুরো একটা বইই লিখে ফেলতে হবে!
সমকামিতার নিদর্শন প্রকৃতির মধ্যে খুঁজে দেখতে গেলে পারভারসন, ইনসেস্ট, গ্রুপ সেক্সের মত জঘন্য জিনিসের সাথে মেলে এমন কিছু ছোট-খাট উদাহরণও হয়তো প্রকৃতির মধ্যে পাওয়া যাবে। কিন্তু, তাই বলে এগুলোকে কখনোই স্বাবিক বা নৈতিক বলে জায়েজ করা যাবেনা। তেমনি, সমকামিতাকেও প্রাকৃতিক বিষয় বলে স্বাভাবিক মনে করা হাস্যকর; এটা স্বাভাবিকের বাত্যয় এবং অস্বাভাবিক। যেমন সমকামিতাকে প্রাকৃতিকভাবে দেখার বাজে অজরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সদাশয় নিকনেমের লেখক ‘আমার ব্লগ’-এ সমকামিতার স্বপক্ষে লেখা একটা লেখার নিচে মন্তব্য করেছিলেন,
“মাকামিতা, বোনকামিতা বা মেয়েকামিতা। আর কবে বাংলাদেশ!
বর্বর ধর্ম আর নিষ্ঠুর সামাজিক নিয়ম মানুষের মাঝে বিভিন্ন সম্পর্কের সৃষ্টি করেছে। একজন মানুষকে শুধুই মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। সম্পর্কের বেড়াজালে দুজন মানুষের স্বাধীন ইচ্ছাকে বাধা দেওয়া সম্পুর্ণ মানবতা বিরুদ্ধ কাজ। তাছাড়া আমরা যদি প্রকৃতির দিকে লক্ষ্য করি তবে দেখা যায় যে, এই ধরনের কাজ প্রানীকুলের মাঝে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। ভারতবর্ষসহ বাংলাদেশের গৃহে পালিত গরুদের ক্ষেত্রে ১০০%। একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, অ্যাঁড়া বাছুর যখন বয়ঃপ্রাপ্ত হয় তখন তার মা-বোনের পাছা শুকে বা পিঠে উঠে তার সেক্স্যুয়াল লাইফ শুরু করে। এছাড়া, আর একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, একটি ষাঁড়ের বীর্্যয থেকে যে বকনা বাছুরটি জন্মেছে, সেই বাছুরটি বড় হওয়ার পর একই ষাঁড় দিয়ে সেটিকে গর্ভবতী করা হয় অহরহ। সুতরাং এক্ষেত্রে গরুকুলে বাবা-মেয়ে সেক্স্যুয়াল সম্পর্ক পারমিট করে।
এইসকল কথা বিবেচনা করে সাম্প্রতি ভারতবর্ষে মাকামিতা, বোনকামিতা বা মেয়েকামিতাকে বৈধ্য করে আইন পাশ করা হয়েছে বিশ্বের ১১১তম দেশ হিসাবে। আইনপাশের সাথে সাথে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস করে স্বাগত জানিয়েছে এই সুন্দর ও সভ্য সিদ্ধান্তকে। অবশ্য এর অনেক আগেই উন্নত ও সভ্য বিশ্ব এই আইন পাশ করেছে। অনেক পরে হলেও ভারতবর্ষ এই আইন পাশ করে উন্নত ও সভ্য দেশ হিসাবে নিজেদের প্রমান করলো।
বাংলাদেশে কবে এই আইন পাশ করে মানুষকে ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কার থেকে মুক্ত করবে বাংলাদেশের একজন চরম হিতাকাংক্ষী হিসাবে সেই দিকে চেয়ে আছি।"
(https://www.amarblog.com/index.php?q=arijitku/posts/121827)
আসলেই, সমকামিতা আর উভয়কামিতার সমর্থকদের যুক্তি আর প্রচারনা কতটা হাস্যকর, তা উপরের কমেন্টের মর্মার্থ থেকেই বোঝা যায়।
(৪)
সমকামী, উভয়কামি আর এদের সমর্থকেরা সমকামিদের স্বপক্ষে অনেক ভালো ভালো কথা লিখে সমাজের মধ্যে সমকামিতার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছেন। যেমন, বাংলাদেশের সমকামী পুরুষদের সংগঠন ‘বয়েজ অব বাংলাদেশ’-এর পেজে ‘ভালবাসা’কে সমকামিদের শক্তি হিসাবে উপস্থাপন করার অপচেষ্টা প্রায়ই করা হয়। 'বয়েজ অব বাংলাদেশ' থেকে বের হওয়া সমকামিতার উপর বাংলাদেশের প্রথম ম্যাগাজিন ‘রুপবান’ –এর স্লোগানই হলো, “ঘৃণা নয়, আমরা ভালোবাসার ফেরিওয়ালা" :
আর, সমকামি লোকজন এবং তাদের সমর্থকেরা নিজেদের মুক্তচিন্তার অধিকারী বলে মনে করেন এবং সমকামিতাকে মুক্ত ও উদার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার জন্য মানুষের কাছে আহ্বান জানান। কিন্তু, অত্যন্ত লজ্জার ব্যাপার হলো সমকামি লোকজন এবং তাদের সমর্থকেরা আদতে না ভালোবাসার ফেরিওয়ালা, না উদারমনের অধিকারী। এরা প্রকৃতপক্ষে, ঘৃণার ব্যাপারি, প্রচন্ড উগ্রবাদি, প্রতিক্রিয়াশীল, এবং ভন্ড।
আমার এই দাবি অনেক মানুষের কাছেই অদ্ভুত মনে হতে পারে; কিন্তু এটাই বাস্তব। আমি ২০১৩ সালের জানুয়ারী মাসে ফেসবুকে একটি পেজ খুলেছিলাম, “Bangladesh against Homosexuality and Bisexuality” নামে। এই পেজটি বাংলাদেশ থেকে সমকামিতা আর উভয়কামিতার বিরুদ্ধে খোলা প্রথম পেজ ছিল। আমি যেহেতু সমকামিতা আর উভয়কামিতার নামে পারভারশন আর নোংরা সংকৃতির বিরুদ্ধে, তাই এই ধরণের পেজ খোলার অধিকার আমার শতভাগ ছিল, যেমন বাংলাদেশে সমকামি লোকদের অধিকার ছিল, “Bangladesh against Homophobia” ও “Boys of Bangladesh” নামে দুটো পেজ খোলার। আমার খোলা পেজটি যদি সমকামি ও তাদের সমর্থকদের ভাল না লাগে, তাহলে সেটা ভদ্র ভাষায় আমাদের জানাতে পারতো, যুক্তি দিয়ে আমাদের পোস্টের প্রতিবাদ করতো। কিন্তু, সেটা না করে তারা যা করেছে, তার কিছু নমুনা স্ক্রীনশট -- এর মাধ্যমে আমি নিচে তুলে ধরছিঃ
স্ক্রীণ শর্টের ছবিগুলো জুম করলেই আপনারা এদের কদর্যতার চিত্র দেখতে পারবেন। ঠিক উপরের ছবিটাতেই দেখা যাচ্ছে যে, আমরা সমকামিতা আর উভয়কামিতার বিরুদ্ধে পেজ খুলেছি বলে তারা এমনকি আমাদের দেশ ও জাতি তুলেও গালিগালাজ করেছে।
কাজেই সহজেই বুঝতে পারছেন যে সমকামি ও উভয়কামী লোকদের মনমানসিকতা আসলে কোন পর্যায়ের। বিরুদ্ধ মতবাদকে নিশ্চিহ্ন করার ফ্যাসিস্ট চিন্তাভাবনা এদের মধ্যে শতভাগ বিদ্যমান এবং এদের চিন্তা-ধারণা ও লাইফস্টাইলের উপর বাধা আসতে পারে এমন যে কোন কিছুর বিরুদ্ধে তারা প্রচন্ড উগ্র এবং দলবদ্ধ অশ্লীল আক্রমণ তাদের রক্তে।
এই উগ্র, প্রতিক্রিয়াশীল, অশ্লীল এবং ভন্ড জনগোষ্ঠীটি ফেসবুকে অনেকবারই আমাদের পেজটির বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেছে; অশ্লীল আর উগ্র ভাষায় গালিগালাজ করেছে অনলাইনে। এক কথায় বিরুদ্ধ কোন কিছুই এরা সহ্য করতে পারেনা। কিন্তু, আমরা কখনোই সমকামিতার পক্ষে প্রচারণা চালানো পেজগুলোর বিরুদ্ধে কখনোই রিপোর্ট করি নাই; তাদের পেজে গিয়ে অশ্লীল আর উগ্র ভাষায় গালাগালি করা তো দূরের কথা...!
আজ এদের অবস্থা এমন যে, ভবিষ্যতে এরা বাংলাদেশে যারা সমকামিতা আর উভয়কামিতার নামে নোংরামি ছড়ানোর বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাদেরকে সরাসরি বাস্তব জগতেও আক্রমণের স্বীকার বানাতে পারে – এমন ধারণাও ঊড়িয়ে দেয়া যায়না। কারণ, এদের হাতটা যথেষ্ট শক্তিশালী আর লম্বা – সমকামিতা আর উভয়কামিতার স্বীকৃতি বা প্রচারের জন্য এরা দেশে বিদেশে কোটি কোটি টাকা খরচ করে চলেছে। বিদেশে এদের পক্ষে লবিয়িস্ট গ্রুপের ক্ষমতাও কমনা। আর যারা ভন্ড, অসভ্য ও নোংরা, তাদের পক্ষে কোন কিছুই অসম্ভব না।
(৫)
এরা বাংলাদেশে ধীরে ধীরে যথষ্ট শক্তি সঞ্চয় করেছে। ‘বয়েজ অব বাংলাদেশ’ নামে বাংলাদেশে ছেলে সমকামীদের সংগঠনটি নিয়মিত ইভেন্ট আর প্রোগ্রাম অরগানাইজ করে যাচ্ছে। তা তারা করতেই পারে; সেটা করার অধিকার তাদের আছে; যেমন সমকামিতা ও উভয়কামিতার নামে সমাজে ছড়ানো বিকৃতি রোধ করার বিরুদ্ধে কথা বলার ও প্রচার চালানোর অধিকার আমাদেরও রয়েছে। আমরা স্বীকার করি সমকামিতার নামে সবটুকুই বিকৃত না বা অস্বাভাবিক না।
কিছু মানুষ চাইলেও বিপরীতগামী হতে পারবেনা; কারণ প্রকৃতিই তাদের এভাবে তৈরি করেছে। কিন্তু, যুক্তি ও তথ্য-প্রমাণ দিয়ে আমরা এটা অন্ততঃ এই প্রবন্ধে বোঝাতে পেরেছি যে সমকামিতা ও উভয়কামিতার নামে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যা হচ্ছে, তা অসুস্থতা আর বিকৃতিরই নামান্তর – আর এই জিনিসটাই সমকামী ও উভয়কামি মানুষজন আর তাদের সমর্থকেরা মেনে নিতে চাননা। আপনি তাদের সমকামিতা বা উভয়কামিতার বিরুদ্ধে যতই কঠিন যুক্তি দেখান না কেন, এগুলোর অসারতা যতটাই তুলে ধরেননা কেন, তারা শেষ পর্যন্ত একটা কথাই বলবে, “মানুষ সমকামি হবে না উভয়কামি হবে কিনা, সেটা তাঁর পার্সোনাল চয়েজ”, এবং তারা ঘুরে-ফিরে এই কথাটাই বলবে। এটা যেন ধর্ম মৌলবাদী রাজনীতির প্রচারকারীদের মতই সেই এক গোঁ, যখন তারা ধর্ম নিয়ে কোন কিছু কাউকে বোঝাতে যায়, তখন শেষ পর্যন্ত একটা কথাই বলবে, “ভাই, আপনি কি ইশ্বরে বিশ্বাস করেন না...”।
সমকামিতা কোন কোন ক্ষেত্রে হয়তো স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেয়া যায়; কিন্তু আবার উভয়কামিতা কেন? এই প্রশ্নের উত্তরেও সমকামী, উভয়কামী লোকজন এবং তাদের সমর্থকেরা ঘুরে-ফিরে একই কথা বলবেন, "......এটা মানুষের পার্সোনাল চয়েস।"
কিন্তু, সমকামিতাকে, উভয়কামিতাকে বা এই ধরণের আচরণকে যে চিকিৎসা বা মানসিকতার পরিবর্তনের মাধ্যমে পরিবর্তন সম্ভব, সেটাও অস্বীকার করা যায়না। নিচের লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করলে আপনারা সেটার সত্যতা উপলব্ধি করবেনঃ
• http://www.drcsilverstein.com/publications/history
• http://www.skepticink.com/gps/2013/11/07/treating-homosexuality-as-a-dis...
এর স্বপক্ষে অত্যন্ত শক্ত উদাহরণ হল প্রাক্তন ফ্রেঞ্চ টেনিস খেলোয়াড় আয়ামেলি মরেসমো, যে কিনা তাঁর এক সময়ের লেসবিয়ান লাইফ থেকে বের হয়ে পরবর্তীতে একজন বয়ফ্রেন্ডও জোগাড় করে নেয়; জোর গুজব আছে যে তারা বিয়েও করেছে এবং অ্যামেলি প্রেগন্যান্টও হয়েছেন। চাইলে এরকম আরও অনেকের উদাহরণই দেয়া যায়, বিভিন্ন আঙ্গিক থেকে...।
• http://en.mediamass.net/people/amelie-mauresmo/engaged.html
তাইতো, বলা যায়, বাংলাদেশে অভিজিৎ রায়, দেশের বাইরে রেইনার এবারটসহ যারা কিনা বাংলাদেশে সমকামিতা ও উভয়কামিতাকে প্রমোট করছেন, তারা নোংরামি আর বিকৃতিকেই প্রমোট করছেন। ধরমান্ধতা ও কূপমন্ডুকতার বিরুদ্ধে একজন অভিজিৎ রায়ের অবস্থানকে স্বাগত জানানো যায়; কিন্তু সঙ্গত কারণেই সমকামিতা ও উভয়কামিতার পক্ষে অভিজিৎ ও তাদের সমমনাদের অবস্থানকে নয়।
পরিশিষ্টঃ আমার মনে হয় সমকামিতা আর উভয়কামিতাকে নতুনভাবে দেখার সময় এসেছে; এর নামে সমাজে চলে আসা নোংরামি আর বিকৃতির বিরুদ্ধে আরও জোরালোভাবে কথা বলার সময়ও সমাগত। কিছু মানুষ যে জন্মগত বা স্বভাভগতভাবে সমকামী সেটা আমরা অস্বীকার করিনা; কিন্তু, সমকামীতা আর উভয়কামিতার নামে চলে আসা বেশিরভাগ বিষয়ই স্বাভাবিকতার বা সুস্থতার মধ্যে পড়েনা। তাই ঢালাওভাবে এবং আগাগোড়াই সমকামিতাকে গ্রহণযোগ্যতা এবং অনুমোদন দেয়াটা মানবিকতা আর মানুষের সুস্থ বিকাশেরই পরিপন্থি।
বিষয়: বিবিধ
১৮৫৬ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বরং বলা যেতে পারে-হরমোনজনিত জটিলতার কারণে জন্মগতভাবে কারো কামনার অনুভূতি ভিন্ন হতে পারে। তবে সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আছে ধর্ম। আরো ক্লিয়ার করে বললে -ইসলাম। ধর্মীয় বিধিনিষেধই অবৈধ ও অশ্লীল কামনাকে প্রশমিত করতে পারে।
--- আমি অনেকটাই একমত আপনার সাথে। তবে, আমার লেখাটা পুরোটা পড়ুন। আমি কিন্তু এখানে সমকামীতা আর উভয়কামীতার বিপক্ষেই লিখেছি।
আমিও বোলতে চাই যে, এটাই আসল কথা। এই কথাকে জরালভাবে বলার জন্য অনলাইনে আর বাস্তবে আমাদের আরও প্রচারনা চালাতে হবে সময়ামিতা আর উভয়কামিতার নামে নস্টামির বিরুদ্ধে!
আমিতো এখানে সমমাঈতার বিপক্ষেই লিখেছি! আমার লেখাটা ভালো করে পুরোটা পড়ে দেখেন।
আমিতো এখানে সমকামীতা আর উভয়কামীতার বিপক্ষেই লিখেছি! আমার লেখাটা ভালো করে পুরোটা পড়ে দেখেন।
এভাবে লিখে কিছুই পরিষ্কার হবে না। আপনার লেখা পড়ে কোন বায়ো বা হোমোটা তার চরিত্র বদলাবে? কিন্তু আপনার লেখা পড়ে কোন না কোন যুবক বা যুবতির সুড়সুড়ি যে লাগবে না তা কে বলতে পারে?
ভানু বন্দোপাধ্যায় এর কেীতুক আছে ডাক্তার যখন কোন রোগ ধরতে পারেনা তখন কয় ভাইরাস!
সে রকম এখন যে কোন কিছু কেই জিন তত্ব বা জেনেটিক কারনে হয় বলে চালিয়ে দেওয়ার একটি মানসিকতা আছে। সিগারেট কোম্পানিগুলির অর্থানুকুল্যে ক্যান্সার এর জন্য জিন দায়ি সিগারেট নয় এই ধরনের প্রচারনা চলছে। ঠিক সেভাবেই সমকামিতার জন্য জিন দায়ি এই ধরনের প্রচারনা চলছে। জিনতত্ব এখনও পুর্নাঙ্গ প্রমানিত বিজ্ঞান নয়। সমকামিতা একটি রোগ। এর বৃদ্ধির জন্য দায়ি সাংস্কৃতিক অধঃপতন। আর প্রকৃতপক্ষে সমকামি মাত্রই উভকামি।
আসুন সবাই বলি – “সমকামীতা-উভয়কামিতা নিপাত যাক, সুস্থতা নিরাপত্তা পাক!
মন্তব্য করতে লগইন করুন