এপ্রিল ফুল সম্পর্কে ভিত্তিহীন ইতিহাস.........
লিখেছেন লিখেছেন ব্যর্থ জীবন ০১ এপ্রিল, ২০১৪, ০১:৩৮:১৯ দুপুর
এপ্রিল মাস আগমনের সাথে সাথে এপ্রিল ফুল
নিয়ে কথা শুরু হয় । আর এর ইতিহাস হিসেবে বলা হয় রাজা ফার্ডিনেন্ড ও রাণী ইসাবেলা স্পেনে মুসলিমদের
ধোঁকা দিয়ে মেরে ফেলার ঘটনাকে ।
এটা এপ্রিল ফুল এর একটা কারণ কখনোও হতে পারে না । বরং ইয়াহুদীরা নিজেদের লাঞ্ছনাকর ও অপমানজনক ইতিহাসকে বিকৃত করে মুসলমানদের নামে চালিয়ে দিয়েছে ।
একথা জোর দিয়েই বলা যায় ।
তবে কারো করো মত,
এর প্রচলন কীভাবে,
তা এখনো সঠিক ভাবে বের করা যায়নি ।
কারণ, এর মতই কিছু অনুষ্ঠান
খ্রিস্টের আগে থেকে চলে আসছে।
এপ্রিল ফুল এর প্রচলন ফ্রান্সে চালু হয় ১৬-শতকের দিকে । ফ্রান্সে অনেকেই এপ্রিল এ নববর্ষ পালন করত ।
অনেক ইসলামিক ঐতিহাসিকদের
মতে, যেমনঃ আল্লামা ইবনে কাসির ও ইবনে খালদুন এবং ইবনে বাতুতা রহ. এর মতে এপ্রিল ফুলের সাথে
পৌত্তলিকতার এক সূক্ষ্ম সম্পর্ক রয়েছে।
সূর্য ও প্রকৃতি উপাসনার বেশ কিছু সম্পর্ক এর সাথে গভীর ভাবে জড়িয়ে আছে । আগে এপ্রিল মাসের প্রথম দিনকে
বসন্তের সূচনা ধরা হত । শীতের
পর বসন্তের রূপকে তখন মানুষ প্রকৃতির
ছলনা মনে করত । আর তখন থেকে মানুষ নিজেরাও এই
দিনটিকে মিথ্যা বলে ছলনা দিতে শুরু করে । এটা খ্রিস্ট ধর্মেরও
আগের কথা ।
সুতরাং ইসলামের সাথে যে এর কোন সম্পর্ক নেই এটা বলাই বাহুল্য । তাছাড়া এই দিনটিকে প্যাগানরাও বসন্তের
সূচনা হিসেবে পালন করতো ।
এবং তারা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের
একটা অংশ হিসেবে আজকের এপ্রিল ফুলকে বিবেচনা করতো ।
'এপ্রিল-ফুল' শব্দ-যুগল সর্ব প্রথম ব্যবহার করে ইংলিশ ম্যাগাজিন " Dreck Magazine. ১৬৯৮
সালে । তারা এতে বলে ১- এপ্রিল
Tower of London-এ একদল
কালো মানুষকে খুব ধুয়ে ফর্সা করা হতো । তবে সবচেয়ে বড়
ঘটনা ঘটায় ইংলিশ দৈনিক "Evening star ১৭৪৬-এ ।
তারা বলে পহেলা এপ্রিলে Islington-এ বানরের প্যারেড
অনুষ্ঠিত হতো । দলে দলে লোক সেদিন দেখতে যায়
সেই প্যারেড । কিন্তু কিছুই দেখে না । অবশেষে সকলে বুঝতে পারে যে, তারাই হলো মূলত সেই বানর । এবং
তাদের কঠিন বোকা বানানো হয়েছে ।
এছাড়া রয়েছে ইরানের নববর্ষ অনুষ্ঠান "নোওরুয" ! যেখানে এপ্রিল ফুলের মতই ধোঁকা
দেয়া হতো মানুষকে ।
এটা খ্রিস্টপূর্ব ৫৩৬ সাল থেকে প্রচলিত। আর এটাকেই সবচে' পুরাতন কারণ হিসেবে ধরা হয় । আর রয়েছে ১৪৯২ এ
গ্রেনাডার ইতিহাস । যা মূলত ঘটে ছিলো
ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানদের মাঝে । এপ্রিল ফুলের ইতিহাস যাই হোক, এটা বর্জনীয় তাতে সন্দেহ নেই । কারণ মিথ্যা কখনই আনন্দের খোরাক হতে পারে না ।
রাসূল সাঃ এরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন ব্যক্তিকে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মত নয় ।
সূত্রঃ উন্দুলুস মে চান্দরুজঃ ৯-১৫। জাহানে দীদাঃ ৩৭৮-৩৮১ আল্লামা তকী উসমানী পাকিস্তান উর্দূ । মাসিক রহমত,ঈদ সংখ্যাঃ২০১১।
বিষয়: বিবিধ
১৩১০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন