একদিকে ওয়ার্ল্ড কাপ, একদিকে ওয়ার্ল্ড মুসলিমস্!
লিখেছেন লিখেছেন শারিন সফি অদ্রিতা ১০ জুলাই, ২০১৪, ১১:১৭:২৬ রাত
শ্রীলংকায় মুসলিমদের উপর নির্যাতন হচ্ছে , মিয়ানমারে ঘোষণা দিয়ে মুসলিম নিধন চলছে , চীনে সিয়াম পালন নিষিদ্ধ করেছে । এভাবে কাশ্মীর-আসাম-আফগানিস্তান-সিরিয়া-মিসর-ইরাকসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মুসলিমদের হত্যা করে চলেছে তাগুত বাহিনী । এই রামাদানে ফিলিস্তিনিদের উপর একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে গনহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইলের বর্বর বাহিনী ।
ভাই আপনি যখন বিশ্বকাপ ফুটবলের উন্মাদনায "গো-ও-ল" বলে চিৎকার করে উঠছেন বা প্রিয় দল হেরে যাওয়ায় চোখের পানি ফেলছেন , তখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মাজলুম মুসলিমরা জালিমের জুলুম সহ্য করতে না পেরে "ইয়া আল্লাহ" বলে আর্তনাদ করতেছে ।
মনে রাখবেন , এরা মুসলিম উম্মাহর অংশ , আপনার মুসলিম ভাই-বোন , আপনি তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবেন , তাদের জন্য আল্লাহর দরবারে দুয়া করবেন, এটা আপনার উপর তাদের হক । আপনি যদি এই হক আদায় না করেন তাহলে আল্লাহর দরবারে কঠিন ভাবে জবাবদিহি দিতে হবে ।
#দুয়া হচ্ছে মুমিন বান্দার প্রধান অস্ত্র , যা পারমাণবিক বোমার চেয়ে অধিক শক্তিশালী । তাই ইফতার মুহুর্তে , শেষ রাতে কিয়ামুল লাইলে এবং প্রতি ওয়াক্তের সলাহের পর কাফিরদের বিরুদ্ধে আপনার পারমাণবিক বোমার চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র নিক্ষেপণে ভুল করবেন না । ইন শা আল্লাহ....
আল্লাহ ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বে নির্যাতিত মুসলিমদের রক্ষা করুন এবং বাতিলের বিরুদ্ধে মুসলিমদের
বিজয় দান করুন। আমীন ।
অনুপ্রেরণাঃ
-----------------------------------
রক্তাক্ত মুখমন্ডল,মুখ ও মাথাজোড়া ব্যান্ডেজ, চোখে ছলছল করছে অশ্রু...তারপরও দন্ত বিকশিত কী অপূর্ব হাসি! এমন মূহুর্তে এমন হাসিমাখা মুখ হয়তো শুধুমাত্র গাজার শিশুদের দ্বারাই সম্ভব। এই শিশুদের জন্মই হয় বোমারু বিমানের শব্দের মাঝে। এই শিশুরা বড় হয় রক্ত,মৃত্যু, ধ্বংসস্তুপ ও জুলুম দেখতে দেখতে।এরপরও নিজ বাসভূমেই পরবাসী হয়ে যাওয়া এই মানুষগুলোর বুকের ভেতর যে কী অপার সাহস ও আল্লাহর প্রতি অপরিসীম নির্ভরতা লুকিয়ে আছে তা বোঝা যায় যখন গাজার এক শিশুকে বলতে দেখা যায়,
"The rockets may be above us, but they have forgotten ALLAAH is above them."
গত অর্ধশতাব্দীরও বেশী সময় ধরে ফিলিস্তীনের উপর জায়নবাদীদের চরম আগ্রাসন, জুলুম ও হত্যাকান্ডের পরও হয়তো এই সাহসিকতা এবং তাদের মহান রবের অপরাজেয় শক্তি ও সাহায্যের উপর বিশ্বাসের জোরেই এই মানুষগুলো আজও মাথা উঁচু করেই বেঁচে আছে।
এই রক্তাক্ত শিশুটির এই হাসিমাখা মুখ কী দুনিয়ার সমস্ত মজলুমের পক্ষ থেকে দুনিয়ার সমস্ত জালিমদের প্রতি এক প্রবল চপেটাঘাত নয়?
[ লিখাটি সংগৃহীত। লেখকের নাম অজানা। শেয়ার না করে পারলাম না। আল্লাহ্ রব্বুল আ'লামীন আমাদের মজলুম ভাই-বোনের সহায় হন।
আমীন ]
বিষয়: বিবিধ
১১২৫ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দূর্ভাগ্যের বিষয়। এমন ঈমানী চেতনা এখন আমাদের ৯৮% মুসলমানের ভিতরে নেই।
দুআ করা ছাড়া আর কিছু করার নেই। তাই ফিলিস্তিনের মুসলমানদের এই অত্যাচার হতে রক্ষার জন্য আল্লাহর দরবারে দুআ করছি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন