ক্ষতিকর ছয় ঔষধ নিষিদ্ধ বাংলাদেশে!!

লিখেছেন লিখেছেন জিহাদী ০৯ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:০১:০৫ সন্ধ্যা

ক্ষতিকর ছয়টি ঔষধ নিষিদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশে!!

ওষুধ শুধু জীবন রক্ষা করে না, অনেক ক্ষেত্রে প্রাণসংহারিও হয়। অনুমোদিত ওষুধ ব্যবহারে অনেক সময় হতে পারে ক্যান্সারসহ প্রাণঘাতী জটিল রোগ। সম্প্রতি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এ রকম ছয়টি নিষিদ্ধ ওষুধ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করেছে।

সূত্রে জানা যায়, গত ১২ মার্চ ছয়টি ওষুধের বাজারজাত ও উৎপাদন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওষুধ প্রশাসনের অধীনে মান যাচাইয়ে গঠিত এডভারস ড্রাগ রিঅ্যাকশন অ্যাডভাইজরি কমিটি (এডিআরএম) এ সিদ্ধান্ত নেয়।

নিষিদ্ধ ছয়টি ওষুধের জেনেরিক নাম হলো পাইওগ্লিটাজন, রোজিগ্লিটাজন, ফ্লপেনথিঙ্ল-মেলিট্রাসেন, গ্যাটিফ্লুঙ্সিন, টেগাসেরড, সিবুট্রামিন ও ডেনজিট। এর মধ্যে বাংলাদেশে পাইওগি্লটাজন বেশ কয়েকটি কম্পানি উৎপাদন করে, যা সাগালিট, পায়োডার, টস নামে পরিচিত। ডায়াবেটিক রোগীদের এ ওষুধটি দেওয়া হয়। অথচ এ ওষুধ ব্যবহারে অন্ত্রে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। এ কারণে ওষুধটি বিশ্বে নিষিদ্ধ।

রোজিগি্লটাজন বাংলাদেশের বাজারে উৎপাদন করে বেশ কয়েকটি কম্পানি। এই গোত্রের ওষুধ দেশে রোমেরল, রোজলিট, সেনসুলিন প্রভৃতি নামে পরিচিত। ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনেস্ট্রশন (এফডিএ) ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ব্যবহৃত এ ওষুধটি ২০১০ সালে নিষিদ্ধ করে। বিশ্বব্যাপী ওষুধটিকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া (হার্ট অ্যাটার্ক), হৃদযন্ত্রে ঘায়ের জন্য দায়ী করা হয়।

গ্যাটিফ্লুঙ্সিন বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায় গ্যাটিফ্লঙ্, গ্যাটি প্রভৃতি নামে। এ ওষুধটি রোগ প্রতিরোধকারী হিসেবে (এন্টিবায়োটিক) দেওয়া হয়। ওষুধটি অন্ত্রে বাজে ধরনের ক্ষত তৈরি করে। ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়ার বাজার থেকে ওষুধটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সিবুট্রামিন বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায় ওবেনিল, সুবুলিন প্রভৃতি নামে। ওজন কমাতে এ ওষুধটি ব্যবহার করা হয়। এ ওষুধটিকে হৃদরোগের জন্য দায়ী করা হয়। সারা পৃথিবী থেকে এ ওষুধটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। দেশের বাজারে টেগাসেরড পাওয়া যায় ডোরেসা, টেসড প্রভৃতি নামে।

জানা গেছে, বাংলাদেশে সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয় ডেনজিট। এ ওষুধটি দেশে লিনজিট, মেলিঙ্ল, এনজেনটা, ডেলিটা, ফ্রেনজিট প্রভৃতি নামে পরিচিত। ঘুম কম হওয়ার কারণে চিকিৎসকরা এটি দিয়ে থাকেন। কিন্তু ডেনজিটের আবিষ্কারক খোদ ডেনমার্কেই কখনো ওষুধটি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির অনুমতি মেলেনি। অথচ ওষুধটি বাংলাদেশে বিক্রি হচ্ছে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ডসহ ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশ, কানাডা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ায় ওষুধটি নিষিদ্ধ।

জানা গেছে, ১৯৮২ সালে ওষুধ নীতি করার সময় দেশে এক হাজারের বেশি ওষুধ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনায় নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর গত ৩২ বছরে একসঙ্গে এত ওষুধ নিষিদ্ধের নজির আর নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটির সভাপতি মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী কালের কণ্ঠক বলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এ কাজ নিঃসন্দেহ প্রশংসনীয়।

বিষয়: বিবিধ

১৫৪৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

205263
০৯ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪০
আঁধার কালো লিখেছেন : এখন থেকেই সতর্ক হয়ে যাব । ভালো লাগলো । ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File