এদেশের রাজনৈতিকরাও প্রবাসী কামলা!!!
লিখেছেন লিখেছেন ফয়সুল আলম ৩০ মার্চ, ২০১৪, ০২:৪৪:১২ দুপুর
আমাদের দেশের সাধারণ ঘরের, গরীব চাষি বা মুজুর সর্বশ্য বিক্রি করে সন্তানদের সৌদি-আরব, দুবাই, আবুধাবি এইসব দেশে পাঠায় টাকা কামানুর জন্যে। ওরা ঔসব দেশে গিয়ে শুধু টাকা কামানুর ধান্দায় ব্যস্ত থাকে তাদের একটাই ধান্ধা, চেষ্টা কিভাবে বেশি বেশি টাকা কামিয়ে দেশে বৌ, বাচ্চা, মা, বাবা ভাইবোনদের জন্যে পাঠাবে। আর আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা??? এর উল্টা, এই দেশে যে এতো বড় বড় নেতা আছে? কয়জন নেতার বৌ বাচ্চা বাংলাদেশে থাকে? ওরা বৌ, বাচ্চা বিদেশে রেখে এসে এই দেশে রাজনীতির নামে কামলা দিতে আসে। আমার গরীব মেহনতি ভাইরা বিদেশ গিয়ে যা করে এরা ও এই দেশে এসে তাই করে। পার্থক্য শুধু আমার মেহনতি ভাইয়েরা শরীরের রক্ত পানি করে টাকা ইনকাম করে পাঠায় বাংলায়, এর রাজনীতির নামে যারা এই দেশে কামলা দিতে এসে তারা টাকা কামিয়ে পাঠায় বিদেশে, যে দেশে বউ, বাচ্চা রেখে এসেছে। এরা ক্ষমতায় বসে গেলে লুটেরা হয়ে টাকা কামানোই থাকে এদের ধান্দা, আর লুট পাটে ব্যস্ত থাকে, খালি একটাই ধান্দা লুটপাট করে যতো বেশি কামানো যায়, বৌ বাচ্চার কাছে ততো বেশীই পাঠানো যাবে। তাদের টাকা কামানূর ধান্ধা আর আমার দেশ প্রেমিক ভাইরা যারা আরব মহাদেশ সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে গিয়ে টাকা কামাচ্ছে আর দেশে পাঠাচ্ছে তাদের টাকা কামানুর ধান্ধা প্রাই একই রকম। কেনোনা তারা ও রাজনীতির কামলা দিতে গিয়ে কিন্তু কম ঘাম ঝরান না? কম রক্ত ঝরান না? পার্থক্য শুধু এই আমার গরীব দুঃখী ভাইরা চেষ্টা করে এই দেশের উন্নতির জন্যে, আর যেসব নেতারা বউ, বাচ্চা বিদেশ রেখে এসে এই দেশে রাজনীতির কামলা দিতে আসে তারা চেষ্টা করে কিভাবে বউ বাচ্চা যে দেশে রেখে আসছে সে দেশের উন্নতি করা যাবে। তারা কি রাজনীতি করে দেশের স্বার্থে? তারা রাজনীতি করে কি ভাবে এই দেশ থেকে লুটে পুটে নিতে পারবে এই অর্থে। । এক নেত্রীর ছেলে খাম্বা চুর আর আরেক নেত্রীর ছেলে ডিজিটাল চুর। চুর ২টাই। কোনটাই দুধে ধুয়া না। গু এর ( পায়খানা) এ পিঠ আর ও পিঠ। কোন পিঠই ভালো না। ২১ শে ফেব্রুয়ারি আসলে যারা শহীদ মিনারের বেদিমূলে দারিয়ে ভাষা নিয়ে এতো বড় বড় কথা বলে তাদের ছেলেরা কি বাংলা বলতে পারে, বা বাংলা বলতে পাড়লেও কি লিখতে পারে? পারে না। কারন তাদের ছেলেরা এই দেশে পড়ালেখা করলেও করেছে ইংলিশ মিডিয়ামে নয়তো বিদেশে থেকে পড়া শুনা করছে বা পড়াশুনা করে বিদেশেই সেটেল্ড। গণতন্ত্রের নামে যা হচ্ছে সবই অগনতান্ত্রি। বাক স্বাধীনতাই তো নাই। উচিৎ বললে বলে রাজাকার। সত্য বললে বলে রাজাকার। এরশাদ কি আসলেই স্বৈরাচার ছিলো? এরশাদ স্বৈরাচার ছিলনা, এরশাদ ছিলো লুচ্চা। এরশাদের দুষ এই টাই ছিলো। এরশাদের সময় ডাকসু নির্বাচন ঠিকই হতো। আর এখন গণতন্ত্রের জোয়ার অথছ এই ২ মহিলার হাতে দেশ আসার পর থেকে ( ১৯৯০-থেকে এই পর্যন্ত) ডাকসু নির্বাচনের কোন খবর নাই। এরশাদের নিজের ছাত্র দল ছিলনা কিন্তু অন্য দলের ছেলেরা ঠিকই রাজনীতি করতে পারতো। হিজলা ( এরশাদ) এই খানেই ভুল করেছে। সবই ধুকা বাজি। এই যে কিছুদিন আগে হেফাজত নামে মুল্লারা যে আন্দোলন করল? জানিনা তাদের উদ্দেশ্য কতোটা সহীহ বা খারাপ ছিল। তাই বলতে পারছিনা অন্দোলনটা ঠিক ছিল না বেঠিক ছিল। কিন্তু কোরান পুরানো হয়েছে ঠিক। এই মিডিয়ার যুগে যারা কুরান পুড়িয়েছে তাদের কি কোন ফুটেজ নাই? সরকার কী তাদের ধরতে পারে না? সরকার কি তাদের ফুটেজ দিয়ে পোস্টারিং করে তাদের সনাক্ত করতে পারে না? সরকার কেন এই কোরান পুড়ার বিচার করছে না। আমারতো মনে হয় ফুটেজ আছে কিন্তু ইচ্ছে করে করছে না। কেনোনা, হেফাজতের অন্দোলন যারা করেছে তাদের পরনে ছিলো পায়জামা আর পাঞ্জাবি, মাথায় ছিলো টুপি। কিন্তু দেখা যাবে যারা কোরান পুড়িয়েছে তাদের পরনে দেখা যাবে পেন্ট আর শার্ট বা টিশার্ট আর পেন্ট। হিসাব মিলবে না। মুল্লারা কুরান পুরেছে তা প্রমাণ করতে পারবেনা। গত কিছুদিন আগে একটা টক শো দেখলাম। দেখলাম শাহারিয়ার কবির হিজাব নিয়ে কথা বলছে। কথার প্রসঙ্গে বলছে উনার মিশরে বন্ধু আছে, পাকিস্তানে বন্ধু আছে। কাদের মুল্লার ফাঁসি হওয়ার পর পাকিস্তানে এর প্রতিবাদ হয়েছে। গনগাজরন মঞ্চে পাকিস্তানি পণ্য বর্জনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তার মানে সকল পাকিস্তানি খারাপ। বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তান যা করেছে তা কি সারা পাকিস্তানিরা সমর্থন করে? না করে না। অনেক পাকিস্তানি আছে যারা পাকিস্তানের এই বর্বরতা কে ঘৃণা করে। যদি তাই না হতো তবে শাহারিয়ার কবিরের পাকিস্তানী বন্ধু থাকতো না। পাকিস্তানী পণ্য বা পাকিস্তানীদের বর্জনের প্রশ্ন আসলে শাহারিয়ায় কবিরকেও দেশদ্রোহীর দুষে দুষি করে শাস্তি দিতে হবে। কেনোনা শাহারিয়ার কবির পাকিস্তানীদের সাথে অর্থাৎ দুষিদের সাথে সম্পর্ক করেছে। সুতরাং সে ( শাহারিয়ার কবির) ও দুষি। সবাই ভন্ডা। এই যে জামাত কে নিয়ে এতো তাল বাহানা হচ্ছে। আওয়ামীলীগ যদি যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার করতে পারে তবে জামাতের রাজনীতি সরাসরি বন্ধ করে দিতে পারে না???? অবশ্যই পারে। কিন্তু করবে না। কেন করবে না? কারণ রাজনীতি নিয়ে যে খেলা খেলছে তা এর পারবেনা। সবাই ফটকা, সবাই আমাদের বোকা পেয়ে ফটকামি করছে। কিছু কিছু বোকা আছে এবং কিছু ফটকাবাজ নেতা আছে কথায় কথায় বলে দেশের মানুষ এখন এর বুকা না। সবাই বুঝে। মানে বুকাদের আরও বোকা বানাচ্ছে মানে পাম দিয়ে ফুলিয়ে দিচ্ছে। কারণ তারা জানে যে তাদের ফটকামিতে আমাদের কিছু যায় আসে না, কানোনা আমরা তাদের ফটকামি বুঝবো না, বুঝি না। আসলেই তাদের জানা ঠিক। আসলেই আমরা তাদের ফটকামি বুঝি না বুঝবো না। এই যে লোকাল বাস গুলির কথাই ধরেন? যখন দেখবেন এরা সিটিং করছে তখনই ধরে নেওয়া যায় যে এই হল ভারা বাড়ানোর ফন্দি। মাস তিনেক সিটিং থাকবে ঠিকই কিন্তু তারপরে আবার লোকাল। তারপর ধরেন বাস ভাড়া। ভাড়া ৮টাকা দিয়েছেন ১০ টাকার নোট, আপনি কি আর ২টাকা ফেরত পাবেন? পাবেন না। কারণ তখন দেখবেন কনট্রাক্টর জুড় করে বলবে ভাড়া ১০ টাকাই। তাহলে কি আমরা বূকা না? বূকা বলেই তো রাজনেতা থেকে গাছনেতা পর্যন্ত আমাদের সাথে ফটকামি করে যাচ্ছে, আমাদের বোকা বানিয়ে যাচ্ছে।
আমি যে বাসে চরে উত্তরা থেকে সদর ঘাট যাচ্ছিলাম ষে বাসেই পাশের সিটে বসা এক ভদ্র লোক এমন করেই কথা গুলি বলছিলেন। কথা গুলি খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম। শুনার পর চিন্তা করে দেখলাম আসলেই তো ঠিক!!!
বিষয়: বিবিধ
১১৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন