দ্য জার্নি টু ফেইথ-শেষ পর্ব!

লিখেছেন লিখেছেন শারিন সফি অদ্রিতা ১৬ আগস্ট, ২০১৬, ০৫:৩৩:৩১ সকাল



আয়িশা বাসায় আসলে ওকে আমি সব খুলে বললাম। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত- সব! স-ও-ব! সব শুনে আয়িশা খুশিতে এমন জোরে একটা চিৎকার যে দিল ওরে আল্লাহ্‌!!!!! চিৎকার শুনে আম্মু ঘরে চলে আসলো দেখতে যে কেউ ব্যথা পেয়েছে কি না!! লল :D

আমি বললাম,

- “মেয়ে এত লাফাইয়ো না বুঝছো!!এখন থেকে তোর খবর আসে ”

- কেন কেন আমার আবার কিসের খবর!

- আমাকে বেবিসিট করতে করতে তোর খবর হয়ে যাবে!! প্রথমেই দ্যাখ, আমার আলমারি ভর্তি হারাম কাপড়-চোপড়! আমার সাথে হিজাব শপিং এ যেতে হবে!!!

- ইয়েস ম্যাম!

- আমার সাথে বসে আমাকে নামাজের নিয়ম গুলি আবার দেখায়া দিতে হবে!

- ইয়েস ম্যাম!

- না পড়তে না পড়তে আরবী কুরআন পড়ার অনেক নিয়ম-ই ভুলে গেছি! সেটাও দেখিয়ে দিবি!!

- ইয়েস ম্যাম!! আমার এই জীবনে তোকে বেবিসিটিং করা ছাড়া আর কি-ই বা আছে বল!!!

এটা বলে আয়িশা কস্‌কে আমাকে জড়িয়ে ধরলো! পুরাই ফিল্মী অবস্থা!! আমরা একসাথে হিজাব শপিং এ গেলাম। হালাল কাপড়ের শপিং এ গেলাম! কোন এক ভাবে পেঁচিয়ে মাথাটা ঢেকে রাখলেই হিজাব হয়ে যায় না। আমার সব টাইট ফিটিং কাপড় বাতিল করা হল। আয়িশা আর আমি মিলে মোটা কাপড়ের এক কালারের স্কার্ফ ম্যাচিং করে নিলাম! আমাদের আনন্দ দেখে কে!!!!

না করতে না করতে আমার কুরআন তিলাওয়াত অনেক ভোঁতা হয়ে গিয়েছিল। কানাডা থেকে মাঝে মাঝে একটা আন্টি আসতো আমাদের এখানে কুরআন শিখাতে।আমি আর আয়িশা একসাথে সেখানে যেতাম কুরআন পড়তে। কিন্তু ক্লাসের ব্যস্ততার জন্যে কন্টিনিউ করা হলো না। আয়িশা অলরেডি কুরআন ভালো পারে,কিন্তু আমি পিছিয়ে যেতে চাইনি। সেজন্যে আমি আমার আম্মুর সাথে প্রতি সপ্তাহে একটু একটু করে কুরআন শরীফ নিয়ে বসতে লাগলাম! আলহামদুলিল্লাহ্‌ আস্তে আস্তে আমার কুরআন তিলাওয়াত অনেক Improve করলো!

এখনো মনে আছে যেদিন প্রথম অন্তর থেকে নামাজ পরেছিলাম! সিজদায় মাথা নামাতে আমার বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল সুবহানআল্লাহ! আমি ভাবতাম কিভাবে সম্ভব দিনের মধ্যে পাঁচ বার করে নামাজ পরার জন্যে সময় বের করা!!! দিনের অর্ধেকের বেশি সময় তো ক্লাসই থাকতে হতো! আমি আর আয়িশা মিলিয়ে মিলিয়ে ক্লাসের জন্যে রেজিস্টার করার চেষ্টা করতাম, যেন অত্যন্ত নামাজের জন্যে পাঁচ মিনিট ব্রেক থাকে! মাঝে মাঝে দুইজনের ব্রেক একসাথে মিলে যেত, মাঝে মাঝে মিলতো না! মিলে গেলে আমরা লাইব্রেরিতে চলে যেতাম। আমারা চারতলায় একটা জায়গা ঠিক করে রাখলাম আমাদের নামাজ পড়ার। আমাদের একসাথে ক্যাম্পাসে নামাজ পড়া নিয়ে যা একেকটা মজার কাহিনী! একবার দেখি আমাদের নামাজ পরার জায়গায় অন্য স্টুডেন্টরা বসে আছে! আসরের ওয়াক্ত চলে যাচ্ছে, এখন কই যাই? তড়িঘড়ি করে পাশের একটা রুম খালি দেখে আমরা নামাজ পড়তে ঢুকে পড়লাম। নামাজ শেষ করে আমরা সবে বসেছি, সাথে সাথে একটা লেডি রুমে ঢুকে বলে, “Excuse me! এখানে কি হচ্ছে!!” আমরা যেই ভয় পেয়েছি!! ঐটা ঐ লেডিটার প্রাইভেট অফিস ছিল, আর আমরা নামাজ পড়তে তার অফিসে ঢুকে পড়েছিলাম! কি কান্ড! স্যরি-টরি বলে রুম থেকে বের হয়ে আমরা হাসতে হাসতে শেষ!!! ও আল্লাহ্‌! আমাদের নাতি-নাতনিদের নিয়ে আমাদের গল্প করার টপিকের অভাব হবে না। আমরা বলবো, জানিস তোদের দাদী-নানীরা নামাজ পরার জন্যে কি কি করেছে??? এভাবে আমরা যখন যেখানে যে অবস্থায় সুযোগ পাই, চট করে পরিষ্কার কিছু বিছিয়ে নামাজটা পরে নেই! কখনো লাইব্রেরিতে, কখনো খোলা মাঠে ঘাসের উপরে, কখনো হলের কোণায়, তো কখনো র‍্যান্ডম একটা লেডির অফিসে!!! কোনদিন ভাবিনি একদিন আমি এভাবে নিয়মিত নামাজ পরতে পারবো আলহামদুলিল্লাহ্‌ । ঠিকমতন চেষ্টা করে আল্লাহ্‌র কাছে চাইলে আল্লাহ সবকিছুই জাদুর মতন সহজ করে দেন!

হিজাব পড়া আমার কাছে দুঃস্বপ্নের মতন লাগতো! আলহামদুলিল্লাহ্‌ এখন হিজাব আমারই একটা অংশ, হিজাব ছাড়া আমার চলেই না! আমার হিজাব শুধু এক টুকরা কাপড় না, আমার আল্লাহ্‌র প্রতি ভালোবাসার একটা সরাসরি বহিঃপ্রকাশ! আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমি হিজাব পড়ে আজ পর্যন্ত যেখানে গিয়েছি সবার কাছে শুধুই সম্মান আর ভালোবাসা পেয়েছি! আমার হিজাব দেখে অনেক ননমুসলিম আমার সাথে ইসলাম নিয়ে কথা বলতে এসেছে, আমরা একজন আরেকজনের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি! আর মানুষ কত কথা বানায় যে হিজাব পরে এই করতে পারবে না, সেই করতে পারবে না! তোমার কচু পারবে না!!! আমি যখন হিজাব পড়তাম না আর মুখে একমণ মেকআপের প্রলেপ এঁটে ঘুরে বেড়াতাম, মনের মধ্যে খচ খচ করতে থাকতো! কি জানি সেরকম সুন্দর লাগছে কি না, ছেলেরা তাকাচ্ছে কি না- Self esteem এর কি ভয়াবহ হাল ছিল! আমার চেয়ে আরো সুন্দর কোন মেয়ে দেখলেই ফাটা বেলুনের মতন চুপসে যেতাম! আলহামদুলিল্লাহ্‌ হিজাব পড়ার পর থেকে আমার নিজেকে সবচেয়ে সুন্দর লাগে কারণ এটা আমার রবের আদেশ! মনে অসম্ভব শান্তি লাগে! আমাকে কে দেখছে না দেখছে, কেমন দেখাচ্ছে কিছু নিয়ে আমার চিন্তা করতে হয়না! আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌ আমাকে কুদৃষ্টি থেকে প্রোটেক্ট করছেন। আমি হিজাবের মাধ্যমে আমার বাইরের শরীরের সৌন্দর্য্যের থেকে আমার ভিতরের মনের সৌন্দর্য্যের উপর বেশি মনোযোগ দিবার সুযোগ পাচ্ছি! What can be more beautiful than this!

ছেলেরাও আমাকে দেখলে দূরত্ব বজায় রাখতে থাকলো! আলহামদুলিল্লাহ্‌ বয়ফ্রেন্ড-ব্রেকআপের ঝামেলায় গিয়ে কোন দরকার নেই আমার নিজেকে Emotionally, Spiritually আর Physically নষ্ট করার! ইনশাআল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র কাছে এমন কাউকেই চাই যে আমাকে আল্লাহ্‌র আরো কাছে নিয়ে যাবে। আমি আর আয়িশা আপাতত একজন আরেকজনের জন্যে ভালো দেখে লম্বা-আ দাড়িওয়ালা পাত্রের খোঁজে আছি! দেখা যাক কে ফার্স্ট হয়!! :D

আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌ বান্দার জন্যে করে দেওয়া প্রত্যেকটা নিয়মের মধ্যে বান্দার জন্যে অফুরন্ত কল্যাণ, বান্দা যদি একটু বুঝতো! আলহামদুলিল্লাহ্‌ ধীরে ধীরে আমি আমার বদঅভ্যাস গুলি ছেড়ে দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে লাগলাম। হাস্যকর যে একদিন মনে হতো যে এই হারাম কাজ গুলি করা ছাড়া তো লাইফ ইম্পসিবল!! আমি আর আয়িশা মিলে আমাদের ইউনিভার্সিটীতে একটা "মুসলিম স্টুডেন্ট এসোসিয়েশান" খুললাম! ধীরে ধীরে আমরা আমাদের মতন আরো কিছু বোন পেয়ে গেলাম, কেউ সুদান থেকে, কেউ মিশর থেকে, কেউ পাকিস্তান থেকে! আল্লাহ্‌ পৃথিবীর একেক প্রান্ত থেকে এনে আমাদেরকে এখানে তাঁর ভালোবাসার মাধ্যমে মিলিত করেছেন! আমরা একসাথে গোল হয়ে বসলে মনে হয় যেন জান্নাতে ঝর্ণার পাশে বসে গল্প করছি! সবকিছু স্বপ্নের মতন লাগে!

"...আর যে আল্লাহ্‌র উপর তাওয়াক্কুল করে, আল্লাহ তার জন্যে পথ করে দেবেন।এবং তাকে এমন জায়গা থেকে ব্যবস্থা করে দিবেন যার কল্পনাও সে কোনদিন করেনি। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। " [সূরা তালাকঃ ২,৩]

মানুষের কথায় আগে খুব খারাপ লাগতো। এখন বেশি কিছু মনে করি না। আগে কেউ খোঁটা দিয়ে কথা বললে, আমিও দুইটা শুনিয়ে না দিয়ে থাকতে পারতাম না, গা গিজ গিজ করতো! আলহামদুলিল্লাহ্‌ এখন মানুষের কটু কথা এক কান দিয়ে শুনে দুই কান দিয়ে বের করে দিয়ে হাসি মুখে চলে আসতে পারি! আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির লোভে এতটুকু ছাড় দেওয়া কোন ব্যপার না!!

আমার নিজেকে অমানুষ মনে হত। ভালো মুসলিম হবার চেষ্টা করার পর থেকে আমার নিজেকে আবার মানুষ মনে হতে লাগলো। আমি আমার লাইফের মিনিং খুঁজে পেলাম! আমার লাইফের True purpose খুঁজে পেলাম! The purpose of the Life is to please the One who gave you this life! আল্লাহ্‌র কাছে আসার পর যে আমার জীবন থেকে সব সমস্যার পাহাড় উধাও হয়ে গেছে, তা না! কিন্তু আল্লাহ্‌ পাশে থাকাতে সেই পাহাড় পাড় করে সামনে এগিয়ে যাওয়া অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে!

দুনিয়াতে যাই হোক না কেন আমার কখনোই হতাশ লাগে না। এই দুনিয়া তো দুই দিনের। তারপরই মরে যাবো। দুনিয়ার সামান্য দুঃখ কষ্টের মাধ্যমে যদি আখিরাতে আল্লাহ্‌র সান্নিধ্য পেতে পারি, জান্নাতুল ফেরদাউসে আল্লাহ্‌র সাক্ষাৎ লাভ করতে পারি, তার বদলে দুনিয়ার সমস্যা গুলো কতই না তুচ্ছ! আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমি আত্মসমর্পণকারীদের একজন! আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমি আর-রহমানের বান্দাদের একজন! ইনশাআল্লাহ্‌ আমি যেন আল্লাহ্‌র একজন যোগ্য বান্দা হয়েই তাঁর কাছে ফেরত যেতে পারি! আল্লাহ্‌ যেন আমাদের সবাইকেই একসাথে জান্নাতে থাকার তাওফিক দেন।

"নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতের উদ্যান সমূহে, যার তলদেশ দিয়ে নির্ঝরিণীসমূহ প্রবাহিত হবে। তাদেরকে তথায় স্বর্ণ-কংকন ও মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে এবং তথায় তাদের পোশাক হবে রেশমী।" [সুরা হাজ্জ্ব: ২৩]



"সেদিন জান্নাতীরা আনন্দে মশগুল থাকবে। তারা এবং তাদের সাথীরা উপবিষ্ট থাকবে ছায়াময় পরিবেশে আসনে হেলান দিয়ে। সেখানে তাদের জন্যে থাকবে ফল-মূল এবং যা চাইবে।করুণাময় পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হবে সালাম।" [সুরা ইয়া-সীন: ৫৫- ৫৮]



"যারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করত তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। যখন তারা উম্মুক্ত দরজা দিয়ে জান্নাতে পৌছাবে এবং জান্নাতের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, তোমাদের প্রতি সালাম, তোমরা সুখে থাক, অতঃপর সদাসর্বদা বসবাসের জন্যে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ কর। তারা বলবে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের প্রতি তাঁর ওয়াদা পূর্ণ করেছেন এবং আমাদেরকে এ ভূমির উত্তরাধিকারী করেছেন। আমরা জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা বসবাস করব। মেহনতকারীদের পুরস্কার কতই না চমৎকার! [সুরা যুমার: ৭৩-৭৪]



এই জার্নির শেষ এখানে না, বরং আসল জার্নির শুরু এখানে। ঈমান, গাইডেন্স আর জান্নাত এত সস্তা না। সেগুলি ধরে রাখতে পেরে জান্নাতে গিয়ে আল্লাহ্‌র সাথেই হোক এই জার্নির Happy Ending ... :”)

=========================================

শেষ কথাঃ

পুরো সিরিজটা সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত। অনেকে জিজ্ঞাসা করছিলেন, তাই আবারো বলি এটা আমার নিজের জীবনের কাহিনী না। আমার ইসলামে আসার কাহিনীতে এত ক্লাইমেক্স নেই। হালিমা আমার কলিজার টুকরা বান্ধবী, এটা ওর জীবনের কাহিনী। ওর কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে ছদ্মনাম দিয়ে পুরোটা লিখেছি। আমার হালিমাটার জন্যে সবাই খুব করে দুয়া করবেন ... আর হ্যাঁ আয়িশার জন্যেও কইরেন। Happy

কিছু বোনেদের হৃদয় হরণকারী লিখা পড়ার সূত্র ধরে আমার টুডে ব্লগে আসা! সেই আপু গুলিকে অনেক মিস্‌ করি! আমার সাদিয়া মুকিম আপুণি, রেহনুমা আপা, আফরোজা আপু, নতুন মস্‌, রুবাইয়া আপু, বৃত্তের বাইরে, সন্ধাতারা, প্রিয়ন্তী আপি সহ আরো অনেকে ( ক্ষমা করবেন যাদের নাম মেনশান করা হয়নি)। কোথায় হারিয়ে গেল সবাই জানি না।

এর মাঝেও যখন পাঠকদের উৎসাহ পাই, আলহামদুলিল্লাহ্‌ অনেক ভালো লাগে! বলা বাহুল্য, আমি নিজেও সিসোনাল রাইটার! এই আছি তো এই নেই! তারপরো টুডে ব্লগের যে পাঠকেরা সবসময় আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে আমাকে লিখার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়ে গিয়েছেন, তাদের কাছে আমি সত্যি কৃতজ্ঞ! আল্লাহ সুবহানুতা'আলা আপনাদের সবাইকে দুনিয়া এবং আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দিক! অনেক বেশি ভালো রাখুক, আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকেই কবুল করে নিক এবং জান্নাতে আমাদের সবাইকে একসাথে থাকার তাওফিক দিক।

আমিন!

... এতদিন ধরে ধৈর্য্য ও সময় নিয়ে এই সিরিজের সাথে থাকার জন্যে জাঝাকুমুল্লাহ খইর!

(সমাপ্ত)





বিষয়: বিবিধ

১৫৩০ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

376334
১৬ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৭:৫৭
কুয়েত থেকে লিখেছেন : السلام عليكم ورحمة الله وبركاته بارك الله فيك وجزاك الله خيرا وشكرا لك يا اختي الكريمة কোনদিন ভাবিনি একদিন আমি এভাবে নিয়মিত নামাজ পরতে পারবো আলহামদুলিল্লাহ্‌ । ঠিকমতন চেষ্টা করে আল্লাহ্‌র কাছে চাইলে আল্লাহ সবকিছুই জাদুর মতন সহজ করে দেন অনেক অনেক ভালো লাগলো পিলাচ অনেক ধন্যবাদ
২২ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৮:৩০
312228
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : জাঝাকাল্লাহ খইর! আপনাকে ধন্যবাদ!
376341
১৬ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৮:৩৫
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : ভালো লেগেছে আপনার লেখার সবগুলো পর্বই|হ্যা আপনার মতোই সাদিয়া মুকিম,রেহনুমা বিনতে আনিস উনাদের লেখা মিস করি|আপনাকে রিকোয়েস্ট ব্লগে লেখাটা চালিয়ে যাবেন|আর অন্যদের জন্য রিকোয়েস্ট প্লিজ আবার লিখা শুরু করুন ব্লগে|
২২ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৮:৩১
312229
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ্‌ চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ আপনাকে। জাঝাকাল্লাহ খইর।
376344
১৬ আগস্ট ২০১৬ সকাল ১০:১৩
আবু নাইম লিখেছেন : ঠিকমতন চেষ্টা করে আল্লাহ্‌র কাছে চাইলে আল্লাহ সবকিছুই জাদুর মতন সহজ করে দেন!

এই জার্নির শেষ এখানে না, বরং আসল জার্নির শুরু এখানে। ঈমান, গাইডেন্স আর জান্নাত এত সস্তা না। সেগুলি ধরে রাখতে পেরে জান্নাতে গিয়ে আল্লাহ্‌র সাথেই হোক এই জার্নির Happy Ending ... :”)

আসলেই এ জার্নি এখানে শেষ নয় ..আমাদের আসল জার্নি তো সামনে সত্যিই খুবই ভাল লাগল। চোখের পানিতো আর বাধ মানে না। সত্যিই কি আমরা সফল হব। অনন্তকালের সে যাত্রা পথ পারি দিতে কি পারব। পাব কি সে কুলের ঠিকানা। জানি না আল্লাহ আমাদের জন্য কি ফয়সালা করে রেখেছেন।

তবে যাই হোক এ গল্পটা পড়ে ভালই লাগল। প্রেরণা পেলাম। যাত্রা পথের শেষ ঠিকানার কথা মনে করে হৃদয় মান বিগলিত হল। আল্লাহ এ বোনটিকে আরও ভাল কিছু লেখার তাওফিক দান করুন। আমিন।
২২ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৮:৩১
312230
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : আল্লাহুম্মা আমিন!
আল্লাহ রব্বুল আলামিন আপনাকে আপনার দুয়ার বরকত যেন পুরোপুরি দেন!

অনেক ধন্যবাদ! জাঝাকাল্লাহ খইর
376352
১৬ আগস্ট ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অত্যন্ত চমৎকার ও উৎসাহমুলক সিরিজটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। বিশেষ করে আয়িশার দাওয়াহর মন টা ভাল লাগল। আমারা অনেকেই আছি যারা অপর কেউর অবস্থা,শিক্ষা,পরিবেশ ইত্যাদি বিবেচনা না করেই তাকে বেপর্দা খেতাব দিয়ে ইসলাম থেকে দুরে ঠেলে দিই অথবা ভুল পন্থায় দাওয়াত দিতে গিয়ে তার মনটাকেই নষ্ট করে দিই। অথচ মানুষ তখনই আরেকজন এর কথা শুনবে যখন সে বুঝবে তার উপর আস্থা রাখা সম্ভব। আবারও ধন্যবাদ এই শিক্ষনিয় লিখাটির জন্য।
২২ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৮:৩২
312231
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ! জাঝাকাল্লাহ খইর!
376374
১৬ আগস্ট ২০১৬ রাত ১০:০১
দ্য স্লেভ লিখেছেন : খুব অসাধারনভাবে একটি হৃদয় আল্লাহর দিকে ফিরে গেল। রবের ভালোবাসায়,রহমতে সিক্ত হল। এর চাইতে ভয়াবহ খুশীর বিষয় আর হতেই পারেনা। অসম্ভব ভালোলাগা কাজ করল। আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাত দান করুন আর তার পথে সুদৃঢ় রাখুন। এখানে যেভাবে মনোজগৎটা বিশ্লেষন করেছেন তা অসাধারন। একটি মনের ক্রমবর্ধমান পরিবর্তন উঠে এসেছে আর সাথে সাথে আল্লাহর পক্ষ থেকে যে কিছু ইলহাম,ইঙ্গিত আসে,কিছু অলৌকিকভাবে উপস্থিত হয় সেসব উপলব্ধী তা প্রকাশিত হয়েছে....জাজাকাল্লাহ। আমার জন্যে দোয়া করবেন,আল্লাহ যেন আমাকে ক্ষমা না করে মৃত্যু দান না করেন। ব্লগে নিয়মিত লিখুন এই অনুরোধ রইলো। আমিও কিছু ইসলামিক লেখা লিখব,খাওয়া দাওয়া নিয়ে অনেক লিখেছি
২২ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৮:৩২
312232
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : আপনার লাস্ট লাইন Rolling on the Floor
২২ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৮:৩২
312233
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : জাঝাকাল্লাহ খইর! ইনশাআল্লাহ্‌ চেষ্টা করবো! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
২৪ আগস্ট ২০১৬ সকাল ১০:২৭
312344
দ্য স্লেভ লিখেছেন : দাড়ান লেখা দেব এক্ষুনি Happy
376385
১৭ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৯:৫৭
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : মাশাআল্লাহ আপনার পুরো লেখাটাই পড়লাম। আল্লাহ আপনাকে দিয়ে একজনের জীবনে পরিবর্তন এনেছেন মাসাআল্লাহ। কিন্তু সব মুসলিমাহ এর দীনি জীবন চলার পথ মসৃণ হয়না বিশেষ করে যার বাবা মা, আত্নীয়-স্বজনরা বেদীন কিন্তু সৌভাগ্যবশত সে আল্লাহর হেদায়াতপ্রাপ্তা। যাহরাহ এর বাবা ইসলামকে গুরুত্ব দেননা, গতানুগতিক জীবন তার।পারিবারিক কলহের জন্য যাহরাহ এর চাচাদের সাথে সম্পর্ক নেই। মামা,খালা-খালু অর্থাৎ মায়ের দিকের আত্নীয়রা অধিকাংশই ব্যাংকার। মামা, খালারা নিত্যনতুন ব্যাংকার ছেলের প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয় যাহরাহ এর বাবার কাছে। যাহরাহ তার বাবাকে বোঝাতে পারেনা যে, সুদ রিলেটেড ব্যাংক কত জঘন্য ব্যাপার, আর ইসলামের দৃষ্টিতে কত ভয়ানক। আরে এত ইসলাম মেনে এই যুগে চলা যায় নাকি? সরকারী ব্যাংকার ছেলের পাওয়ার, টাকা পয়সা, পরিচিতি কোনটার অভাব? জীবনে টাকা পয়সা ছাড়া চলা যায় নাকি? এমন ভাবেই বাবা ভাবেন। সপ্তাহখানেক আগেই বাবা তাকে তার বাবা এক ব্যাংকার পাত্রকে দেখানোর জন্য বাধ্য করেই নিয়ে যায়। আমাকে বলল, কি করণীয়? বলেছিলাম, নিকাব পরে যেতে। যদি বরের পুরুষ কোন আত্নীয়-স্বজন সাথে আসে তবে তাদের সরাসরি বলতে যে, ইসলাম এটা এলাউ করেনা যে, আপনাদের সামনে আমি মুখ খুলব আর আপনারা আমাকে দেখবেন তাই আমি শুধু বরের সামনে মুখ খুলতে রাজি আছি। বর যখন তোমার সাথে কথা বলতে চাইবে বা মুখ খুলতে বলবে, তখন বরকে বলবে, "নেকাব খোলার আগে আমার কিছু কথা আছে। আমার আপনার ব্যাংক জব নিয়ে আপত্তি আছে। দেখেন আল্লাহ বলেছেন, যারা সুদের পক্ষ অবলম্বণ করে তারা যেন আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেয়। সুদের দ্বারা ৭০টির বেশি গুনাহ হয় তার মাঝে নিম্নতম গুনাহ হল নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার। সুদ দাতা, সুদ গ্রহীতা, সুদের লেখক ও তার সাক্ষী সকলেই সমান অপরাধী এবং জাহান্নাম তাদের আবাস। নামাজ কবুলের ফরজ হল-পবিত্র শরীর, পবিত্র কাপড়, পবিত্র নামাজের স্হান, পবিত্র কাপড় দ্বারা সতর ঢাকা। কিন্তু ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত হল হালাল ইনকাম। হারাম ইনকামের টাকায় কেনা খাবারে যে শরীর গড়ে ওঠে তা অপবিত্র ও হারাম, যে কাপড় কেনা হয় তা অপবিত্র ও হারাম, যে ঘর তৈরী করা হয় সেই জায়গাও অপবিত্র সেই জায়গায় নামাজও হারাম। তাই আপনার সুদের সাথে জড়িত থেকে আপনার নামাজ, রোজা, হজ্জ কোন ইবাদতই কবুল হবেনা। আপনার সাথে আমার বিয়ে হলে আমিও আপনার হারাম উপার্জনের ভাগিদার, হারাম ভক্ষণকারীণী হব তাই আমি রাজি হতে পারছিনা।"
আমি জানতাম ও পারবে কারণ ওর যে পরিমাণ সাহস তা আজকালকার দীনি ছেলেদের মাঝেও কম দেখা যায়। আর ও সত্যি সত্যি বরের সামনে আর তার ফ্যামিলির সামনে আমার কথাগুলো মুখস্ত বলে গেছে। পাত্র তার মা বাবা আর চাচা, ভাইকে নিয়ে আসছিল ওকে দেখার জন্য। পরে ওকে পাত্রও নেকাব খুলতে বলার সাহস পায়নি তারা চলে গেছে। এরপর থেকেই যাহরাহ এর বাবা ওর উপর মারাত্নক রেগে গেছে। আর রাগটা এমন পর্যায়ের যে, তার চিন্তাভাবনা এমন হয়ে দাড়িয়েছে আমি তোকে চরম শিক্ষা দিব। আমি তোকে ব্যাংকার পাত্রের সাথেই বিয়ে দিব দেখি তুই কি করতে পারিস? তার মামা, খালা, খালুরাও কাজে লেগে গেছে। এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ছেলে ঠিক করা হয়েছে। তার খালাও এমন কিছু পাত্র নিয়ে হাজির হয়েছে। আমি আমার পরিচিত মানুষজনের কাছে বেশ কিছুদিনব যাবত দীনি পাত্রের ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি কিন্তু এখন পর্যন্ত পাইনি। যাদের পাই সবাই গতানুগতিক। ভাল চেহারা, ভাল চাকরি এখন সুন্দর বউ চাই। দীনি পাত্র একজন দুজন পেলেও তারা একদম বেকার। জানিনা কি হতে যাচ্ছে? যেন তামাশা হচ্ছে। যাহরাহ দীনের ব্যাপারে খুবই কড়া। ইসলামের এটা মানছি কিন্তু ওটা মানতে রাজিনা- এমন ব্যাপারগুলো সে মানতে রাজিনা। দীনি পাত্র বলতে সে দীনি ছেলেই মিন করে, যারা অজুহাত পেশ করেনা। আপনার পরিচিতদের মাঝে এমন কেউ কি আছে, যে দীনি, হালাল ইনকাম করেন আর দীনি পাত্রী খুঁজছেন? যাহরাহ বিবিএ ২য় বর্ষের ছাত্রী।
২২ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৮:৩৪
312234
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : সুবহানআল্লাহ্‌! আল্লাহ সুবহানুতা'আলা আমাদের যাহরা বোনের সহায় হন! তাকে আশা ছাড়তে বলবেন না! অবশ্যই আমাদের বোনের জন্যে আল্লাহ সুবহানুতা'আলা অনেক ভালো কিছুই ঠিক করে রেখেছেন!

না ক্ষমা করবেন! ওভাবে ভাইদের তো আসলে অত চিনি না। তবে আমি কিছু বোনেদের চিনি বাংলাদেশে যারা এমন শুধুই দ্বীন দার ভাই বোনেদের জন্যে ঘটকালি করেন।
376404
১৭ আগস্ট ২০১৬ দুপুর ০২:০৬
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

আয়িশাকে বোধ হয় চেষ্টা করলে চিনতে পারা যাবে! Thinking Don't Tell Anyone

আয়িশার ঝুলিতে আরো অনেক অভিজ্ঞতা ও স্মৃতি জমা থাকার কথা, সেগুলো কিছু রিলে করা যায়না!! Waiting

সবার জন্যই দোয়া করি! Praying Praying
১৭ আগস্ট ২০১৬ দুপুর ০২:০৮
312068
আবু সাইফ লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ!! কয়েকদিন অব্যাহত ব্যর্থতার পর আজ মন্তব্য করতে সফল হয়েছি!
২২ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৮:৩৫
312235
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে! জাঝাকাল্লাহ খইর

ইনশাআল্লাহ্‌ আয়িশাকে জানিয়ে দেওয়া হবে,। Good Luck
376465
১৯ আগস্ট ২০১৬ রাত ১২:২৫
আমীর আজম লিখেছেন : ভাল লাগল।
২২ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৮:৩৫
312236
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে। জাঝাকাল্লাহ খইর

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File