মাজার পূজা শিরক। মদিনায় নবীর রওজা ভেংগে দিলে সমস্যা কি?
লিখেছেন লিখেছেন গ্রামের পথে পথে ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৪:৩৯:৫৩ রাত
ব্রেকিং নিউজ- নবী মোহাম্মদের রওজা ভেংগে দেয়া হছ্ছে।
এই টুডেব্লগেই আমাদের মুমিন ভাইরা মাজার পুজার বিরুদ্ধে অনেক পোষ্ট দিয়েছেন। কোরাণ-হাদীস থেকে বিভিন্ন উদাহরন টেনে তারা প্রমান করেছেন কোন ব্যাক্তির মাজার পুজা, জেয়ারত করা শিরক, যা কবিরা গুনাহ।
সবশেষে আজকেই সেই সু-খবরটি পাওয়া গেল। মদিনায় নবী মোহাম্মদের রওজা ভেংগে দেয়া হছ্ছে-
মুসলিম সম্প্রদায়ের নবী হজরত মুহাম্মদ এর সমাধিক্ষেত্র ভেঙে তার দেহাবশেষ অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেয়ার একটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সৌদি আরবে।
বিস্তারিত এখানে : Click this link
বিষয়: বিবিধ
৪০৫৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর,
কবর পূজা আর মাজার জেয়ারত এক কথা নয়।
কবর পূজা আর দূর্গা পূজার মাঝে কোন পার্থক্য থাকেনা। বেশ কম হল কবরপূজার সময়ে সামনে একটি কবর থাকে আর দূর্গা পূজার সময়ে দূর্গার মুর্তি থাকে, যার আপনি ভাল জানেন। বাকী সমুদয় কাজের ধরন ও প্রকৃতি এক হয়ে থাকে।
আর কবর জেয়ারত মানে, কবর প্রদর্শন। প্রবাসীরা যখন দেশে পিতা-মাতাকে দেখতে যায়, যেটাকেও আরবী ভাষায় পিতা-মাতার জেয়ারত বলে। মদীনায় রাসুল (সাঃ) কবর জেয়ারত হয় কবর পূজা হয়না। সেখানে কবর পূজা করার জন্য মাথা মাটিতে নামালে সে মাথা আর ঘাড়ে থাকবে না, সেটা মাটিতেই থেকে যাবে।
সে জন্য সেখানে অর্থাৎ রাসুলের রওজায় মুশরিক তথা হিন্দু-বৌদ্ধদের যাওয়া নিষেধ। কেননা মুশরিকেরা বৈশিষ্ট্য গত ভাবে নতুন কিছু, বড় কিছু, অভিনব কিছু, আশ্চর্য কিছু, লোভনীয় কিছু, সম্মানী কিছু দেখলেই মাথা নত করে লুটিয়ে পড়ে। এর ফলে তারা, ইঁদুর, হনুমান, বটবৃক্ষ, পাথরের নির্জীব মুর্তি, ভুড়িযুক্ত পেটুক মানুষ, গড-ফাদার সহ সব কিম্ভুতকিমারের পদতলে লুটিয়ে পড়ে।
মদিনায় যেহেতু এটা এখনও শুরু হয় নাই, তাই এটা নিয়ে এখনও চিন্তার দরকার নাই। তাই সেই মাজার সরানোরও প্রয়োজন নাই।
যাক, শিরকের ভয়ে আচ্ছাদিত হয়ে এই ধরনের একটি পোষ্ট দেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। কেননা শিরক হল স্রষ্টার প্রতি বড় জুলুম। মানুষের মাঝে যারা চিন্তা ও বিন্যাসে ইতর, অপ্রকৃতস্থ, অজ্ঞ, মুর্খ ও নিম্নপ্রকৃতির হয়ে থাকে তারাই শুধুমাত্র একজন স্রষ্টার সাথে অন্য কিছুকে গুলিয়ে ফেলে।
তবে এটা ঠিক- কবর পুজা, দূর্গা পূজা আর আল্যা পূজা মূলত একই। যে যেভাবেই মাটিতে লুটিয়ে পরুক না কেন এদের একটিরও কোন ক্ষমতা নেই।
তবে ইঁদুর, হনুমান, বটবৃক্ষ, পাথরের নির্জীব মুর্তি, ভুড়িযুক্ত পেটুক মানুষের কিছুটা হলেই ক্ষমতা আছে। গৃহস্থের ধান, চাল নষ্ট করার ক্ষমতা ইদুরের আছে। হনুমান মানুষের মাথার উকুন বেছে দিতে পারে। বটবৃক্ষ ছায়া দিতে পারে। নির্জীব পাথরের মূর্ত্তির আড়ালে লুকিয়ে মানুষ অন্ততঃ রোদ, ঝড়, বৃষ্টি, দমকা হাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারে। ভুড়িযুক্ত পেটুক মানুষ দান খয়রাত করতে জানে। কিন্তু আসমানে পানির উপর ভাসমান চেয়ারে পা চেগিয়ে বসে থাকা আল্যার সেই ক্ষমতাটুকুও নেই। ক্ষমতা থাকলে কি নবী মোহাম্মদ তারওয়াল নিয়ে এত দাপাদাপি করে?
পাছা উচু করে মাটিতে এত মাথা ঠুকার পরও মুসলমানরা মসজিদে দানবাক্স ঝুলিয়ে রাখে??
আমেরিকার পত্রিকায় লিখেছে বলে ডাহা মিথ্যা খবর সব খবর সত্যি হয়ে গেল! আপনার দারুন যুক্তি দেখে নিদারুণ পুলকিত হলাম। এই আমেরিকার পত্রিকায় তো বলেছিল ইরাকে রসায়নিক অস্ত্র আছে। তালোবানের কাছে আনবিক বোমা আছে।
অবশেষে দুনিয়াবাসী দেখিল, আমেরিকার তথ্য সঠিক বটে!!
- নিচের অপ্রাসঙ্গিক আপনার কদাকার মন্তব্যের জবাব দেওয়ার মত ততোধিক কদাকার ভাষা আমি শিখিনি।
- তবে এই ধরনের একটি কিছুটা ভদ্র, মার্জিত ও শ্লীল প্রশ্নের জওয়াব আমি ইতিপূর্বে দিয়েছি। দুটি আগের পর্ব খোজ করলেই পাওয়া যাবে।
আর ২য় প্রসঙ্গের সবকিছু আপনার কাছে কদাকার মনে হয়েছে বটেই!!! কেননা আপনাদের পান খাদক মুমিনের সুবোধ জ্বালা মুখ দিয়ে অবলিলায় অন্য ধর্মের মানুষের "বৈশিষ্ট্য" তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার সময় কিছুই মনে থাকে? কিন্তু বিপরিত প্রতিক্রিয়া হলে ধর্মানুভুতি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন