একমাত্র বৌদ্ধ ধর্মই দিতে পারে বিশ্বব্রন্মান্ডের বিজ্ঞান ভিত্তিক ব্যাখ্যা- আলবার্ট আইনস্টাইন
লিখেছেন লিখেছেন গ্রামের পথে পথে ২৮ আগস্ট, ২০১৪, ০৯:৩৫:১৮ সকাল
এ পৃথিবীকে পরিবর্তন করে দেয়া, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যত ধর্মের অবতারনা হয়েছে তার মধ্যে একমাত্র বৌদ্ধ ধর্মেই রয়েছে আগামী দিনের “কসমিক রিলিজিয়াস” অনুভূতির ধারনা এবং ব্যাপ্তি। আমরা দেখি, গৌতম বুদ্ধের শিক্ষা মানুষকে নিজের চিত্তের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে নির্বানের পথে নিজেকে নিয়ে যেতে শেখায়। বুদ্ধ বলেছেন, আমার শিক্ষা জ্ঞাণীদের জন্যে। তুমি যদি নিজের মন দ্বারা বিভ্রান্ত না হয়ে সেগুলো সঠিকভাবে পড়তে জানো তবে তুমি এই মহাবিশ্বের প্রকৃত শিক্ষা পাবে।
আইনস্টাইন বৌদ্ধ ধর্মকে আগামীর একমাত্র ধর্ম বলে গিয়েছিলেন যা এই পৃথিবীর সমস্ত কিছুর বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যাকে ধারন করে থাকবে। ঈশ্বর কেন্দ্রীক ধর্মীয় বোধকে এড়িয়ে যাওয়া, শুধু নিজে কিংবা মানুষ নয় বরং সকল প্রাণীর প্রতি মমত্ববোধ, এবং সর্বশেষ মানুষকে যে কোন কিছুই অভিজ্ঞতার মাধ্যমে উপলব্ধি, শেখা ও ধারন করা –এ শিক্ষা গুলোর উপরে ভিত্তি করে দাড়িয়ে রয়েছে।
একমাত্র বৌদ্ধ ধর্মেই বলা হয়েছে, “সব্বে সত্ত্বা সুখীতা হোন্তু” অর্থাৎ জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক। এ পৃথিবীর সকল জীবের প্রতি অহিংসা প্রদর্শণ এবং সকল প্রাণীর সুখ কামনা বা মৈত্রী কামনা পৃথিবীর অন্য কোন ধর্মেই শিক্ষা দেয়না। এই পৃথিবীর সকল প্রাণীই এক একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর এই সর্বজীবের প্রতি দয়া এবং সকল প্রাণীর প্রতি মৈত্রী প্রদর্শণ মানেই নিজেকে ছাড়িয়ে গিয়ে, আত্মকেন্দ্রীকতা কে বিসর্জন দিয়ে সমগ্র পৃথিবীর প্রতি অপ্রমত্ততা প্রদর্শণ। এভাবেই শুরু হয় মানুষের নিজেকে ধীরে ধীরে চিত্তকে পরিশীলতার প্রক্রিয়া।
আইনস্টাইনও ঠিক একই কথা বলেছেন, “একজন মানুষ “ইউনিভার্স” নামে পরিচিত “সামগ্রীকতা”র অংশ যা কাল এবং স্থানের মাঝেই সীমাবদ্ধ। মানুষ নিজেই নিজের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা নেয়; তার চিন্তা এবং অনুভূতি অন্য সবকিছুর চাইতে আলাদা কিছু – যা তার সচেতনতার এক ধরনের দর্শনযোগ্য নিজের মত করে গড়ে তোলা ছায়াপরিবেশ।
আইনস্টাইনের এই ছায়া পরিবেশের কারাগার মানেই বৌদ্ধ ধর্মের সেই অজ্ঞানতা এবং দুঃখের শৃংখল। যে শৃংখলের আবরণে আমরা পরম জ্ঞাণ, শান্তি এবং মুক্তি কোন কিছুই দেখতে পাই না। আমরা আমদের আশে পাশের বস্তুগত জীবন নিয়েই নিজেদের এতটাই ছোট কারাগারের মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলেছি যে এর বাইরে “নির্বাণ”-এর মাধ্যমে নিজেকে “মুক্ত” করা এবং এই মুক্তিই যে আসল সুখ তা উপলব্ধি করতে পারি না।
বুদ্ধ বলেছেন, তুমি শুনেছো বলেই কোন কিছু বিশ্বাস করো না, কোন কিছু বলা হয়েছে বা সবাই বলছে বলেই তুমি তা বিশ্বাস করো না, ধর্মীয় বইতে লেখা আছে বলেই তুমি তা বিশ্বাস করো না, তোমার গুরু কিংবা শিক্ষক বলেছেন বলেই তুমি তা বিশ্বাস করো না, প্রজম্ন থেকে প্রজন্ম কোন কিছু চলে আসছে বলেই তুমি তা বিশ্বাস করো না। নিজের পর্যবেক্ষন, অভিজ্ঞতা এবং বিশ্লেষন এর পর যদি তুমি দেখো তা যুক্তিযুক্ত এবং সকলের জন্যে কল্যাণকর তখন কেবল তুমি তা গ্রহণ করো এবং তা ধরে রাখো।
The religion of the future will be a cosmic religion. It should transcend personal God and avoid dogma and theology. Covering both the natural and the spiritual, it should be based on a religious sense arising from the experience of all things natural and spiritual as a meaningful unity. Buddhism answers this description. If there is any religion that could cope with modern scientific needs it would be Buddhism. (Albert Einstein)
Click this link
বিষয়: বিবিধ
২২২৭ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
কোনটিকে চুমু খাবেন?
বুদ্ধ দেব এর এই কথা আল্লাহ্ ও বলেছেন। তবে সামান্য ঘুরিয়ে।
অনেক যায়গায় ই বলেছেন।
আইনস্টাইন এমন কথা সত্যিই বলেছিলেন কি-না সেটা আমি জানি না। তবে, তার উচিত ছিল ইসলাম ধর্ম সম্পর্কেই কথাটা বলা। কারন, বোদ্ধদের মধ্যে উল্লেখ্য বিজ্ঞানী পাওয়া যায় না, যেমনটা মুসলিমদের মধ্যে পাওয়া যায়।
বৌদ্ধের গুনাবলির ছিটেফোটা যদি আল্লার থেকে থাকতো তা হলে কি মুমিনরা সারা পৃথিবীতে নিজেরাই নিজেদের সাথে ফ্যাসদ করে।
২। তার উচিত ছিল ইসলাম ধর্ম সম্পর্কেই কথাটা বলা। কারন, বোদ্ধদের মধ্যে উল্লেখ্য বিজ্ঞানী পাওয়া যায় না, যেমনটা মুসলিমদের মধ্যে পাওয়া যায়।
আক্ষেপ, মুমিনদের হিংশা। আইনস্টাইন ইসলাম নিয়ে বল্লে না জানি কি করতেন? আর ১৬০০ লক্ষ্য মুসলিম উইপোকার কপালে ইবনে সিনা কবিরাজ ছাড়া আর কিছু আছে নাকি? বাই দ্যা ওয়ে, কনফুসিয়ান সাইন্সের কথা শুনেছেন কখনো? ইসলামের বাপদাদার চেয়ে বড়। জেনে নিন।
ভাল কথা, সর্বজীবে দয়া? আরাকানে বুড্ডিস্টরা মুসলিমদের উপর যা করছে তা দয়ার কোন প্রকার বলবেন কি?
বর্তমান সময়ের সেরা ব্যক্তিত্ব স্টিফেন হকিং কিন্তু ইসলামেরই জয়গান গেয়েছেন সেটা একটু রিসার্চ করেন।
Secondly Albert Einstein only a wolrd famous scientist not a religious specialist. As much as I know he has no knowledge about Islam and Duddism.
Albert Einstein did not believe like that "একজন মানুষ “ইউনিভার্স” নামে পরিচিত “সামগ্রীকতা”র অংশ যা কাল(Time) এবং স্থানের(place) মাঝেই সীমাবদ্ধ।
Please try to find out what Einstein say about TIME. In your post what you try to said us in the name of Science is not really science at all but RUBISH>
আমি আমার মন্তব্যে বলেছিলাম “As much as I know he has no knowledge about Islam and Duddism.” একথা অথচ আপনি লিখলেন আমি আইনস্টাইন কে তার এই ইসলাম সম্পকে না জানার কারনে তাকে হিংসা করছি!!!
আমরা কখনই কারো কোন কিছু না থাকার জন্য তাকে হিংসা করি না; তা জ্ঞান হউক, টাকা পয়সা হউক অথবা অন্য কোন কিছু। বরং কারো কোন কিছু না থাকলে আমরা তার জন্য আফসোস করি। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, কারো অক্ষর জ্ঞান না থাকলে তার জন্য আমরা আফসোস করি কিন্তু কখনই তাকে হিংসা করি না। “” এর ধর্ম সম্পকিত বিভিন্ন বক্তব্য পরে আমার মনে হয়েছে, সে যদি ইসলাম সম্পকে জানত তবে আমরা তার কাছ থেকে আরও অনেক কিছু জানতে পারতাম। এ জন্য আফসোস হয়, অবশ্যই হিংসা নয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন