হিজাব ব্যান !!
লিখেছেন লিখেছেন শারিন সফি অদ্রিতা ০২ এপ্রিল, ২০১৬, ০৯:২৪:৩০ সকাল
২০০৪ সালের কথা! তখন ফ্রান্সে হিজাব ব্যান করে দেওয়া হল। স্কুল, কলেজ সকম শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে কেউ কোন রকম ধর্মীয় সিম্বলিক কিচ্ছু পড়তে পারবে না, পড়লেই ব্যান এবং এডুকেশান নিয়ে আগানোর পথ বন্ধ। তখন ১৫ বছরের এক হিজাবী মুসলিমাহ্ অভাবনীয় কিছু করে বসলো! সে তার হিজাব ছাড়া কোথাও যাবার কথা চিন্তা করতে পারে না, আবার সারাজীবনের জন্যে সবরকমের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের রেড-লিস্টে থাকা- সব চিন্তা করে সে তার পুরো মাথা শেইভ করে ফেলল! সারা শরীরের ঘাড় থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত সব ঢাকা, আর সাথে মাথা ক্লিন শেইভ্ড! শেইভ করার পর তাকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হল। পুরো ক্লাস জুড়ে সবাই এত টিটকারী দিল, এত কটু-কথা, ঠাট্টা-মশকরা- সব কিছুই সে ধুলোর মত ঝেড়ে ফেললো ঘাড়ের উপর দিয়ে। আল্লাহ্র জন্যে চুল কাউকে দেখাইনি- এখনও দেখাবো না!!
ফিক্হ অনুসারে সে যা করেছে এটা হারাম না হালাল – সে আলোচনায় যেতে চাইনা। সেটা স্কলাররা ভালো জানেন এবং আল্লাহ্ ভালো জানেন। কিন্তু এই যে ১৫ বছরের একটা টিনেজ মেয়ের দৃঢ়তা, সাহসিকতা এবং হায়া(Modesty), সত্যি অবাক করে সুবহানআল্লাহ্!
কয়দিন ধরেই দেখছি দেশের এখানে সেখানে স্কুলে স্কুলে হিজাব ব্যান হচ্ছে! রাগে, দুঃখে, ক্ষোভে, কষ্টে কিছু লাইন আর না ফুটিয়ে আমি সেই ১৫ বছরের ফ্রেঞ্চ মেয়েটার কথা ভাবতে লাগলাম! শুনো আপুরা, যারা হিজাব করছো, বলছি না তোমাদের মাথা শেইভ করে ফেলতে! কিন্তু নিজের ঈমানের জন্যে উঠে দাঁড়াতে শিখো। তাগুতকে ভয় করো না, আল্লাহ্র শত্রুদের ভয় করো না! তুমি যার জন্যে পর্দা করছো, সে হচ্ছেন আল্লাহ্ সুবহানুতা’আলা, পুরো বিশ্ব জাহানের মালিক। তোমার হিজাবের পিছনে নিয়ত ঠিক থাকলে তোমার পিছনে আছে আল্লাহ্র আর্মি, তোমার কিসের ভয়! কিসের চিন্তা!! তুমি তোমার হিজাব দিয়ে কুরআনের একটা আয়াত carry করছো তোমার মাথায়! এপার-ওপার হয়ে যাক, এটা ছাড়বে না! তোমাকে কেউ বাহ্বা না দিক, আল্লাহ্র ফেরেস্তারা জান্নাতুল ফেরদাউস বাসীদের লিস্টে তোমার নাম খোদাই করে দিবেন। দুনিয়া দুই দিনের। যারা আল্লাহ্র বিধান কে “মাথার ব্যান্ডেজ এখনি খুলো” বলে হেয় করছে, তারা যেমন তাদের ফল পাবে, তেমনি প্রতিটা মুসলিমাহ্ হিজাবের জন্যে তার প্রতিটা ফোঁটা ঘামের জন্যে পুরস্কার পাবে!! সেই ১৫ বছরের Cennet Doganay মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এত কষ্ট সে কেন করছে। তার বয়সী কত মেয়ে-ই তো হিজাব ছেড়ে দিয়ে ক্লাসে যাচ্ছে। এর উত্তরে সে বলো, “If looking beautiful in the eye of the Creator means looking ugly in the eye of the creations. Then it’s worth it!”
সুবহানআল্লাহ্! বোনেদের কেও বলছি, “It’s worth it sister! Have faith, keep striving and Do not give up”
বিষয়: বিবিধ
১০৩০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যথার্থ বলেছেন, সহমত,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকিল্লাহ
যথেষ্ট হয়েছে,আর কোন ছাড় নয়, এবার রুখে দাঁড়ানো দরকার
মন্তব্য করতে লগইন করুন