যিনাহ্‌, প্রেম, বিয়েঃ ইসলাম কি বলে?

লিখেছেন লিখেছেন শারিন সফি অদ্রিতা ২১ জুলাই, ২০১৪, ০৯:০৪:১৬ রাত



যিনাহ কি?

আমরা কম বেশী সবাই জানি তারপরেও যারা জানেন না তাদের জন্য বলছি এটি একটি illegal বা অবৈধ দৈহিক সম্পর্ক যা একটি ছেলে এবং মেয়ের ভেতরে বিবাহের কোন বন্ধন ছাড়াই গড়ে ওঠে।

আমাদের সমাজে এখন মানুষ যিনাহ করার জন্য বিভিন্ন বাহানা দেখায় এটা কে হালাল করার জন্য। বাংলাদেশে এটি এখনো সামাজিকভাবে স্বীকৃতি না পেলেও এর প্রভাব বলা বাহুল্য। কিছু কিছু মডারেট মুসলিমরা বলবে ইসলামে যিনাহ এত কড়া ভাবে কেন নিষেধ করেছে? যিনাহ তো কারো ক্ষতি করছে না? একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে একটি প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে ভালবেসে এই কাজটি করছে এতে তো কারো ক্ষতি হচ্ছে না, ওরা করলে আমাদের নাক গলানোর কি দরকার? এখানে ইসলামের এই জিনিসটা আমি মানতে পারতেছি না। ইসলাম আসলেই সেকেলে ধর্ম না হলে আজকাল কেউ আবার এইসবে মাইন্ড করে নাকি? এইরকম আরো অনেক কথাই শোনা যায় আজকাল।

আসলেই কি যিনার কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই? যদি নাই হয় তাহলে কেন শিরক, অন্যায়ভাবে মানুষ খুনের পরেই যিনার স্থান মস্ত বড় পাপ হিসেবে ৩ নম্বরে পরে ?? (সূরা ফুরকান ৬৮ আয়াত দ্রষ্টব্য)

আসুন দেখি ইন শা আল্লাহ...।

যিনাহ তে যখন কেউ লিপ্ত হয় তখন একটি মানুষ তার মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলে, তখন তার আর পশুর মধ্যে কোন তফাৎথাকেনা।

কেন এই কথা বলছি?

একজন মানুষ আর একটা পশুর মধ্যে পার্থক্য কি আপনি বলতে পারবেন? পার্থক্য হলোমানুষকে আল্লাহ্‌ আত্ননিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা, নিজের মনের কামনা বাসনা উপেক্ষা করে কোনটা ভাল কোনটা মন্দ, কোনটা আল্লাহ্‌ আমাদের করতে বলেছেন আর কোনটা নিষেধ করেছেন এসব বিচার করার এক অপরূপ গুণ দান করেছেন সুব হান আল্লাহ্‌!! যা পশুদের মধ্যে নেই, ওদের যখন খেতে ইচ্ছে হয়, ওরা খাবারের সন্ধানে বের হয়; যখন দৈহিক মিলনের বাসনা জাগে, তখন ওরা তা করে ফেলে, ওরা আড়ালে কিছু করে না, কারণ ওদের কোন চক্ষুলজ্জা নেই। কিন্তু, মানুষ রমাদানের সময় অনেক ক্ষুধা থাকা সত্ত্বেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ ভালোমতন কন্ট্রোল করতে পারে!

একইভাবে যখন সমাজের সব জায়গায় যিনাহকে encourage করা হচ্ছে, ঐখানে মুসলিমরা কেন বা কিভাবে এর থেকে নিজেদের বিরত রাখছে? কারণ- তারা আল্লাহ্‌র আদেশ কে শ্রদ্ধা করে এবং তারা পুরোপুরি ভাবে নিজেদেরকে আল্লাহ্‌র আদেশ-নিষেধের কাছে সমর্পণ করেছে আলহামদুলিল্লাহ্‌।

কিন্তু যে যিনায় লিপ্ত হলো, তার এই বিচার-বিবেক কোনটাই নাই; বরং তার এই পাপ কে পাপ না বানানোর জন্য থাকে আপ্রাণ প্রচেষ্টা। এটা কখনো “ইসলামকে সেকেলে ধর্ম” বলে, কিংবা অনেক সময় হুজুর বা আলেম যারা আছেন, তাদেরকে অপমান করে। অনেক সময় “এটা ওতো খারাপ না” এসব বলে নানা রকম উপায়ে যিনাহকে মানুষের কাছে ভাল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। আর এরা যখন যা করতে ইচ্ছা করে, তাই করতে থাকে আর বলে “দুনিয়া তো দুই দিনের, enjoy করো! মনের বাসনাকে পুষে রেখো না! পাপ পুণ্যের হিসেব করলে দুনিয়া চলবে না!”

আল্লাহ্‌ যিনাহ কে দুনিয়ার অনেক বড় একটি ফিতনা বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং এটি আল্লাহ্‌র পরিকল্পনার-ই অংশ যাতে করে মুসলিম আর মানুষ রূপী পশুর মধ্যে তফাৎ থাকে। আল্লাহ্‌ বলেছেনঃ

সূরা আন-নাজিয়াত (৭৯: ৪০-৪১)- “যে ব্যক্তি তার আল্লাহ্‌ কে ভয় করেছে এবং নাফস ও কামনা বাসনা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পেরেছে অবশ্যই জান্নাত হবে তার চিরন্তন ঠিকানা”

আমাদের নবী (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের পুরুষদের জন্য সবচেয়ে বড় ফিতনা হল নারী। (বুখারী, মুসলিমের হাদীস)

এর মানে কি? মানে হলো অবৈধভাবে নারীদের সঙ্গ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। কিন্তু আমাদের সমাজে কি দেখি?

“না, না, সে আমার ভাইয়ের মত, আমার বোনের মত, বন্ধুর মত। আমাদের মনে কোন পাপ নেই আমাদের মন ঠিক আছে”।

আমরা কি সাহাবীদের থেকেও বেশী ভাল হয়ে গেছি নাকি? যেইখানে তারা নিজেদেরকে নন-মাহাররাম নারীদের সঙ্গ থেকে বিরত রাখতো সেইখানে আমরা কি? অনেক সময় মুসলিমদের মধ্যেও দেখা যায়- একজন পুরুষ একজন নারীকে দাওয়া করছে এবং বলছে “আমরা তো খারাপ কিছু করছি না, আমি তাকে দাওয়া দিচ্ছি”। এক্সকিউজ মি ভাইয়া, এইটা আপনার কাজ না, এইটা বোনদের কাজ। আর আপুদের বলছি, প্লীজ মুসলিমাহদের সাথে যথাসম্ভব বিনয়ী ব্যবহার করুন। হয়তো আপনার বিনয়ী মনোভাব, আপনার একটুখানি উদারতা, একটা মেয়েকে গুনাহ থেকে বাঁচাতে পারে।

যিনাহর প্রভাব গুলো দেখি

· পিতৃ-পরিচয়হীন ভাবে গড়ে ওঠা শিশুঃ বাংলাদেশে অবশ্য আরও ভয়ংকর! তারা Abortion করে ফেলে সমাজ ও লোক লজ্জার ভয়ে, যা তাদেরকে সারাজীবনের জন্য বন্ধ্যা করে দেয় বেশীরভাগ সময়, এর পর মানসিক যন্ত্রণার কথা বাদই দিলাম। আর আল্লাহর চোখে সন্তান-হত্যার কথা কি তা কারোই অজানা নেই। অনেক সময় ডাস্টবিন, ঝোপ ঝাড়ে অনেক বাচ্চা পরে থাকতে দেখা যায়। এদের কেউ গ্রহণ করে না, বেড়ে ওঠে অনাদরে-অবহেলায়, অনেক সময় এই শিশুরাই বড় হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। ইসলাম পরিবারকে অনেক মূল্য দেয় কারণ একটি ভাল পরিবার পরিবেশই একজন সুস্থ মনের মানুষ হিসেবে একটি শিশুকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। এর জন্য পিতামাতার সাথে ভাল ব্যাবহার, স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের প্রতি ভাল ব্যবহার ইবাদত হিসেবে বা পুণ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

· মরণব্যধিঃ যিনাহর কারনে বিভিন্ন মরণ ব্যাধি যেমন এইডস এর মত মারাত্মক রোগ মহামারী আকারে ধারণ করেছে আর বাংলাদেশও এখন এর মরণ-থাবার বাইরে নয়।

· একটি যিনাহ আরও যিনাহ বাড়ায়, অ্যামেরিকার বিশ্লেষণ অনুযায়ী যারা যিনাহ করে ৮২% সময় তারা জারজ সন্তান হয়ে থাকে, অবশ্য বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা নাও হতে পারে। কিন্তু যারা যিনাহ করছে তাদের সন্তানরা অবশ্যই যিনাহ করবে, বাবা-মায়ের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এটাই স্বাভাবিক।

· সামাজিক/চারিত্রিক অবক্ষয়ঃ যিনাহ যেসব দেশে বেশী ওইসব দেশে দেখা যায় ধর্ষণ বেশী হয়ে থাকে, আর বেশীরভাগ সময় তারা পার পেয়ে যায় এটা বলে যে, “এইটা দুইজনের ইচ্ছায় হয়েছিল, মেয়ে তাকে ফাঁসানোর জন্য এসব বলছে”, এই বলে পার পেয়ে যায়। কিন্তু ইসলামিক কোর্টে যিনাহ-ধর্ষণ উভয়ই ভয়ানক অপরাধ-

" ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। আন-নুর [২৪ ; ২] "

এখন, অনেকে বলবেন, ইসলাম কত কড়া! কি কঠিন শাস্তি! কিন্তু হিক্‌মাহ্‌ ভরে একটু চিন্তা করলেই বুঝা যায় ক্লাস নাইন পড়ুয়া মেয়ে টা যদি জানতো যে, প্রেম করলে তাকে ১০০ টা বেত্রাঘাত করা হবে, তাহলে পাশের বাসার রোমিওকে নিজের ফোন-নাম্বার টা দেওয়ার আগে দশবার চিন্তা করতো!

· পড়ালেখাঃ পড়ালেখার ক্ষেত্রেও এর প্রভাব রয়েছে ক্যানাডার গবেষণায় দেখা যায় বেশীরভাগ সময় যাদের বিয়ের আগে বাচ্চা হয়, তারা পড়ালেখায় মন দিতে পারে না, depression, stress এ ভোগে।

ইসলাম কিভাবে এর প্রতিরোধ করতে বলে?

· অন্য ধর্ম যেমন খ্রিষ্টীয় ধর্ম অনুযায়ী হাত ধরা, কথা বলা এসবে কোন বাধা নেই কিন্তু যিনাহ করা যাবে না। কিন্তুকয়জন খ্রিষ্টীয় ধর্ম অনুসারীরা নিজেদের এর থেকে বিরত রাখতে পেরেছে? জানেন কি? কিন্তু ইসলামের সৌন্দর্য্য হল তা আমাদের এই পাপের কাছে যাওয়া থেকেই বিরত রাখে একেবারে গোঁড়া থেকে। গোঁড়া থেকেই আগাছা উপড়ে ফেলা হয়, যেন পরে সেটা ফসল নষ্ট না করে!!

যিনাহর শুরু কোথা থেকে কেউ কি বলতে পারবেন? জ্বী, ঠিক ধরেছেন – “প্রথম দেখা” – the first look, পরে আরেকটু দেখে কাছে আসা, ভালবাসা, এরপর কি হয় তা সবারই জানা। তো ইসলামে ছেলেদেরকে এবং মেয়েদেরকে বলা হয়েছে তাদের নজর কে সংযত রাখতে। কেন বলেছে? একটা গান হয়তো সবারই জানা কম বেশী, “পরে না চোখের পলক, কি তোমার রূপের ঝলক! দোহাই লাগে মুখটি তোমার একটু আঁচলে রাখো! জ্ঞান হারাবো, মরে যাবো, বাঁচাতে পারবে না কেউ।" হ্যাঁ, এই পলক সংযত না করলে ঠিক-ই আপনাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না, আল্লাহ্‌-র ক্রোধ থেকে, দুই জীবনের অকল্যাণ ও শাস্তি থেকে !!

তো, সব কিছুর মূলেই হল চক্ষু আর এইটা কেই সংযত করে রাখতে বলা হয়েছে।

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

[সুরা নুর: ৩০]


" আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ। [ ১৭: ৩২] আল-ইসরা "

· ছেলেমেয়ের অবাধ মেলামেশা ইসলামে নিষিদ্ধ

ছেলে মেয়ে একা কথা বলা নিষেধ। তারা দুইজন যখন একা হয়, তখন শয়তান হয় তাদের মধ্যে তৃতীয়জন!

জ্বী, চ্যাট, ম্যাসেজ এইসবের ক্ষেত্রেও এ নিয়মগুলি সমানভাবে প্রযোজ্য, কারণ এইসব জায়গায় হায়া বা লজ্জা থাকে না, অনেক সময় দাওয়ার কথা শুরু করে এমন সব কথা হয়ে যাবে যা বাস্তবে কল্পনাও করা যায় না!!

· ইসলাম অল্প বয়সে বিয়ে করাকে অনেক অনেক গুরুত্ব দিয়েছে আর বলেছে যাদের সামর্থ্য আছে তারা যেন বিয়ে করে। সামর্থ্য বলতে এইখানে বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু খাদ্য প্রয়োজন তা এবং লজ্জা ঢাকার জন্য যতটুকু কাপড় প্রয়োজন তা আর মাথার উপরে একটা ছায়া বা থাকার মত জায়গাকে বুঝানো হয়েছে যার প্রমাণ আমরা রাসূল (সাঃ) এর সময়কার অনেক নমুনাতে দেখি সাহাবীদের মধ্যে। কিন্তু এখনকার সময় এটা কতখানি বাস্তব? আপনি কি একটা মেয়ের বাবাকে বলতে পারবেন,

“আঙ্কেল আমি আপনার মেয়েকে বিবাহ করতে চাই, আল-আমিন হোটেলে প্রতি রাতে তাদের বাড়তি যেই খাবার আছে তা দিয়ে আপনার আর আমার মেয়ের ভাল মতই চলে যাবে কোন মতে পাইপের মধ্যে বা ব্রিজের নীচে নিজেদের থাকার ব্যবস্থা করতে পারবো, আর একজন প্রতি মাসে কাপড় গরীবদের মাঝে বিলায় এতে আপনার মেয়ের খাওয়া পড়া থাকা কোনটারই সমস্যা হবে না।

আপনার কি মনে হয় মেয়ের বাবার রিঅ্যাকশন কি হবে?

" বিলকিসের মা!!!!!! লাঠি নিয়ে আসো, আমাদের বাসায় বিশেষ অথিতি এসেছে।"

এটা হাসির হলেও বাস্তবে সামর্থ্য মানে এখন ছেলের একটা ভাল চাকরী ভাল বেতন বিয়েতে লাখ লাখ টাকার গয়না, শাড়ি আরও অনেক কিছু অনেক বলে গন্য করা হয়। তাই অনেক যুবকের কাছে বিয়ে এখন স্বপ্ন মাত্র! অনেক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সমাজের বানানো নিয়মের কাছে হার মেনে যায়। অথচ উভয় পরিবারের একটু সাহায্য-সহযোগিতা আর আন্তরিকতা থাকলেই একটি বিয়ে অনেক সহজ হয়ে যায়।

" তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। আন-নুর [২৪:৩২] "

· ইসলাম আরও বলেছে যাদের পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব হচ্ছে না, তারা যেন রোজা রাখে এবং নিজেদের নাফসকে সংযত রাখে। কিন্তু আমারা কয়জন এটা মানি? সাহাবীদের আমরা দেখেছি রোজা রাখতে অনেক মুসলিমই আছে যারা অবিবাহিত, এক দিন পর পর রোজা রাখছে নিজেদের সংযত রাখার জন্য, আমরা কি সেই জায়গায় সপ্তাহে একদিন রোজা রাখতে পারি না?

· মেয়েদের হিজাবও যিনাহ থেকে বিরত রাখে। যেসব দেশের মেয়েরা যত অশ্লীল জামা-কাপড় পরে, ঐসব দেশে যিনাহর হার তত বেশী। আর হ্যাঁ হিজাব শুধু মাত্র একটা পোশাক না, পুরো প্যাকেজ। একটি মেয়ে কিভাবে নন-মাহাররামের সাথে কথা বলবে, কিভাবে চলবে সবই দেয়া আছে এই প্যাকেজে। এর জন্য দেখা যায় যেসব মেয়েরা হিজাবের এই পুরো প্যাকেজ মেনে চলে, ছেলেরা তাদেরকে ভোগ্য পণ্য হিসেবে দেখে না এবং তাদের থেকে দূরেই থাকে। যার ফলে যিনাহর প্রভাব এবং আশঙ্কা এইসব মেয়েদের উপর অনেক অনেক কম।

আর যারা আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান এনেছে এবং যিনাহ থেকে নিজেদের বিরত রেখেছে তাদের জন্য রয়েছে শীতল ছায়া – ওইসময় যখন কোনও ছায়া থাকবে না – শুধু মাত্র যারা ঈমান এনেছে আর নিজেদের নাফসের প্রভাব থেকে বিরত রেখেছে তারাই পাবে।

আসুন ইসলামকে সঠিক ভাবে জানি, বুঝি মেনে চলি এবং অন্যদের মেনে চলতে সাহায্য করি . আমীন।

ব্যভিচার, যিনাকে "না" বলুন, এর কাছে যাওয়া থেকেও দূরে থাকুন!!



আর বিবাহকে সহজ করুন! সম্মানিত অভিভাবকগণ! আজকের এই দূষিত সমাজে আল্লাহ্‌-র নবীজি(সাঃ) এর এই সুন্নাহ্‌ কে আঁকড়ে ধরুন, আপনার সন্তানদের জন্যে বিবাহকে সহজ করে দিন, যেন তাদের জন্যে যিনাহ্‌ কঠিন হয়ে যায়!



[বিঃদ্রঃ লিখাটির মূল লেখিকা আমি নই! তবে প্রথম প্রথম যখন ইসলামে আসতে শুরু করি, এরকম কিছু লিখা আমাকে ভীষণ ভাবে নাড়া দেয়! আমার মতন অন্য কারো অন্তরেও নাড়া লাগুক-সেই আশাতে কিছুটা পরিমার্জিত করে লিখাটি শেয়ার করা।

ধৈর্য্য ও সময় নিয়ে পড়ার জন্যে শুকরিয়া!

আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে যিনাহ্‌ থেকে পবিত্র রাখেন যেন। আমীন ]

বিষয়: বিবিধ

২২৪১ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

246892
২১ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:১৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২২ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৫২
191877
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : ধৈর্য্য ও সময় নিয়ে পড়ার জন্যে শুকরিয়া!
246915
২১ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৩৭
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : সহিহ্‌ বোখারি ভলুম ৭ বই ৬২ হাদিস ১৩৭: আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন: এক জিহাদে আমরা শত্রুপক্ষের নারী বন্দি পেলাম। তারা আমাদের হাতে আসলে আমরা তাদের সাথে আজল করে সহবাস করলাম। এরপর আমরা রসুলুল্লাহকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: তাই নাকি! তোমরা কি এরূপ করে থাক?” রসুলুল্লাহ তিনবার এই প্রশ্ন করলেন এবং বললেন: আখেরাত পর্যন্ত যত লোক সৃষ্টি হবে তাদের প্রত্যেকটি অবশ্য জন্মলাভ করবে।
246924
২১ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৫৪
মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) লিখেছেন : "তোমাদের বিবাহহীন মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দাও" এই বাক্যটির সঠিক ব্যাখ্যা চাই।
২২ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৫২
191878
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : এটা কি কোন হাদিস ??
২২ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
191980
মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) লিখেছেন : ক্বুরআনের আয়াত। তাইতো চেয়েছি।
২৫ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:২৭
192623
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : আমার কুরআনের আয়াত ব্যাখ্যার কোন যোগ্যতা নেই। আমার স্বল্প জ্ঞান দিয়ে আমি যা বুঝেছি তা হল, ফিতনা থেকে বাঁচতে, নিজের দৈহিক চাহিদাকে ডিসিপ্লিনের মধ্যে আনতে ও সুস্থ সমাজের কথা সামনে রেখে ইসলামে ইয়ং থাকতে বিবাহের কথা এসেছে!
বিস্তারিত ও সঠিক ব্যখ্যার জনে দয়া করে উক্ত আয়াতের তাফসীর পড়ার অনুরোধ রইল
২৫ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:২৮
192624
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : আমার কুরআনের আয়াত ব্যাখ্যার **করার কোন যোগ্যতা নেই।
246942
২২ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:১৫
বুড়া মিয়া লিখেছেন : খুব ভালো বিষয়ের উপর লেখা বিষয় শেয়ার করেছেন।

একটা প্রশ্ন - আপনি কি অন্য ধর্ম থেকে ইসলামে প্রবেশ করেছেন?
২২ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
191879
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : না। আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমার মুসলিম পরিবারেই জন্ম! যদিও টিপিকাল আখিরাত ভুলে থাকা বাঙালি মুসলিম থেকে যখন আস্তে আস্তে সত্যিকার ইসলাম বুঝতে শুরু করেছি-মনে হয়েছিল আমি যেন নতুন করে মুসলিম হচ্ছি।
শুকরিয়া।
247001
২২ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:২৯
আফরা লিখেছেন : অনেক সুন্দর একটা বিষয় শেয়ার করেছেন আপু ।আমরা যখন কোন খারাপ কাজ করি হয়ত কেউ জানে না বা দেখেও নি কিন্তু আমি জানি কাজটা খারাপ তার পরো নিজেই আবার মনে মনে বিভিন্ন যুক্তি দাড় করিয়ে মনকে শান্তনা দেই না এটা খারাপ না ।

ছেলে- মেয়ে উভয়ের চাহিদার কারনেই বিয়ে দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে যার কারনেই যিনাহ্‌ ব্যাবিচার বেড়ে যাচ্ছে ।
২২ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫
191880
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : ধৈর্য্য ও সময় নিয়ে পড়ার জন্যে এবং তোমার চিন্তামূলক মন্তব্যের জন্যে শুকরিয়া আপুমণি !
247014
২২ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:২০
ভিশু লিখেছেন : এক্সিলেন্ট শেয়ার!
অনেক ধন্যবাদ অদ্রিতা আপনাকে!
২২ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫
191882
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : ধৈর্য্য ও সময় নিয়ে পড়ার জন্যে শুকরিয়া আপনাকেও।
247172
২২ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৪
হতভাগা লিখেছেন : ''এক্সকিউজ মি ভাইয়া, এইটা আপনার কাজ না, এইটা বোনদের কাজ । ''

০ তো বোনেরা তখন কোথায় ছিল যখন নারীবাদীরা হেফাজতের ১৩ দফার বিপক্ষে সমাবেশ করেছিলো ?

০ ২৩ বছরের একটা মেয়ে যার বাবা কি না ২৫-২৬ বছর ধরে চাকরি করছে , সেই মেয়ের বাবার ব্যাংক ব্যালান্স আর যে ছেলের সাথে মেয়েটির বিয়ে হবে যার বয়স ২৭-২৮ বছর যে কি না ২ বছর হল চাকরি করছে তার ব্যাংক ব্যালান্স কি সমান হবে ?

সেই ছেলের পক্ষে কি সম্ভব বাবা তার মেয়েকে যে পেস এ চালিয়েছে সেই একই রকম পেস এ তাকে চালানো ?

সমস্যা করে মেয়ে এবং তার পরিবারের লোকেরা ।
'' মেয়ের আগের বোনদের এত এত টাকা দেন মোহর ধরা হয়েছে , এর চেয়ে কম ধরলে মেয়ের মন খারাপ হয়ে যাবে আর আত্মীয় স্বজনদের কাছেও মুখ দেখানো যাবে না । ছেলেকে তো একবারেই সব শোধ করতে হবে না , আস্তে আস্তে শোধ করবে । '' এই কাহিনী করে মেয়ে+মেয়ে পক্ষ ছেলের ওপর নিজেদের ধার্য্য করা দেনমোহর ছেলের উপর চাপিয়ে দেয় যেটা আসলে ছেলেরই নির্ধারন করা উচিত ছিল কতটুকু সে একবারে দিতে পারবে ।

আর ছেলে চাকরিতে যত নবীনই হোক না কেন মেয়েরা সবসময়ই চায় তার বাবার মত বা তার চেয়েও বেশী লাক্সারী করতে স্বামীর সংসারে এসে।

তাই এসব ব্যাপারে মেয়ে ও তার ফ্যামিলিরই এগিয়ে আসতে হবে । কারণ দেন মোহর তারাই বাড়িয়ে ধরে এবং লাক্সারী করে তাদেরই মেয়ে -- যার ফলে বিবাহিত ছেলেটির জীবন ফানা ফানা হয়ে যায় । এবং তার আশে পাশের ছেলেরাও বিয়ের ব্যাপারে আরও নেগেটিভ ধারনায় চলে যায় ।

পোস্ট ভাল লেগেছে ।
২৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:২৪
192315
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : জ্বী! বিবাহ কঠিন করার ক্ষেত্রে মেয়েদের ফ্যামিলির ভূমিকাও কম নয়! আল্লাহ্‌ তা'আলা আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করু্ক।
আমীন।
শুকরিয়া আপনাকে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File