ঈদ এবং কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন নিয়াজুল হক সাগর ১৬ জুলাই, ২০১৫, ০২:২৫:০৯ দুপুর
ঈদের খুশির মজাই আলাদা। বছরে একবার এলেও কেন জানি ভালো লাগে। হুম চিন্তা করি বন্ধুরা একসাথে হব সবাই। মন চাইলে আরচোখে মেয়েদের দিকে তাকাবো। না তাকালেও সমস্যা নেই।
আমার মতো অনেকেই আছে যাদের এমনটা মনে হয় কিংবা ভাবে। কিন্তু আবার এমন অনেকেও আছে যাদের কাছে ঈদ মানে ফ্যাশন শো। কাপড় কেনার পরীক্ষা। যেখানে প্রতিযোগিতা হয়, কে কার চেয়ে বেশি দামের পোশাক কিনতে পারে। বিশেষ করে মেয়েদের মাঝে। তারা কি করে, কোনো জামা কাপড় কিনেই সেটা ব্যাগে ভরে কোচিং এ নিয়ে আসে। অন্য বান্ধবীকে দেখাবে বলে। যেমন একটা উদাহরণ দিই।
আমার 'মাইল খানেক' দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়। তার মেয়ে, আমার কাজিন টাইপ হয়। পরিপূর্ণ মেক আপ না নিয়ে সে কখনই আমার সাথে কথা বলেনি। অবশ্য বছরে খুব একটা সামনা সামনি দেখা হত না। ফেসবুকে দু এক সময় 'হাই হ্যালো বাই' হত। এই যা।
তো কিছুদিন আগে দেখা হল। কুশল বিনিময় হলে, কমন প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করে বসলাম। "ঈদের বাজার করচ?"
- না এখনো করিনি।
হতাশা পূর্ন উত্তর। ভাবটা এমন যে, এবার আর আমার ঈদ হবে না!
কারণ জানতে চাইলে বললো, বাবা একটু ব্যস্ত। ঢাকা থেকে এলেই একসাথে যাবো সবাই।
আমি ভাবলাম ভালোই তো। পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করবে, খারাপ কি? কিন্তু ও বোনাস হিসেবে আরও কিছু শোনালো আমাকে।
- তবে আমার বান্ধবীদের কেনকাটা শেষ। ওরা আমাকে দেখিয়েছেও। আমি এখনো পারলাম না। এবার ঈদ মনেই হচ্ছে না।
বেশ ভালো একটা মন্তব্য করেছে বেচারী। আমি যদিও একমত না। কিন্তু সহজেই কথাটা উগড়ে দিল, তাই ভেবে পুলকিত হলাম। আমি হেসে বললাম, হ্যা আসলেই ঠিক বলেছো।
ঠিক দুদিন পর আবার কথা হলো, তখন বলছে, এখন ঈদ ঈদ মনে হচ্ছে। কারণ আজ সে জামা কাপড় কিনেছে। আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেবল মাত্র জামা কাপড়ের গন্ডিতে বেধে দিল। জামা কিনলাম তো ঈদ হবে, না কিনলাম তো হবে না। না কিনলে অবশ্য বান্ধবীকে দেখাবে কি? কিভাবে বলবে, "আমার ড্রেসটা না কুটি কুটি টাকা নিচে"? এটাও কি ট্রেড নাকি? জামা কিনে বান্ধবী কে দেখাতে হবে, তানাহলে ঈদ হবে না।
আল্লাহ কি এই চিন্তা করেছিলেন নাকি? কি জানি? আমি তো আর জানিনা।
বিষয়: বিবিধ
১১৪০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ পোস্টের চুম্বক অংশ এই বাক্যটি ।
মেয়েরা ঈদের সময় বাবা বা স্বামীর টাকায় দেদারসে হাত খরচ করে (শুধু ঈদের সময় কেন , অন্য সময়েও)। যদি বলা হয় যে নিজের টাকায় কেন , তখন চেহারা মলিন/অগ্নিশর্মা হয়ে যাবে ।
অন্যের কাছ থেকে যথেচ্ছ খসানোর কায়দা মেয়েদেরই এখতিয়ারে এবং এটা সে ভালই পারে । এতে তার বান্ধবীরা তাকে আরও এগ্রেসিভ হতে উসকানি দেয় ।
ফলাফল : বাবা বা স্বামী বেচারার রফাদফা ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন