নাস্তিকের মৃত্যু সর্বদাই অস্বাভাবিক।
লিখেছেন লিখেছেন ইসলাম ঈভান ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০১:২৩:০৪ দুপুর
আলোচিত বিষয় বস্তু এখন অভিজিৎ রায়। অন্যভাবে বলতে গেলে এখনকার সমালোচিত বিষয় বস্তু নাস্তিকতা। শুধু মাত্র বাঙলাদেশ না সারা মুসলিম ইতিহাসের অন্তরায় নাস্তিকতা একটা বেমালুম, শুধু মুসলিম বললে ভুল হবে, বিভিন্ন ধর্মালম্ভি মানুষ আজ নাস্তিকতার পক্ষে এবং বিপক্ষে কথা বলতে দেখা যায়।
একজন মানুষ জন্ম নেওয়ার পর তাকে বলা হয় একে অনুসরন কর এ হলো তোমার আমার সবার স্রস্টা। অনুসরন বলতে তাকে অনুকরন করে জাগতিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া শুধুমাত্র উনার উপর সপে দিয়ে নিজেকে এক জায়গায় গুটে নেওয়াকেই প্রধান্য দেয়। আর নাস্তিক যারা তারাও শুরু থেকে কোন না কোন ধর্ম থেকে বেড়ে উঠেছে। সে ওই দেবতাকে অস্বিকার করে। শুধু তাই নয় কোন কোন ক্ষেত্রে সে তার জন্মদাতা বাবাকেও অস্বিকার করে। কারন সে বারবার সত্য জানতে আগ্রহী, তার সত্যতা বিশ্বাসের উপরই স্থির থাকে না।
১৯৮৯,১৯৯০,১৯৯১ সালের দিকে বাঙলাদেশের কোন এক পত্রিকা লিখেছিল হিন্দু ধর্মকে কটাক্ষ করে। খুব সম্ভবত রাম ও সীতার লীলা খেলার বিরুধীতা করে। ঠিক ঐ সময়ে শ খানেক গাড়ী ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ ও আন্দোলন ও করেছিল। শুধু তাই নয় অনেককে মেরেও ফেলা হয়েছিল। কারন একটাই ধর্মতে আগাত করেছিল।
আজ অভিজিৎ রায় সে নিজেকে নাস্তিক বলে দাবি করলেও অনেকেই মনে করেন যে সে একজন এন্টি ইসলামিক। সত্যিকার অর্থে রয় কিন্তু ইসলাম বিরুদি-ই। তার মুক্ত মনা খোলা কলামের লেখা গুলো ছিল একমাত্র ইসলামকে কটাক্ষ বিদ্রুপ ও ছোট করে দেখিয়েছেন। তিনি এমনও লিখেছিলেন মুসলমানদের মুহাম্মদ (সাঃ) অবধৈভাবে ২৪ টি বিয়ে করেছিলেন শুধুমাত্র পুরুষের দৈহকি মেলামেশা করার কারনেই। একজন মুসলিম সম্প্রদায়ের যে কেউই এমন কথায় কথা না বলে থাকতে পারবে না।
বাঙলাদেশের অন্য একজন নাস্তিক আসিফ মহিউদ্দিন সে নিজেও নাস্তিক গোত্র থেকে জন্ম নেয় নি, কিন্তু তার মুক্ত চিন্তায় সে নিজেকে নাস্তিক দাবি করে- আজ এন্টি ইসলামিক কথা বার্তা বলে সমালোচনার ঝড় বইয়ে দেয়। গত কিছু দিন আগে আমি তাকে একটা মেসেজ দেই যে কোন নাস্তিক যদি মারা যায় তবে তাকে কিভাবে সৎকার করা হয়? সে আমাকে কোন উত্তর দেয় নাই। আজও দেয় নাই।
গতকাল তার একটা খোলা কলামে লেখায় দেখতে পেলাম অভিজিৎ রায়ের মৃত দেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে দান করে দিতে, এটা নাকি তার ইচ্ছা ছিল!
আজ খুব বেমালুম লাগে কেউ যদি বলে আমি সেকুলার, আমি এথিস্ট, আমি এন্টি ইসলামিক। শেষের কথাটা কেউই বলে না এই কথাটাকে ধরে নেওয়া হয়, এবং আরো ধরে নেওয়া হয় তার স্বাভাবিক মৃত্যু হবে না। এটা নাস্তিকতা সমাজের সবাই বিশ্বাস করে তাদের মৃত্যু হবে যে কোন অস্বাভাবিক ভাবেই।
বাঙলাদেশের প্রেক্ষাপটের দিকে তাকিয়ে লক্ষ করা যায়- এ পর্যন্ত বাঘা বাঘা নাস্তিক যারা আছে তারা থাবা বাবা, হুমায়ুন আজাদ, অভিজিৎ রায় এদের ন্যায় স্বিকার হবে। এবং হওয়াটাই উচিৎ। অন্তত একটা ইসলামিক সংখ্যা গরিষ্ঠ শ্রেনীতে এর চেয়ে ভালো ভাবে তাদের মৃত্যু আশা করা যায় না।
বাঙলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে কোন রকম কথা বললেও সেটাকে লেশ ধরে নাস্তিকদের খুশি হওয়ার কোন অবকাশ নেই কারন এ দেশের সংবিধানের শুরুই হয় বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম দিয়ে।
বিষয়: বিবিধ
১১২৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন