সূরা ফুস্সিলাতের সাথে একদিন . .
লিখেছেন লিখেছেন শারিন সফি অদ্রিতা ০৩ জুলাই, ২০১৪, ০৪:৫০:২০ রাত
টুডে ব্লগের সকল পাঠক, লেখক ও কর্তৃপক্ষকে জানাই আমার সালাম, আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহ্ !
আমাদের রমাদান উপলক্ষ্যে আলোচনার এ আসরে আপনাকে স্বাগতম। আলোনার শিডিউল অনুযায়ী আমার ভাগে পড়েছিল কুরআন দার্স, সূরা ফুস্সিলাত এর ৩০ থেকে ৩৬ আয়াত।
তাহলে আর দেরি না করে পরম করুণাময়ের নামে শুরু করে ফেলি আমাদের আজকের কুরআন আলোচনা ।
সূরা পরিচিতিঃ
সূরা ফুস্সিলাত একটি মাক্কী সূরা। এই সূরাটি “হা-মীম-সিজ্দাহ্”, “হা-মীম-ফুসসিলাত” নামেও পরিচিত। এ সূরাটি নিয়ে অন্তর-নাড়া দিবার মতন একটা ঘটনা আছে, যেটা উল্লেখ না করলেই নয়।
তখন ইসলামের শক্তি দিনে দিনে বাড়ছে, উমর(রাঃ), হামযা(রাঃ) এর মতন প্রভাবশালী কুরাইশরা ইসলাম গ্রহণ করছিল। কুরাইশদের এ চরম দুর্বল অবস্থা থেকে শঙ্কিত হয়ে কুরাইশ সর্দার উত্বা ইবনে রবীয়া দলবল নিয়ে রসূল(সাঃ) এর নিকট হাজির হলো। উত্বা তার দল-বলকে দূরে রেখে, নিজে গিয়ে রসূল(সাঃ) এর সাথে নরমভাবে আলাপ-চারিতা শুরু করলেন। আন্তরিকভাবে তিনি রসূল(সাঃ) কে প্রস্তাব দিতে থাকলেন,
“দেখ ভ্রাতুষ্পুত্র! এভাবে আমাদের পূর্ব-পুরুষের ধর্ম ও দেবতার উপর কলঙ্ক পড়া আমাদের জাতির জন্যে অনেক সঙ্কটের বিষয়। তোমার এই আন্দোলন যদি হয় ধন-সম্পদের জন্যে, আমরা তোমাকে কুরাইশ গোত্রের সেরা বিত্তশালী করে দিব। যদি শাসনক্ষমতা চাও, রাজত্ব চাও- যেটা চাও বলো, আমরা অকপটে তোমার দাবি মেনে নিবো” ... এরকম করে তিনি রসূল(সাঃ) কে ইসলাম প্রচার ছাড়ার বিনিময়ে পৃথিবীর যাবতীয় লোভনীয় জিনিস দিবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক দীর্ঘ বক্তব্য রাখলেন।
সেই বক্তব্য শুনে শেষ করে রসূল(সাঃ) বললেন,
“আপনার কথা কি শেষ হয়েছে?”
-জ্বী হয়েছে” উত্তর আসলো
-এবার তাহলে আমার উত্তর শুনুন...
আমাদের রসূল(সাঃ) নিজের পক্ষ থেকে কোন জবাব দিয়ে উত্তর হিসেবে এই সূরা হা-মীম-সিজদাহ্ তিলাওয়াত শুরু করে দিলেন।
তিনি তিলাওয়াত করতে করতে যখন এই আয়াত আসলেন, “অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বলুন, আমি তোমাদেরকে সতর্ক করলাম এক কঠোর আযাব সম্পর্কে আদ ও সামুদের আযাবের মত।“...
তখন উত্বা মুখে হাত দিয়ে বংশ ও আত্মীয়তার কসম দিয়ে বললেন,
“আমার প্রতি দয়া করুন, আর পাঠ করবেন না”
উত্বা সেখান থেকে উঠে গেলেন এবং দূর থেকে তার সাংগ-পাঙ্গ রা তাকে দেখেই বলাবলি করতে লাগলেন,
“আল্লাহ্র কসম! তার মুখ বিকৃত দেখা যাচ্ছে।“
তিনি তাদের কাছে পৌঁছালে তারা উৎসুক হয়ে জানতে চাইলেন কি সমাচার! তখন উত্বা তাদেরকে বললেন,
“আল্লাহ্-র কসম! আমি এমন কথা কালাম শুনে এসেছি যা কোন জাদু নয়, কোন কবিতা নয়, কোন অতীন্দ্রিয় শয়তানের কথাও নয়! তোমরা মুহম্মদকে মুহম্মদের মতন ছেড়ে দাও!”
শুনে তার দল-বল বললো,
“হায়! তোমাকে তো মুহম্মদ তার কথা দিয়ে জাদু করে ফেলেছে!”
শুনে উত্বা জবাব দিলেন,
“ হুম্! আমারো তাই মনে হয়! যা ইচ্ছা করো গে তোমরা”
(মা’রেফুল কুরআন দ্রষ্টব্য)
সুবহান আল্লাহ্! বুঝলেন তো প্রিয় পাঠক, এই সেই সূরা হা-মীম-সিজদাহ্ যা শুনে কুরাইশ সর্দার উত্বা বিকারগ্রস্তের মতন হয়ে যায়!! সুবহান আল্লাহ্!
সেই সূরাটির-ই ৩০ থেকে ৩৬ আয়াতের আলোচনা আমার এই লিখাটিতে থাকবে ইন শা আল্লাহ্। প্রথমেই আমি এই আয়াতগুলির সরল বাংলা অনুবাদ পেশ করছি। যদিও সরল অনুবাদে অনেক কিছুই স্পষ্ট বুঝা যায় না এবং কুরআনের তাফ্সীর-ব্যখ্যা পড়ে সেই তৃষ্ণা মিটাতে হয়। কিন্তু, এই সূরাটির অনুবাদ টুকু পড়ার সময়-ও খেয়াল করলাম যে, এর সরল অনুবাদেও রয়েছে অন্যরকম প্রাণশক্তি! তাই অনুবাদ টুকুও অন্তর-চক্ষু দিয়ে পাঠ করার অনুরোধ রইলো-
[ ৩০] নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ, অতঃপর তাতেই অবিচল থাকে, তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় এবং বলে, তোমরা ভয় করো না, চিন্তা করো না এবং তোমাদের প্রতিশ্রুত জান্নাতের সুসংবাদ শোন।
[ ৩১] ইহকালে ও পরকালে আমরা তোমাদের বন্ধু। সেখানে তোমাদের জন্য আছে যা তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্যে আছে তোমরা দাবী কর।
[ ৩২] এটা ক্ষমাশীল করুনাময়ের পক্ষ থেকে সাদর আপ্যায়ন।
[৩৩]যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?
[ ৩৪] সমান নয় ভাল ও মন্দ। জওয়াবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যে ব্যক্তির শুত্রুতা রয়েছে, সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু।
[৩৫] এ চরিত্র তারাই লাভ করে, যারা সবর করে এবং এ চরিত্রের অধিকারী তারাই হয়, যারা অত্যন্ত ভাগ্যবান।
[ ৩৬] যদি শয়তানের পক্ষ থেকে আপনি কিছু কুমন্ত্রণা অনুভব করেন, তবে আল্লাহর শরণাপন্ন হোন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
এখন ইন শা আল্লাহ্ আমরা আয়াত গুলির বিস্তারিত বর্ণনায় যাব।
সময়, আলোচনার সুবিধার্থে তা যথাসম্ভব সংক্ষেপে পেশ করা হল-
[ ৩০] নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ, অতঃপর তাতেই অবিচল থাকে, তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় এবং বলে, তোমরা ভয় করো না, চিন্তা করো না এবং তোমাদের প্রতিশ্রুত জান্নাতের সুসংবাদ শোন।
সুবহান আল্লাহ্! এই আয়াতে যারা আল্লাহ্ তা’আলাকে রব হিসেবে মেনে নেয় এবং সেই বিশ্বাসের উপর অটল-অবিচল থাকে, তাদের জন্যে সুসংবাদ জানানো হয়েছে। মুফাসসির গণের মতে, এই ফেরেস্তারা সেই ঈমানদারদের মৃত্যুর সময় তাদের কাছে দলবেঁধে উপস্থিত হয় এবং সে যখন মৃত্যুর কষ্ট ও ভয়ে ওষ্ঠাগত থাকবে, তখন সেই ফেরেস্তারা এসে তার কাছে বলবে, “কোন ভয় নেই তোমার! এই দেখো তোমার জান্নাত রেডী!” সুবহান আল্লাহ্! তবে এই আয়াত থেকে অন্যতম শিক্ষণীয় ব্যপারটি হল- “ শুধু লা-ইলাহা-ইল্লাহ” বলে আল্লাহ্কে এক রব স্বীকার করে নিলেই হবে না! , এই তাওহীদের উপর অটল থাকতে হবে, অবিচল থাকতে হবে। জীবনের প্রতিটি পদে পদে আল্লাহ্-র আনুগত্য স্বীকার করার মতন ঈমান রাখতে হবে। তবেই পাওয়া যাবে সেই সুসংবাদ!
[ ৩১] ইহকালে ও পরকালে আমরা তোমাদের বন্ধু। সেখানে তোমাদের জন্য আছে যা তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্যে আছে তোমরা দাবী কর।
এই আয়াতেও সেই ফেরেস্তাদের কথার-ই ধারাবাহিকতা চলছে। তারা বলছেন যে, এই ফেরেস্তারা দুনিয়াতেও এই সৎকর্মশীল ঈমানদের বন্ধু ছিলেন এবং আখিরাতেও থাকবেন। অর্থাৎ আমরা যদি নিজেদের ঈমান কে দৃঢ় করে ঠিক করতে পারি, আল্লাহ্ সুবহানুতা’আলা তার ফেরেস্তাবাহিনীকে আমাদের সাহায্যের জন্যে এই দুনিয়াতেই পাঠিয়ে দিবেন সুবহানআল্লাহ্! এর পর সেই ফেরেস্তারা বলতে থাকেন, যেই আখিরাতে আমাদের বন্ধু হবেন তারা, সেই আখিরাতে আমাদের যাই মন চায় আমরা তাই পাব! এমনকি নিজে থেকে কিছু অর্ডার করলেও আমরা সেটাও পাবো! সুবহান আল্লাহ্ তাফসীর পড়ে জানলাম, এমনকি জান্নাতে কোন পাখিকে উড়তে থেকে কারো যদি সেই পাখি খেতে শুধু মনে মনে ইচ্ছে হয়, সে দেখবে যে মুহুর্তেই সে পাখিটির মাংস রোস্ট হয়ে তার সামনে হাজির!(বিস্তারিত তাফ্সীর না পড়লে কিন্তু পুরাই মিস্!)
[ ৩২] এটা ক্ষমাশীল করুনাময়ের পক্ষ থেকে সাদর আপ্যায়ন।
এর পরের আয়াতে বলা হয়েছে যে, এই যে এই সুসংবাদ পাচ্ছ, এ হচ্ছে তোমাদের মহান রবের পক্ষ থেকে কেবল ‘চা-পানি”র শুরু!! অর্থাৎ এখনো তো এমন জিনিস জান্নাতে অপেক্ষা করছে, যা কোন চোখ দেখে নাই, কোন কান শুনে নাই, কোন হৃদয় কখনো কল্পনাও করতে পারে নাই সুবহান আল্লাহ্! আর আমাদের কেউ আদর-যত্ন করে আপ্যায়ন করলে আমাদের কেমন লাগে? চিন্তা করতে পারেন মহাবিশ্বের পালন-কর্তার পক্ষ থেকে আপ্যায়ন টা কেমন হবে?
[b] [৩৩]যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?[/b]
এই আয়াতে এসে আল্লাহ্ রব্বুল আ’লামীন একজন দা’ঈর মর্যাদাকে উদ্ভাসিত করেছেন! বলা হয়েছে, আল্লাহ্-র দিকে, সত্যের দিকে যারা মানুষকে ডাকে তার চেয়ে উত্তম কথা আর কারো হতে পারে কখনো? যতই জ্ঞান-ভর্তি পন্ডিতী বক্তব্য আমরা রাখি না কেন, সেই বক্তব্য কখনই উত্তম হতে পারে না যে আল্লাহ্-র দিকে ডাকছে তার কথা অপেক্ষা সুবহান আল্লাহ্! উল্লেখ্য এ আয়াতে আরো বলা আছে “যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে” অর্থাৎ খালি ডেকেই খালাস না, নিজেকেও ঐ আমল গুলি করতে পারতে হবে এবং নিজেকে আল্লাহ্ অনুগত আজ্ঞাবহদের একজন ঘোষণা করতে পারতে হবে!
[ ৩৪] সমান নয় ভাল ও মন্দ। জওয়াবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যে ব্যক্তির শুত্রুতা রয়েছে, সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু।
এটা আমার অত্যন্ত প্রিয় জায়গা! অনেক সময় দাওয়াহ্ দিতে গেলে আমাদের অপ্রীতিকর অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়। কেউ দাড়ি, বুরখা দেখলেই “জঙ্গি” ট্যাগ দিয়ে দিল! “ব্রেইন-ওয়াশ্ড”, “বেরসিক”, “জিহাদী” আরো কত রকমের কত কিছু! কিন্তু , আল্লাহ্ সুবহানুতা’আলা এ রকম পরিস্থিতিতেও কিভাবে ডীল করতে হবে বলে দিয়েছেন। তিনি নিকৃষ্ট ব্যবহারকেও উৎকৃষ্ট জবাব দিয়ে পরাভূত করতে বলেছেন। যে এরকম অবস্থায় আল্লাহ্-র এই আয়াত কে স্মরণ করে ধৈর্য্য ধারণ করে উৎকৃষ্টভাবে হিক্মাহ্ ভরে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে, দেখা যাবে যে, তার শত্রু-ও তার অন্তরঙ্গ বন্ধুতে পরিণত হচ্ছে সুবহান আল্লাহ্!
[৩৫] এ চরিত্র তারাই লাভ করে, যারা সবর করে এবং এ চরিত্রের অধিকারী তারাই হয়, যারা অত্যন্ত ভাগ্যবান।
এ আয়াতে আল্লাহ্ পাক আবারো তার ঈমানদার বান্দাদের স্বীকৃতি দিচ্ছেন যে, এম্ন চরিত্রের বান্দা আমার! তুমি জানো কি তুমি কতটা ভাগ্যবান?
[ ৩৬] যদি শয়তানের পক্ষ থেকে আপনি কিছু কুমন্ত্রণা অনুভব করেন, তবে আল্লাহর শরণাপন্ন হোন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
এই আয়াতের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি যে, এত শক্ত ঈমানদার হবার পরো এমন কোন কথা নেই যে, শয়তান থেকে সে মুক্তি পেয়ে গেছে! এমন কোন গ্যারান্টী নেই !! আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর সেই ঈমানদার ও সৎকর্মশীলদের বলছেন যে, তোমাদেরকেও শয়তান এসে জ্বালাতে পারে, তখন তোমার রবের কাছে আশ্রয় চেয়ে নিবে! এখন কথা হচ্ছে, যেখানে আল্লাহ্ তা’আলা তার এমন কঠিন ঈমানদার, ভাগ্যবান চরিত্রবান, ফেরেস্তাদের সাহায্য-প্রাপ্ত, জান্নাহ্-প্রাপ্ত বান্দাদেরকে বলছেন যে, তোমরাও শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে নিরাপদ নও। এমন অবস্থায় সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় চাইতে হবে, সেখানে আমাদের জন্যে শিক্ষণীয় হচ্ছে আমাদের নিজ নিজ ঈমান অনুযায়ী আমরা আল্লাহ্-র কাছে শয়তান হতে কতটুকু আশ্রয় চাই এবং কতটুকু চাওয়া উচিত!
এই তো অতি সংক্ষেপে আমার কুরআন দার্সের পরিবেশনা। আশা করি, এভাবেই তাফ্সীর ও অর্থ সহ কুরআন অধ্যয়নের মাধ্যমে আমরা আমাদের রমাদান কে আল্লাহ্-র সন্তুষ্টী ও নেক আমলের ডালা দিয়ে পরিপূর্ণ রাখবো ... আমীন ...
সবাই ভালো থাকবেন ... ফী আমানিল্লাহ্ ...
বিষয়: বিবিধ
২১২০ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
In sha Allah! May ALLAH all give us the ability to do so .. Ameen
আমিন
দীর্ঘ লিখাটি সময় ও ধৈর্য্য নিয়ে পড়ার জন্যে শুকরিয়া আপুনি! .
আমিন
Wa iyyak.
Nice sharing.dawah is very important, but people are neglectful about this.
এই গুনগুলো যেন সবাই আমরা অর্জন এবং চর্চা করতে পারি...
আল্লাহ্-র বাণী আরো সকল পেইনের নিরাময় করে!
বারোকাল্লহু ফিক। ফী আমানিল্লাহ্ এবং জাঝাকাল্লাহু খইর।
জাযাকিল্লাহু খাইর!
মন্তব্য করতে লগইন করুন