কাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন?
লিখেছেন লিখেছেন শারিন সফি অদ্রিতা ২৯ অক্টোবর, ২০১৭, ০৯:৩৮:৩৭ রাত
যদি জিজ্ঞেস করি, "আচ্ছা! কে আপনাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে?" হয়তো আপনি বলবেন, মা, নাহলে বাবা। কেউ হয়তো বলবে, আমার ভালোবাসার মানুষ! আমরা আমাদের কাছের মানুষদের যতই ভালোবাসি না কেন, আল্লাহর ভালোবাসার তুলনায় সেটা কিছুই না! সঠিক উত্তর হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন! তিনি যে আপনাকে, আমাকে কি পরিমান ভালোবাসেন, এটা আমরা কল্পনা করেও কোনোদিন বের করতে পারবো না! ভেবে দেখুন, আল্লাহ আপনাকে বানিয়েছেন, সেই ছোট কোষ থেকে এতো বড় একটা মানুষ আপনি হয়েছেন, আপনাকে তিনি খাওয়াচ্ছেন, পড়াচ্ছেন, আপনাকে ফ্যামিলি দিয়েছেন, জব দিয়েছেন, আপনাকে আনন্দ দিয়েছেন, আপনাকে সুস্হতা দিয়েছেন, আপনাকে কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস থেকে বাঁচিয়ে রাখছেন, আপনার জন্য বৃষ্টি করে আকাশ থেকে পানি পাঠিয়ে দিচ্ছেন, আপনার আমার জন্যে দিন কে রাত পার করে, সূর্য - চাঁদ কে নিয়মিত কন্ট্রোল করে যাচ্ছেন!! সুবহানআল্লাহ আল্লাহর নিয়ামত বলে শেষ করা যাবে না!
"তোমরা তোমাদের রবের কোন কোন নিয়মত কে অস্বীকার করবে?" (সূরা আর-রাহমান)
আল্লাহ আমাদের কত ভালোবাসেন, আর আমরা আল্লাহকে কতটুকু ভালোবাসি? কেউ যখন কাউকে ভালোবাসে, তাকে খুশি করার চেষ্টা করে, তার কথা শুনে, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে. আমরা দাবি করি আমরা আল্লাহ কে ভালোবাসি, আমাদের কাজে সেটা কতটুকু প্রকাশ পায়?
এমন না যে আল্লাহর কথা শুনে আমরা আল্লাহর কোনো উপকার করেছি, সুবহানাল্লাহ আল্লাহর স্বয়ং সম্পূর্র্ণ, তার আমাদের কারো প্রয়োজন নেই. আমরা আল্লাহ,র কথা শুনলে আমাদের ই লাভ! দুনিয়া এবং আখিরাতে আমাদের ই কল্যাণ হবে! আল্লাহ তাই ভালোবেসে কুরআনের মাধ্যমে আমাদের ভালো থাকার উপায় বলে দিয়েছেন। কিন্তু আমরা দুনিয়া দারী নিয়ে এতো ব্যস্ত, কোথায় কুরআন, ইসলাম নিয়ে ভাবার সময় কোথায়?
আল্লাহ আপনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন দেখেই আপনি-আমি বেঁচে আছি. ডাক আসলেই তার কাছে ফিরে যেতে হবে! আমরা নামাজ পড়িনা, আমাদের আলসেমি লাগে, আমরা হিজাব পড়ি না, আমাদের গরম লাগে, আমরা আরেকজনের টা মেরে খাই, আমাদের টাকা লাগবে! আমরা রাগ উঠলে মাথা ঠিক রাখতে পারি না, আমাদের দুইটা কথা শুনিয়ে দিতেই হবে! আমরা যখন আল্লাহর কাছে ফেরত যাবো তখন কি জবাব দিবো তাকে আমাদের কান্ড কীর্তির জন্যে?
