জান্নাতে পুরুষের জন্য ৭২ হুর-বেশ্যা, নারীর জন্য কি??
লিখেছেন লিখেছেন গ্রামের পথে পথে ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১২:০২:৪৯ দুপুর
একটা নারীর দিকে তাকালে যদি তার হাড় হাড্ডি, নাড়ি ভূড়ি, লিভার হার্ট দেখা যায় , তাহলে তাকে দেখতে সুন্দরী লাগবে? ওয়াক থু। যাক সে কথা।
আমাদের টুডেব্লগে জান্নাতের হুর বেশ্যা নিয়ে আদি রসাত্মক এক পোষ্ট মেরে দিয়েছেন এক মুমিন ভাই। এখানে দেখুন- Click this link
মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে জন্নাতের হুর বেশ্যা কি বস্তু তা জেনে নেয়া যাক।
কোরানের বর্ণনায় এসেছে- তাদের কাছে থাকবে নত, আয়তলোচনা তরুণীগণ। যেন তারা সুরক্ষিত ডিম।
হাদীসের বর্ণনায় এসেছে- তাদের থাকবে বিরাট সুডল গোলাকার উদ্ধমুখি কৌনিক স্তন। তাদের প্রত্যেকের দেহে সত্তর ধরণের অলংকার থাকবে। সে অলংকারের ভিতর দিয়ে তাদের হাড় ও হাড়ের মগজ, শিরা, উপশিরা দৃষ্টিগোচর হবে।
মোট কথা- অশ্লীল বিকৃত যৌনতায় পরিপূর্ণ এক পতিতালয়। বেশ্যাখানা।
এবার মূল আলোচনায় আসা যাক :
১। পোষ্টের লেখক চাপাবাজী মারতে যেয়ে প্রথমেই ধরা খেয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন- "বিষয়টি বুঝতে গেলে প্রথমে বুঝতে হবে, কোন চরিত্রের লোকেরা জান্নাতে যাবে। যখন আদম-হাওয়াকে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছিল তখন দুনিয়াটা স্বর্গের মতনই ছিল। কোলাহল, পরিবেশ দুষন, রোগ বালাই, হিংসা, চুরি, ডাকাতি, মারামারী, খুন, ধর্ষন এসব কিছুই ছিল না।"
অথচ কোরাণের সূরা মা'য়েদার ২৭-৩১ আয়াতের বর্ণনায় জানা যায় : স্বয়ং আদম-হাওয়ার দুই হারমাদ কুপুত্র হাবিল-কাবিল মারামারিতে লিপ্ত হয়। হাবিলের হাতে কাবিল খুঁন হয়। তখন আদম-হাওয়া-হাবিল-কাবিল এই চার জন ছাড়া পৃথিবীতে আর কেউ ছিল না। সে তুলনায় আজকের পৃথিবী অনেক নিরাপদ। প্রতি ৪ জনে ১ জন খুঁন হয় না।
২। বেহেস্তের হুরপরীর ধারনাটি নিঃসন্দেহে একজন লুচ্চা টাইপের পুরুষের মাথা থেকে পয়দা হয়েছে। দস্যু খুনী লুটেরা ডাকাত সেক্স ম্যানিয়াক মারদাঙ্গা পুরুষ মানুষকে নিজের দলে ভিড়ানোর জন্য মদ-মেয়ের প্রলভন দিয়ে এই হুরপরী নাটক সাজানো হয়েছে। তা না হলে পুরুষের জন্য ৭২ বেশ্যা আর নারীর জন্য শুন্য থালা হবে কেন? কোন যুক্তিতে?? জান্নাতে শুধু পুরুষের জন্য ৭২ বেশ্যা বরাদ্দ জায়েজ করার জন্য ঐ পোষ্টের লেখক সাহেব আগের দিনের লুচ্চা-ধর্ষক রাজা, বাদশা, নবী, সাহাবীদের মত নারী লোভি হায়নাদের উদাহরন টেনে এনেছেন। পক্ষান্তরে তিনি বলেছেন- "পুরুষের চেয়ে নারী শাষকেরা যুদ্ধ, অত্যাচার, শোষন ইত্যাদি কোনটাই কম করেনি। কিন্তু এমন কি কোন উদাহরন আছে যে ক্ষমতাশীল রানীর এক ডজন স্বামী ছিল, বা তার হারেমে শ-খানেক পুরুষ যৌনকর্মী ছিল।"
বারে মজা!! সবাইকে এতোটা ভোদাই ভাবেন কেন? ইতিহাস ঘেটে আমরা কখনো শুনিনি যে কোন রাণী তার স্বামীকে ৭২ বেশ্যার কাছে আজাদ করে দিয়েছেন। আপনি কি শুনেছেন কখনো যে কোন রাণী বসে বসে ৭২ বেশ্যার রোস্টার তৈরী করেছেন কার পরে কে তার স্বামীর সাথে সেক্স করতে যাবে ?
যে নারী দুনিয়াতে একজন সতীন সহ্য করে না, সে বেহেস্তে ৭২টা সতীন সহ্য করবে!!!!
হায়রে মোটা মাথার উল্লুক মুমিন!!!!!
বিষয়: বিবিধ
৯৮৩১ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বোখারী শরিফে আছে- … the houris, (who will be so beautiful, pure and transparent that) the marrow of the bones of their legs will be seen through the bones and the flesh.” (Sahih Bukhari, Book 54 “The Beginning of Creation,” Hadith 476)
আপু ধর্ম নিয়ে যা তা বইলেন না -- আল্লাহ গুনা দিব আর ঐপারে গেলে এমন চেঁছুনি দিব কাইন্দা কূল পাইবেন না-
১। হুর কে তিনি বেশ্য বলেছেন?! চরম নিন্দনীয় শব্দ চয়ন। মূলত হুর শব্দটি কমোন শব্দ। যার অর্থ হল 'সঙ্গী'। পুরুষের জন্য যেভাবে পুরুষ সঙ্গী প্রয়োজন সে অর্থে ব্যবহৃত আবার নারীর জন্য নারী সঙ্গী। তার প্রয়োজন অনুসারে আসবে।
২। দুনিয়াতে নারীরা যেভাবে পুরুষের কাছে বিয়ে বসে সংসার জীবন করে। পুরুষের পরিবারে নারীরা চলে আসে সন্তান জন্ম দেয়। আখিরাতে নারীদের জীবন সেভাবে হবেনা। কেননা যে যোগ্যতায় একজন পুরুষ বেহেশতের মালীক হবে, সে যোগ্যতায় একজন নারীও বেহেশতের মালীক হবে। জান্নাতে নারীরা দুনিয়ার পুরুষ তথা স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে বাধ্য নয়। সেখানে পুরুষের মত সেও স্বাধীন ও একাকী। এমনকি জান্নাতে নারীদের বয়সও পুরুষের কাছাকাছি করা হবে। যাতে করে তাদের মাঝে মনের মিল, চিন্তা, অভিলাষ গুলো শেয়ার করতে পারে বুঝতে পারে।
৩. স্বামী স্ত্রী যদি জান্নাতে যায় তাহলে দুজন এক জান্নাতে থাকবে এমন কথা নাই। কেননা নিজের যোগ্যতা বলে দুটো জান্নাতের অধিকারী হবেন। সেখানে স্ত্রী যদি সেই স্বামীর সাথে কোনভাবে সময় কাটাতে চায়, সে সুযোগ তারা পাবে। কেননা সেখানে সিদ্ধান্ত নেবার বেলায় তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বাধীন। সেই কারণে, রাসুল (সাঃ) গভীর রাত্রে তাহাজ্জুদের নামাজে দোয়া করতেন, আল্লাহ জান্নাতে তুমি খাদিজাকে আমার করে দিও। স্ত্রী যদি স্বামীর অধিকারের বিষয় হবে, তাহলে নবীর মত ব্যক্তিকে এই ধরনের দোয়া করা লাগত না।
৪। বেশীর ভাগ নারীরা জাহান্নামে যাবে, সেটা তাদের কর্মের কারণেই হবে। জান্নাতে নারীর সংখ্যা কম থাকবে। ফলে সেখানে দুনিয়াবী নারীর অভাব থাকবে। ফলে পুরুষের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা থাকবে। হুরদের মধ্য থেকে তারা সেটা বাছাই করতে পারবে। হুরদের বয়স থাকবে দুনিয়াবী নারীদের চেয়ে কম। নারীরা নারীদের পছন্দ মত হুর পাবে। কেননা আল্লাহই বলেছেন, তাদের সকলের অভাব ও চাহিদা পুরন করা হবে।
৫। সর্বোপরি যে নারী জান্নাতে যাবে, তার স্বামীও জান্নাত যাবে। কেননা ভাল পুরুষের স্ত্রী জাহান্নামে যেতে পারে কিন্তু দুনিয়ার জীবনে ভাল নারীর স্বামীরা কোনদিন পথভ্রষ্ট হয়না, সে জন্য ভাল নারীকে শ্রেষ্টতম সম্পদ বলা হয়েছে। (ব্যতিক্রম খুবই কম) ভাল নারীর পরিবারকে আল্লাহ দুনিয়াতে রক্ষা করেন। সে হিসেবে বুঝা যায়, দুনিয়ার জীবনের বেশির ভাগ স্বামী-স্ত্রী জোড়ায় জোড়ায় জান্নাতে যাবে।
৬। যে নারী স্বামী বিহীন একাকী যাবে তাদের পরিমান নগন্য, তাদের জন্য তাদের ইচ্ছামাফিক ব্যবস্থা করা হবে। যৌন সুখ সকল সুখের একটি অংশ মাত্র, যা বংশ বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়। দুনিয়াতেও যৌন সুখ পুর্ণাঙ্গ সুখ নয়। সেটা যদি মূল সুখ হত, তাহলে স্ত্রীরা বিয়ের পরে আত্মহত্যা করে কেন?
আল্লাহ নিজেই বলেছেন, জান্নাতে প্রকৃত খুশী হবে সেই দিন, যেদিন জান্নাতের মানুষ নিজ চোখে আল্লাহকে দেখবে।
যৌনবাদী, পাপাচারী, অযাচারী, নিকৃষ্ট চিন্তার মাতাল মানুষেরা দুনিয়ার সকল সুখ নারীর যৌনাঙ্গে খোঁজ করতে থাকে, তাই তাদের চিন্তাও সেই ক্ষুদ্র অঙ্গকে নিয়ে ঘুরপাক খেতে থাকে। তাই তাদের চিন্তাও ভগবানের একট কর্তিত লিঙ্গের বাহিরে যেতে পারেনা। ফলে অন্যদেরকেও সেভাবে ব্যখা করে।
বেশির ভাগ নারী জাহান্নামে যাবে -- এর মাধ্যমে পার্থিব জগতের নারীদের অপমান করেলন না -- আপনার মতে পুরুষদের তুলনায় নারীরা খারাপ -- এটা মিন করলেন --- হায়রে আমাদের সমাজ নিজেদের কে বড় এবং কিছু ভোগ বিলাসের জন্য যাতা বলতেও ছাড়ি না---
তাহলে আপনার মা'ও সম্ভবত জাহান্নামে যাবেন তার কর্মের জন্য। কেমন মাতার গর্ভে জন্ম নিয়েছেন @ জনাব টিপু??
কোরআন হাদীস না জেনে কথা বলা অনুচিত। টিপু ভাই যা বলেছেন তার সপক্ষ্যে সহীহ হাদীস আছে। এর মানে এই নয় নারীদেরকে অপমান করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নারীদেরকে সতর্ক করা হয়েছে।
=====
নিচের হাদীসটি পড়ুন....
আব্দুল্লাহ ইবন ওমর রাদিআল্লাহু আনহু থেকে একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার ঈদের সালাতে খুতবায় নারীদের উদ্দেশে বলেন,
‘হে নারী সম্প্রদায়, তোমরা বেশি বেশি সদকা করো। কেননা, আমি জাহান্নামের অধিবাসী বেশি তোমাদের দেখেছি।’ মহিলারা বললেন, কেন হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন, ‘তোমরা অধিকহারে অভিশাপ দাও এবং স্বামীর অকৃজ্ঞতা দেখাও। বুদ্ধিমান পুরুষকে নির্বুদ্ধি বানাতে অল্প বুদ্ধি ও খাটো দীনদারির আর কাউকে তোমাদের চেয়ে অধিক পটু দেখিনি।’ তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমাদের জ্ঞান ও দীনদারির ঘাটতি কী? তিনি বললেন, ‘মহিলাদের সাক্ষী কি পুরুষদের সাক্ষীর অর্ধেক নয়?’ তাঁরা বললেন, জী, হ্যাঁ। তিনি বললেন, ‘এটিই তাদের জ্ঞানের অল্পতা। যখন তাদের মাসিক শুরু হয় তখন কি তারা সালাত ও সাওম (রোজা) বাদ দেয় না?’ তাঁরা বললেন, জী, হ্যাঁ। তিনি বললেন, ‘এটিই তাদের দীনদারিতে স্বল্পতা।’ [বুখারী : ৩০৪]
আরেক হাদীসে বলা হয়েছে, ইমরান ইবন হুসাইন রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘জান্নাতের সবচে কম অধিবাসী হবে নারী।’ [মুসলিম : ৭১১৮; মুসনাদ আহমদ : ১৯৮৫০]
====
এই হাদীস গুলোর মাধ্যমে মেয়েদেরকে সতর্ক করা হয়েছে তাদেরকে অপমান করা হয় নি।
আপনার বাবা জদি বলে যে "ওবেলা চুরি করো না" তাহলে কি আপনাকে অপমান করা হবে???
এটা আসলে আপনার বাবার পক্ষথেকে সতর্কতা।
====
আমার সন্ধেহ আছে আপনি নাস্তিক কি না (আল্লাহু আলাম)
নারীদেরকে অবমূল্যায়ন করার আমি কেউ নই। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, জাহান্নামে পুরুষের চেয়ে বেশী সংখ্যক নারীদের দেখেছি এবং পুরুষদের বেশী সংখ্যক ব্যক্তিকে জাহান্নামে জ্বলতে শুধুমাত্র নারীদের কারণে। তারা নিজেরাই জান্নাতে যেতে না চাইলে, কেউ গলা ধাক্কা দিবে নাকি?
আফরার জন্য লিখছি: আমি একটি পোষ্ট লিখছি। অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন