শ্শ্শ্! এটা সিক্রেট! আপনার আর আল্লাহ্-র মধ্যে সিক্রেট!!
লিখেছেন লিখেছেন শারিন সফি অদ্রিতা ১৩ জুলাই, ২০১৪, ১১:৩৭:৫৯ রাত
কিছু কিছু জিনিস আছে যা কেবলমাত্র বান্দা এবং রবের মধ্যেই থাকার কথা ! এটাকে বান্দার আর প্রভুর মধ্যেকার 'সুইট-সিক্রেট' বলা যায়! যখন-ই বান্দা শয়তানের ফাঁদে পরে সিক্রেট টা ওপেন করে দেয়, মুহুর্তেই সেই সিক্রেটের সুইটনেস্ কেমন যেন তিতা হয়ে যায় !
কি বুঝা গেল না কি বললাম ?
আচ্ছা একটা হাদীস বলি, ইনশাআল্লহ্ তাহলে বুঝা যাবে...
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
‘ক্বিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যে ব্যক্তির বিচার করা হবে, সে হবে একজন (ধর্মযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী) শহীদ। তাকে আল্লাহ-র নিকট উপস্থিত করা হবে। অতঃপর আল্লাহ্ -পাক তাকে দুনিয়াতে আল্লাহ্-র দেয়া নেয়ামতসমূহের কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন। আর সেও তা স্মরণ করবে। এরপর আল্লাহ্ তাআলা তাকে জিজ্ঞেস করবেন, "দুনিয়াতে তুমি কি আমল করেছ?
উত্তরে সে বলবে,
"আমি তোমার সন্তুষ্টির জন্য (কাফেরদের সাথে) লড়াই করেছি। এমনকি শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়েছি।"
তখন আল্লাহ্ বলবেন, "তুমি মিথ্যা বলছ, বরং তোমাকে যেন বীর-বাহাদুর বলা হয়, সেজন্যই তুমি লড়াই করেছ। আর (তোমার ইচ্ছা অনুযায়ী) তোমাকে দুনিয়াতে সেটা বলাও হয়েছে।"
অতঃপর তার ব্যাপারে আদেশ দেওয়া হবে। তখন তাকে উপুড় করে টেনে-হিঁচড়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
অতঃপর সে ব্যক্তিকে বিচারের জন্য উপস্থিত করা হবে, যে নিজে দ্বীনী ইলম শিক্ষা করেছে এবং অপরকে শিক্ষা দিয়েছে। আর পবিত্র কুরআন অধ্যয়ন করেছে (এবং অপরকে শিক্ষা দিয়েছে)। তাকে আল্লাহ্ পাকের দরবারে হাজির করা হবে। অতঃপর তিনি তাকে তাঁর নেয়ামতসমূহের কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন এবং সেও তা স্মরণ করবে। অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা তাকে জিজ্ঞেস করবেন,
"এই সমস্ত নেয়ামতের শুকরিয়া জ্ঞাপনের জন্য তুমি কি আমল করেছ?"
উত্তরে সে বলবে,
"আমি নিজে ইসলামের দ্বীনী ইলম শিক্ষা করেছি এবং অপরকে শিক্ষা দিয়েছি এবং তোমার সন্তুষ্টির জন্যেই কুরআন তেলাওয়াত করেছি।"
তখন আল্লাহ্ বলবেন,
"তুমি মিথ্যা বলছ। আমার সন্তুষ্টির জন্য নয়, বরং তুমি এজন্য ইলম্ শিক্ষা করেছ, যেন দুনিয়াতে তোমাকে ‘বিদ্বান’ বলা হয় এবং এজন্য কুরআন অধ্যয়ন করেছ, যাতে তোমাকে ‘ক্বারি’ বলা হয়। আর (তোমার অভিপ্রায় অনুযায়ী) তোমাকে বিদ্বান ও ক্বারিও বলা হয়েছে।"
অতঃপর (ফেরেশতাদেরকে) তার সম্পর্কে নির্দেশ দেওয়া হবে। সুতরাং তাকে উপুড় করে টানতে টানতে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
অতঃপর এমন এক ব্যক্তিকে বিচারের জন্য আল্লাহ-র দরবারে উপস্থিত করা হবে, যাকে আল্লাহ্ তাআলা বিপুল ধন-সম্পদ দান করে বিত্তবান করেছিলেন। তাকে আল্লাহ্ তাআলা প্রথমে প্রদত্ত নেয়ামতসমূহের কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন। আর সে তখন সমস্ত নেয়ামতের কথা অকপটে স্বীকার করবে। অতঃপর তিনি তাকে জিজ্ঞেস করবেন,
"এই সমস্ত নেয়ামতের শুকরিয়ায় তুমি কি আমল করেছ?"
উত্তরে সে বলবে,
"যে সমস্ত ক্ষেত্রে ধন- সম্পদ ব্যয় করলে তুমি সন্তুষ্ট হবে, তোমার সন্তুষ্টির জন্য সেসব খাতের একটি পথেও ব্যয় করতে ছাড়িনি।"
আল্লাহ্ তাআলা বলবেন, "তুমি মিথ্যা বলছ। আমার সন্তুষ্টির জন্য নয়; বরং তুমি এই উদ্দেশ্যে দান করেছিলে, যাতে তোমাকে বলা হয় যে, সে একজন ‘দানবীর’। সুতরাং (তোমার অভিপ্রায় অনুসারে দুনিয়াতে) তোমাকে ‘দানবীর’ বলা হয়েছে।"
অতঃপর (ফেরেশতাদেরকে) তার সম্পর্কে নির্দেশ দেওয়া হবে। নির্দেশ মোতাবেক তাকে উপুড় করে টানতে টানতে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে ।
[মুসলিম হা/১৯০৫, মিশকাত-আলবানী হা/২০৫]
কি ভয়ঙ্কর অবস্থা !! একজন জিহাদের শহীদ, একজন আ'লিম, একজন দানবীর কে উপুড় করে টানতে টানতে জাহান্নামে নিক্ষেপ!!
The conclusion is, কোন ইবাদাহ্ সম্পর্কে অন্যদের বলে বেড়ানো থেকে খুব সাবধান!
“তাহাজ্জুদের নামাজ পরে অনেক শান্তি পেলাম”, “নফল রোজা রাখার তো মজাই আলাদা”- এরকম টাইপ কিছু বলার আগে বা লিখার আগে Check and Double check the intention —কেন বলছি? কার জন্যে বলছি? আল্লাহ্র খুশির জন্যে কাউকে Inspire করতে ? নাকি শুধু প্রশংসা কুড়ানোর সুপ্ত কোন ইচ্ছা শয়তান ইতোমধ্যে মনের মধ্যে জাগিয়ে দিলো ?
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে এই রিয়াহ্ বা লোক দেখানো আমলের ভয়াবহতা থেকে হিফাজত করুক ... আমীন ...
( এই স্মরণিকা সবার আগে আমার নিজের জন্যে )
বিষয়: বিবিধ
১৬৬১ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সময়সংকটে মন্তব্য করা হয়না, দুঃখিত!!
আপনার চিন্তা ও কলমে[কীবোর্ডে] আল্লাহতায়ালার রহমত ও কল্যানের ধারা অনন্ত হোক (আমীন)
রিয়াহ্ টা অনেক মারাত্মক, মন্তব্য কম আসলে এক দিক থেকে ভালো তাই।
সময় নিয়ে পড়ার জন্যে শুকরিয়া ও দুয়ার জন্যে জাঝাকাল্লাহু খইর
মন্তব্য করতে লগইন করুন