সুবহানআল্লাহ, এই কয়দিন আগেই কি কম বয়েসী একটা ছেলে রোড একসিডেন্টে মারা গেলো। তার বাবা মা তাকে যতই ভালোবাসুক, কবরের নিচে মাটি চাপা দিযে ছেলে কে ফেলে আসতে হলো! তার নিথর দেহ এবং সারাজীবনের করা নামাজ আর ভালো কাজ গুলি ছাড়া আর কিছুই নেই সেই কবরে! অন্ধকার কবরের আলো হচ্ছে নামাজ, দান- খয়রাত , ভালো ব্যবহার! সেই আলোর জন্যে এখন থেকেই কাজ করতে হবে!
আমরা আল্লাহ কে ভুলে থাকি, আল্লাহ তায়ালা আমাদের কখনোই ভুলেন না!
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুক, ভালো রাখুন, দুনিয়াতে সফল করুন এবং আখিরাতেও আমাদের সবাইকে জান্নাতে একসাথে থাকার তাওফিক দিন! আমিন
বিষয়: বিবিধ
১১৭০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ প্রতিনিয়ত দয়া করে যাচ্ছেন,আর আমরা তাকে উপেক্ষা করে যাচ্ছি। আল্লাহ ক্ষমা করুক !
সুতরাং, আমার সৃষ্টিকর্মের মাঝে কোন অসংগতি দেখতে পাও কি?
সত্যিই কোন অসংগতি নেই যা মানব মন কল্পনাও করার ক্ষমতা রাখেনা। তবে মানুষের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট হল স্রস্টার প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করা
এসব কিছু জাস্ট নিছক দুর্ঘটনার ফল এটা শুনলে ঐ আয়াতটা মনে পরে।
হে মুহাম্মাদ! তোমার পূর্বে এমন কোন নবী নেই যাকে তারা মিথ্যাবাদী, পাগল হিসেবে অভিহিত করা হয়নি এবং তাদের প্রতি ঈমানও আনেনি। এরাও তোমার প্রতি ঈমান আনবে না। তারা বলে আল্লাহ কোন নিদর্শন পাঠান না কেন যা দেখে আমরা তার উপর ঈমান আনতে পারি? যদি আমি তাদের জন্য আসমানের দুয়ার খুলে দেই এবং তাতে তাদের আরোহন করাই তবুও তারা আল্লাহর যাবতীয় নিদর্শন প্রত্যক্ষ করার পরেও বলবে, সম্ভবত আমাদের চোখ ও অন্তর আমাদের ধোঁকা দিচ্ছে মূলত সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ নেই। তারা ঈমান আনবে না। আমি যদি নিজ হাতে লিখিত কোন কিতাব তাদের জন্য প্রেরণ করি তবুও তারা বলবে, এতো সুস্পষ্ট জাদু! রিচার্ড ডকিন্স আর লরেন্স ক্রাউস এর মত বিজ্ঞানীদের লেকচারগুলো দেখলেই কুরানের এসব কথাগুলো একদম জীবন্ত হয়ে যায়। তারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করার মাঝে কোন যুক্তি পায়না অথচ মানুষকে এলিয়েন সভ্যতা সৃষ্টি করেছে, আমরা জাস্ট স্টারডাস্ট, ইউনিভার্স কম ফ্রম নাথিং,হিউম্যান ডিএনএ নির্ভূলভাবে ডিজাইন করা এটা ফ্যাক্ট তবুও এর কোন ডিজাইনার থাকতে পারেনা এটা জাস্ট একটা দুর্ঘটনার ফল- এসব এর প্রচার নাকি অধিক বিজ্ঞানসম্মত ও যুক্তিসম্মত!!
অবশ্য আপনি ঠিকই বলেছেন নিজের মৃত্যুচিন্তা আসলে খুব ভয় পাই আমি। ভাল কাজের কোন লিস্ট পাইনা অথচ মন্দ কাজের লিস্ট করলে পেজের পর পেজ লিস্ট করা যাবে।
চমৎকার আপু। বাস্তব জীবন থেকে লেখা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন