নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের দুর্নিবার আকর্ষণ"!! কিন্তু কেন?
লিখেছেন লিখেছেন শারিন সফি অদ্রিতা ১৮ এপ্রিল, ২০১৪, ০৭:২৭:৩৬ সন্ধ্যা
হবে বছর তিনেক আগের কথা। স্যার ক্লাসে পড়াতে পড়াতে এক ফাঁকে বললেন," নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি-ই মানুষের থাকে দুর্নিবার আকর্ষণ". মনে হলো, কথা তো নেহাত মিথ্যা না! কিন্তু কেন? কেন একটা জিনিস নিষিদ্ধ- সেটা জানার পরো সেটাই করতে এত প্রবল আকাঙ্ক্ষা, দুর্নিবার আকর্ষণ কাজ করে ?? এ কি স্রেফ কৌতূহলের বশবর্তী হয়ে করা নাকি জেদের ঠেলায় জ্ঞানশূণ্য হয়ে করা?? নাকি অন্যকিছু??
আজ সূরা মুহাম্মাদের ২৪-25 আয়াত পড়তে গিয়ে স্যারের কথা মনে পরে গেল এবং আমার প্রশ্নের উত্তরটার-ও সন্ধান মিললো-
"তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ? নিশ্চয় যারা সোজা পথ ব্যক্ত হওয়ার পর তৎপ্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে, শয়তান তাদের জন্যে তাদের কাজকে সুন্দর করে দেখায় এবং তাদেরকে মিথ্যা আশা দেয়."
অন্তর যখন কুরআন নিয়ে গভীর চিন্তা করে না- সেই অন্তর যেন তালাবদ্ধ. সেই তালাবদ্ধ,পরিত্যক্ত অন্তরে তখন প্রবেশ ঘটে শয়তানের এবং সে মনের আনন্দে নিষিদ্ধ কাজগুলো কেও আমাদের কাছে সুন্দর করে দেখায়। নিষিদ্ধ কাজগুলোকে তখন আর অসুন্দর লাগে না, মনে হয় "ইশ্ ! কি সুন্দর! ইশ্! কি আনন্দ!"
কিন্তু, সেই অন্তর কেন বুঝে না শয়তানের এই মহা ধোঁকাবাজি?
বুঝবে কিভাবে ? সে যে নিজেই নিজেকে ধোঁকা দিচ্ছে কুরআনের সাথে দূরত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে!!! এর কারণ আর কিছু নয়, ১৪০০ বছর আগেই ব্যক্ত হওয়া সেই স্পষ্ট সোজা পথের গাইডলাইন-কুরআন থাকার পরেও এর প্রতি পৃষ্ঠ-প্রদর্শনের জন্যেই শয়তান তার উপর সক্ষম হয়েছে।
কুরআন পড়ুন, বুঝুন, কুরআন নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করুন, নিজ নিজ অন্তরের তালা খুলুন।
বিষয়: বিবিধ
১৮০৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লামা ইকবাল তাকে তার পিতার দেয়া একটি উপদেশ দিতেন সকলকে যে কুরআন এমনভাবে পড় যেন কুরআন তোমার উপরই নাজিল হচ্ছে।
আমাদের দেশের বেশিরভাগ আলেম কিন্তু কুরআন বুঝা কঠিন এবং সবাই বুঝার চেষ্ট করলে ভুল বুঝবে এই কথা বলে থাকেন। ছবি এবং তার নিচের লাইন টির জন্য ধন্যবাদ।
Thanks for sharing.
মন্তব্য করতে লগইন করুন