প্রশ্ন ফাঁস থেকে রক্ষা পাবার একটি ডিজিটাল উপায়। (কাজে লাগতেও পারে।)
লিখেছেন লিখেছেন আহ জীবন ২৪ আগস্ট, ২০১৪, ১০:৫৬:৩৮ সকাল
ব্লগার প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন
ভাইয়ের পোস্ট টি পড়ে ডিজিটাল সরকারের জন্য ডিজিটাল আইডিয়া টা মাথায় আসে। কিন্তু ২৩/০৮/২০১৪ ইং তারিখ বিডি টুডে তে খবর টি পড়ি যে আমাদের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সাহেব সমাধান বের করে ফেলেন। খবর।
এখন প্যাটেন্ট সমস্যায় পড়তে হবে। কি আর করা।
আইডিয়াটা বলি। প্রথমেই বলে রাখি আপনারা ও আইডিয়া দিয়ে সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারেন।
১) প্রশ্ন নির্বাচন কমিটিঃ- প্রশ্ন নির্বাচনের একক ক্ষমতা শিক্ষা মন্ত্রীর একক। যেহেতু উনি বেস্ত মানুষ তাই উনি প্রশ্ন করতে পারেন এমন একজন বিশ্বস্ত বেক্তি বাছাই করবেন বা নিয়োগ দিবেন। ওই বেক্তির প্রতি শর্ত থাকবে যে-
১> প্রশ্ন করা থেকে শুরু করে পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত সে নিজে সরকারের সেইফ হাউসে সেচ্ছা বন্দী থাকতে হবে।
২> সে নিজে কম্পিউটার চালনায় পারদর্শী হতে হবে।
৩> নিদ্দ্রিস্ত সময় ছাড়া ইন্টারনেট ব্যাবহার করতে পারবেনা।
৪> কোনও প্রকার যোগাযোগ মাধ্যম ব্যাবহার করতে পারবেনা।
৫> উল্টা পাল্টা প্রশ্ন তৈরি করলে তার দায় দায়িত্ব বহন করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রিকে দেশবাসীর নিকট বেক্তির পরিচয় প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু কোন সেইফ হাউসে রাখা হয়েছে সেটি গোপন থাকবে।
২) পরীক্ষার হল প্রস্তুতিঃ- পরীক্ষার হল প্রস্তুতি এমন কিছুই না। শুধু হল রুমে একটা করে প্রজেক্টর বসিয়ে দিতে হবে যাতে প্রশ্ন দেখা যায়। এবং সেটি দেখে পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিবে। বিষয়টা বেয়বহুল হলে অন্য ভাবে চিন্তা করতে হবে।
৩) প্রশ্ন পত্র পাঠানো এবং পরীক্ষার হলে বিলি করাঃ-
পাঠানোর পদ্ধতি- পরীক্ষা শুরুর দুই ঘণ্টা আগে প্রশ্ন পত্রটি ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পাঠানো হবে। যা একটি পাস ওয়ার্ড দেওয়া পি ডি এফ কপি। সাথে পাস ওয়ার্ড টি দেওয়া থাকবে না। পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে।
প্রশ্ন হবে ডিজিটাল। অর্থাৎ প্রোজেক্টরের মাধ্যমে প্রশ্ন ব্ল্যাক বোর্ড এ দেখানো হবে। প্রোজেক্টরে দেখানো হলেও প্রিন্ট করে পরীক্ষার্থী কে পরীক্ষার্থীর কপি প্রদান করতে হবে। কারন যদি সে কোনও কারনে তার রেজাল্ট চ্যালেঞ্জ করে তবে তার প্রশ্ন পত্রের কপি সে যেন দেখাতে পারে।
যদি প্রোজেক্টরের মাধ্যমে প্রশ্ন বিলি করা জটিল এবং বেয়বহুল হয় তবে পাসওয়ার্ড পাওয়ার সাথে সাথে তা প্রিন্ট করে ফেলতে হবে। এবং সাধারন প্রশ্ন পত্রের মত পরীক্ষার শুরুতে বিলি করতে হবে।
যে সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করতেই হবে-
১> সমস্ত অপারেশন নিয়োগ কৃত বেক্তি পরিচালনা করবেন। এজন্য বি টি আর সি সিকিউরিটি জনিত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হবে। এবং একটি কন্ট্রোল রুম থাকবে যেখানে মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হবে প্রশ্ন এবং পাসওয়ার্ড পেয়েছে কিনা তা জানার জন্য।
২> নিয়োগ কৃত বেক্তি প্রশ্ন অন্য কোথাও পাঠাচ্ছে কিনা তা তদারক করার জন্য একজন আইটি বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষা মন্ত্রীর সামনে অপারেশন পরিচালনা করবেন। ওই সময় শুধু মাত্র শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে প্রয়োজনীয় যোগাযোগের জন্য মোবাইল থাকবে।
৩> প্রশ্ন পত্র পাঠানোর সময় যাতে পথিমধ্যে কোন হ্যাকিং এর শিকার না হয় সে জন্য পরীক্ষার দিন বি টি আর সি প্রতিটা পরীক্ষার হলে দেওয়া সংযোগ বাদে বাকি সমস্ত আইপি পরীক্ষা শুরুর আগ পর্যন্ত ব্লক করে দিবে কয়েক ঘণ্টার জন্য। অন্য কেউ যাতে নেট ব্যাবহার না করতে পারে। তারপর খুলে দেওয়া হবে।
৪> পরীক্ষার হলে একমাত্র হল সুপারিন্টেনডেন্ট ছাড়া অন্যকোন শিক্ষক মোবাইল ব্যাবহার করতে পারবেনা। সুপারিন্টেনডেন্ট যে মোবাইল ব্যাবহার করবে তাতে কন্ট্রোল রুম ছাড়া অন্য কোথাও যোগাযোগ করা যাবে না। সুপারিন্টেনডেন্ট এর নিজের মোবাইল অফ থাকতে হবে।
৫> পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীর হলে প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সময়ের সুক্ষতায় কাজ পরিচালনা করলে লকবল বাড়ানো প্রয়োজন হতে পারে।
আমার বুদ্ধিতে এতোটুকুই আসলো। আপনারা (ব্লগার ভাই- বোনরা) সংযোজন বিয়োজন করতে পারেন। আমি আইটির লোক নই । সিকিউরিটির ব্যাপার আরও চিন্তা করা দরকার।
আর প্রত্যেকেই যদি বেক্তিগত সততা অবলম্বন করেন তবে এতো কিছুর কিছুই করতে হবে না।
বিষয়: বিবিধ
১৫১৩ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রশ্ন হবে ডিজিটাল। অর্থাৎ প্রোজেক্টরের মাধ্যমে প্রশ্ন ব্ল্যাক বোর্ড এ দেখানো হবে। প্রোজেক্টরে দেখানো হলেও প্রিন্ট করে পরীক্ষার্থী কে পরীক্ষার্থীর কপি প্রদান করতে হবে। কারন যদি সে কোনও কারনে তার রেজাল্ট চ্যালেঞ্জ করে তবে তার প্রশ্ন পত্রের কপি সে যেন দেখাতে পারে।
আন্নে এইয়ান কিয়া কু-পরামর্শ দিলেন!!! পরীক্ষা যদি আগষ্ট মাসে হয়, আর প্রশ্ন দেখানোর সময় যদি পলক মিয়া টলক বদলাইয়া যায়, তখন বেবাক ছাত্র ছাত্রি ব্লাক বোর্ডে দেখিতে পাইবে, 'কান্দ বাঙ্গালী কান্দ, মনের সুখে-দুঃখে কান্দ, কান্দন না আইলে চোখে পিয়াজ ডলিয়া কান্দ'। তখন পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক কি করিবেন। তিনি যদি পরীক্ষা স্থগিত কইরা কান্দনের কাজে যোগ না দেন, তাইলে তার চাকুরী যাইবে, তার বউ-ছাওলদের কেডা পুষিবে। দয়া করি শত্রুরেও কুনদিন খারাপ পরামর্শ দিয়েন না।
পরীক্ষা চলা কালীন প্রশ্ন পত্র পরীক্ষার্থীর হাতে বিলি করে দেওয়া হবে। এবং সে প্রশ্ন পত্রটি প্রোজেক্টরের প্রশ্ন পত্রের সাথে মিলিয়ে নিবে।
আর ভাই পুরা বুদ্ধিটাই কুপরামর্শ।
সারা বছর শিক্ষার্থী থাকাটাই তো যথেষ্ট
এরপর লটারীর মাধ্যমে অটো-গোল্ডেন দিলেই হয়ে যায়
জিপিএ ৫ গোল্ডেন ১৫%
জিপিএ ৫ ২৫%
জিপিএ ৪-<৫ ২৫%
জিপিএ ৩-<৪ ২৫%
জিপিএ ২-<৩ ১০%
নো ফেল
পাশের হার ১০০%
[শতভাগ পাশ করলে সমস্যা কি?- শিক্ষামন্ত্রী]
স্কুল/কলেজ থেকে এ শ্রেণীবিন্যাস ও তালিকা সরবরাহ করা হবে
খুব ভালো লাগল লেখাটি।
অনেক শুভেচ্ছা।
খুব ভালো লাগল লেখাটি।- একমত।
আপনার জন্য একটা গিফ বানাছিলুম কিন্তু আপনাকে সেই পোস্টে পেলুম না তাই চলে আসলুম আপনি কেমন আছেন
====
আপনার প্রপিকটা তো দেখলুম আমার মতোকরে চেঞ্জ হয়েছে...৮-> কখন করলেন
মন্তব্য করতে লগইন করুন