গুপ্তকথা পোষ্টের উত্তর আর আমার এলোমেলো ভাবনা।
লিখেছেন লিখেছেন আহ জীবন ৩১ জুলাই, ২০১৪, ০৮:৩৬:৪৯ রাত
গতকাল একটা পোস্ট করেছিলাম।গুপ্তকথা। পাজল টাইপ তাই হয়ত সবার ভালো লাগেনি। যেমন গেঞ্জাম ভাই লিখেছেন “ঘোড়ার ডিম।” ইমরান ভাই লিখেছেন “আমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি?”
বেতিক্রম শাহিন ভাই। চেষ্টা করেছেন এবং উত্তরটা কাছা কাছি পেরেছেনও। আমি রহস্য ভালো বাসি। তাই হাতের কাছে যাই পাই পারি বা না পারি সমাধানের চেষ্টা করি। যেমন হতভাগা ভাইয়ের ছবি পার্থক্য। মনে হয় কোন টাই বাদ দেই নাই। প্রথম প্রথম পুরুস্কার দিতেন ডলার, টাকা। এখন বাহ বাহ দেন। গুগল ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দিছে মনে হয়। আর না হয় উনার প্রপিক এর মত গাম্ভীর্য ধরে রেখেছেন। আমার পোস্ট টি পাজল টাইপ আগেই বলেছি।
একটা ব্যাপার কয়েক দিন থেকে মাথায় ঘুরছে। মৃত্যু। হয়ত ফিলিস্তিনের অবস্থা দেখে। ইতিহাস খুব ভালো জানি না। তবে কেন যেন মনে হয় ভবিষ্যৎ বিশ্ব এর দুইটা যুদ্ধের ময়দান (আমার ভাষায় মৃত্যু বীজ বুনে গেছে) তৈরি করে দিয়ে গেছে ব্রিটিশরা। একটা ফিলিস্তিন অপরটা আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশের বিভাজন। তাও ১৯৪৭ আর ১৯৪৮ সালে। এই মৃত্যু বীজ এখন ডাল পালা গজিয়ে শুধু ফিলিস্তিন নয় সারা বিশ্বটাকেই গ্রাস করছে। এবং মৃত্যুর ডামাঢোল বাজাচ্ছে। একটা হলিউড মুভি দেখেছিলাম (নাম মনে নেই) যেখানে শুরুতেই একটি বুলেটের জন্ম আর শেষ পরিনতি দেখায়। কিভাবে একটা মৃত্যুর উপাদান তৈরি হয় আর তার মৃত্যু হয় সাথে একটা বাচ্চা কে নিয়ে। পরিচালকের চিন্তার জগত দিয়ে জন্ম মৃত্যুর হিসেবটা অন্য রকম সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন। মৃত্যুর চিন্তাটা আমিও এরকম ভাবে বুঝাতে চেয়েছিলাম। স্বাধীনতাকে যদি স্বাধীন না থাকতে দেই তবে স্বাধীনতার কোন মর্যাদা দেওয়া হয়না। এরকম একটা ম্যাসেজ দিতে চেয়েছিলাম পোস্টটিতে। এর বাইরে যে ভাবনা গুলো কাজ করেছে টা হল
১। গুপ্তকথা পোষ্টের মত আপনার নিজের জীবন নিয়ে একটু ভাবুন আপনার মৃত্যুটা কি এভাবে আসছেনা?
২। একটা জাতির মৃত্যু প্রক্রিয়ার কথা ভাবুন না। যেমন ফিলিস্তিন।
৩। নিজেকে নিজে মারার কথা ভাবুন না যেমন বাংলাদেশ।
৪। অন্য রকম একটা ভিন্ন ভাবনা- কোন একটা জিনিস আছে কিন্তু নতুন ভাবে উদ্ভাবিত হয়েছে তাকে বলে আবিস্কার। আমিও না হয় একটু ভিন্ন ভাবে মৃত্যুকে আবিস্কার করলাম।
একটা ঘটনা শেয়ার করি আমার আব্বার মুখে শুনেছিলাম সত্য কি মিথ্যা এখন আর জানিনা। বাংলাদেশের একজন গায়ক একটি মঞ্চে গেয়েছিলেন “ এক সেকেন্ডের নাই ভরসা বন্ধ হইব রঙ তামাসা, চক্ষু মুদিলে ভাইরে দম ফুরাইলে “। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এক সেকেন্ডও সময় তিনি পাননি। গান শেষ হওয়ার সেকেন্ডের মাথায় মঞ্চেই মারা যান। গায়কের নাম ফিরোজ সাই।
অনেক হল আর না। আমার এলোমেলো ভাবনা গুলো জানাতে মন চেয়েছিল। জানালাম।
উত্তর টি হল “এটি একটি স্লো মোশন মৃত্যু”।
একজন ভাই সঠিক উত্তরটা দিতে পেরেছেন উনাকে আবারো ধন্যবাদ জানাই।
বিঃ দ্রঃ- মৃত্যুকে মৃত্যুর গুরুত্ব দিয়ে উপলব্দি না করলে জীবন টাই আপনাকে উপহাস করবে।
বিষয়: বিবিধ
১৭১৯ বার পঠিত, ৪২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি আপনার মত ভাইয়া ।পারি না পারি চেষ্টা করবই ।
মৃত্যুকে মৃত্যুর গুরুত্ব দিয়ে উপলব্দি না করলে জীবন টাই আপনাকে উপহাস করবে। আপনার সাথে একমত ।
ও ভাই আমার নাহয় তলপেটে গু থাকে। আপনার থাকে কোথায়?
ধন্যবাদ গেঞ্জাম রেখে যাওয়ার জন্য।
এর ব্যবহার এবং নতুন ডিকোডিং সিষ্টেম আবিস্কারের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
যাক মনের অজান্তে অন্য একটা বিষয় আবিস্কার করলাম।
স্রশদ্ধ ধন্যবাদ গ্রহন করুন পোস্টটিতে ভালো লাগা রেখে যাওয়ার জন্য।
ঠিক বলছেন আপু...
আপনি ভাই নাকি আপু জানিনা। তয় আমি ভাই। জেন্ডার চেঞ্জ হইলে কেমন জানি লাগে।
তবে কিছু কিছু আপনার কমেন্ট পড়ে আপনার প্রতি বেশ ভালো শ্রদ্ধাবোধ জাগে।
আমি ও একটু আধটু দুস্তমি ভালো বাসি।
আশা করি প্রতি মন্তব্বের পর মনে কোন সন্দেহ থাকবে না।
ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
সালাম নিয়েন।
সঠিক উত্তরটা দিয়েছিলো আলোকিত প্রদীপ আপু।
তবে আপনাদের মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য খুব ভালো্ই লাগে।
আমাদের সবচেয়ে বড় উপলব্ধি এটিই হওয়া উচিৎ।
প্রথমেই মেরেছি নিজের মনুষ্যত্ব কে। বডি টা কবরে যাওয়ার বাকি।
করুন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন