বোন !!! এটা তোমার জন্যে ...
লিখেছেন লিখেছেন শারিন সফি অদ্রিতা ০৭ জুলাই, ২০১৪, ০৯:৪৮:৪৭ রাত
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহিম **
সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর যার হাতে আমার প্রাণ। সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ওয়া আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর। আল্লাহ! এই লেখায় আমার ইখলাসকে শুদ্ধ করে দিন। বিতাড়িত ও অভিশপ্ত শয়তানের ফিতনা থেকে রক্ষা করুন এবং আমাদের সবার উপলব্ধিতে বরকত দান করুন।
কোন রকম ভূমিকা না করে সরাসরি একজন আ'লেমকে করা একটি প্রশ্ন এবং তার উত্তরে তিনি কি বলেছিলেন- সেই ঘটনাটির আলোকপাত করছি, কারণ সেই প্রশ্ন-উত্তর পর্বটি দেখে আমি কতক্ষণ শুধু থ হয়ে বসেছিলাম, বিস্ময়ের ঘোরে মুখ দিয়ে "সুবহানাল্লাহ্ !"-টুকু-ও বের হতে পারছিলো না , আর আমার লেখাটির জন্যে-ও এর চেয়ে উপযোগী ভূমিকা আর কিছু হতে পারে বলে, এই মুহুর্তে মনে আসছে না। তো আর ভনিতা না করে বলে দিচ্ছি ঘটনাটি হলো,
" (আ'লেম বলছেন)... প্রশ্ন-উত্তরের এক পর্যায়ে এক বোন আমাকে প্রশ্ন করে উঠলো,- "ইসলাম অনেক সুন্দর, আমার কাছে ইসলামের সব-ই ভালো লাগে, শুধু মাত্র মেয়েদের জন্যে এই হিজাবের নিয়ম টা ছাড়া। কারণ, এটা নিয়ে চিন্তা করলে মনে হয় যে, এখানে যাতে ছেলেরা আমাদের রূপ দেখে বিভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট না হয়- সেজন্যে হিজাব নিয়মটা করা, এ ব্যাপারে আপনি কি বলেন?"
এখন আমাকে প্রশ্নকারীকে সর্বপ্রথম যেটা বুঝাতে হবে যে, সে যেই প্রশ্নটা করেছে- তার সেই প্রশ্ন টাই ভুল !! মারাত্মক রকমের ভুল। মেয়েদের মর্যাদা-ঐশ্বর্য্য রক্ষায় হিজাবের গুরুত্ব, এর সামাজিক গুরুত্ব ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে যুক্তি দেখানো আরো বহু পরের কথা- আগে কিভাবে এই প্রশ্নটা ভয়াবহ রকমের ভুল, সেটা জানা জরুরি। চলুন নবী ইবরাহীম(আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জীবনের কিছু অংশে একটু ঘুরে আসি,
ইব্রাহীম(আঃ) কে যখন আল্লাহ্ তা'আলা আদেশ দিলেন যে আগুনে ঝাঁপ দিতে, তখন তিনি কি বলেছিলেন, "আল্লাহ্ ! ইসলাম তো অনেক সুন্দর, আমার ইসলামের সব-ই ভালো লাগে, কিন্তু এই যে এখন আগুনে ঝাঁপ দিয়ে পুড়িয়ে ছাই হয়ে যাবার ব্যাপারটা-- এটা ছাড়া !!" ????
ইব্রাহীম(আঃ) কে যখন আল্লাহ্ তা'আলা আদেশ দিলেন যে তার বিবি ও মাসুম বাচ্চাকে একাকী, নির্জন শহরে রেখে চলে যেতে, তখন তিনি কি বলেছিলেন, "আল্লাহ্ ! ইসলাম তো অনেক সুন্দর, আমার ইসলামের সব-ই ভালো লাগে, কিন্তু এই যে সম্পূর্ণ জনমানবহীনশূণ্য একটা স্থান যেখানে কেউ মরে পরে থাকলেও কেউ দেখতে আসবে কিনা সন্দেহ, সেখানে আমার বৌ-বাচ্চাকে ফেলে রেখে চলে আসার এই ব্যাপারটা ছাড়া !!" ????
সেই ইব্রাহীম(আঃ) কে যখন আল্লাহ্ তা'আলা আদেশ দিলেন যে, আল্লাহ্-র পথে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটিকে কুরবানী করতে, তখন তিনি কি বলেছিলেন, "আল্লাহ্ ! ইসলাম তো অনেক সুন্দর, আমার ইসলামের সব-ই ভালো লাগে, কিন্তু এই যে আমার প্রাণ-প্রিয় বাচ্চাটা কে নিজ হাতে জবাই করে ফেলার ব্যাপারটা- এটা ছাড়া !!!!'' ????
কি বলেছিলেন ইব্রাহিম(আঃ) এরকম কিছু ??? না ! তিনি বলেননি, কারণ এখানে তার বলার কোন অবকাশ-ই নেই! যে কিনা তাকে সৃষ্টি করেছেন, সেই সৃষ্টিকর্তার আদেশের উপর কিছু তিনি কিভাবে বলতে পারবেন ? আর দেখুন, আল্লাহ্-ভক্তির পুরস্কার, আগুনে ঝাঁপ দিতেই সেই আগুন হয়ে গেলো এয়ার কণ্ডিশনার এসি!
সেই জনমানবশূণ্য শহরেই আল্লাহ্ ইব্রাহিম(আঃ) এর বিবি ও মাসুম বাচ্চার জন্যে জীবন-যাপনের সুব্যবস্থা করে দেন!
প্রিয় সন্তান কে কুরবানী দিতে গিয়ে সেই জায়গায় চলে আসে একটি দুম্বা !!
সুবহানাল্লাহ্ !! সুবহানাল্লাহ্ !! সুবহানাল্লাহ্ !
এভাবেই বোনের করা প্রশ্নটাই ছিল ভুল, কেননা সর্বপ্রথম ও প্রধান শর্তঃ- আল্লাহ্ রাব্বুল আ'লামীনের বিধি-বিধান নিয়ে আমাদের পছন্দ-অপছন্দের মতামত, তার সাপেক্ষে যুক্তি-তর্ক পেশ করার মতন দুঃসাহসিকতা আমরা করতে পারবো না। যদি কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হতে থাকে, চারপাশের সাথে মিলাতে গেলেও কেমন মিলতে না চায়, তাহলে বুঝে নিবো, এটা আমাদের নিজেদেরই-ই বুঝার সীমাবদ্ধতা, এখানে আল্লাহ্-র আয়াতের বা বিধি-বিধানের কোন সীমাবদ্ধতা নেই, থাকতে পারেনা! ভুলটা আমাদের, ইসলামের নিয়ম-নীতির নয়; এবং বিনয় ও ধৈর্য্যের সাথে সাহায্য প্রার্থনা করতে থাক্তে হবে যেন, আল্লাহ্ রাব্বুল আ'লামীন বুঝার প্রকৃত হিকমাহ্" দান করেন।
ইসলাম কে মানতে হলে আগে তাই এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে যে, আল্লাহ্ রাব্বুল আ'লামীন যা কিছু বিধি-বিধান আমার জন্যে নাজিল করেছেন- সেটা নিয়ে আমার এভাবে প্রশ্ন তুলে সেটাকে আমার পছন্দ-অপছন্দের গন্ডি দিয়ে বিচার করার কোন অবকাশ নেই। আমাকে যিনি সৃষ্টি করেছেন, সেই সৃষ্টিকর্তার চেয়ে ভালো আর কেউ জানবেন না যে, কোনটা আমার জন্যে ভালো আর কোন টা আমার জন্যে মন্দ।
"... আর হতে পারে তোমরা কোনকিছু অপছন্দ করলে, অথচ তাই তোমাদের জন্যে মঙ্গলজনক। আবার হতে পারে তোমরা কোনকিছু ভালোবাসলে কিন্তু তাই তোমাদের জন্যে মন্দ। আর আল্লাহ্ জানেন, যদিও তোমরা জানো না"(সূরাহ্ বাকারাহ্, আয়াত ২১৬)।
বুঝার জন্যে সূরাহ্ সাজদাহ্-র আরেকটি আয়াত শুনুন,
