“Come to prayer, come to success”
লিখেছেন লিখেছেন শারিন সফি অদ্রিতা ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১০:৫৮:৪২ সকাল
Undergrad এ থাকার সময় আমাকে লম্বা সময় ধরে কাজ করতে হত। এক শিফ্টে বেশ কিছু সালাতের ওয়াক্ত আসতো-যেতো। তখন ভাবতাম, কিভাবে হুট করে কাজ থেকে উঠে নামাজ পড়বো, অফিসের মধ্যে নামাজের জায়গা কোথায় পাবো, বার বার ব্রেকের নাম করে উঠে গেলে আমার ম্যানেজার কি ভাববে? ওযু কিভাবে করবো?-- ইত্যাদি ইত্যাদি. এগুলি genuine concerns অনেকেরই আছে.
দুআ করতাম - আল্লাহ এমন একটা পরিবেশ তৈরি করে দাও যেন নামাজ কখনো কাযা না হয় । যেখানে যে অবস্থায় থাকি, যেন নামাজ পড়তে কোনো সমস্যা না হয়! আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমার দুআ শুনলেন।
Undergrad এর সময় আল্লাহ আমাকে এমন বান্ধবীর সঙ্গ দিয়েছেন যে, আমরা একজন আরেকজনকে ডেকে ডেকে নামাজ পড়তাম। ক্যাম্পাসে কোনো পাবলিক প্লেসে নামাজ পড়তে হলে, একজন আরেকজনের নামাজ পড়ার সময় দাঁড়িয়ে থাকতাম যেন আরেকজন comfortably নামাজ পড়তে পারে।
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে এমন Supervisor দিয়েছেন যে, আমি Prayer-ব্রেক এ যাবার অনুমতি চাইলে তিনি বলতেন, “Don’t forget to pray for me ”। Orlando -shooting এর পর যখন islamophobia আর hate crime চারপাশে, আমার এই supervisor ভদ্রমহিলা আমাকে এসে বললেন, "তুমি আজকে নামাজ পড়তে যাবার সময় আমাকে নিয়ে যেও. আমি তোমার পাশে বসে থাকতে চাই. Just to show solidarity with Muslims you know!" সুবহানাল্লাহ!
নন-মুসলিম ফ্রেন্ড দের সাথে গ্রূপ স্টাডি করছি পরীক্ষার আগের দিন. আমার সালাতের ওয়াক্ত হবার কিছুক্ষণ আগে থেকেই তারা জিজ্ঞেস করছে, “তোমাকে না একটু পরে Pray করতে হবে? আসো আমরা তোমাকে Pray করার একটা জায়গা খুঁজে দেই!”
আমার ইউনিভার্সিটিতে মুসলিম student population কম হওয়ায় আলাদা কোনো prayer room ছিল না. দেখা যেত প্রায়ই আমরা ২-৩ জন বান্ধবীরা মিলে যেখানেই একটু পরিষ্কার, quiet জায়গা পাচ্ছি - সেখানেই নামাজে দাঁড়িয়ে যাচ্ছি। প্লাস্টিকের বোতলে পানি ভরে ওযু করতে চলে যাচ্ছি। পাবলিক restroom এ ওযু করার জন্যে পা বেসিনে তুলে দিচ্ছি! আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ সব সহজ করে দিয়েছেন। কখনো নামাজ পড়াকে extra কোনো load মনে হয়নি। বরং নামাজ ছুটে যাচ্ছে বা যাবে - এটা ভাবতেই জান শুকিয়ে যেত.
আলহামদুলিল্লাহ আজ পর্যন্ত এরকম কখনো হয়নি যে, আমি কারো কাছে নামাজ পড়ার জন্যে একটু স্পেস বা টাইম চেয়েছি এবং সে সেটার ব্যবস্থা করে দেয়নি। সুবহানাল্লাহ! দেশে-বিদেশে, রেস্টুরেন্টে, পার্কিং লটে, পার্কে, গ্যাস স্টেশনে, লাইব্রেরিতে, প্রফেসরের অফিসে - যেখানে যাকে বলেছি, সে নামাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সে নিজে না পারলে অন্যকে ডেকে ব্যবস্থা করে দিয়েছে! একটা সময় ছিল যখন এভাবে নামাজ পড়তে ভয় পেতাম। আমাকে নামাজ পড়তে উঠে যেতে হবে - এটা কাউকে বলতে নার্ভাস লাগতো! আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ ভয় কাটিয়ে দিয়েছেন। আসলেই নামাজের জন্যে কোনো excuse যে নেই । জাস্ট আল্লাহর সামনে শান্তিতে সিজদাহ দিতে পারাটা - Its a huge blessing Alhamdulillah!
একবার লাইব্রেরিতে কোন খালি স্টাডি রুম পাচ্ছি না. Next class শুরু হতে বেশীক্ষণ নেই. হল-ওয়ের এক কোণায় আস্র নামাজ কোনোমতে পড়লাম। নামাজ শেষ করে ক্লাসে দৌড় দিব, এমন সময় লাইব্রেরিয়ান একজন ভদ্রমহিলা এসে বললেন, “তুমি চাইলে আমাদের অফিসে এসে Pray করে যেতে পারো, ঐদিকের রুমটা usually খালি থাকে!" সে চলে যেতে যেতে আবার বললেন, "এভাবে তোমাকে pray করতে দেখে আমার বেশ ভালো লাগে! You keep it up!"
আরেকদিন নামাজ পড়ছি তিন তলায় লিফটের পাশে একটু খালি জায়গা - সেখানে। একটা স্টুডেন্ট একটা ছোট চিরকুট রেখে গেলো। নামাজ পড়া শেষ করে দেখি সেখানে লেখা ছিল এমন কিছু - "In a world full with hate and bigotry, when I saw you praying, I felt some sort of peace! We are all one!" সুবহানাল্লাহ! আবার অনেক সময় অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় নামাজ পড়তে গিয়ে! আল্লাহর রহমতে আমরা ইউনিভার্সিটির Dean এর কাছে আমরা মুসলিম স্টুডেন্টসরা Formal request করে শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে নামাজ পড়ার জন্যে একটা Designated জায়গা পাই আলহামদুলিল্লাহ!
এই ঘটনা গুলি থেকে আমার কাছে একটা জিনিস পরিষ্কার, নামাজ priority হলে এটা পড়ার জন্যে জায়গা এবং সময় খুঁজে পাওয়া কোনো ব্যাপার না! যে আল্লাহ্র কাছে আসতে চাইবে আল্লাহ্ তার রাস্তা অবশ্যই সহজ করে দিবেন। আমরা অনেকেই নামাজ পড়তে চাই, কিন্তু ক্লাস বা কাজের মধ্যে থাকি-- কিভাবে পড়বো ভেবে আর নামাজ পড়া হয় না. আমার উস্তাদা বলতেন, তিনি student থাকতে ক্লাসের জন্যে রেজিস্টার করার আগে ভাবতেন, কোন ক্লাসটা নিলে আমার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে কোনো ঝামেলা হবে না?
তারপর আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতেন, যেন তিনি সব অবস্থায় সালাহ ধরে রাখতে পারেন। মুয়াজ্জিন দিনের মধ্যে ১০ বার করে ডাকেন, "হাইয়া আলাল ফালাহ ! হাইয়া আলাল সালাহ!" , "নামাজের দিকে আসো, সাফল্যের দিকে আসো!" নামাজ বাদ দিয়ে দুনিয়াবি/আখিরাতের সাফল্য অর্জন অসম্ভব!
কিয়ামতের দিন সবার আগে জিজ্ঞেস করা হবে নামাজ সম্পর্কে। ৬ ফিট কবরের নিচে ঘুটঘুটে অন্ধকারে বান্দার জন্যে আলো হহবে তার ইবাদাত - নামাজ। যে দিনে পাঁচবার নামাজের সাথে কমিটমেন্ট ঠিক রাখতে পারে, সে জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও Discipline maintain করতে পারে। Meditation/Yoga সেশন গুলোতে যে posture গুলো বেশি recommend করা হয়, এগুলি অলরেডি একজন মুসলিম দিনে পাঁচবার সালাতের মাধ্যমে practice করে!
“The first matter that the slave will be brought to account for on the Day of Judgment is the prayer. If it is sound, then the rest of his deeds will be sound. And if it is bad, then the rest of his deeds will be bad.”
(At-Tirmidhi)
নামাজ ঠিক তো সব ঠিক! ইয়া রাব্বুল আলামিন, আমাকে, আমার পরিবারকে, আমাদের সবাইকে এমনভাবে সালাহ আদায় করার তাওফিক দিন যেন এই সালাত আমাদের দুনিয়া এবং আখিরাতের কল্যাণ এবং সাফল্যের উৎস হয়. আমিন।
“And I have chosen you, so listen to what is revealed [to you]. Indeed, I am Allah. There is no deity except me, so worship Me and establish prayer for My remembrance.” [Qur’an: Chapter 20, Verses 13-14)
"এবং আমি তোমাকে মনোনীত করেছি, অতএব যা প্রত্যাদেশ করা হচ্ছে, তা শুনতে থাক। আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর।"
(সূরা ত্ব-হা: আয়াত ১৩-১৪)
“Come to prayer, come to success”
(This is a reminder for me First and then everyone else.)
বিষয়: বিবিধ
৬০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন