হিজাব-২: হিজাব এবং ধর্ষণ
লিখেছেন লিখেছেন শারিন সফি অদ্রিতা ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৪:৫১:৫৯ বিকাল
বেশ ক’মাস আগে নিউজে দেখছিলাম একজন হিজাবী আপুর ধর্ষণের খবর। এ নিয়ে অনেক তুলকালাম কান্ড হয়! অনেক মিটিং-মিছিল হয় বিচার চেয়ে। (My deep condolence and prayers are with this sister)। এই ঘটনার পর নারীবাদী সহ অনেকেই পত্রিকায় লিখা শুরু করে এই টপিকে, “কই তোমার হিজাব তো তোমাকে প্রোটেক্ট করলো না!” এবং তার সাথে হইহই করে ছেলে-মেয়ে, হিজাবী-ননহিজাবী, মুসলিম-ননমুসলিম সবাইই তাল মিলায়, “তোমরা মেয়েদের হিজাব না করতে বলে তোমাদের ছেলেদের সভ্য হতে শিখাও”! আমি অবাক হতে গিয়েও হইনি, হুজুগে বাঙালি বলে কথা!
মুসলিমদের কি আসলেই মনে হয় যে, আমরা মুসলিমাহ্ মেয়েরা এজন্যে হিজাব করি যেন ছেলেরা আমাদের ধরে ধরে রেইপ করতে না পারে? It’s that your reasoning for hijab has boiled down to?? হিজাবের পারপোস কি এত ছোট?
Let me tell you my friend, একজন True মুসলিমাহ্ ধর্ষণ থেকে বাঁচার জন্যে হিজাব করে না! She has a higher purpose - To please God, benefit humanity and be successful in the hereafter.
হিজাব কোন সিল মারা পেপারে গ্যারান্টী না যে, হিজাব পরলেই পৃথিবী থেকে ধর্ষণ উঠে যাবে। যাদের পশুর মতন মানসিকতা, তারা হিজাবী, নিকাবী, বাচ্চা-শিশু থেকে শুরু করে কাউকেই রেহাই দেয় না। তাই বলে কি আমরা আল্লাহর গাইডলাইনের মজা উড়িয়ে হিজাব পরা ছেড়ে দিবো? ধরুন আপনার বাসায় কড়া পাহাড়া, এলার্ম সিস্টেম লাগানোর পরেও ডাকাতি হলো; তার মানে কি আপনি পরদিন থেকে বাসার সব গার্ড নামিয়ে গেইট খুলে রেখে দিবেন ডাকাতদের আসার জন্যে??? আপনি স্মার্ট হলে উল্টা আপনি আরো কড়াকড়ি করবেন যেন ডাকাত নেক্সট টাইম আসতে না পারে। খতিয়ে দেখবেন এলার্ম সিস্টেমে কোথায় ভুল ছিল যে কিভাবে ডাকাত ঢুকে পরলো? ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের নিজেদের ঈমান এবং আমল নিয়ে আরো কড়াকড়ি করতে হবে। নিজেদের হিজাব এবং আমল খতিয়ে দেখলে যে ভুল গুলি বের হয়, সেগুলা sincerely শুধরানোর চেষ্টা করতে হবে। বোকার মতন গেইট খুলে রেখে “আমি স্বাধীন! আমি স্বাধীন” বলে চিল্লালে ডাকাত আসাও বন্ধ হবে না, রেইপও দুনিয়া থেকে উঠে যাবেনা। রেপিস্টরা অমানুষ, কিন্তু আপনাকে মানুষ হতে কে আটকিয়ে রেখেছে?
কিন্তু এটা সত্য যে, যারা sincerely আল্লাহ্র জন্যে হিজাব পরে, worldly benefit comes naturally for them! আমি নিজে কতবার Experience করেছি এটা বলে শেষ করা যাবেনা! আমি যখন ভার্সিটির Tutoring Department এ কাজ করতাম, আমার male co-worker সবসময় আমার জন্যে দরজার হ্যান্ডেল ধরে দাঁড়িয়ে থাকতো আমি অফিসে ঢোকার সময়। যখন ইন্টার্নশিপে ক্লিনিকে অবসার্ভ করতে যাই, আমার বাবার বয়সী ডাক্তার নিজে তার জায়গা থেকে উঠে আমার জন্যে চেয়ার নিয়ে আসতো যেন আমি বসতে পারি! এরকম হাজার হাজার উদাহরণ। আবার এই সেইম কো-ওয়ার্কার কেই দেখা যায় মিনি স্কার্ট পড়া আমার আরেক কলিগ্কে বলছে, “ Wow You look sexy!” কিন্তু আমার সামনে মাথা নিচু করে আমাকে সম্মান ছাড়া আর কিচ্ছু করেননি! আলহামদুলিল্লাহ্ হিজাব শুরু করার পর থেকে বুঝেছি, My Allah has protected me from a lot of non-sense. আল্লাহ আমাকে হিজাবের মাধ্যমে সম্মান, Honor and Dignity ছাড়া আর কিচ্ছু দেন নি। আমি জীবনে কোনদিন এমন স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি! হিজাব আমাকে ফ্রি করেছে অনেক অত্যাচার থেকে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কি পরবো, কিভাবে সাজলে কে তাকাবে, কে খুশি হবে, – এসব থেকে মুক্তি। নিজের সৌন্দর্য্য নিয়ে Insecurity তে ভোগা থেকে মুক্তি! নানা রকমের নির্লজ্জতা এবং অশালীনতা থেকে মুক্তি আলহামদুলিল্লাহ্।
নেক্সট টাইম ইসলাম বিরোধী কোন লিখা বা টক্শো দেখলেই হুজুগে বাঙ্গালির মত হইহই করে একমত হয়ে যাবেন না। প্রশ্ন করুন, নিজের রিসার্চ করুন, সেই টপিকের উপর both ইসলামিক এন্ড সাইন্টিফিক বই পড়ূন। স্কলারদের জিজ্ঞেস করুন। তারপর নিজের ব্রেইন use করে সিদ্ধান্তে পৌঁছান। আমি ইসলাম ছাড়াও অন্যান্য অনেক ধর্মই স্টাডি করেছি, ওয়াল্লাহি Islam encourages critical thinking like no others! And any sensible smart Muslim who’s been doing their research, would have no difficulty in understanding, nothing is more liberating than the Hijab Alhumdulillah!
please কেউ ভাববেন না লিখাগুলি যারা হিজাব পড়েন না তাদের ছোট করতে লিখা! যেকোনো নন হিজাবি আপু আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয় হতে পারেন তার সুন্দর চরিত্রের জন্যে! আমি লিখি so hopefully it makes you think. We need more thinkers in this Ummah!
(চলবে ইনশা আল্লাহ্ ...)
বিষয়: বিবিধ
৯৬১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইসলাম এর প্রচারের সময়েও কেন জানি সবাই আধা আধা প্রচার করেন কিছু ব্যাপার বলেন না। ইসলাম পুরুষ ও নারী উভয়কেই দৃষ্টি সংযত করতে বলেছে। নারীকে বলেছে কোন দরকারে পুরুষের সাথে কথা লাগলে সে যেন কন্ঠস্বর মোলায়েম না করে কর্কশ করে।একজন নারী হিজাবী হোন বা না হোন, বাইরে একাকী সে সব সময়ই অনিরাপদ কারণ ধর্ষক বিকৃত মানুষিকতার সে স্বাভাবিক না। আমাদের দেশে জনপ্রিয় গান আছে চুমকি চলেছে একা পথে সঙ্গী হলে দোষ কি তাতে? তাই ইসলাম নারীকে বলেছে বাইরে গেলে পর্দার সাথে সাথে সে যেন রক্ত সম্পর্কের পুরুষ কে সাথে রাখেন অথবা হাজবেন্ডকে এতে করে সে একা হচ্ছেনা কোন বখাটে তার একাকিত্ব এর সুযোগ নিতে আসবেনা। বাস্তবতা হল যেসব নারী ধর্ষণ এর শিকার হন, তাদের অধিকাংশই মার্জিত পোশাকধারী। বিকৃত মানুষিকতার বখাটেরা তাদের দুর্বল পেয়ে ঘায়েল করে। আবার এদের বিকৃত মানুষিকতার পেছনেও থাকে আরেকশ্রেনীর নারীদের হাত যারা খোলামেলা বিকৃত পোশাকে অভ্যস্ত। এসব নারীরা হাইলি সিকিউরড। তারা শপিংমলে,প্রাইভেট ভার্সিটি, ফ্যাশন শো, টিভির পর্দাতেই বাজে পোশাকে দৃশ্যমান বাস্তবে তারা ধরাছোয়ার বাইরে কিন্তু সেই দৃশ্য উঠতে বসতে, শুতে,ঘুমাতে প্রতিনিয়ত দেখতে দেখতে একশ্রেনীর পুরুষের মানুষিকতা বিকৃত হতে থাকে তারা সুযোগ খোঁজে। তাদের কাছে হিজাবী তনু বা নন হিজাবী রুখসানার কোন তফাৎ নেই তারা যখন দেখে এই মেয়েটা সহজ শিকার তখন তাকেই ফাদে ফেলে।
আমার জানা ছিল না যে আপনি আপনার পরিচয় গোপন রাখতে পছন্দ করেন। ছদ্মনাম নিয়ে লিখে যান, আপনার পুরস্কার আল্লাহর সাথে! এবং আমার কোন কমেন্টে যদি আপনার খারাপ লেগে থাকে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী
জাঝাকাল্লাহু খইর!
মন্তব্য করতে লগইন করুন