ক্ষীরা চুরি পোস্ট বেশ চমক লাগাইল। তাই এবার মিষ্টি আলু চুরি।
লিখেছেন লিখেছেন আহ জীবন ১৩ জুন, ২০১৪, ১০:৩৪:৪৭ সকাল
যে তিন বছর বাড়িতে ছিলাম মোটামুটি বাধনহারা ছিলাম।
ওই যে কি যেন বলে খেলাটারে শুকনা বাঁশের কঞ্চির দুই গিরার মধ্য খানের অংশ টারে বড় একহাতি একখান লাঠি দিয়া পিটানো (ডাংগুলি বলে বোধ হয়) আমরা বলি ডাণ্ডা ছোলা। দুপুরে ঘুম না গিয়া খেলতেচিলাম। চ্যাঁচামেচি ও চলতেছে সমান তালে। মুরুব্বিয়ান একরামদের এইটা সহ্য হয় নাই। দিল দৌড়ান। দৌড়ানি খাইয়া গ্রামের শেষ মাথায় তাল গাছের নিচে আশ্রয় নিলাম। ওই জায়গাটা দুই গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকা কিন্তু এখনও নিজেদের অংশে রেস শেষ করে রেস্ট নিচ্ছি। একজন একজন করে সবাই প্রায় যোগ দিল। কথা হচ্ছিল কে কি খেলবে। মতানৈক্য হওয়ায় দু তিন জন ছাড়া বাকি সব চলে গেল। আমিও দু তিন জনের ভিতর রয়ে গেছি। সন্ধ্যা ঘনাচ্ছে খেলার ও সময় নেই গল্প করতেছি। কোত্থেকে এক মামু আসলো। বয়সে বড় (প্রায় যুবক, কৈশোর শেষ হয়নি তখনও)। উনি কথায় কথায় আলু চুরির প্ল্যান দিলেন। আমরা তিন জনের দুজন রাজি। মামু কিন্তু চুরি করবেন না। উনি প্ল্যান দিছেন, পাম্প দিচ্ছেন তাই চুরি করবেন না কিন্তু ভাগ নিবেন। গেলাম খেতের কাছে। মামা ভাল মানুষের মত তাল গাছের নিচে বসে আছে। আমার সাথের অন্য জন কে আগে পাঠাইল মামা। সে সফল চুরি করিয়া ফিরিল। এবার আমার পালা। আমিত নাইই মামা ও জানতোনা খেতের মালিকের ছেলে (মামার বয়সি) একটু দূরে তার গরুর জন্য ঘাস কাটতেছে। সেও প্রথম চুরি দেখিয়াছে। কাউকে কিছু না বুজতে দিয়ে আমাদের গ্রামের দিক থেকে ঘুরিয়া আসিতেছে চোর ধরার জন্য। আর তখনি আমার পালা। গেলাম না হয় মান সন্মান থাকিবে না। করিলাম সফল চুরি। বিপত্তি বাধিল পালাইতে গিয়া। মালিকের পোলা সাংবাদিকের মত লেতেস্ত খবরের আসায় ছুটার মত হাতের কাছে প্রথমজনকে (আলু চোর) পাইয়াও আমার পিছে ছুটিলেন। আল্লাহর কি হুকুম ছুটন্ত মানুষ দেখিয়াই মনে মালুম হইয়া গেল আসিতেচে ভাগ। দিলাম দৌড় (আলু ছাড়ি নাই)। দৌড়ত দিলাম কিন্তু ওই বেটার গ্রামের দিকে। গ্রামে ঢুকিলে আর রক্ষা নাই। ওইরকম বয়সের একজন মানুষের সাথে দৌড়ে পারিলাম না। ধরার ঠিক আগ মুহূর্তে ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশে বসিয়া পড়িলাম। কাজ হইল বেচারা আমারে রাখিয়া কিছুদুর সামনে চলিয়া গেল। আমি নব উদ্যমে আমার গ্রামের দিকে দৌড়। সেও পন করিয়াছে আমাকে ধরিবেই। মামু আমার তাল গাছ ছাড়িয়া রাস্তায় দাঁড়াইয়াছে। আমি সেই রাস্তা ধরিয়া গ্রামের দিকে পালাইতেছি। তো আমি মামুকে ক্রস করিয়া যাওয়ার পর দেখি মালিকের পোলা আমাকে আর তাড়া করিতেছে না। যাক সে যাত্রায় বাছিয়া গেলাম। পরে মামুরে জিজ্ঞাসিলাম পোলাটা আমারে আর দৌড়াইল না কেন? তিন ভাগের দুই ভাগ নিজে করায়ত্ত করিয়া (দিতে বাধ্য হইলাম) খাইতে খাইতে সিনা উঁচু করিয়া বলিল আমি তোরে বাছাইয়া দিছি। বলিলাম কেমনে? বলিল আমার সামনে দিয়া ওই পোলা যাওয়ার সময় অন্য কার যেন একটা ছাগল চরিতেছিল ওইটা দেখাইয়া বলিলাম এটা তোর ছাগল। এইটা নিয়া যান। এইটা ছুটাইতে আসলে ধরিবেন। বেচারা মামুর কথা শুনিল। ছাগল নিয়া গেল। তারপর থেকে আমি আর মামু পরবর্তী কয়েক মাস ও মুখো হইনি। কি হইছে খবর ও রাখিনি। আল্লাহ মাফ করুন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৭৯ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মিষ্টি আলু কি কাঁচাই খেয়েছেন??
"চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা যদি না পড়ে ধরা"- কোন মনিষী কইচে মনে নাই।
কাঁচা কাঁচা কেমনে খায়! শুনতেও কেমন লাগে আমার কাছে!!
তারপর ও খাইতে না পারলে আপনার কপালে মজা জিনিষটা নাই।
হারিকেন বলছে।
আইজও হারিকেনের মাথায় কাঁঠাল ভাইঙ্গা খাইতাচ?
চুরের ফেবুতে আসতে পারেন ,,,,
https://www.facebook.com/ami.b.cai.9
বিঃদ্রঃ- আমার বোনের নাম ও শাহিন।
চাকরির কি খবর?
অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন অবশ্যই।
চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা যদি না পড়ে ধরা
মাইরের নাম গজব আলী যদি খান ধরা
প্রবাসী শাহিন ভাই দিছে সুক্ষ পাস।
মন্তব্য করতে লগইন করুন