"কেবল তারাই আমার আয়াতসমূহের প্রতি ঈমান আনে, যারা আয়াতসমূহ দ্বারা উপদেশপ্রাপ্ত হয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং অহংকারমুক্ত হয়ে তাদের পালনকর্তার সপ্রশংসা পবিত্রতা বর্ণনা করে।" (৩২:১৫)
ভালো মতন খেয়াল করুন, আল্লাহ্-র আয়াত শুনে যদি আসলেই উপকৃত হতে চান, তাহলে সবার প্রথমে আয়াতসমূহের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস আনতে হবে, যৌক্তিকতা-অযৌক্তিকতার ইঁদুর-বিড়াল খেলা পরে, আগে মনে প্রাণে বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করুন, "আল্লাহ্ যা বলেছেন, সত্য বলেছেন! আল্লাহ্ যদি বলেন, আমার হিজাব পরে শালীনতা রক্ষা করতে- তাই সত্যি- এখানে অযৌক্তিক কারণের মতন কারণ যেমন-
"এহ্ ! আমাকে দেখতে সুন্দর লাগবে না! " বা,
"মেয়েরাই কেন সব কষ্ট করবে? আবার, মাঝে মাঝে খানিকটা যৌক্তিক(!) কারণ যেমন
"কেন হিজাব পরা মেয়েরা কি ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছে না?", বা
"হিজাব পরেও তো দেখি মেয়েরা প্রেম করে"-...
এসব দ্বিতীয় কোন চিন্তার অবকাশ নেই। শুধু, হিজাবের ব্যাপারে এটা সীমাবদ্ধ নয়, যে কোন ব্যাপারেই এরূপ আল্লাহ্ তা'লার কোন নিয়মের প্রতি অবাধ্য হতে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি দেখানো কার বৈশিষ্ট্য জানেন ? খোদ শয়তানের! শয়তানের যুক্তি কিন্তু ঠুন্কো ছিলো না -"আমি তো আগুনের তৈরী, আদম তো মাটির তৈরী, কেন সিজদাহ্ করবো আমি?"
সুবহানাল্লাহ্ !! আল্লাহ্-র-ই দেওয়া বুদ্ধি-বিবেক কে আল্লাহ্-র বিরোধিতায় কাজে লাগানোর এই ব্যাধি শয়তান মহামারী আকারে ছড়িয়ে দিচ্ছে, আর আমরাও বোকার মতন না বুঝেই সেই ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছি ! ওইসব শয়তানের ওয়াস্-ওয়াসা ছাড়া আর কিছুই না। আর শয়তানের এই ওয়াস্ ওয়াসা থেকে কিন্তু আমার হিজাবী বোন রাও একেবারে নিরাপদ- তা ভাববেন না, আপনি যত অটল ভাবে আল্লাহ্-র নিকটে যেতে চাবেন, শয়তান তার চেয়ে দ্বিগুণ বেগে দৌড়াবে আপনাকে আর আল্লাহ্-র মধ্যে মধুর সম্পর্কটাকে তিক্ত করতে। শয়তান দেখবেন আপনার কানেও ফিস্ফিসাবে,
"আরেহ্! হিজাব টা তো আছেই মাথায়, মুখে একটু মেক-আপ দিলে কিছু হবেনা"
"নেটের জামা পরা কি ঠিক হবে? আচ্ছা থাক! ফুল হাতা তো আছে"
"বোরকাহ্ টা একটু টাইট মনে হচ্ছে, আচ্ছা থাক্ ! আমার মুখ-টুখ সব-ই তো ঢাকাই আছে "
তাই হিজাবী-নন হিজাবী সবার জন্যেই এই আয়াত টা গুরুত্বপূর্ণ। আরো ভালো করে আয়াত টা খেয়াল করুন, শুধু আয়াতের প্রতি বিশ্বাস আনলেই হবে না, যারা আসলেই আয়াতসমূহ দ্বারা উপকৃত হতে চায়, তাদের এমন বিনয়ের সাথে বিশ্বাস রাখতে হবে যেন একেবারে সিজদায় মাটিতে লুটায়ে পরে এবং মনে কোন রকম অহংকার না রাখে, সেই সাথে আল্লাহ্- রাব্বুল আ'লামীনের প্রশংসায় ব্যস্ত হয়ে উঠে। অর্থাৎ, আপনার আল্লাহ্-র বিধি-বিধানের প্রতি এমন দৃষ্টি-ভঙ্গি রাখতে হবে যেন আপনি আপনার সব অহমিকা, যুক্তি(!)-গৌরব কে একপাশে সরিয়ে দিয়ে আল্লাহ্--র সামনে মাথা নত করেন এবং তাঁর প্রশংসা বর্ণনা করেন।
তাই, ইসলামের কোন বিধান মানতে যখন আমাদের মধ্যে অন্তর্নিহিত দ্বন্দ চলতে থাকে, তার মূলে আসলে রয়েছে- এই বিনয়ী দৃষ্টি-ভঙ্গি টুকুর অভাব, যার জন্যে শয়তানের ফাঁদে পরে আমরা 'করবো/ করবো" করেও শেষ পর্যন্ত আর কিছুই করে উঠতে পারি না। অনেক বোনদের ক্ষেত্রে দেখেছি, তারা বলেন, "হুম! হিজাবটা তো পরাই দরকার, কিন্তু... "
ওই যে বোন! বাক্যের "কিন্তু"-র শুরু টা যেখানে, আপনার ঈমানের শেষটা-ও সেখানে...
সুবহানাল্লাহ্ !!
কারণ, আপনি মুসলিম। "মুসলিম" শব্দের মানে কি ? মুসলিম শব্দের অর্থ হচ্ছে আত্মসমর্পণকারী। যেই মিনিট আপনি মানবেন যে আপনি মুসলিম, তার মানে আপনি মানছেন যে আপনি আল্লাহ্-র কাছে আত্মসমর্পণকারী। পরিপূর্ণভাবে আল্লাহ্-র সকল বিধি-বিধানের কাছে নিজেকে সমর্পণ করে দিচ্ছেন, তা আপনার ভালো লাগুক বা না লাগুক, সমাজ মানতে দেক বা না দেক; আপনি মেনে নিয়েছেন "আল্লাহ্-র যা বিধি-বিধান সেটাই আমার জন্যে কল্যাণকর, এখানে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই"- এর পর তো আপনার প্রতিপালকের আপনার জন্যে পাঠানো নিয়ম-বিধিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, আর নিজেকে "আত্মসমর্পণকারী" তথা মুসলিমের তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার মধ্যে পার্থক্য কি থাকলো??
ইনশাআল্লাহ্ বোনেরা! এই দৃষ্টিভঙ্গি টুকু যদি নিজের মনের মধ্যে গড়ে তুলতে পারেন, দেখবেন শত ডিগ্রি ফারেনহাইট রৌদ্রতপ্ত দিনে, আপনার দর দর করে বের হওয়া ঘামের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়া সেই "হিজাব" টি-ই, আপনার মনে তখন স্বর্গীয় হিম-শীতলতার শান্তি ছুঁইয়ে দিবে। আপনি আর দেখবেন না দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী আনন্দের কারখানা, আপনি খুঁজবেন না আনন্দ কারো করে যাওয়া আপনার রূপের প্রশংসার ফাঁকা বুলিতে বরং আপনি দেখবেন জান্নাতুল ফেরদাউসের সেই ঘরটি, সেখানেই খুঁজবেন শান্তি এবং সেখানেই একমাত্র পাবেন শান্তি-ই আর শান্তি, চিরজীবনের শান্তি সুবহানাল্লাহ্ !!
কি বিশ্বাস হচ্ছে না বুঝি ? নিজেই ট্রাই করে দেখুন তাহলে আমি কতটুকু সত্য বলছি ...
পরিশেষে বলতে চাই,
বোন !!!!
তুমি অমূল্য ! তুমি অমূল্য ! এবং তুমি অমূল্য !!!
তোমার ঈমান, সতীত্বের চেয়ে মূল্যবান আর কি হতে পারে ?তোমার রূপ-ঐশ্বর্য্যকে আল্লাহ্-রাব্বুল আ'লামীন এতটাই প্রাধান্য দিয়েছেন যে পুরুষদের কে সেই রূপের দিকে চোখ পর্যন্ত তুলে তাকাতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে! আল্লাহ্-তা'আলা কুরআনে বলেন,
"মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টি সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে।" (নুর : ৩০)
যেই রূপকে আল্লাহ্ রাব্বুল আ'লামীন এত সম্মান ও মর্যাদায় ভূষিত করেছেন, সেটা রক্ষা করা টা কি তোমার-আমার ঈমানী দায়িত্ব নয়? আল্লাহ্ রাব্বুল আ'লামীন আমাদের কে নিজেদের মর্যাদা রক্ষার নিয়মাবলি পর্দা-হিজাব সবকিছুর বর্ণনা দিয়ে যে আয়াত নাজিল করে গিয়েছেন- সেটা আমরা না মানলে কারা মানবে ? আমাদের কে সৃষ্টি-ই করা হয়েছে আল্লাহ্-র ইবাদাতের জন্যে এবং ইবাদাতের নিয়মাবলি সব সৃষ্টি করা হয়েছে আমাদের মেনে চলার জন্যে, “আমি জ্বিন ও মানুষকে কেবলমাত্র আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি” [আয্ যারিয়াত : ৫৬] ..
বোন আমার! তাহলে কিসে তোমাকে তোমার রবের দেওয়া মর্যাদা কে মেনে নিতে বাধা দিচ্ছে?
কোন ক্ষণিকের আনন্দের জন্যে শয়তানের ফিস্-ফিসানির কাছে নিজের জান্নাতুল ফেরদাউসকে সস্তায় বিক্রি করে দিচ্ছ ?
তোমার কাছে কি তোমার ইজ্জত তোমার সৌন্দর্য পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান রত্নের চেয়ে বেশিমূল্যবান নয়?
তবে তুমি কেন এমন লোকদের সামনে নিজেকে প্রদর্শন কর যেটা করলে তোমার রব তোমার উপর অসন্তুষ্ট হবেন ?
কেন আল্লাহর বিধান মেনে হিজাবের আড়ালে নিজেকে হিফাজত করনা?
তোমার জন্য কোনটা ভাল হবে তা তোমার রবের চেয়ে আর কে বেশি ভালো জানবে ??
বোন! আমি জানি না, আমার এ কথাগুলো তোমার অন্তরে কোন আদৌ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে কি না...
আমি অন্তর থেকে তোমার জন্য দোয়া করছি। আমার বিশ্বাস তুমি একদিন না একদিন ফিরে আসবেই।
সব তওফিকের মালিক যিনি একমাত্র আল্লাহ তাআলা, তিনি যেন তোমাকে হিদায়াতের আলোয় আলোকিত করে নিজের রূপ-সতীত্বকে আজকের এই অন্ধকারের সমাজ ও তার ক্ষুধার্ত চোখের কুদৃষ্টি হতে বাঁচিয়ে, আল্লাহ্-র পর্দার বিধান অনুযায়ী চলার তৌফিক দেন।
আল্লাহুম্মা-আ'মীন।
ভূমিকায় বর্ণিত লেকচারটির ইউটিউব লিঙ্কঃ- http://www.youtube.com/watch?v=Ta4akTBVqpo )
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৪ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
_________________
আমাদের যেসব বোন এখন ও হিজাব থেকে বিরত তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।আল্লাহ তাদের হিদায়াত দান করুক।আমিন
মন্তব্য করতে লগইন করুন