আমি নাজাত প্রাপ্ত ৭৩নং দলভূক্ত আপনি???

লিখেছেন লিখেছেন মোস্তাফিজুর রহমান ২৩ জুন, ২০১৪, ০৮:১২:০৮ রাত

আমি ধার্মিক!

হাদিসে উল্লেখিত ৭৩নং দলের লোক।

যে দলটা জান্নাতে যাবে আমি তার অনুসারী।

আমার আমল আখলাক অন্যদের থেকে ভিন্ন।

আমি বিশ্বাস করি আমি যে আমল করছি এটাই সহীহ; এটাই সঠিক।

বাকি সব বিদআত, বাকি সব গোমরাহী।

আমি বিশ্বাস করি লম্বা জামা পরা সুন্নত! তাই নির্দিষ্ট পরিবেশে যখন থাকি তখন লম্বা জামাই পরিধান করি অন্য সময় শার্ট-প্যান্টে নিজেকে খুব সুন্দর মানিয়ে নিই। আমি বিশ্বাস করি রাষ্ট্রের হক আদায় না করে হজ্ব ওমরা বা কোন ইবাদত করলে তা সহীহ হবেনা। তবে আমি হুন্ডিতে লেনদেন করতে পছন্দ করি কারণ এতেই আমার আর্থিক উন্নতি। আমি বিশ্বাস করি ব্যবসায়ে অতিরিক্ত মুনাফা করা হারাম, আমি নাজাত প্রাপ্ত দলভূক্ত তাই কেউ আমার কাছ থেকে একটাকা বেশি নিলে আমি তাকে আল্লাহর ভয় দেখাই তবে আমি ১০টাকার জিনিস ১০০টাকা বিক্রি করাকে ব্যবসায়িক পলিসি মনে করে চালিয়ে যাই। যেহেতু আমি আহলে হক্ব মানে পুরোপুরি হক্বপন্থী তাই আমি কাজে ফাকি দিলে বেতন হালাল হবেনা বলে বিশ্বাস করি অন্যের সামনে আলোচনা করি; তবে আমি ডিউটিতে নিয়মিতই দেরীতে যাই কিন্তু আসার সময় একটু আগেই চলে আসি কারণ কাজনাই বসে থাকব কেন আর ৫/১০মিনিট এদিক ওদিক কোন ব্যাপারইনা । বান্দার হকের ব্যাপারে আমি খুব সচেতন কারণ জানি যে, আল্লাহ তওবা করলে শিরকের গুণাহ ক্ষমা করবেন কিন্তু বান্দা ক্ষমা না করলে বান্দার হক নষ্ট করার গুণাহ ক্ষমা করবেননা। তাই দেনাদারকে এমন গুণাহ থেকে বাঁচানোর জন্য নিজের পাওনা শতভাগ আদায় করি তবে.... অন্যকে দেয়ার সময় যথাসম্ভব কম দিয়ে পার পেতে চাই। আমি জানি কর্মক্ষেত্রে চুক্তি অনুযায়ী কাজ করার পরও আমাকে পাওনা (বেতন/মজুরী) কম দিলে মালিক পক্ষ আল্লাহর নিকট দায়ী থাকবে, কিন্তু ডিউটি সময়ে আমি ব্যক্তিগত কাজে যাওয়াকে দোষ মনে করিনা; আর কোন কারণ বশত ঘন্টা খানেক বেশি কাজ করলে তার জন্য পারিশ্রমিক দাবী করি। আমি ইসলাম সম্পর্কে যথেষ্ট জানি তাই চাকুরীতে আমার যোগ্যতা অনুসারে বেতন কম বলে কাজ না করেও ওভারটাইম আদায় করি। ইসলামের ব্যাপারে আমি খুবই সচেতন! ফরজ ওয়াজিব ছাড়াতো দূরের কথা সুন্নত এবং মুস্তাহাব কোন ইবাদতও আমার মিস হয়না; কিন্তু আল্লাহর জমিনে ইসলাম কায়েমের আন্দোলন আমার পছন্দ না। আমি জানি জালিমের সামনে সত্য বলা বড় জিহাদ কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে কোন কথা বলাকে আমি ফিতনা মনে করি, যারা সরকারের বিরোধীতা করে আমি তাদেরকে পথভ্রস্ট মনে করি। আমি কোন মাজহাব বা পীর প্রথার তীব্রনিন্দা করি তবে আমার শায়খ বা ওস্তাদের কথা ছাড়া ডান-বামেও চলিনা। আমি জানি ইমানের পূর্ণতার জন্য ভাললাগা ভালবাসা সব আল্লাহর জন্য হতে হবে; তবে দুনিয়ার জন্য আমি মুসলমান/ ইবাদতকারী আল্লাহর বান্দা ছেড়ে অমুসলিমকে গ্রহণ করতে আমার আপত্তি নেই; কেউ আমার দোষক্রুটি উল্লেখ করলে তাকে গুলি করে হত্যা করতে আমার ইচ্ছা করে। যে যা-ই বলুক আমি যেহেতু আমার উস্তাদ/ হুজুর আর পীরের কথার বাইরে যাইনা সুতরাং আমি হক পথে আছি; আমি ৭৩নং দলের অনুসারী!! আমিই জান্নাতি বাকিরা .............

বিষয়: বিবিধ

১০৯৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

238084
২৩ জুন ২০১৪ রাত ০৯:৩১
ধ্রুব নীল লিখেছেন : ব্যাপক লিখছেন ভাই । আল্লাহ আমাদের ভারসাম্য জীবন যাপনে তাওফিক দান করুক । ইবাদাত থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র পর্যন্ত সকল জায়গায় তাকওয়ার মাধ্যমে সফলতা দান করুন । লেখকের জন্য দুআ রইল ।

“আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়। তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না”।
[আল বাক্বারাঃ ০৮- ০৯]
২৪ জুন ২০১৪ সকাল ১০:৩৩
184688
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : আমিন, আল্লাহ আমাদের সবাইকে দ্বীনের উপর টিকে থাকার তাওফিক দিক, আমিন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
238085
২৩ জুন ২০১৪ রাত ০৯:৩২
ভিশু লিখেছেন : অনেক চিন্তার বিষয়!
Praying Praying Praying
Day Dreaming Day Dreaming Day Dreaming
২৪ জুন ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
184689
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : আমার ব্লগে আপনার আগমনে খুব খুশি হলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File